শিক্ষক-শিক্ষার্থী
নড়াইলে ৪৪৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার!
নড়াইলের ৬৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শহীদ মিনার নেই।
তাই মহান শহীদ দিবসের দিন এলাকার হাজারো শিক্ষার্থীকে অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়।
ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জেলার অর্ধেকের বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ না করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অন্যদিকে, জেলার ৪৪টি মাদরাসার একটিতেও নেই শহীদ মিনার।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণে রুল
জেলা প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৬৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫৪টিতে শহীদ মিনার আছে। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৩টি। এর মধ্যে ৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ৪৪টি কামিল, ফাজিল, আলিম ও দাখিল মাদরাসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই।
এছাড়া ১৩৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০টিতে এবং ২৬টি কলেজের ১০টিতে শহীদ মিনার নেই।
জেলায় ৪৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭০টিতে শহীদ মিনার নেই।
সদরের মাইজপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সাহা বলেন, নতুন ভবন নির্মানের জন্য এক বছর আগে পূর্বের শহীদ মিনার ভাঙ্গা হলেও নতুন করে স্থায়ী নির্মাণ করা হয়নি। খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নড়াইলের কৃতি সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের নামে বীরশ্রেষ্ঠের জন্মভূমি সদরের চণ্ডিবরপুর ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ নগরে একটি কলেজ এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও দু’টির একটিতেও শহীদ মিনার নেই।
এ ব্যাপারে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রণব কান্তি অধিকারী বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তিন বছর পূর্বে তৎকালীন জেলা প্রাশাসক এবং জেলা পরিষদের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টি আর এগোয়নি। এখন নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান বলেন, মাদরাসা ও কলেজে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে প্রতি বছর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় সহায়তা এবং জেলা পরিষদ ও এলজিইডি অফিস থেকেও প্রতি বছর দু’একটি করে শহীদ মিনার তৈরি হচ্ছে বলেও জানান।
নড়াইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুনাভ রায় জানান, আমাদের নিয়মে রয়েছে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেরামত ও সংস্কার কাজের বরাদ্দ আসে সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যদি শহীদ মিনার তৈরি করে দিতে বলেন তাহলে আমরা নির্মান করে দেই। তারা যদি শহীদ মিনার না চেয়ে ভবনের রং করা বা অন্য কোনো চাহিদার কথা বলেন তাহলে আমাদের সদিচ্ছা থাকা সত্বেও করতে পারি না।
গত দু’বছরে একটি মাধ্যমিক স্কুলে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে এবং আরও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, যেসব মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে শহীদ মিনার নেই সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য চিঠি দিয়ে অবগত জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি তারা না মানে তাহলে সরকারি নিয়মমাফিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরকারিভাবে সারা বাংলাদেশে একই নকশায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
এজন্য যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সেসব বিদ্যালয়ে নতুন করে শহীদ মিনার তৈরি না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়রায় ৯৪ শতাংশ প্রাথমিক স্কুলে নেই শহীদ মিনার
'হয়তো-নয়তো': সময়ের একটি ব্যঙ্গ
একদা একটি রূপকথার রাজ্য ছিল, যেখানে রাজা তার ভাড়াটেদের সম্পর্কে এতটাই অত্যাচারী ছিলেন যে তিনি রাজ্যে খাদ্য সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধির মতো বিদ্যমান সংকটগুলো সম্পর্কেও চিন্তিত ছিলেন না। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী ছিল পুরো ব্যবস্থার আমলাতন্ত্র যারা উন্নয়নের নামে টাকা লুকিয়ে রাখতো।
সোমবার (২১ নভেম্বর, ২০২২) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মঞ্চস্থ নাটক ‘হয়তো-নয়তো’-তে এই বিষয়গুলো বিদ্রূপাত্মকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সমকাল নাট্যচক্র’ আয়োজিত মঞ্চ নাটকে রূপকথার জগতের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: আসুন বিনোদিত হই, খেলাকে খেলা হিসেবেই নেই: আসিফ আকবর
এটি এমন একটি কমেডি-ড্রামা ছিল, যেখানে অনিয়মগুলো এত বিদ্রূপাত্মকভাবে এবং এমন দুর্দান্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যে দর্শকরা তাদের চারপাশের সঙ্গে এই জিনিসগুলোকে সংযুক্ত করতে পারে।
নাটকে, ভাড়াটেরা রাজাকে জিজ্ঞাসা করছিল তাদের কি করা উচিত, কারণ তাদের কাছে খাবার নেই। সিংহাসনের আমলারা উত্তর দিয়েছিলেন যে তাদের খাবারের সময় চিবিয়ে এবং পান করে খাবার খাওয়া উচিত এবং খাবার না থাকাকালীন তাদের 'চিবানো না' এবং 'পান না' করে খাওয়া উচিত।
সেই নাটকের আরেকটি অংশে, রাজ্যের মন্ত্রী বলেছিলেন যে চাল, তেল, শাকসবজি, লবণ, চিনির মতো 'বিলাসী পণ্যের' উপর কর বাড়ানো হয়েছে। এভাবেই সরকার জনগণের জীবনকে উপহাস করে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করছে।
গণমানুষের উন্নয়নের নামে অনুদান কোথায় কিভাবে চলে যায় তাও তারা দেখিয়েছেন।
তবে প্লটটি লিখেছেন রাধারমণ ঘোষ এবং পরিচালনা করেছেন মিঠু।
১৯৮১ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সমকাল নাট্যচক্র’ চালু হয়। তখন থেকে তারা ৭০টিরও বেশি মঞ্চ ও পথনাটক নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: ১৩ বার মনোনয়নের পর অবশেষে অস্কার পেলেন ডায়ান ওয়ারেন
সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে ৩ হাজারের বেশি চলচ্চিত্র জমা
লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে!
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পাঠ্য তালিকার বাইরে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ে সয়লাব হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের বিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের নির্দেশেই বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইড বই কিনতে বাধ্য না করার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইড বই কিনতে বাধ্য না করতে শিক্ষকদের প্রতি রবিবার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গাজীপুরে কলেজের অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের হামলা, আহত ১২
গাজীপুরে কোনাবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির (আই-টেইট) এক অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে জাবিতে ধর্মঘট চলছে
জাবি, ০৩ অক্টোবর (ইউএনবি)- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে।
জাবির আন্দোলনকারীরা পদত্যাগ চাইলেও অনড় ভিসি ফারজানা
জাবি, ১৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
জাবি প্রতিনিধি, ০৩ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও টেন্ডারের শিডিউল ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনাসহ তিনদফা দাবিতে মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।