রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে ভুয়া ভিসায় দুবাই পাচারকালে বিমানবন্দর থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-খিলক্ষেত মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুল করিম ব্যাপারির ছেলে মো. আবদুল খালেক (৪৩) এবং কুমিল্লার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ (৫৩)।
জানা যায়, ২৬ বছর বয়সী বড় বোন এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে পার্লারে কাজ করার জন্য দুবাই যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। কিন্তু ভিসার কপি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা ঢাকার ইউএই দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভিসাটি ভুয়া।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল করে ডুবন্ত স্পিড বোট থেকে প্রাণে বাঁচল ১২ চীনা নাবিক
কিন্তু ততক্ষণে প্রতারক চক্রের সঙ্গে তার বোন রওনা দিয়ে দিয়েছেন এবং তার কাছে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতারক চক্র তার বোনকে নিয়ে ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। কারণ, ওইদিন রাত ৯টার ফ্লাইটে তার বোনের দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়ে সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বিমানবন্দর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের এক শিক্ষার্থী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তার বোনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল মিজানুর তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান।
৯৯৯ ডিসপাচার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।
পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম ৯৯৯ কে জানান, তারা ওই তরুণীর যাত্রা স্থগিত করে তাকে তার ছোট ভাই ও স্বামীর কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।