অসহায়
নওগাঁর তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা এক অংকের ঘরে এখনও নামেনি। তাতেই কুয়াশা, বইছে মৃদু বাতাস। আর এতেই ঠান্ডায় জবুথবু শীতের গরম পোশাকবিহীন অসহায় হতদরিদ্ররা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তরের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন।
এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আরমান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে আগামী দিন তাপমাত্রা পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু বলতে পারেননি।
দেখা গেছে, সারাদেশে বইতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। বইছে হিমেল বাতাস। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ও সন্ধ্যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস।
আরও পড়ুন: শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
১০ মাস আগে
৬০০ অসহায় হতদরিদ্র নারীর ফরিয়াদ, আমাদের টাকা ফেরত দিন
কোহিনুর,মিনতি,ওশনা,আলেমা,মঞ্জুয়ারা। এরা সবাই গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলের অতি দরিদ্র ঘরের গৃহিণী। লাইদের মতো ৬ শ’ গৃহিণী প্রতারণার শিকার হয়েছে। শিশু ভাতা,বয়স্কা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেয়ার নামে গোলাপীদের কাছে নুরুল ইসলাম ও মুক্তি নামের দুই প্রতারক লাখ লাখ টাকা আদায় করে।
এ নিয়ে ফুসে উঠেছে দরিদ্র গ্রামীণ নারীরা। তারা শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার হতদরিদ্র শিল্পী আকতার। স্বামী কাজ করেন দিন মজুরের। দিন আনে দিন খাওযার সংসার তাদের। শিল্পী বেগমের কাছে আসেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন নুরুল ইসলাম ও মুক্তি নামের এক নারী দালাল। তারা বলেন,আপনারা টাকা দিলে আপনাদের দেয়া হবে বিধবা,বয়স্ক,প্রতিবন্ধী,মাতৃকালীন শিশু ভাতা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
এই আশ্বাসে গাইবান্ধার দাড়িয়াপুর,গিদারী,ঘগোয়া,রুপার বাজার,মালিবাড়ি ও বোয়ালী ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের সহজ সরল গৃহবধূদের এই ফাঁদে ফেলেন নুরু নামের ওই পিয়ন এবং তার দালাল মুক্তি বেগম। তারপর হয় লেনদেন।
বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবেন এই আশায় ছাগল বিক্রি করে দালালের হাতে তুলে দেন ১৬ হাজার টাকা। ভিক্ষুক জামাল মিয়া নিজে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে বাস করেন ৫ টিনের একটি ছাপড়া ঘরে। সারাদিন ভিক্ষা করে যা পায় তাতে দিন চলে কোন মতো। তাকে লোভ দেখানো হয় ১৮ হাজার টাকা দিলে তাকে দুটি প্রতিবন্ধী কার্ড ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর নিয়ে দিবেন। এই আশায় ভিক্ষুক জামাল মিয়া গ্রামের মানুষের কাছে লাভের উপর ১৮ হাজার টাকা নেন। গোটা টাকাই তুলে দেন দালালের হাতে। দালাল মুক্তি বেগম ও নুরু মিয়া তাদের হাতে তুলে দেয় ভুয়া প্রতিবন্ধী কার্ড ও ঘরের চাবি।
খুশিতে গদগদ হয়ে প্রতিবন্ধী জামাল মিয়া পায়ে হেটে পৌঁছেন কার্ডের টাকা তুলতে। কিন্তু গিয়ে জানতে পারেন তার কার্ড ও ঘরের চাবিটি ভুয়া। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
চলে আসেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে। সেখানে তিনি জানতে পারেন টাকা নিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বাড়িতে ফিরে ঘটনা তিনি গ্রামের অন্যদের বলেন। তারাও পরপর কয়েকদিন সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তাদের কাছে যে কার্ডটি দেয়া হয়েছে সেটি আসল নয়। বয়স্ক ভাতা ,বিধবা ভাতা,শিশু ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতার নকল কার্ড ছাপিয়ে ওই দুই ব্যক্তি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নামে প্রতারণা, চক্রের মূল হোতা আটক
১ বছর আগে
মানিকগঞ্জে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ
মানিকগঞ্জে শীতার্ত গরীব অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার আমবাগানে মাদার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দুস্থদের হাতে কম্বল তুলে দেন পৌর মেয়র মো. রমজান আলী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
এসময় পৌর মেয়র বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিটি ওয়ার্ডে তালিকা করে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এক হাজার মানুষকে এই কম্বল দেয়া হবে। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাসমান ছিন্নমূল মানুষকেও কম্বল বিতরণ করা হবে। পৌর এলাকার কোন ওয়ার্ডের একটি মানুষও যেন শীতে কষ্ট না করে সেব্যাপারে সজাগ রয়েছি। মাদার ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় এই বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
আরও পড়ুন: মিঠাপুকুরে ‘সাইল্যান্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট’র শীতবস্ত্র বিতরণ
করোনাকালীন প্রতি ওয়ার্ডের মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে বলেও মেয়র জানান।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মাদার ফাউন্ডেশনের সভাপতি আফরোজা রমজানসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু বান্ধব অসহায় ঢাকা!
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্মার্ট আর ব্যস্ত নগরী ঢাকা। হওয়াটাই স্বাভাবিক। মোঘল, ব্রিটিশ সব আমলেই ‘ঢাকা’ নগর হিসেবে শাসকদের কাছ থেকে গুরুত্ব আদায় করেছে।
মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী করেন। মোঘল পরবর্তী যুগে প্রায় ১৯০ বছর ঢাকা গুরুত্ব নিয়েই ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকে। এরপর ১৯৪৭ সালে ঢাকা পূর্ববঙ্গের রাজধানীতে উন্নীত হয়। ১৯৫৬ সালে ঢাকা পূর্ব পকিস্তানের রাজধানীর মর্যাদায় আসীন হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানী।
এতক্ষণ ঢাক ঢোল বাজিয়ে ঢাকার গুরুত্বের গুণকীর্তন করা হলো। অথচ সেই ঢাকাকেই আবার অসহায় নগরী বলা কেমন বিসদৃশ। তাই নয় কি? তাহলে এ কোন অসহায়ত্ব! আসুন, তাহলে আজকের আধুনিক ঢাকার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক।
গ্রীষ্মকালের ঢাকা এখন পর্যাপ্ত গাছগাছালির অভাবে রুক্ষ। বর্ষাকালের ঢাকা এখন ঘণ্টাখানেক সময়ের বৃষ্টিতে নিষ্কাশনের অব্যবস্থায় পানির নিচে হাবুডুবু খায়। অপ্রতুল, অপরিকল্পিত, দুর্বল ট্রাফিক ব্যাবস্থার কারণে ব্যস্ত সময়গুলোতে যানজটে অসহায় ঢাকা অচল শহরে পরিণত হয়। নাগরিক ভোগান্তির শেষ থাকে না। এতসব সমস্যার আবর্তে বেষ্টিত একটা শহরের অসহায়ত্ব কি আর বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে?
করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুও এখন মূর্তিমতি আতংক হয়ে জনজীবনে আবির্ভূত। দু’পক্ষ যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। করোনার বহু আগে থেকেই ডেঙ্গু নিয়ম করে প্রতিবছর একই সময়ে দেশজুড়ে হামলে পড়ে। এরই মাঝে ঢাকা যেন ডেঙ্গুর অন্যতম পছন্দের শহরে পরিণত হয়েছে। দেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়!
ঢাকা আমাদের দেশের রাজধানী, যার আভিধানিক অর্থ রাজার বাড়ি। রাজধানী মানেই দেশের হেড অফিস। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের হেড অফিস থাকে জাকজমকপূর্ণ ঝকঝকে চকচকে নয়নাভিরাম। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে রাজধানী ঢাকা বাংলাদেশের হেড অফিস। অথচ আমাদের সেই রাজধানী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নোংরা শহরের অন্যতম। বসবাসের অযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের চতুর্থতম স্থানের অধিকারী!
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী দখল রোধে ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা
৩ বছর আগে
দেশের মানুষের বিপদে আ’লীগ পাশে থেকেছে: স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন সব সময় দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারে থেকেই নয়, যখন বিরোধীদলে ছিল তখনও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে। কিন্তু আজ আমরা কি দেখি, তারা (বিএনপি) দেশের জন্য নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেন।’
শনিবার ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্মল রঞ্জন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কর্মীর অন্যায় কাজ করা চলবে না, কেউ যদি তা করে প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় নেতা তারেক সাঈদ, আব্দুল আলিম, আজিজুল হক আজিজ, তানভীর আক্তার শিপার, মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড: নাহিয়ান খান
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাস: ভবঘুরেদের পাশে ‘টিম-১৯’
করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের সাথে মিলিয়ে সংগঠনের নাম রাখা হয়েছে টিম-১৯। কিন্তু তাদের অবস্থান মানবতাকে বিপন্ন করে তোলা মহামারির সম্পূর্ণ বিপরীতে। তারা যাত্রা করেছে অসহায় ভবঘুরে মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে।
৪ বছর আগে