মনপুরা
ভোলায় বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ডিম পাড়তে এসে কাদার চরে আটকে থাকা অবস্থায় প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি অলিভ রেডলে প্রজাতির সামুদ্রিক মা কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জসংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী কাদা চর থেকে কচ্ছপটি উদ্ধারের পর প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। এ নিয়ে গত ২১ দিনের ব্যবধানে একই প্রজাতির মোট তিনটি সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করে মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় ৪৮টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার, খালে অবমুক্ত
মনপুরা বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে চরে আটকে পড়া অবস্থায় স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় হাজির হাট ইউনিয়নের চর জামশেদ এলাকার জংলার খালের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীতে সুস্থ অবস্থায় কচ্ছপটিকে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: মনপুরায় ৪০ কেজি ওজনের কচ্ছপ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, মনপুরায় ২১ দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে পর পর তিনটি অলিভ রেডলে প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
১০ মাস আগে
মনপুরায় ৪০ কেজি ওজনের কচ্ছপ উদ্ধার
ভোলার মনপুরায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আটকে থাকা অবস্থায় ৪০ কেজি ওজনের আরও অলিভ রিডল সি (জলপাই রঙা) বিরল প্রজাতির একটি জীবন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত ১৮ দিনের ব্যবধানে একই প্রজাতির ৪০ কেজি ওজনের মোট দুইটি সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করে মেঘনায় অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ‘জিপিএস ট্র্যাকার’ সহ কচ্ছপ উদ্ধার
শুক্রবার দুপুরে সাড়ে ১২ টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পঁচা কোড়ালিয়া বিটের আওতায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল চরপাতালিয়া থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়।
পরে বিকালে ৪টায় মনপুরা দখিনা হাওয়া সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: যেমন আছে বোস্তামীর কচ্ছপেরা
১০ মাস আগে
মনপুরায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার
ভোলার মনপুরা উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী রিনা বালা দাস নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে তার নিজ বাবার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
রিনা বালা দাস মনপুরার উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর সোনার চর গ্রামের বাসিন্দা কালুদা রঞ্জন দাসের মেয়ে।
রিনার বাবা জানান, শুক্রবার দুপুরে শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, মেয়েটির মানসিক সমস্যার কারণে স্বামী তালাক দেয়। এরপর থেকে মেয়ে আমার বাড়িতে থাকে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী এক বিধবা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
অন্যান্য দ্বীপদেশগুলোর মত জাঁকজমক না হলেও, বাংলাদেশের উপকূলগুলো মোটেই বঞ্চিত হয়নি প্রাকৃতিক শোভা থেকে। পৃথিবীর এই বৃহত্তম ব-দ্বীপের আঙ্গিনা সযত্নে ধুয়ে দিয়ে যায় বঙ্গোপসাগরের ফেনিল জলরাশি। সামুদ্রিক হাওয়ার পরশে পলিমাটির অলঙ্করণে যেন নিয়ত সেজে থাকে কাঁচা জীবনধারার ঘনবসতিগুলো।
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মনপুরা চলচ্চিত্রটি ঠিক যেন এমনি এক কাদামাটি তুলে এনেছিল সাগরের বুক থেকে। তারপর চলচ্চিত্রপ্রেমি থেকে ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয় অব্দি পাড়া হতে খুব বেশি সময় লাগেনি মনপুরার। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগসূত্র না থাকলেও তারা ছুটে গেছে এই দ্বীপ সৈকতে।
চলুন, সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক এই মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
মনপুরা নামের পটভূমি
দ্বীপের নাম কিভাবে মনপুরা হলো সে নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। স্থানীয় বায়োজ্যেষ্ঠগণের মতে, দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্য্য ও উপকূলবর্তী খাবার আগন্তুকদের মন জয় করত। এ কারণেই দ্বীপ ও ইউনিয়নের নাম মনপুরা হয়েছে।
অনেকের ধারণা, মনগাজী শাহবাজপুর জমিদারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছিলো বিস্তৃত এই জায়গাটি। ফলে তার নামের উপর ভিত্তি করেই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
এছাড়া একটি অদ্ভূত গল্পও প্রচলিত আছে এ দ্বীপকে ঘিরে। জায়গাটিতে আগে বাঘ ও হাতীর মত হিংস্র সব জন্তু-জানোয়ার বিচরণ করতো। একদা মনগাজী নামের এক লোক বাঘের আক্রমণে শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান। সেই থেকে সবাই দ্বীপটিকে মনপুরা নামে ডাকতে শুরু করে।
১ বছর আগে
মনপুরায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ, আহত ২৫
ভোলার মনপুরায় শনিবার প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরের মুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। এসময় হামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার দাবি বিএনপির অন্তর্দলীয় কোন্দলের কারণে এসব ঘটতে পারে।
শনিবার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলমের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবদল সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন তাদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার সব উপজেলা ও থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
এসময় তিনি বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তিনিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর কয়েক দফা হামলা করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এছাড়া নয়নের অভিযোগ, ‘তাদের ওপর হামলা করা হলেও পুলিশ বাধা দেয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মনপুরা উপজেলায়ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি পালন হওয়ার কথা ছিল।তিনি সকালে মনপুরা গিয়ে ডাকবাংলোতে অবস্থান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মহড়া দিতে শুরু করে এবং ডাকবাংলোর ভিতরে প্রবেশ করে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের কিছু না বলে উল্টো নয়নকে মনপুরা ত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। এমন পরিস্থিতিতে ডাকবাংলো থেকে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ বিএনপি নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে ডাকবাংলো থেকে জোর করে বের করে নিয়ে আসে। বাংলো থেকে বের হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করা হয়।’
পুলিশ তখন নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ করেন নুরুল ইসলাম নয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, ‘হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিএনপির মধ্যে অন্তর্দলীয় কোন্দল রয়েছে। এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা করে থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আ.লীগের হামলায় কর্মসূচি পণ্ড
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
১ বছর আগে
মনপুরায় হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় চিকিৎসা না পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মনপুরা ৫০ শয্যা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম মো. আবদুল্লাহ।
শিশুটির চাচা মাওলানা রিয়াজ গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮ টায় ভাতিজা আবদুল্লাহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ডা. আশিকুর রহমানকে দেখান। তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাবতীয় ওষুধের প্রেসক্রিপশন করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন এবং ক্যানোলা পুশ করে দ্রুত ওষুধ প্রয়োগ করতে বলেন। প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে ইমারজেন্সি রুমে দায়িত্বরত কেউ না থাকায় সেখানে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের দোতলার দায়িত্বরত নার্সদের রুমে নিয়ে গেলে এই ঘটনা ঘটে। দেড় ঘন্টা ধরেও দায়িত্বরত নার্সরা ওই শিশুর হাতে ক্যানোলা পড়াতে পারেননি। পরে ভাতিজার মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন:চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগএ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটির শরীরে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্যানোলা পড়াতে পারেনি নার্সরা। এতে ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান মোবাইলে জানান, ওই শিশুটির অবস্থা গুরুতর ছিলো। হাসপাতালের নার্স একাধিকবার চেষ্টা করেন তাকে ক্যানোলা পুশ করার জন্য। কিন্তু ভেইন শুকিয়ে যাওয়ায় তাকে ক্যানুলা পড়াতে পারেনি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শিশু মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে গণ্ডগোল শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, মৃত শিশুটি তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন। তবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন:মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক
২ বছর আগে
বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ: ভোলার ১০ গ্রাম প্লাবিত
বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন ও মনপুরা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে প্রায় ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘন্টা জোয়ারের পানিতে ভাসতে হচ্ছে ঢালচরের মানুষকে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে গত তিন দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানি উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, জোয়ারের ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে মানুষের ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বহু ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে। গবাদি পশুর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার কাউয়ারটেকে ঢাকাগামী লঞ্চ ঘাট এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
আরও বলুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা
কলাতলী চরের ইউপি সদস্য মো. রহমান জানান, বেড়ি বাঁধহীন সদ্য ঘোষিত নতুন চর কলাতলী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরনিজাম, বদনারচর, ঢালচর ও চর শামসুদ্দিনে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সব চরে বসবাসরত ২০ হাজারের ওপরে মানুষ বুধবার ও বৃহস্পতিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক এলাকার বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ি সব ডুবে গেছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই তারা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর ডিভিশন-২ এর উপসহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, মেঘনার পানি বুধবার বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও বৃহস্পতিবার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চলসহ বেড়ি বাঁধের বাইরের এলাকা চার ফুট জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: বাগেরহাটের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি
২ বছর আগে
মনপুরায় হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ২
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই শিকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরপিয়ালের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার ২নং হাজির হাট ইউনিয়নের দাসের হাট গ্রামের মো. আরিফ ও মো. শাকিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সুন্দরবন থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
পঁচা কোড়ালিয়া বনবিভাগের বিটকর্মকর্তা মো. আব্বাস আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরপিয়ালের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জবাই করা ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মনপুরা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসে এনে মামলা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৮শ’ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
মনপুরা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার দুই শিকারির বিরুদ্ধে বন্য প্রাণীসংরক্ষণ ও নিধন আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
২ বছর আগে
গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
ষড় ঋতুর পরিক্রমায় গরমকাল কোন কোন ক্ষেত্রে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে দেশের ভেতরেই এমন কিছু মনোমুগ্ধকর জায়গা আছে, যেখানে গরমকালে স্বল্প খরচে ভ্রমণ করা যায়। ভ্রমণের ষোলকলা পূর্ণ করতে রোদ-বৃষ্টির এই সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নির্বাচন করতে হবে সেই জায়গাগুলোকে। যে কোন দর্শনীয় স্থানের ক্ষেত্রেই সেখানকার বৈশিষ্ট্যের সাথে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় তা হচ্ছে আবহাওয়া। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে জায়গাগুলো নিজস্ব বিশেষত্ব নিয়ে চোখ জুড়ানো নিসর্গ রূপ ধারণ করে। তাই চলমান উষ্ণতায় চলুন খুঁজে নেয়া যাক বাংলাদেশের দারুণ কিছু ঘোরার জায়গা।
গরমকালে কম খরচে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের ১০টি দর্শনীয় স্থান
সিলেটের পাংথুমাই
সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামগুলোর সৌন্দর্য্যের মধ্যে যদি তুলনা করা হয় তাহলে সবার উপরে থাকবে সিলেটের পাংথুমাই। জাফলং ইউনিয়নের সীমানায় গ্রামটি গাছের সবুজ, মেঘের ধূসর এবং জলপ্রপাতের চঞ্চলতার মেলবন্ধনে যেন এক অপরূপ নিসর্গ। খুব জোরে বাতাস বয়ে গেলে অপার্থিব গোঙানি গ্রামের শেষে গুহার উপস্থিতির জানান দিয়ে যায়।
কম খরচে ভ্রমণের জন্য ঢাকা থেকে সিলেটগামী ট্রেনের ৩২০ টাকার শোভর চেয়ার বুকিং করা যেতে পারে। অতঃপর সিলেট শহর থেকে মাইক্রোবাস রিজার্ভ নিয়ে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে পৌছা যাবে পাংথুমাইয়ে। গোয়াইনঘাটের সালুটিকর অথবা জৈন্তাপুরের সারিঘাট উভয় পথেই একই দূরত্ব ও সময়ে খরচ হবে।
পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
ভোলার মনপুরা
শহরের কোলাহল ও দাবদাহ থেকে এক নিমিষেই মুক্তি দিতে পারে মনপুরা। ভোলা জেলার নদী ও সাগরের মিলনস্থলে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা। এখানকার পিন-পিতম নিরবতায় এক সূর্যাস্ত অথবা তারা ভরা রাতের সামীয়ানা এক জীবন্ত রূপকথার আমেজ দেবে।
এ দ্বীপে যেতে হলে ঢাকার সদরঘাট থেকে যে কোন দিন বিকেল ৫ টায় উঠে পড়তে হবে হাতিয়ার লঞ্চে। সূর্যোদয়ের পর ঠিক সাড়ে ৭ টায় মনপুরা দ্বীপে নামিয়ে দেবে। লঞ্চ ডেকের ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা। ফিরতি লঞ্চ ধরতে হলে ঠিক দুপুর ২টায় অপেক্ষা করতে হবে মনপুরার রামনেওয়াজ লঞ্চঘাটে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল
একটি কুঁড়ি দুটি পাতার দেশে মন ভুলানো রুপের আধার শ্রীমঙ্গল। পাতা আর কুঁড়ির এই দেশ পাহাড় আর চা বাগানে ঘেরা আর সব সময়ই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এক আদর্শ স্থান। ৪০টি চা বাগানের এই উপজেলা কিছু হাইল-হাওর ছাড়া পুরোটাই চা বাগানে দখলে। মাইলের পর মাইল চা বাগান ছাড়াও এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে নির্মাই শিববাড়ী ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলগামী ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া পড়বে ৩২০ টাকা।
সিলেটের জাফলং
খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে পিয়াইন নদী ঘেরা জাফলং যেন প্রকৃতির এক স্বপ্নীল খেয়াল। আনমনে কোন শিল্পী যেন তার নিপুণ হাতে এঁকে দিয়েছেন পাহাড়ের খাঁজে খাসিয়া পল্লী, পানির নিচের পাথর, আর পানের বরজ। কাছেই সংগ্রামপুঞ্জির রাস্তা ধরে এগোলে দেখা মিলবে দেশের প্রথম সমতল চা বাগান।
ট্রেনে চড়ে ঢাকা থেকে সিলেট নামার পর শিবগঞ্জ থেকে ৮০ টাকায় জাফলঙের বাস পাওয়া যাবে। শুধু জাফলং দেখার জন্য ভ্রমণসঙ্গী কম হোক বা বেশি হোক; এই ট্রেন ও বাসের যাতায়াত মাধ্যমটিই সাশ্রয় হবে।
পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
নেত্রকোণার বিরিশিরি
চীনামাটির পাহাড় ঘেরা অপরুপ নীল হ্রদ দেখতে হলে যেতে হবে দুর্গাপুরের এই ঐতিহ্যবাহী গ্রামটিতে। হ্রদের নীল পানির ধারা শুরু হয়েছে সমেশ্বরী নদী থেকে। আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে রানীখং গির্জা, কমলা রানীর দীঘি, পাহাড়ী কালচারাল একাডেমী, হাজংদের কিছু স্মৃতিস্তম্ভ এবং সেন্ট যোসেফের গির্জা।
ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সুখনগরীর বাস। সুখনগরীতে নেমে উঠে পড়তে হয় নদী পারাপারের নৌকায়। তারপর আবার বাসে ২০ টাকা ভাড়ায় দুর্গাপুর।
সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারীর আশ্রয়স্থল এই জায়গাটির অবস্থান ধলাই নদের উৎসমুখে। সাদা পাথর ছাড়াও এখানে দেখা যাবে রোপওয়ে, উৎমাছড়া, ও তুরুংছড়া।
পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে নেমে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে চলে যেতে হবে আম্বরখানা মজুমদার পয়েন্টে। সিএনজি ভাড়া নিতে পারে প্রায় ৫০ টাকা। সেখান থেকে বিআরটিসি দোতলা বাস ৬০ টাকা ভাড়ায় সরাসরি ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ট্রলার ঘাটে নামিয়ে দেয়। ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় সাদাপাথর জিরো পয়েন্টে যেতে খরচ নিবে মাথাপিছু ১০০ টাকা। জিরো পয়েন্টে পর্যটকদের গোসল করা ও কাপড় বদলানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।
নারায়নগঞ্জের পানাম নগর
ঢাকার কাছেই এই ঐতিহাসিক জায়গাটি ঢাকার ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সেরা দর্শনীয় স্থান। ৪০০ বছরের পুরনো টাকশাল বাড়ি ও নীলকুঠি দেখার সময় মনে হবে সময়টা ঘুরে অতীতে চলে গেছে। এছাড়াও আছে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, গোয়ালদি মসজিদ, পান্থশালা, খাজাঞ্চিখানা, চিত্রশালা, দরবার কক্ষ, ও গুপ্ত পথ।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে উঠে নারায়নগঞ্জের পথে নেমে যেতে হবে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা। ভাড়া পড়তে পারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সেখান থেকে অটোতে ২০ থেকে ৪০ টাকায় পৌছে যাওয়া যাবে পানাম নগরীতে। অতঃপর ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। জাদুঘরের টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। পানাম নগরে ঘুরতে যাবার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, বুধ ও বৃহস্পতিবার জাদুঘরের বন্ধের দিন।
পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
কুমিল্লার ময়নামতি
লালমাই পাহাড়, শালবন বিহার, বৌদ্ধ মন্দির, ময়নামতি জাদুঘর একসাথে ঘোরা যাবে কুমিল্লা কোটবাড়ির ময়নামতি গেলে। কুমিল্লার খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের সুখ্যাতি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে আছে।
এক দিনে ঝটিকা সফরের জন্য ঢাকা থেকে সকাল সাতটার মধ্যেই রওনা দিতে হবে। কমলাপুর, যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদ থেকে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়ায় পাওয়া যাবে কুমিল্লার বাস। ক্যান্টনমেন্ট অথবা কোটবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে নেমে ২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় পৌছা যাবে শালবন।
শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর সরকারি ছুটির দিন ও রবিবার বন্ধ থাকে, আর সোমবারে বন্ধ থাকে অর্ধ দিবস।
পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
কুমিল্লার আসল মাতৃভান্ডার থেকে রসমালাই খেতে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে প্রথমে ২০ টাকা অটো ভাড়ায় যেতে হবে কান্দিরপাড়। তারপর সেখান থেকে রিকশায় মনোহরপুর।
বগুড়ার মহাস্থানগড়
প্রায় ৪ হাজার বছরের এই পুরনো স্থাপনাটি অবস্থান বগুড়ার শিবগঞ্জে। এখানে ঘুরতে যেয়ে চোখে পড়বে বৈরাগীর ভিটা, কালীদহ সাগর, খোদারাপাথার ভিটা, ইস্কান্দারের ধাপ, খুল্লানার ধাপ, মাহী সওয়ার মাজার শরীফ, জগির ভবন, ভীমের জঙ্গল, রোজাকপুর, মহাস্থানগড় জাদুঘর, অররা, জিউৎকুন্ড কুপ, তোতারাম পণ্ডিতের ধাপ, গোবিন্দ ভিটা, তেঘর, ও মাথুরা। শীলাদেবীর ঘাট, বেহুলার বাসর ঘর অথবা লক্ষিন্দরের মেধ, মানকালির দ্বীপ, পরশুরামের প্রাসাদ দেখার সময় মনে হবে প্রাচীন চরিত্রগুলো যেন আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
রাত পৌনে দশটা এবং সোয়া এগারটায় ট্রেনে ৩৯৫ টাকায় চলে যাওয়া যেতে পারে এই প্রাচীন নগরীতে। বগুড়ায় নেমে সিএনজি, টেম্পো বা রিকশা করে যাওয়া যাবে মহাস্থানগড়। এখানে মনে রাখতে হবে শুক্রবার ও রবিবার মহাস্থানগড় বন্ধ থাকে।
পড়ুন: বগালেক, দার্জিলিং পাড়া হয়ে কেওক্রাডং মানেই হারিয়ে যাওয়া রূপকথার রাজ্যে
রাঙামাটির কাপ্তাই লেক
আয়তনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ এই কৃত্রিম হ্রদ যেন স্বর্গের প্রতিচ্ছবি। এখানে কোন রকম ক্লান্তি ছাড়াই উপভোগ করা যাবে পাহাড়, ঝর্ণা ও অথৈ জলের সাথে সবুজের পরিণয়। দল বেঁধে নৌ বিহারের সময় জলযানটিকে মনে হবে আকাশ ও হ্রদের মাঝে তুচ্ছ এক প্রাণ। এছাড়া আছে রাঙ্গামাটির প্রতীক ঝুলন্ত ব্রিজ, আর শুভলং ঝর্ণা।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ট্রেনের শোভন চেয়ারে খরচ পড়বে ৩৪৫ টাকা। অতঃপর চট্টগ্রামের বদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে উঠে পড়তে হবে কাপ্তাইগামী বাসে। এখানে জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৮০ থেকে ১২০ টাকা।
শেষাংশ
এই দর্শনীয় স্থানগুলো গরমকালে কম খরচে ভ্রমণের স্বাদ পরিপূর্ণ ভাবে পূরণ করতে পারে। এগুলোর প্রতিটি নিজস্ব আলাদা সৌন্দর্য নিয়ে উষ্ণ আবহাওয়ায় আবির্ভূত হয় পর্যটকদের সামনে। এই সৌন্দর্য্যের স্বাদ অন্য সময় গেলে মন ভরে আস্বাদন না করেই ফিরে আসতে হতে পারে। আর ভ্রমণকে নির্ঝঞ্ঝাট করতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা সহ পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। গরমের জন্য উপযুক্ত পরিধেয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দরকারি সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখতে হবে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে কোন ঝামেলা পোহানো ছাড়াই সারা বছরই ভ্রমণ করা যাবে।
পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
২ বছর আগে
মনপুরায় গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিন উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে।
মামলার অন্য চার আসামি হলো- মো. বেল্লাল মেকার, মো. হেলাল, মো. ইউসুফ দালাল, মো. সেলিম মেকার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১ টার দিকে নারী কন্ঠে তার নাম ধরে একাধিকবার ডাক দেয়। ঘরের দরজা খুলার সাথে সাথে অভিযুক্ত পাঁচজন তাকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে পাশের বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে রাত ১ টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বিকালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার দিন তার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না। সোমবার স্বামী বাড়িতে আসলে গৃহবধূ রাতে বাদী হয়ে এই পাঁচজনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পার্লার কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর চার আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৩ বছর আগে