ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বরিশাল থেকে সকল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। শনিবার সন্ধ্যার পর হাজার হাজার যাত্রী বরিশাল নদী বন্দরে এসে ফিরে গেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জনিয়েছেন,যাত্রী জিম্মি করে ভাড়া বৃদ্ধি অনৈতিক কাজ।
অন্যদিকে মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি,সরকার ডিজেলের দাম বাড়ানোয় মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে থাকা দূরপাল্লার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী তিনটি লঞ্চ ঘাট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, বাকি তিনটি লঞ্চ ঘাটেই রয়েছে। বিকাল থেকে যাত্রীরা ঘাটে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সোয়েব আহম্মেদ নামে এক যাত্রী জানান,ভাড়া বৃদ্ধির জন্য যাত্রীদের জিম্মি করে হঠাৎ লঞ্চ বন্ধ করা বিবেকহীন কাজ। এ সিদ্ধান্ত বিকাল তিনটায় না নিয়ে আরও আগে নিতে পারতো। তা হলে আমরা ঘাটে এসে এই বিড়ম্বনায় পরতাম না।
রুমি নামের আরও এক যাত্রী বলেন,গতকাল থেকে জনপ্রতি ভাড়া বৃদ্ধি করেছে মালিকরা। লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রেখে সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। তা হলে হাজার হাজার যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পরতে হতোনা।
আরও পড়ুন:বাস-ট্রাকের পর এবার লঞ্চ বন্ধ
এদিকে বন্দরে থাকা কিছু যাত্রী বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এম ভি মধুমতি, তুষখালী থেকে ছেড়ে আসা পূবালী-৭ এবং ঝালকাঠি থেকে আসা ফারহান লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
পূবালী-৭ লঞ্চের বরিশাল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন বলেন,বিকেল ৩টায় লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তবে আমাদের ওই লঞ্চ এর আগেই ছেড়ে এসেছে।
নিজাম শিপিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায়,বরিশাল-ঢাকা রুটের ট্রিপ প্রতি ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রী প্রতি ভাড়া বৃদ্ধি না করে লঞ্চ চলানো সম্ভব না।
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় প্রতিটি লঞ্চে জ্বলানি বাবদ এক লাখ টাকা খরচ বেড়েছে। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে এক দিন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। তবে সেটা আর সম্ভব না।
আরও পড়ুন:লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি: একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ১৫
ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছে তিনটি লঞ্চ