তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছেন সাধারণ মানুষরা কেন তাদের অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যাদের কর্ণকুহরে এদের কান্না-আর্তনাদ পৌঁছায় না, তাদের কাছে এদের কান্না-আর্তনাদটা পৌঁছে দেবেন।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কামরুজ্জামান সরণীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালে আহতদের চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে অগ্নিদগ্ধদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হচ্ছে। আমরা দলের পক্ষ থেকেও তাদেরকে সহায়তা করব।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্মমতা নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কিভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজকে বার্ন ইউনিটগুলোতে কাতরাচ্ছে, তা বর্ণনাতীত।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে, একই কায়দায় তারা আবার মানুষ ও যানবাহনের উপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে যারা চিকিৎসাধীন আছে, সবাই গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার, রিকসাওয়ালা আর দু’একজন কর্মজীবী। সবাই সাধারণ মানুষ। এদের কি অপরাধ!
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমার প্রশ্ন- এই সাধারণ মানুষগুলোর কি অপরাধ? তারা কেন তাদের অপরাজনীতির, হিংস্রতার শিকার হলো? এটির কোনো জবাব তাদের কাছে নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ও চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: আন্দোলন মানে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আর কত বছর কাটবে জানি না: তথ্যমন্ত্রী