বিপাকে
চুয়াডাঙ্গায় হাড় কাঁপানো শীত, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড় কাপানো শীত। ভোর থেকে বেলা ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।
এমন কনকনে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তায় কেউ নেই। তারা কীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে সে খোঁজও প্রশাসনসহ নিচ্ছে না কেউ।
আরও পড়ুন: স্বাধীন দেশের প্রথম শীতের স্মৃতি
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হরেও তা এ জেলার জন্য অপ্রতুল। এছাড়া প্রশাসনের তালিকায় দিনমজুর এবং ছিন্নমূল মানুষ ঠাঁই পাচ্ছেন না।
গতানুগতিকভাবে আগের মতোই এ জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মানুষের মধ্যে বিতরণ কাজ সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কিছু নিম্নমানের কম্বল বিতরণ করে সেটা ছবি তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে।
শীতার্ত খেটে খাওয়া মানুষ এ জেলায় উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। আয়-রোজগার না থাকায় খেটে খাওয়া দিনমজুররা রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া শীত নিবারণের পোশাক কিনতে গিয়েও ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
শীতে কাবু হলেও শীতের পোশাক কেনার সামর্থ হারিয়েছেন তারা।
শীতের কাপড় কিনতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দিনমজুর বলেন, যে কম্বল পেয়েছি তা দিয়ে চাদরের কাজও হয় না। একেবারে পাতলা। তাই পুরনো শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার পুরনো কাপড় বিক্রেতা হাবু বলেন, এবার শীতের শুরুতে বেচাকেনা তেমন ছিল না। তবে এখন বিক্রি বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জব্বর শীত পড়ছে। সবকিছু টাটিয়ে যাচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীত। আর সন্ধ্যাবেলা কুয়াশা পড়ছে। বেচা কিনা নেই, খুব কষ্টে আছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের ফুটপাতগুলোয় শীতের কাপড় বিকিকিনিতে ধুম
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৯৬ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান,আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গার আকাশে মেঘ জমবে এবং বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে করে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় আরও শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।
১১ মাস আগে
লঞ্চ বন্ধে বরিশালে বিপাকে হাজারো যাত্রী
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বরিশাল থেকে সকল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। শনিবার সন্ধ্যার পর হাজার হাজার যাত্রী বরিশাল নদী বন্দরে এসে ফিরে গেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জনিয়েছেন,যাত্রী জিম্মি করে ভাড়া বৃদ্ধি অনৈতিক কাজ।
অন্যদিকে মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি,সরকার ডিজেলের দাম বাড়ানোয় মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে থাকা দূরপাল্লার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী তিনটি লঞ্চ ঘাট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, বাকি তিনটি লঞ্চ ঘাটেই রয়েছে। বিকাল থেকে যাত্রীরা ঘাটে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।সোয়েব আহম্মেদ নামে এক যাত্রী জানান,ভাড়া বৃদ্ধির জন্য যাত্রীদের জিম্মি করে হঠাৎ লঞ্চ বন্ধ করা বিবেকহীন কাজ। এ সিদ্ধান্ত বিকাল তিনটায় না নিয়ে আরও আগে নিতে পারতো। তা হলে আমরা ঘাটে এসে এই বিড়ম্বনায় পরতাম না।রুমি নামের আরও এক যাত্রী বলেন,গতকাল থেকে জনপ্রতি ভাড়া বৃদ্ধি করেছে মালিকরা। লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রেখে সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। তা হলে হাজার হাজার যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পরতে হতোনা।
আরও পড়ুন:বাস-ট্রাকের পর এবার লঞ্চ বন্ধ
এদিকে বন্দরে থাকা কিছু যাত্রী বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এম ভি মধুমতি, তুষখালী থেকে ছেড়ে আসা পূবালী-৭ এবং ঝালকাঠি থেকে আসা ফারহান লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।পূবালী-৭ লঞ্চের বরিশাল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন বলেন,বিকেল ৩টায় লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তবে আমাদের ওই লঞ্চ এর আগেই ছেড়ে এসেছে।
নিজাম শিপিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায়,বরিশাল-ঢাকা রুটের ট্রিপ প্রতি ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রী প্রতি ভাড়া বৃদ্ধি না করে লঞ্চ চলানো সম্ভব না।
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় প্রতিটি লঞ্চে জ্বলানি বাবদ এক লাখ টাকা খরচ বেড়েছে। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে এক দিন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। তবে সেটা আর সম্ভব না।
আরও পড়ুন:লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি: একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ১৫
ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছে তিনটি লঞ্চ
৩ বছর আগে
ডুমুরিয়ায় ‘সরকারি’ রাস্তায় বেড়া, বিপাকে ৯ পরিবার
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায় ‘সরকারি’ রাস্তায় বেড়া দেয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার নয়টি পরিবার।
৪ বছর আগে
করোনাভাইরাস: বিপাকে কুড়িগ্রামের শ্রমজীবী মানুষ
সরকারি নির্দেশনায় কুড়িগ্রামে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট। শহর ও গ্রামের রাস্তায় দুয়েকটি রিকশা, অটোরিকশা দেখা গেলেও ভাড়া পাচ্ছেন না চালকরা। এ অবস্থায় মহাবিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
৪ বছর আগে