যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার পরিবর্তে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করে পদ্মা নদী পার হওয়ার অনুরোধ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন পারাপারের জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ১০টি এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি ফেরি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে শিমুলিয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। চাপের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, তবে ঘাটে শৃঙ্খলা আছে।’
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়ায় ফেরিতে বড় ধরনের যানবাহন পার করা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি পার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করতে পুনরায় অনুরোধ করছি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘাটে মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালোমানের ফেরি রাখা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। তখন শিমুলিয়াঘাটে সমস্যা থাকবে না। ঘাটে গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষা করবে।’
তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী