সাধারণ মানুষ
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব পণ্যের চড়া দামের কারণে এবারের ঈদুল ফিতর দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এবারের ঈদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুঃখ বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, 'ঈদে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনার চেষ্টা করে এবং ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এ বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের (বস্ত্র, খাবার) দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এক শ্রেণির মানুষ তাদের ঈদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
বর্তমান সরকার তাদের গভীর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে দাবি তার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশ কঠিন সময় পার করছে। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক-কর্মীরাও কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তিনি বরেন, ক্ষমতাসীন মহল বিএনপির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। এছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ মামলা দিয়ে ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অমানবিক নির্যাতনের মধ্যেও দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের আশাবাদ ব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণের সহযোগিতায় এই ভয়াবহ পরিবেশ বদলে যাবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
৭ মাস আগে
পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠ ও হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘অসহায় মানুষের শীত কষ্ট লাঘবে আমরা ঢাকায় কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছে পুলিশ। অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পেরে পুলিশ ধন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সময়ে যখন মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা করেনি পুলিশ। দেশের শান্তিকামী জনগণ সবসময় পুলিশকে সহযোগিতা করেছে।’
এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও নববর্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আহ্বান আইজিপির
নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
১০ মাস আগে
সাধারণ মানুষ কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার: বিএনপির কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছেন সাধারণ মানুষরা কেন তাদের অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যাদের কর্ণকুহরে এদের কান্না-আর্তনাদ পৌঁছায় না, তাদের কাছে এদের কান্না-আর্তনাদটা পৌঁছে দেবেন।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কামরুজ্জামান সরণীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালে আহতদের চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে অগ্নিদগ্ধদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হচ্ছে। আমরা দলের পক্ষ থেকেও তাদেরকে সহায়তা করব।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্মমতা নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কিভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজকে বার্ন ইউনিটগুলোতে কাতরাচ্ছে, তা বর্ণনাতীত।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে, একই কায়দায় তারা আবার মানুষ ও যানবাহনের উপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে যারা চিকিৎসাধীন আছে, সবাই গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার, রিকসাওয়ালা আর দু’একজন কর্মজীবী। সবাই সাধারণ মানুষ। এদের কি অপরাধ!
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমার প্রশ্ন- এই সাধারণ মানুষগুলোর কি অপরাধ? তারা কেন তাদের অপরাজনীতির, হিংস্রতার শিকার হলো? এটির কোনো জবাব তাদের কাছে নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ও চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: আন্দোলন মানে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আর কত বছর কাটবে জানি না: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদস্যদের ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন না করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সদর দপ্তরে পিজিআর-এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তিনি বলেন, আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
রাষ্ট্রপ্র্রধান বলেন, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল।
এছাড়া সাহাবুদ্দিন প্রতিটি পিজিআর সদস্যকে বর্তমান বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) এবং প্রযুক্তিগত বৃদ্ধিতে সময় উপযোগী এবং মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও দক্ষ হয়ে উঠতে বলেন।
তিনি বলেন, পিজিআর এর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ, যাতে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীতেও দায়িত্বের ব্যাপকতা বিবেচনা করে এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পিজিআর সদস্যরা 'চেইন অব কমান্ড'-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখবে এবং রেজিমেন্টের মর্যাদা ও মান সমুন্নত রেখে এবং অতীতের ইতিহাস ও ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
পিজিআরকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে সেনাবাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে যে কোনো দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সাফল্যের সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হবে।
পরে সভাপতি সাহাবুদ্দিন পিজিআর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে একটি চারা রোপণ করেন এবং ফটো সেশনে অংশ নেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, পিজিআর কমান্ডার, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
হজ সফরে জেদ্দায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
সিলেটে চলমান ধর্মঘটে বিপাকে সাধারণ মানুষ
বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন দিনের ধর্মঘট পালন করছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ। তাদের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট অন্য সংগঠনগুলোও।
৩ বছর আগে
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মানছে না সাধারণ মানুষ
সাধারণ মানুষের অনীহার কারণে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজধানীতে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠছে।
৪ বছর আগে