ফোন
অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোনালাপে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্য তাদের জনগণের কল্যাণে যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কে রূপান্তরিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর শরীফের কাছ থেকে ফোন কল পাওয়া এবং তার কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়ে বার্তা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
শরীফ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সার্ক প্রক্রিয়া কার্যকর করার ওপরও জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি নিয়মিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যত দ্রুত সম্ভব সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদারের আহ্বান জানান।
আর পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের অভিনন্দন
২ মাস আগে
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
কারিগরি দিক থেকে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন কেনার সময় সিদ্ধান্তে গ্রাহকের ব্যক্তিগত পছন্দ যুগপৎ ভূমিকা রাখে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে ব্র্যান্ডের নিজস্বতা এবং মূল্য সংযোজন পরিষেবার ভিত্তিতে বিশেষায়িত হয় ফোনের নির্ভরযোগ্যতা। আর এখানেই প্রশ্ন আসে গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার। ব্যয়কৃত অর্থের বিনিময়ে সঠিক সেবাটি মিলছে কিনা, এখানে সেটিই মুখ্য বিষয়। হোক সেটা দামি ফ্ল্যাগশিপ অথবা মিডরেঞ্জার; সবক্ষেত্রেই মূল্যের ন্যায্যতা যাচাই আবশ্যক। তবে প্রথম সারির ব্র্যান্ডের ফোনগুলো স্বভাবতই একটু সংবেদনশীল। কেননা এর সঙ্গে জড়িত থাকে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে চলুন ফ্ল্যগশিপ ফোনগুলো কেনার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা
অনন্য গুণগত গঠন
শক্তিশালী ও টেকসই গঠন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি। গ্লাস এবং ধাতুর মতো মানসম্পন্ন অনেক উপকরণ এগুলোকে মসৃণ ও আকর্ষণীয় লুক দেয়। এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত যে কোনও ধাক্কায় প্রতিরোধী হওয়ায় এগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। এমনকি এই গুণাগুণের ধারা বজায় রেখে ফোনের নতুন মডেলগুলোকে আরও উন্নত করা হয়।
নিয়মিত হালনাগাদকৃত সফটওয়্যার
যুগোপযোগী প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটা যে কোনও স্মার্টফোনের প্রদামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধাতি গ্রাহকের নির্ভরতা ও আগ্রহ বাড়ায়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেমসহ এর সঙ্গে সম্পর্কিত ডিফল্ট সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপগ্রেড ফোনকে উন্নত প্রযুক্তির জন্য সহায়ক করে তোলে। এতে ফোনের ব্যবহার আরও সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে অটুট থাকে ফোনের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলোও।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো চালুর পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সফটওয়্যার আপগ্রেড সরবরাহ করে।
ভাল হার্ডওয়্যার
হার্ডওয়্যারের দিক থেকে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো বিশ্ব জুড়ে সর্বস্বীকৃত। প্রসেসর, স্ক্রিন, র্যাম, ক্যামেরা, এবং স্টোরেজ-এর বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ ফোন খোঁজা হলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর নামই আসবে। ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই হার্ডওয়্যারগুলোর সন্নিবেশ ঘটিয়ে থাকে।
গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি
শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়; প্রথম সারির ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিক্রি-পরবর্তী পরিষেবার প্রতিও বেশ যত্নশীল। এই গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টির জন্যই মূলত নির্ভরতার জায়গাটি তৈরি হয়। এতে হঠাৎ কোনও সমস্যা হলে তার সমাধান নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না। কেননা তারা জানেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে দক্ষ কর্মীরা নিবেদিত রয়েছেন।
যারা ঘন ঘন মোবাইল ফোন পরিবর্তনের বিড়ম্বনায় পড়তে চান না তাদের জন্য এই ব্র্যান্ডগুলো এক বিশাল কমফোর্ট জোন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
রিসেলিং বা এক্সচেঞ্জের সময় ভালো দাম পাওয়া
দীর্ঘ দিন ধরে বাজার ধরে রাখা ও মৌলিকতা এই ফোনগুলোতে কিছুটা অ্যান্টিক আবহ সংযোজন করে। ফলে অন্যান্য স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় এগুলোর ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট বা অবচয় খরচ অনেক কম থাকে। তাই অনেক দিন ব্যবহারের পরেও বিক্রি বা বিনিময় করে অন্য ফোন কেনার সময় বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। এই রিসেলিং মূল্যের কারণে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে দামি ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হন।
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার অসুবিধা
গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার অন্তরায়
উচ্চ-মানের ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগকারীদের এই পরিধিটা বেশ সংকীর্ণ। স্বভাবতই এগুলোর দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকাশচুম্বী হতে থাকে। তাই সেই সীমিত শ্রেণীর বাইরে পড়ে যান বাজেট ফোন ক্রেতা থেকে শুরু করে নতুন প্রযুক্তি উৎসাহীরা। প্রায়ই দেখা যায় নতুন কোনও সিরিজ চালু করার সময় তাতে নতুন প্রযুক্তির ফিচার যোগ করা হয়। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ গতিশীল হয়ে ওঠায় প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুন ফাংশনের আগমন ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এগুলোর সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যস্ত হওয়া মানেই বিশাল খরচের ধাক্কা।
একই ফিচারের উৎকৃষ্ট বিকল্প
নিজস্বতা এবং মৌলিকতাকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র ব্যবহারের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বেশ বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয় ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো। অপারেটিং সিস্টেম, ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারসহ যাবতীয় উন্নত সুবিধা এখন কম দামের ফোনেই পাওয়া যাচ্ছে। পছন্দমতো উচ্চ রেজুলেশনের সেলফি থেকে শুরু করে প্যানোরামা শট সবকিছু নেয়া যায়। শুধু তাই নয়, ইচ্ছেমতো সম্পাদনা করে তা তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট করা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
স্ট্যান্ডার্ডের নিচে ক্যামেরা-সম্বলিত মোবাইল ফোন এখন বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে। বিগত ৫ বছরে মিডরেঞ্জের ফোনগুলোতে ক্যামেরা এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা দিয়ে যে কোনও পেশাদার ভিডিও কন্টেন্ট বানানো সম্ভব। বর্তমানে ফটোগ্রাফি উৎসাহীদের এই সেরা পছন্দগুলো ফ্ল্যাগশিপ সেটগুলোর মতোই কাজ করতে পারে। ফলশ্রুতিতে, দামি ব্র্যান্ডের ফোন কেনা আসলেই লাভজনক কিনা- তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক করে।
ব্যাটারি বিড়ম্বনা
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কল করা, বার্তা পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা, ভিডিও স্ট্রিমিং, ছবি তোলা, গান শোনা এবং গেম খেলা। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামের স্মার্টফোনটিতেও এর সবগুলোই সম্ভব। মিডরেঞ্জের ফোনগুলো এই অভিজ্ঞতার উদ্দীপনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
তবে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও রেকর্ড ও গেম খেলার মতো ভারী কাজগুলোর বেলায় সর্বাধিক চাপ পড়ে ব্যাটারির উপর। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাটারি তেমন বেশি সময় স্থায়ী হয় না।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
অন্যদিকে ফ্ল্যাগশিপের ফোনগুলোর ব্যাটারি অনেক ক্ষণ ব্যাক-আপ দেয়। কেননা এগুলোর ক্ষমতা থাকে বেশি, সেই সঙ্গে এগুলোর আকারও বেশ বড়। একারণে এগুলো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও থাকে। বিশেষ করে কোনও কাজে ফোন খুলে ব্যাটারি বের করায় দুর্ঘটনাজনিত আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা দূর করতেই অধিকাংশ ব্র্যান্ডগুলোতে এখন আর রিমুভেবল ব্যাটারি দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন দিক থেকে এটি সুবিধাজনক হলেও একটা বড় সমস্যা থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে ফোনগুলো আগের তুলনায় কম মেরামতযোগ্য হবে। অর্থাৎ একবার কোনও ত্রুটি ধরা পড়লেই পুরো ফোন পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়বে। আর যেগুলোতে রিমুভেবল ব্যাটারি রয়েছে সেগুলোতে নিরাপত্তার ঝুঁকি তো থাকছেই।
ফোনের সঙ্গে চার্জার সরবরাহ না করা
পণ্যকে পরিবেশবান্ধব করা এবং ফোনের বাক্সের আকার ছোট ও হাল্কা করা। মূলত এই দুই কারণে প্রথম সারির ফোন কোম্পানিগুলো পাওয়ার অ্যাডাপ্টার বাদ দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসায়িক কৌশলটি দীর্ঘ দিন ধরে অব্যাহত থাকা ফোনের স্ট্যান্ডার্ডকে বিনষ্ট করছে।
আরও পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
কেননা প্রথমত, কেনার সময় যে চার্জারটি দেওয়া হয় সেটি ফোনের জন্য নিক্ষুঁতভাবে সঙ্গতিপূর্ণ করা থাকে। এটি ছাড়া গ্রাহকরা বাইরে অন্য কোথাও থেকে নতুন কোনও চার্জার কিনলে তা ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। এখনকার ফোনগুলোতে সাধারণভাবেই ফাস্ট চার্জিং প্রয়োজন হয়। ধরা যাক, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং-এর কোনও ফোনে ১৫ ওয়াটের খুব ভালো কোনও চার্জার দিয়ে চার্জ করা হলো। এখানে চার্জার ভালো হওয়ায় কোন ত্রুটির আশঙ্কা না থাকলেও ফোন চার্জ হতে অনেক সময় লেগে যাবে।
দ্বিতীয়ত, আলাদাভাবে একটি ফাস্ট চার্জার কেনা হলে সেটিও একটি বাক্সেই আসবে। তাই কার্বন নির্গমন এবং বর্জ্য তৈরির সম্ভাবনা এখানেও থেকে যাচ্ছে।
মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট না থাকা
স্বনামধন্য স্মার্টফোনগুলোর স্ট্যান্ডার্ডগুলোর মধ্যে আরও একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। স্মার্টফোনের ভেতরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর জায়গা সংকুলানের জন্য এই স্লটটিও বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে দামি ফোনগুলোর কেনার পরে আলাদাভাবে এক্সটারনাল স্টোরেজ কিনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর জন্য ১২৮ জিবি (গিগাবাইট) বিল্ট-ইন বা ইন্টারনাল স্টোরেজই যথেষ্ট। কিন্তু গেম খেলা, সিনেমা ডাউনলোড করে দেখা, এবং ছবি ও ভিডিও সম্পাদনের জন্য আরও বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চালু থাকা অবস্থায় কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়া নিরবচ্ছিন্ন কাজের নিশ্চয়তা দেয় মাইক্রোএসডি কার্ড।
পরিশিষ্ট
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার এই সুবিধা ও অসুবিধাগুলো ফোনের মূল্যের ন্যায্যতা যাচাইয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। খুব সংকীর্ণ শ্রেণী হলেও ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর ক্লাসিক নকশায় গ্রাহকদের একরকম কমফোর্ট জোন থাকে। এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে- দীর্ঘ সময় ধরে ফোনটির ব্যবহার যোগ্যতা, যেটি প্রাধান্য পায় বাজেটনির্ভর ফোন ক্রেতাদের কাছেও।
অন্যদিকে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে ফ্যাশন সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত হয় উন্নত প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ ও মিডিরেঞ্জারগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ গন্তব্য থাকে ফোন ব্যবহারকারীদের ক্রয়ক্ষমতা। এখানে চূড়ান্ত ফলাফল গড়ে দিতে পারে ব্যবহার-পরবর্তী রিসেলিং ভ্যালু এবং কেনার মূহুর্তে ফোনের সঙ্গে থাকা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে
৮ মাস আগে
৯৯৯-এ ফোন: গভীর সমুদ্র থেকে ২১ জেলে উদ্ধার
মাছ ধরার সময় সমুদ্রের মাঝখানে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ১৫ দিন ধরে ভেসে থাকা ২১ জেলেকে বুধবার উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুর রহমান জানান, গত ১৬ মে এমভি জুনায়েদ নামের একটি ফিশিং ট্রলার ভোলা থেকে সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
কিন্তু মাঝ সাগরে যাওয়ার পর হঠাৎ করে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং ট্রলারটি ডুবে যায়।
তারপর থেকে সমুদ্রে লক্ষ্যহীনভাবে ভাসছিল তারা।
তিনি আরও জানান, পরে জেলেরা কোনোভাবে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসকে (৯৯৯) কল করতে সক্ষম হয় এবং খবর পেয়ে কোস্টগার্ড গভীর সাগর থেকে ২১ জেলেসহ ট্রলারটিকে উদ্ধার করে।
আবদুর রহমান বলেন, মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে জেলেসহ ট্রলারটি হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া প্রাথমিকভাবে জেলেদের চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগর থেকে ৪৪ জেলে উদ্ধার
১ বছর আগে
৯৯৯-এ ভাইয়ের ফোন: দুবাই পাচারকালে তরুণী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে ভুয়া ভিসায় দুবাই পাচারকালে বিমানবন্দর থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-খিলক্ষেত মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুল করিম ব্যাপারির ছেলে মো. আবদুল খালেক (৪৩) এবং কুমিল্লার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ (৫৩)।
জানা যায়, ২৬ বছর বয়সী বড় বোন এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে পার্লারে কাজ করার জন্য দুবাই যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। কিন্তু ভিসার কপি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা ঢাকার ইউএই দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভিসাটি ভুয়া।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল করে ডুবন্ত স্পিড বোট থেকে প্রাণে বাঁচল ১২ চীনা নাবিক
কিন্তু ততক্ষণে প্রতারক চক্রের সঙ্গে তার বোন রওনা দিয়ে দিয়েছেন এবং তার কাছে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতারক চক্র তার বোনকে নিয়ে ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। কারণ, ওইদিন রাত ৯টার ফ্লাইটে তার বোনের দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়ে সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বিমানবন্দর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের এক শিক্ষার্থী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তার বোনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল মিজানুর তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান।
৯৯৯ ডিসপাচার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।
পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম ৯৯৯ কে জানান, তারা ওই তরুণীর যাত্রা স্থগিত করে তাকে তার ছোট ভাই ও স্বামীর কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ ছেলের ফোনে উদ্ধার
ছেলের আত্মহত্যা চেষ্টা, ৯৯৯-এ বাবার ফোনে উদ্ধার
১ বছর আগে
বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
রিয়েলমি দেশের বাজারে নিজেদের ‘সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন’ ফোন রিয়েলমি সি৫৫ উন্মোচন করেছে।
এটি এই সেগমেন্টের একমাত্র ফোন যাতে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক ফাস্ট চার্জার, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ ও সানশাওয়ার ডিজাইন রয়েছে। আগ্রহী ক্রেতারা প্রি-বুকিং করে জিতে নিতে পারেন এক লাখ টাকা।
রিয়েলমি সি৫৫ ফোনের ৬ জিবি র্যাম/১২৮ জিবি রম ভ্যারিয়েন্ট ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকায় এবং ৮ জিবি র্যাম/২৫৬ জিবি রম ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য)।
ব্যবহারকারীদের স্মুথ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ফোনটির ক্যামেরা, স্টোরেজ, চার্জ ও ডিজাইন - এ চারটি ক্ষেত্র নিয়ে আসা হয়েছে সেগমেন্ট-সেরা আপগ্রেড।
রিয়েলমি সি৫৫ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে সানশাওয়ার ও রেইনি নাইট দু’টি রঙে। ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ও হেলিও জি৮৮ চিপসেটসহ ৬ দশমিক ৭২ ইঞ্চির এফএইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের স্ক্রিনের এই ফোনটি দুর্দান্ত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
রিয়েলমি সি৫৫ স্মার্টফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরার পাশাপাশি ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বিঅ্যান্ডওয়াই (ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট) লেন্স রয়েছে। উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য এই সিরিজের আগের ফোন সি৩৫ এর তুলনায় রিয়েলমি সি৫৫-এ ৫৪ শতাংশ সেন্সর সাইজ এবং ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ রেজ্যুলেশন বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্ভাবনী ইমেজ মোড, ফিল্টার ও প্রোলাইট ইমেজিং টেকনোলোজির সুবিধার মাধ্যমে ফোনটি কম আলোতেও সেরা ক্যামেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
ডিভাইসটির ৮ জিবি ডায়নামিক র্যাম, যা ১৬ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, যা এক টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে।
এছাড়া, রিয়েলমি সি৫৫ এ রয়েছে ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক চার্জার, যা এই সেগমেন্টের সেরা। ফোনটি শতভাগ চার্জ হতে সময় নিবে মাত্র ৬৩ মিনিট। পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি।
রিয়েলমি সি৫৫ ফোনে প্রথমবারের মতো (অ্যান্ড্রয়েড ফোনে) মিনি ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন চার্জিং স্ট্যাটাস, ডেটা ব্যবহার ও স্টেপ কাউন্টসের নোটিফিকেশন পাবেন।
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে ফোনটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৪.০, ফাস্ট-সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ৩৬০ ডিগ্রি ফ্রি সোয়াইপ-সহ মাল্টিফাংশনাল এনএফসি। চারটি সেগমেন্ট সেরা ফিচারের কারণে রিয়েলমি সি৫৫ ‘চ্যাম্পিয়ন’ ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে ভিসিট করুন এই ঠিকানায় - https://realmebd.com/c55-prebook/
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
বর্ণিল আয়োজনে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্ট উদযাপিত, দারাজে বিক্রির রেকর্ড!
১ বছর আগে
অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আসল ফোন চেনার উপায় জানা থাকলে যাবতীয় বিড়ম্বনার অবসান ঘটতে পারে ফোনটি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্টফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মুলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতার দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসকতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য
অরিজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে আইনগতভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে এগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নাম্বার সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারও দেশের মোবাইল ফোন ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। স্বভাবতই এই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ভ্যাট-ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোনগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরিজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক
একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো- ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। এই ম্যালওয়্যার ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।
এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কী-লগিং। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহারকারি সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারির ব্যক্তিগত তথ্য তার অজান্তেই পাচার হয়ে যায়।
র্যানসমওয়্যারের ঝুঁকি
র্যানসমওয়্যার নকল মোবাইল ফোনে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারি সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। ম্যালওয়্যারের মত এটিও যে কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)
নকল মোবাইল ফোনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে ফোনটি পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না। ওএস ডিভাইসের মডেল, সিপিইউ কোর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অরিজিনাল ফোনের নির্মাতারা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে- গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গমনের সংস্পর্শে এড়ানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার প্রতিটি স্তর পূরণের জন্য মোবাইল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারির মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ব্যাটারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো আপসহীন ভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে৷
আরও পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অন্যদিকে, নকল মোবাইল, চার্জার এবং ব্যাটারিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা একদমি নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমেষে টাইম বম-এ পরিণত হওয়া এই বস্তুটি গ্রাহকদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। নিম্নমানের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানীর দিকে নিয়ে যায়।
ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক
আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে- নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটা। যেমন- কল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ শোনা। নকল ফোনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক বারও দেখা যায় না।
এছাড়া নকল ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক-এর গতি কম থাকে, যা গ্রাহকদেরকে চরম হতাশাজনক অভিজ্ঞতা দেয়। বেশিরভাগ লোকেশনে নকল ফোনের সিগন্যাল এবং কল ব্যর্থতার প্রবণতা বেশি থাকে। বাধ্য হয়ে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্যদিকে, একটি জেনুইন ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই সহজেই কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবেশগত ঝুঁকি
নকল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্নমানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত থাকে না। স্বভাবতই, এই ফোনগুলো হয় ত্রুটিযুক্ত এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশের সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
আনঅফিসিয়াল ফোনে থাকা পারদ এবং সীসা পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিঙ্ক এবং আর্সেনিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হোমিকরসিন: বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
কিভাবে অফিসিয়াল ফোন যাচাই করবেন?
বিটিআরসি আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোনে ১৫-সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়, যা ডিভাইসের প্যাকেজিং-এও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে একটি অফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটিই যথেষ্ট।
অর্থাৎ প্রকৃত ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই কোডটি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসন্ধানটি দুটি উপায়ে চালানো যেতে পারে:
প্রথমটি হলো→ *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
আরেকটি অনুসন্ধান পদ্ধতি হলো ফোনের সেটিংস-এর মাধ্যমে। সেটিংস থেকে খুঁজে বের করতে হবে অ্যাবাউট ডিভাইস। এখানে ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিন থেকে বাছাই করতে হবে স্ট্যাটাস। অতঃপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নাম্বারটি প্রদর্শন করবে।
এবার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম) থেকে imei.info ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে।
এই অংশে যদি ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
আইফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমে সিম কার্ড স্লটে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার পরীক্ষা করতে হবে। অথবা সেটিংস থেকে জেনারেল তারপর অ্যাবাউট-এ যেয়েও পাওয়া যাবে সিরিয়াল নাম্বার।
এবার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে হ্যান্ডসেট নকল হলে স্ক্রিনে ‘অবৈধ সিরিয়াল নম্বর’ বার্তা প্রদর্শন করবে। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনটি আসল।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
এসএমএস-এর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করতে হবে KYD, তারপর একটি স্পেস; অতঃপর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বার। অর্থাৎ ম্যাসেজটি এরকম হবে- "KYD 1234567890ABCDE"।
তারপর ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তর আসবে আর এই উত্তরটিই নিশ্চিত করবে যে মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
শেষাংশ
শুধু সঠিক স্মার্টফোনটি কেনাই নয়; অরিজিনাল ফোন চেনার উপায় জানা মানে সেটির দীর্ঘস্থায়ী ও যথাযথ ব্যবহার। ঘন ঘন সেট বদলানোর পাশাপাশি বারবার ফোন মেরামতের ঝামেলা থেকেও রেহাই মিলবে, যদি ফোন নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের এই অবিচ্ছেদ্য বস্তুটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এর নিঁখুত নির্বাচন। অন্যথায়, সাময়িক ভুল সিদ্ধান্তে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয়ের মাধ্যমে এই দরকারি জিনিসটি উল্টো চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু
২ বছর আগে
সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১
সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি’র সর্বাধুনিক স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১ এখন দেশব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে। নতুন এ ফোনগুলো রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত ও ফ্যাশনেবল জীবনধারায় অনুপ্রাণিত করবে।
দেশের যে কোন মোবাইলের দোকান থেকে ব্যবহারকারীরা এ ডিভাইস দু’টি ক্রয় করতে পারবেন। এবারের ঈদে এ মূল্যের মধ্যে উন্নত প্রসেসর ও ডিসপ্লের ফোন নারজো ৫০ (৪জিবি/৬৪জিবি) মাত্র ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, নান্দনিক ডিজাইনের রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটি কেনা যাবে মাত্র ১২ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা প্রদানে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে রিয়েলমি। দু’টি স্মার্টফোনই https://click.daraz.com.bd/e/_6j5tR দারাজের ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন সময়ে পাওয়া যাবে।
গেমপ্রেমীদের জন্য রিয়েলমি’র নারজো সিরিজের সর্বাধুনিক ফোন হলো নারজো ৫০। এ মূল্যের মধ্যে এ ডিভাইসটিই একমাত্র ফোন যেখানে একসঙ্গে হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট রয়েছে। টানা ফোন ব্যবহার ও গেম খেলার জন্য ডিভাইসটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ডিভাইসের চার্জ ফুরিয়ে যায় তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ, ডিভাইসটির ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জের সাহায্যে মাত্র ৭০ মিনিটের মধ্যে ডিভাইসটি ফুল চার্জ হবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে গেমিং স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০, দাম মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকা
এছাড়াও, রিয়েলমি নারজো ৫০ ডিভাইসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, যা দিয়ে ব্যবহারকারীরা সুন্দর ও নিখুঁত ছবি তুলতে পারবেন।
অন্যদিকে, রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটি এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোনের ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে চমৎকার ডিজাইন ও স্টাইলিশ ফোন। এ ফোনটিতে ৮.৪ মিমি. এর মতো পাতলা ও এতে ডায়নামিক টেক্সার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি+ডিসপ্লে’র এ ফোনটিতে তরুণদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে টাইগার সিরিজের ইউনিসক টি৬১২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ইউনিসক টি৬১২ হলো একটি ১২এনএম প্রসেসর, যা ১.৮২ গিগাহার্জ পর্যন্ত বাড়ানো যায় এবং এতে রয়েছে করটেক্স এ৭৫ স্ট্রাকচার, যা একটি শক্তিশালী ও নিরবিচ্ছিন্ন পারফরমেন্স প্রদান করবে। রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, রিয়েলমি আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভজি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ফাইভজি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভজি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেটের শীর্ষে রিয়েলমি
২ বছর আগে
ডিসি’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ফোন
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করেছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি ডিসির নম্বরটি ক্লোন করে রাজশাহীর তিনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করেছে।
শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর, পবা ও বাঘার ইউএনওকে ফোন করে প্রতারক চক্র।
বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমাকে ফোন করা হয়। ফোন করে একটা মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। বলা হয়, এটা ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার নম্বর। এই নম্বরে যেন যোগাযোগ করি। কিন্তু কণ্ঠস্বর এবং কথা শুনেই আমি ডিসি স্যারের নম্বর ক্লোন করার বিষয়টি বুঝতে পেরে লাইন কেটে দেই। নইলে আমার নম্বরও ক্লোন হওয়ার ঝুঁকি ছিল।’
আরও পড়ুন: নবীনগর ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, রাজশাহীর তিন ইউএনও এ ধরনের ফোন পাওয়ার বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। তবে কেউ প্রতারিত হননি। অন্য কেউ প্রতারিত হয়েছেন এমন খবরও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি রাজশাহীর পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানিয়েছেন। পুলিশ প্রতারককে খুঁজে বের করবে।
রাজশাহীর এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক তাকে বিষয়টি জানানোর পর থেকেই এই প্রতারক চক্রটি ধরতে অভিযান শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই চক্রটি ধরতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এসপি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ইউএনও’র ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ
দিনাজপুরে ওসির নম্বর ক্লোনিং করে চাঁদা দাবি
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নৌযান বিকল, ৯৯৯-এ ফোনে ১০০ পর্যটক উদ্ধার
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে এক পর্যটকের কল পেয়ে বঙ্গোপসাগরের পারকী উপকূলের বিকল নৌযানের ১০০ যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌঁছে দিয়েছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকী সমুদ্র সৈকতের কাছে থেকে জাহিদুল ইসলাম নামে বিকল নৌযানের এক পর্যটক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চান।
রবিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযানে করে নারী, শিশুসহ অন্তত ১০০ জন পর্যটক গত ৩১ ডিসেম্বরে সাগরপথে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একদিন সেখানে অবস্থানের পর গত ১লা ডিসেম্বর তারিখে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিছুদূর আসার পর তাদের নৌযান বিকল হয়ে পড়ে এবং তাদের নৌযানের তলা ফুটো হয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এসময় নৌযানের একজন যাত্রী জাহিদুল ইসলাম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের বিপদের কথা জানান এবং উদ্ধার সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
তিনি আরও জানান, সে সময় কলার তাদের সঠিক অবস্থান জানাতে পারেননি। তিনি শুধু জানাতে পেরেছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকী সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি আছেন তারা।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল রাজেশ কুমার রায় এই কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল রাজেশ তাৎক্ষণিকভাবে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানান। কোস্ট গার্ড উদ্ধারকারী দল কলারের সঙ্গে কথা বলে চট্টগ্রাম কোস্ট গার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযানে রওনা দেয়। অবশেষে পারকী উপকূলের সন্নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগর থেকে বিকল নৌযানের নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন পর্যটক ও বিকল নৌ যানটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
৯৯৯ এ কল: নাফ নদী থেকে ৩৮ পর্যটক উদ্ধার
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নৌযান বিকল হয়ে পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সহযোগিতায় উদ্ধার হলেন শিশুসহ ৩৮ পর্যটক। কক্সবাজারের নাফ নদীতে ভাসতে থাকা বিকল নৌযানের এক পর্যটকের ফোন কলে বিকল নৌযান মেরামত করে পর্যটদের নিরাপদে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল রাজু আহমেদ একটি কল রিসিভ করেন। আকবর হোসেন নামে একজন কলার কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাফ নদী থেকে ফোন করে জানান, তারা ১২ জন নারী ও ২ শিশু সহ মোট ৩৮ জন পর্যটক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান (ট্রলার) যোগে যাত্রা করেছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহীর এবং স্থানীয় কিছু পর্যটক ছিলেন।
যাত্রার কিছুক্ষণ পর তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও নৌযানের চালক ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেনি। শেষে কোন উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শাহরিয়ার রুবেল এবং ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) জনাব নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয় কাজ পরিচালনা করেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল একজন ইঞ্জিন মেরামতকারী মেকানিক সহ রওনা হয় তাদের উদ্ধার করতে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলের এ.এস.আই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মিজান ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা পর্যটকদের জন্য খাবার ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সকলে মাঝে বিতরণ করা হয়। এরপর মেকানিক ইঞ্জিন মেরামত করে দিলে পর্যটকদের নিয়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যায়।
৩ বছর আগে