রেস্টুরেন্ট
অগ্নি নিরাপত্তা: ঢাকার অভিজাত এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো কতটা নিরাপদ?
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। যেগুলোর বেশিরভাগই করা হয়েছে বহুতল ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে নেই অগ্নি নিরাপত্তা। লিফট ও একটি সিঁড়ি ছাড়া জরুরি বহির্গমনে আর কোনো সিঁড়িও নেই অধিকাংশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বেইলি রোডের ঘটনায় মানুষের মধ্যে এখন একটি আতঙ্ক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায়ও যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এমন বহু রেস্টুরেন্ট। অগ্নি নিরাপত্তা লাইসেন্স ছাড়া বছরের পর বছর চলছে এসব রেস্টুরেন্ট। আবাসিক ভবনগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা ও রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে আসা অনেকেই বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার মতো অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক আছে ধানমন্ডি-গুলশান-বনানী এলাকাতেও। আগে থেকে ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্তোরাঁ। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।
এসব ভবনে ছোট পরিসরে সিঁড়ি রয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে জরুরি বহির্গমনের সুযোগ খুব কম। কারণ সিঁড়িগুলোতে হয় বিভিন্ন মালামাল রাখা, নয়তো রেস্টুরেন্টগুলোর ভেতর থেকে সিঁড়িতে যাওয়ার গেট বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে রেস্টুরেন্টগুলোতে কখনো আগুনের ঘটনা ঘটলে রেস্টুরেন্টে খেতে আসা মানুষ বুঝতেই পারবে না সিঁড়ি কোনদিকে আছে।
গুলশানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর গুলশান-বনানী এলাকায় রেস্টুরেন্টেগুলোতে পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে আতঙ্ক কাজ করছে। কোন রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে বা নেই আমাদের জানা নেই।’
একই ভাবে বনানীতে বসবাসকারী আরেক ব্যবসায়ী দিদারুল হক সানি ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর আপাতত রেস্টুরেন্টে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ অগ্নি নিরাপত্তা এখন বড় একটি ইস্যু। গুলশান-বানানী এলাকায় রেস্টুরেন্টে নেই ফায়ার সেফটি।এ বিষয়ে রাজউক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সঠিকভাবে তদারকি করলে সব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি মানতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।’
আদিল বলেন, বেইলি রোডের ঘটনার পর মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করছে। বেইলি রোডের মতো আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনি ব্যবস্হা নিতে হবে। না হলে আবার আরেক জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের মতো ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে কি না রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
ড. আদিল বলেন, ‘বহুতল ও বিশেষ ব্যবহারের ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম এগুলো ছিল কি না তা তদারকি করা প্রয়োজন। ভবনের সেফটি অডিট করানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’
‘অনেক ভবন নিয়ম অনুযায়ী ২টি সিঁড়ি রাখলেও ফায়ার বহির্গমনের সিঁড়িটা অনেকে গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে জরুরি বহির্গমনের সিঁড়ি অন্য কোনো কাজে বা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরৎসাহিত করতে হবে।’
অনেকেই ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন করে অ-আবাসিক ক্যাটাগরিতে ফেলে। এই “অ-আবাসিক” নাম ব্যবহার করে আবাসিক ভবন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেছেন, বেইলি রোডের মতো যেন আর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সেসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি নেই সেগুলো আমরা ব্যবস্হা নেব। ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
চেয়ারম্যান বলেন, যেসব আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আবাসিক ভবনের নামে অনুমোদন নিয়ে সেখানে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে, অথচ তাদের বাণিজ্যিক অনুমোদন নেই। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, রাজউক থেকে নকশা অনুমোদন নেয় একভাবে আর বিল্ডিং করে নকশা বহির্ভূতভাবে। আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে অনুমোদনের বাইরে। এসব বিষয়ে যখনই নজরে আসছে তখনই ব্যবস্হা নিচ্ছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে জানা যায়, রাজধানীতে রাজউকের আওতায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদন রয়েছে ২ লাখের। অনুমোদিত ভবনের মধ্যে ৯০ শতাংশ নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
৮ মাস আগে
রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে অবৈধ মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ফেনসিডিল ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, নগরীর চারতলা মোড় এলাকার এসএম মীর কাশেমের ছেলে এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বাগডাঙ্গা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ রানা, রংপুর নগরীর আশরতপুর পার্কের মোড় এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল আলম অরফে রতন, নগরীর ধর্মদাস মিলনপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন এবং নগরীর শালবন এলাকার আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে শিপন মিয়া।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
পুলিশ জানায়, এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন চারতলা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়ির ছয়তলা ভবনের ছাদে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্ট নামে ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসার আড়ালেই অধিক লোভের আশায় মাদকের কারবারও শুরু করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন তিনি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জানুয়ারি ওই রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন ওই ভবনের মালিক এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকনসহ অন্যরা।
এসময় ১৬৩টি ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরও কেউ কিংবা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টের যোগসূত্র আছে কি না অথবা এখান থেকে কারা কারা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে সেগুলো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
১০ মাস আগে
সিলেটের ৩ রেস্টুরেন্টে দুর্বৃত্তের হামলা, ভাঙচুর
মহান মে দিবসে সিলেটের তিনটি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে নগরীর কাজিটুলা ও সোবহানীঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মে দিবসে নগরীর সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। তবে কাজিটুলার ক্বারী ইন রেস্টুরেন্ট ও সোবহানীঘাট এলাকায় তাজ রেস্টেুরেন্ট ও ইলিয়াস রেস্টুরেন্ট খোলা রাখায় এই হামলা চালানো হয়। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রেস্টুরেন্ট মালিকদের সংগঠন সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শান্ত দেব জানান, মে দিবসে নগরীর সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকে তবে কিছু রেস্টুরেন্ট মালিক পুলিশ কমিশনার ও ডিসি মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে খোলা রাখার কথা জানিয়েছিলেন। প্রশাসনও সম্মতি দিয়েছিলো। যেহেতু সিলেট একটি পর্যটন নগরী। কিন্তু সোমবার সকালে সোবহানীঘাট এলাকায় ৩-৪টি রেস্টুরেন্টে কিছু দৃর্বৃত্তরা হামলা করেছে। আমরা তার নিন্দা জানাই।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমশিনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস জানান, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। আমরা খোজ খবর নিচ্ছি।’
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মে দিবেস ঐ সকল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকায় কিছু শ্রমিক এসে খাবার নষ্ট করে চলে যায়। তবে রেস্টুরেন্ট মালিকরা দাবি করছেন এরা কোন শ্রমিক নন।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি
সিলেটের শাহী ঈদগাহে লাখো মানুষের ঈদের নামাজ আদায়
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে নগরীর খুলশি এলাকার ‘ফিউশন ক্যাফে’-নামের একটি রেস্টুরেন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-মো. কাশেম (১৭), নূর হোসাইন (২০) ও মুবিনূল হক(২২)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ২
তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে ফিউশন ক্যাফে নামে ওই হোটেলের ম্যানেজার মো. গুলজারের মোবাইল ফোনে কল দিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তুষ কুমার চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণে তিন কর্মচারী আহত হয়েছেন।তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে রড তৈরির কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত
রূপগঞ্জে ডকইয়ার্ডে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি, গুলিবিদ্ধ ২
পানির বিল না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে প্রকাশ্য গুলি করেছে ভবন মালিক।
এতে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও আরও একজন কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
’আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে গুলি করে যুবককে হত্যা
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় শহরের চাষাঢ়ায় আঙ্গুরা প্লাজায় সুলতান ভাই কাচ্চিতে (সুমাইয়া কাচ্চি হিসেবে পরিচিত) এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিক আজহার তালুকদারকে রাত সোয়া ১১টার দিকে আটক করে থানার নিয়ে গেছে।
সুমাইয়া কাচ্চি হাউজের একাধিক কর্মচারী জানান, রাত পৌনে ৯টায় হঠাৎ করে ভবনের মালিকদের একজন আজাহার তালুকদার আসেন। তিনি এসেই ম্যানেজারের কাছে পানির বিল নিয়ে টাকা চান। এনিয়ে তর্কের একপর্যায়ে তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েন।
এতে ম্যানেজার কাজল ও কর্মচারী জনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশেপাশের লোকজন এসে আজাহারকে আটক করে।
এ ব্যপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১১টা) কোন মামলা হয়নি।
’আরও পড়ুন: পাবনায় আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
বাঘাইছড়িতে জেএসএসের সামরিক কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা
১ বছর আগে
এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
এক টাকায় পেটপুরে খাওয়ার কথা আমরা কি ভাবতে পারি? তবে এখন থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বদৌলতে দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ চাইলেই এক টাকায় পেটপুরে খেতে পারবেন। এ ফাউন্ডেশন উদ্যোগে এবার এই জেলায় চালু হলো এক টাকার রেস্টুরেন্ট।
এক টাকায় শহরের রেস্টুরেন্টের খাবার পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষেরা।
দেশের প্রেক্ষাপটে বাজারে এক টাকা এখন নেহাত মূল্যহীন। প্রায় বিলুপ্তির পথে এক টাকার নোট। দোকানিরা এর চাহিদা সারেন চকলেট দিয়েই। কিন্তু এক টাকায় রেস্টুরেন্টের খাবার অবিশ্বাস্য।
সত্যি এমন ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
জেলার সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চরসুভারকুঠি গ্রামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্থায়ীভাবে বিশেষ একটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে।
এক টাকার এই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানি, পোলাও, ভাত, মাছ, মাংস, ডিমসহ বারো পদের খাবার।
যা ক্ষুধার্ত মানুষেরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইচ্ছামতো তাদের পছন্দের খাবার খেতে পারছেন। মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে তৃপ্তি সহকারে পছন্দের খাবার খেতে পেরে খুশি সুবিধাভোগীরা। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির বাজারে সমাজে এমন অনেক অসহায়, দরিদ্র এবং গৃহহীন মানুষ তিনবেলা খাওয়া কষ্টকর।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
১ বছর আগে
বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
বাঙালি শব্দটির সাথে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর তা যদি হয় বুফে, তাহলে তো কথাই নেই! পশ্চিমা খাবার প্রথা থেকে শুরু হলেও বুফে এখন বাংলাদেশিদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী জুড়ে পুরনো নামকরা রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি নতুন অনেক ক্যাফে চালু হচ্ছে এই বুফেকে কেন্দ্র করে। শুধু তাই নয়, নানা উপলক্ষ ছাড়াও কম খরচে বুফে খাওয়ার সুবিধা দিচ্ছে রসনা নির্ভর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা বুফে রেস্টুরেন্টগুলোতে সময় কাটানো মানেই আনলিমিটেড পেটপূর্তি। চলুন, সেই রেস্টুরেন্টগুলোর সেরা বুফে ডিল নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ঢাকার সেরা ১০টি বাজেট বুফে রেস্টুরেন্ট
বুফে স্টোরিস (ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান)
খাবারের স্বর্গ ধানমন্ডির বাজেট বুফের মধ্যে এই রেস্টুরেন্টটি অন্যতম। ধানমন্ডি-২ নাম্বার রোড এবং মিরপুর-১১ এর দুই শাখাতেই বেশ সাশ্রয়ী এবং পুষিয়ে নেয়ার মত মূল্যের বুফে পরিবেশন করা হয়। এদের ৬০০ টাকার ৬৫টি আইটেমের প্যাকেজটিতে আলাদা করে ভ্যাটসহ অন্যান্য খরচের কথা ভাবতে হবে না। আর খাবারের কোয়ালিটিতে যে কোন ভোজন রসিক অনুভব করবেন, যে তিনি সঠিক মূল্যের খাবারটিই নির্বাচন করেছেন। সবচেয়ে চমৎকার বিষয়টি হল যে, তারা রেগুলার পানির পাশাপাশি পছন্দনীয় একটি কোমল পানীয় দেয়। দেশি থেকে চাইনিজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের খাবারের পাশাপাশি থাকে মিষ্টান্ন আইটেমের দারুণ সমারোহ।
গরুর মাংসের রেজালা এবং লাইভ কাবাব স্টেশন থেকে খাবার মেনুর দুটি প্রধান আকর্ষণ। যে কোন স্পট রিজার্ভ করার জন্য আগে থেকে কল করে যাওয়া উত্তম। কারণ যে কোন দিনেই রেস্তোরাঁটি খুব দ্রুত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। সমস্যা হিসেবে শুধু এই ভিড়টাকেই বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া জায়গা বা খাবার নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য অসুবিধা নেই। যেকোন ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট ইভেন্টের জন্য ভেন্যু বুক করার জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা বুফে স্টোরিস।
পড়ুন: গ্রীন কফি: উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বানানোর নিয়ম
প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, মিরপুর
প্রিয়জনদের সাথে একটি সুন্দর বুফে লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য যে কেউ মিরপুরে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটিতে দারুণ একটি স্পট লুফে নিতে চাইবে। লাঞ্চের জন্য ৬৫-এর বেশি আইটেম এবং রাতের খাবারের জন্য ৭৫-এর বেশি আইটেম সহ বুফের সাশ্রয়ী দামগুলো দেখে আশ্চর্য হতে হয়। খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে যেখানে কোন আপোস করা হয়নি, এরপরও আরামদায়ক ইন্টেরিয়র; সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে চাহিদা থেকেও বেশি কিছু। লাঞ্চের বুফের জন্য ৫৯০ টাকা এবং ডিনার বুফের জন্য ৬৯০ টাকা; আর যাবতীয় চার্জ এর ভেতরেই।
প্যাকেজে মিলবে ভাজা ভাত, বিরিয়ানি, নান, মুরগি, গরুর মাংস সহ আরো কিছু। তবে তাদের মিষ্টান্নের ভান্ডারটি নজর কাড়ার মত। রেড ভেলভেট কেক, ট্রাইফেল পুডিং, চকোলেট ইক্লেয়ার-এর স্বাদ একবার নেয়ার পর আবার সেখানে ফিরে যেতে মন চাইবে।
রেডরেস, শ্যামলী
শ্যামলীর রিং রোডের এই রেস্টুরেন্টটি যে কোন ছুটির দিনে বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর মত দারুণ জায়গা হতে পারে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আশেপাশের অঞ্চলগুলো থেকে যে কেউ অনায়াসেই এখানে নিজের জায়গাটি বেছে নেন। ছুটি বা সপ্তাহান্তের কথা বিশেষ ভাবে বলার কারণ হচ্ছে শুধুমাত্র এই সময়গুলোতেই এখানে ৫০০ টাকায় বুফে পরিবেশন করা হয়।
পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
এই রেস্তোরাঁয় তাদের মেনুতে আনলিমিটেড চাইনিজ খাবার রয়েছে। আইটেমের মধ্যে আছে স্প্রিং রোলস, বিশেষ ফিরনি, মিষ্টি, টক চিকেন, গ্রিলড চিকেন, এবং ভাত। গরম খাবারগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ঘন থাই স্যুপ দুর্দান্ত। অন্যান্য স্ন্যাক্স আইটেমের মধ্যে আনলিমিটেড পিৎজার কোন তুলনা হয় না। প্রচন্ড ভিড় সামলাতে না চাইলে আগে থেকেই কল দিয়ে পছন্দ মত জায়গা রিজার্ভ করে নিতে হবে।
ওয়াটার গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, বনশ্রী
দক্ষিণ বনশ্রীর বাগানবাড়িতে এই পার্টি সেন্টারটি প্রবেশমুখেই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায় নয়নাভিরাম কৃত্রিম ঝর্ণার দৃশ্য দেখিয়ে। একদম মুল অংশে দেয়ালে ফ্রেমে বাধা পেইন্টিংগুলো পুরো ইন্টেরিয়রে দিয়েছে নিপুন শৈল্পিকতার ছোয়া। সিড়ি বেয়ে রুফটপে উঠে গেলে একটু ভীড়মি খেতে হবে। মনে হবে অত্যাধুনিক শহর ছেড়ে যেন সবুজ অকৃত্রিম এক জগতে প্রবেশ করা হলো। ছোট ছোট টবের গাছের পাশে বাঁশে গড়া প্রতিটি বসার জায়গা।
খাবারের বিষয়ে বলতে গেলে ৬০-এর বেশি আইটেম নিয়ে এদের বুফে বেশ মান সম্মত। ৬৯৯ টাকার মধ্যে বিশাল প্যাকেজে আছে ফ্রাইড রাইস, চিকেন চিলি অনিয়ন, চাইনিজ সবজি, রোস্টেড তন্দুরি চিকেন, সেদ্ধ মাশরুম, ভাজা সবজি, ডিপ ফ্রাই পেঁয়াজ, ফ্রাইড চিকেন, গরুর মাংস সিজলিং, বিভিন্ন ধরনের কারি এবং মিক্সড সালাদ।
পড়ুন: জবা ফুলের চা: গুণাগুণ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বানানোর পদ্ধতি
বাফেট প্যালেস, মিরপুর, মোহাম্মদপুর
প্লাস্টিকের হলেও ফুল-পাতা ও অপূর্ব আলোকসজ্জার মাঝে বসে খেতে কার না ভালো লাগে। বুফের এই প্রাসাদটি সেই ভালো লাগার পুরোটাই পুরন করবে থাই, চাইনীজ, ভারতীয় ও বাঙালী খাবারের পরিমিত মেলবন্ধন দিয়ে। এদের আনলিমিটেড মাটন কাচ্চি সহ ৭৫-এর অধিক আইটেমের বুফের মূল্য ৬৫০/= টাকা। তবে শুধুমাত্র মোহাম্মদপুর শাখায় ৫৯৯ টাকায় পরিবেশ করা হচ্ছে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে। ৩ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের জন্য অর্ধেক মূল্য।
সাধারণ বুফের আইটেম তো আছেই, তবে এদের বিশেষত্ব হচ্ছে মাটন কাচ্চি, চিকেন দম বিরিয়ানি, রুটি রশমালাই ও দোই ফুসকা। আনলিমিটেড কোমল পানীয়র সাথে থাই ও চাইনিজ আইটেমগুলোও এদের অতিথিদের ভালো লাগাটা ধরে রেখেছে।
জেড কিচেন, বসুন্ধরা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা নতুন এই রেস্তোরাঁটি ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের কাছে প্রিয় খাবারের জায়গায় পরিণত হয়েছে। বসুন্ধরার মত অভিজাত এলাকাতে এই কিচেনে ৬০-এর বেশি আইটেমের লাঞ্চ বুফের দাম ৬০০ টাকা। রাতে ৭০-এর বেশি আইটেমের জন্য বুফের দাম পড়বে ৭০০ টাকা। সাথে কোমল পানীয় যত খুশি তত নেয়া যাবে। ৭ বছরের ছোট বাচ্চাদের জন্য এখানে ৫০ শতাংশ এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডধারীদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ছিমছাম এই রেস্টুরেন্টটি ১০০-এর বেশি অতিথিদের বসার জায়গা দিতে সক্ষম।
পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
সালাদ লাভার্স, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
জনপ্রিয় শপিং মল বসুন্ধরায় অবস্থিত এই ফুড কোর্টটি খাবার পরিবেশন করে বুফে মাধ্যমে। দাম নির্ধারণের বিষয়টিও অভিনব। বিভিন্ন আইটেম একটি বক্সে একসাথে করার পর বক্সটির ওজন করা হয়। তারপর প্রতি গ্রাম ৯৩ পয়সা ধরে ঠিক করা হয় বুফের আসল মূল্য। অল্প খরচে বেশি আইটেমের জায়গাগুলোতে আসলে অনেকেই পেটপূর্তি করে খেতে পারেন না। অল্প একটু খাওয়ার পরেই খাওয়ার শক্তি একদম ফুরিয়ে যায়। তাদের জন্য এই সালাদ লাভার্সটি সেরা জায়গা হতে পারে।
সালাদ নাম হলেও এখানে যে শুধু সালাদ আইটেম আছে তা নয়। ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে গার্লিক মাশরুম, ভেজিটেবল, স্ফ্যাগেটি, চিকেন, পাস্তা; বলতে গেলে পূর্নাঙ্গ বুফের প্রায় সবি আছে। আর আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই বুফেটি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর।
রয়াল ক্যুসিন, উত্তরা
উত্তরা রাজলক্ষীতে অবস্তিত এই ক্যুসিনটি নামের মতই রাজকীয়। বিভিন্ন উপলক্ষের দিনগুলোতে আলবত পাল্টে যায় পুরো রেস্টুরেন্টের চেহারা। অভিজাত ইন্টেরিয়র ঘুরে বেড়ানোর পর বুফে নেয়ার সময় এর দামটা চমকে দিতে পারে। ৮৫-এর বেশি আইটেমের বুফে লাঞ্চ ৭০০ টাকা এবং ৮৫-এর বেশি আইটেমের বুফে ডিনার ৮০০ টাকা। এমন প্রাসাদতূল্য জায়গার তুলনায় দামটা একটু কমই বলা যায়।
পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
তাছাড়া তালিকায় বাহারি আইটেমের বাহুল্যের সাথে খুব বেশি পেটুকরাও পাল্লা দিতে পারবেন না। তবে চেখে দেখার সময় অতিথিরা টের পাবেন যে, মানের দিক থেকে এগুলোতে কোন কার্পণ্য করা হয়নি। অন্য সব ঐতিহ্যবাহী বুফে আইটেমের মধ্যে এখানে চোখে পড়বে দেশ-বিদেশের সালাদ, মাছসহ বিভিন্ন সবজি। রুফটপে খেতে খেতে প্লেনের উঠা নামা উপভোগ করার জন্যও রয়াল ক্যুসিন উপযুক্ত একটি জায়গা।
ফুডল্যান্ড ক্যাফে, ওয়ারী
পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে দারুণ কিছু সময় কাটানোর জন্য এই রেস্টুরেন্টটি সেরা একটি নির্বাচন হতে পারে। মনোরম ইন্টেরিয়রের পাশাপাশি প্রতিটি আরামদায়ক বসার জায়গা অতিথিদের অনেকটা নিজের ঘরের মত অনুভূতি দেয়। আর এর সাথে যুক্ত হয় এদের সাশ্রয়ী মূল্যের বুফে। ৪০-এর অধিক আইটেমের জন্য লাঞ্চ বুফের খরচ ৬০০ টাকা, যা রাতের বেলা হয়ে যাবে ৭০০ টাকা।
আইটেমগুলোর মধ্যে ঘন থাই স্যুপটি আলাদাভাবে নজর কাড়বে। এছাড়া ফ্রাইড রাইস, চিকেন, চাইনিজ, সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মিক্সড সালাদে পুরো খরচটা বেশ ভালো ভাবেই উশুল হবে। আর সাথে রঙ-বেরঙের মিষ্টান্ন তো আছেই।
পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
আইরিশ স্কাই লাউঞ্জ, খিলগাঁও
খাবারের থেকে যারা আশেপাশের সৌন্দর্যটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাদের জন্য এই রেস্টুরেন্টটি সঠিক জায়গা। রুফটপ রেস্টুরেন্ট হলেও খুব বেশি উপরে যে ঠিক তা নয়। চার তলায় অর্ধেক অংশ রুফটপ করে যথেষ্ট সুন্দর করে সাজানো হয়েছে খাবারের জায়গাটি। খিলগাঁওয়ের কেএফসি বিল্ডিং-এর সামনের এলাকাটি মোটামুটি একটু খোলামেলা হওয়ায় চার তলাতেই বেশ দারুণ স্কাই ভিউ পাওয়া যায়।
৪০-এর বেশি আইটেম সহ এদের বুফে প্যাকেজ ৫৬০ টাকা। সাথের পানীয়গুলোর জন্য অবশ্য আলাদা ভাবে খরচ করতে হয়। ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে খাবারের শেষে মিষ্টান্ন সহ সবকিছুতেই পরিপূর্ণ বুফে। কিন্তু মানের দিক থেকে খাবারগুলো রেস্টুরেন্টটির সৌন্দর্য্যের সমকক্ষ হতে পারেনি। তাছাড়া এদের ফার্স্ট পেমেন্ট সিস্টেমটি নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ মেলানো-মেশানো প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
শেষাংশ
ভোজন রসিক বাঙালির রেস্টুরেন্টমুখী হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা বুফে রেস্টুরেন্ট-এর সংখ্যাও। নান্দনিক ডিজাইন ও আরামদায়ক পরিবেশের কারণে কর্মজীবী মানুষদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হচ্ছে ক্যাফেগুলো। এছাড়া সময়ের সাথে কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধির গতি আরো দ্রুততর হওয়ায় রেস্তোরাগুলোর উপর আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সাধারণত মানুষ। এরই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রসনা নির্ভর ব্যবসার প্রসার। বর্তমান যুগে রন্ধন শিল্প বেশ সম্মানজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ ধরনের খাবারের ব্যবসার প্রসিদ্ধি দেশ জুড়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নির্ণায়ক।
পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের নীল চা: জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণ, বানানোর পদ্ধতি
২ বছর আগে
রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যদিও সরকার করোনার নতুন ঢেউ নিয়ন্ত্রণে দেশে কোনো লকডাউন কার্যকর করার কথা ভাবছে না, তবে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যারা টিকা নেননি তাদের রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই তাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে পারবে।
সোমবার সচিবালয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় নিয়ম অমান্য করলে রেস্টুরেন্টগুলোকে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে।
আরও পড়ুন: পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে লকডাউনের কথা ভাবছি না।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।সবাইকে সর্বত্র মাস্ক পরতে হবে। যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের জরিমানা করা হবে।
এছাড়া মাস্ক ছাড়া কেউ গণপরিবহনে উঠলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সিলেটের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধের ঘোষণা
সিলেট নগরীর তিনটি রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যামাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে বুধবার থেকে জেলার সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬ টা পর্যন্ত নগরীর জিন্দাবাজারে সড়ক অবরোধ করে রেস্টুরেন্ট মালিক-শ্রমিকরা এ ঘোষণা দেন। সড়ক অবরোধের সময় জিন্দাবাজার সড়কের চারপাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।পরে প্রশাসনের আশ্বাসে পৌনে ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যান মালিক-শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জিন্দাবাজার এলাকার ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টকে সিলগালা এবং পাঁচভাই ও পানসী রেস্টুরেন্টকে দেড় লাখের অধিক টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি শান্ত দেব জানান, লকডাউন পরবর্তী সময়ে এখনো রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝা। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা যখন ধুঁকছে তখন অভিযানের নামে রেস্টুরেন্ট মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কোন রেস্টুরেন্টে সমস্যা থাকলে জরিমানা হতে পারে। কিন্তু সিলগালা করার বিধান নেই। এতে বোঝা যায় রেস্টুরেন্ট মালিকদের হয়রানি করতে এরকম অভিযান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নবজাতকের গলিত লাশ উদ্ধার
শান্ত দেব জানান, অভিযান বন্ধ, সিলগালাকৃত রেস্টুরেন্ট খুলে দেয়া ও আটক কর্মচারীদের মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে সিলেটের সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলতে থাকবে। এছাড়া বুধবার সকালে রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।
তিনি জানান, রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে এর সাথে জড়িত সিলেটের হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন।
এর আগে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সভাপতি এটিএম শোয়েব এবং সিলেট রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায়ও বুধবার থেকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, পঁচাবাসী খাবার পরিবেশন ও অস্বাস্থ্যকার পরিবেশের দায়ে মঙ্গলবার সকালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোজনবাড়ি, পাঁচভাই ও পানসী ইন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট সিলগালা এবং অপর দুই রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
আরও পড়ুন:ভ্যালি সিটি: পূণ্যভূমি সিলেটে বাংলাদেশের লন্ডনি পাড়া
অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে অভিযানে এসে আমরা খাদ্যের মানে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছি। তাছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন নেই, খাবার পরিবেশনের বৈধ কাগজপত্র নেই। সকল কিছু মিলে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে তাদেরকে সময় দিয়েছি। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের দুইজনকে আমাদের সাথে নিয়ে যাচ্ছি।’
পলাশ কুমার বসু জানান, ‘এসব রেস্টুরেন্টে পূর্বে একাধিকবার অভিযান চালালেও কোন কাজ হয়নি। অভিযানকালে রেস্টুরেন্টগুলোতে এমন অনেক খাদ্য পেয়েছি যেগুলো দুই থেকে তিন দিন আগের।’
আরও পড়ুন:সিলেটে কলেজে ঢুকে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
৩ বছর আগে
সিলেটে ২ রেস্টুরেন্টকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা
সিলেট নগরীতে সোমবার সকালে দুটি রেস্টুরেন্টকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ বছর আগে