এলাকাবাসী
নড়াইলে নবগঙ্গার ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে রাস্তায় আশ্রয় ভুক্তভোগীদের
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুরের ফুলি বিবির সম্পত্তি বলতে ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই ‘বাড়িটিই’। সেটিও চলে গেল নবগঙ্গার পেটে।
সর্বশান্ত ফুলি বিবি যেন দুঃখের অনুভূতিও হারিয়ে ফেলেছেন। উদাসভাবে চেয়ে থাকতে থাকতে বলেন, ‘এই বাড়িটুকু ছাড়া আমার আর কোনো জায়গা জমিও নেই, যে সেখানে একটু মাথা গোঁজার মতো জায়গা পাব। আমার বাড়ি গিলে নিয়েছে নবগঙ্গা নদী।’
হঠাৎ আবার সচেতন হয়ে উঠেন। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘কোথায় থাকব, কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন আমার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় থাকব। আকাশের নিচে ছাড়া আমার থাকার কোনো জায়গা নেই।’
একই অবস্থা নবগঙ্গার ভাঙনের শিকার তবিবুর শেখের। তিনি বলেন, ‘আমার সারাজীনের কষ্টের ফসল আমার এই বাড়িটুকু তাও নদীতে চলে গেছে। অনেক কষ্টে আমি বাড়িটা করেছিলাম। আমার আর কিছুই থাকল না। জানি না এখন পরিবার নিয়ে কোথায় থাকব।’
বসতবাড়ি আর ও আঙিনার সবজি খেতটুকুই ছিল হাসি বেগমের সম্বল। এসব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
হাসি বেগম বলেন, ‘আমার আার কিছুই নেই সব নদীতে চলে চলে গেছে। আশ্রয় নেওয়ার মতো এখন আমার রাস্তা ছাড়া আর কোথাও জায়গা নেই। রাতে ঘুম নেই ঠিকমতো খাবার নেই, কীভাবে রাত দিন পার করছি আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।’
শুধু কাঞ্চনপুর নয়, নবগঙ্গার তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে বসতভিটা, ফসলি জমি, কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কালিয়া উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ বারইপাড়া মাহাজন সড়ক, বসত বাড়ি, বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
বারইপাড়া মাহাজন সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হলে তলিয়ে যাবে হাজার হাজার একর ফসসি জমি, ভেসে যাবে শত শত মাছের ঘের।
কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা আশরাফ মুক্তার বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কে দিন পার করছি। আমাদের এই রাস্তা যদি ভেঙে যায় তাহলে আমাদের বাড়িসহ বাকি সবগুলো বাড়ি নদীতে চলে যাবে। সেই সঙ্গে আমাদের এলাকার সব পুকুর ঘেরসহ ফসলি জমি নদীতে চলে যাবে। আমাদের এলাকার প্রায় সবাই এই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ঘাটে ভাঙনে ২০ মিটার বিলীন
১ মাস আগে
ফরিদপুরে আ. লীগ নেতার পুরস্কার ঘোষণায় রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে ভিড় এলাকাবাসীর
ফরিদপুরে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা সাপ ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে। গত দুই দিনে বেশ কয়েকটি সাপ ধরে বন বিভাগে জমা দিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিব্যতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বন বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর কোতোয়ালি এরিয়ার মধ্যে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরতে পারলে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
আরও পড়ুন: বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার চেনার উপায় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এরপর থেকেই এলাকাবাসী এ সাপ ধরতে মরিয়া হয়ে পড়ে।
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল খান তার জমিতে কাজ করার সময় একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান এবং সাপটিকে একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে আটকে রাখেন। এরপর তিনি সাপটিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনের কাছে নিয়ে গেলে তিনি স্থানীয় বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে বলেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাপ নিয়ে বন বিভাগে গেলে তারা সেটি নেয় না এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্রও দেয় না।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলেও জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরেছেন।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, এজাতিয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ।
তিনি বলেন, গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্র চায়।
বন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না। রবিবার দুপুর পর্যন্ত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়া চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপার মনে করে পিটিয়ে মারা হলো অজগর
রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
৪ মাস আগে
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে চার যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত আরও এক যুবককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবক নিহত
রবিবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রবিবার রাতে বাগরি গ্রামের বিলে একসঙ্গে ১০/১২ জন যুবককে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গ্রামে এসে জানায়। এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়।
এসময় আরও তিন গ্রামের বাসিন্দারা বিলের সামনে জড়ো হয়ে যুবকদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
পাবনায় গণপিটুনিতে নিহত ৩
৮ মাস আগে
গাইবান্ধায় শিশু হত্যার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শিশু বায়োজিদ হত্যার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দা চৌরাস্তা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য খুনের অভিযোগ
এলাকাবাসী জানায়, চৌরাস্তা বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে আসে শিশু বায়োজিদ হত্যার অন্যতম আসামি শিরিকুল। এর কিছুক্ষণ পরই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওই হোটেলে প্রবেশ করে শিরিকুল ইসলামকে হোটেল থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে রাস্তায় এনে পিটিয়ে হত্যা করে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিরিকুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে সিরিকুলকে পিটিযে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে মোকসেদ চৌধুরী বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার রাতেই মাহবুব ও সাইফুল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত দিবাকর অধিকারি জানান, ঘটনাটির খবর পাওয়ার পর পরই হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৮ মে জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে তাহারুল ইসলামের শিশু পুত্র বায়োজিদকে প্রথমে অপহরণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই মামলার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
গাইবান্ধায় মানুষের মাথার খুলি জব্দ, কবিরাজ আটক
১ বছর আগে
খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী
খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন সড়কসহ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙনের কারণে বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি এবং এলাকায় বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে ভদ্রা নদীর তীরে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে ওয়াবদা রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় ওয়াবদা রাস্তা ভেঙ্গে ভেতরে পানি প্রবেশ করে এলকার হাজার হাজার বিঘা জমির চলতি মৌসুমের আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে যাওয়াসহ পুকুরের মাছ ভেসে যেতে পারে এবং এলাকার মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে পারে বলে তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী জালাল উদ্দীন জানান।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে গুরুত্বপূর্ণ পাগলার বাজার
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তৎক্ষণাৎ দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানসহ নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীকে মুঠোফোনে জনানো হয়েছে।
নির্বাহী অফিসার অফিসিয়াল কাজে বাইরে যাওয়ার কারণে ভাঙন এলাকা আজ পরিদর্শন করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান, এমনটাই জানা গেছে।
এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি খবর পেয়েছি, অফিসিয়াল কাজে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোডের প্রকৌশলীসহ ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি উনারা তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ডাকাতিকালে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে আহত ২
ফরিদপুরে ডাকাতিকালে এলাকাবাসীর হাতে গণধোলাইয়ে দুইজন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা বাজার ও মহিলা সদর রোডে ঘটনাটি ঘটে।
পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করছে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গণধোলাইয়ে ‘ছিনতাইকারী’ নিহত
আহত ডাকাতরা হলো- মো. জুবায়ের মল্লিক (৩০) ও রিপন (৩০)।
গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হক জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর তথ্যমতে সবমিলিয়ে ছয় জন মিলে বাখুন্ডা বাজার ও মহিলা সদর রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গরু চুরির উদ্দেশে রাতের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে হানা দেয় তারা।
রাতভর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার বাখুন্ডা বাজারের পাশে একটি বাড়িতে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, পরে কৌশলে চারজন পালিয়ে গেলেও দুইজন হাতেনাতে ধরা পড়ায় এলাকাবাসীর নিকট গণধোলাইয়ের শিকার হন৷
এছাড়া সম্প্রতি সময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এলাকায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আব্দুল গাফফার জানায়, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে উক্ত এলাকায় পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই, যুবককে গণধোলাই
চৌদ্দগ্রামে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
১ বছর আগে
কয়রায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
সুন্দরবন ঘেঁষা খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার ভোরে হঠাৎ করে কয়রার কপোতাক্ষ নদের তীরের হরিণখোলা বেড়িবাঁধ ও শিবসা নদীর তীরে গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধে ধস শুরু হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ঘিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলীয় অঞ্চলে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের তীরে বসবাসকারীদের মাঝে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ভর করেছে।
আরও পড়ুন: ধরলার তীব্র ভাঙন মুখে ৫ শতাধিক পরিবার
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,বাঁধের যা অবস্থা, ঘূর্ণিঝড় হলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া ছাড়া আমাদের নিস্তার নেই।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, হরিণখোলা বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুপুরের জোয়ারের আগে কাজ করতে না পারলে জমির ফসল, ঘরবাড়ি সব আবার নোনা পানিতে প্লাবিত হবে। হরিণখোলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে মেরামতের কাজের প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া কয়রায় হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়ার, আংটিহারা, চার নং কয়রা সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দে ফেরি চলাচল ব্যাহত
ফেরিঘাটে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন বসতভিটা
২ বছর আগে
স্বপ্নার স্বপ্ন পূরণ, গর্বিত এলাকাবাসী
রংপুর শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের পালিচড়া গ্রামটি এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে ফুটবলকন্যাদের হাত ধরে।
এক অজপাড়াগাঁ থেকে জাতীয় নারী ফুটবল দলসহ অনূর্ধ্বভিত্তিক দল ও বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন এখানকার মেয়েরা।
এদেরই একজন সিরাত জাহান স্বপ্না। তার ধুলোমাখা শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলো ছিল অভাব অনটনে ভরা। তবুও শত বাধা পেরিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে উঠলেন অজপাড়াগাঁয়ের এই মেয়েটি।
পালিচড়া জয়রাম গ্রামে জন্ম নেয়া স্বপ্নার ফুটবল খেলা নিয়ে যারা এতদিন বিরোধিতা করতেন আজ তারাও খুশিতে আত্মহারা।
নেপালের সঙ্গে ইতিহাস গড়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা দলে রংপুরের সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের পালিচড়ার মেয়ে সিরাত জাহান স্বপ্নার জন্য এখন হাসছে গোটা রংপুর।
আরও পড়ুন: বাঘিনীদের রাজসিক বরণ
পালিচড়ার জয়রাম গ্রামে স্বপ্নার বাড়িতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক মানুষের ভিড়। অনেকে স্বপ্নার মা বাবার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসছেন বাড়িতে। মিষ্টি বিতরণ করছেন, হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন গ্রামের মানুষজন।
হাট, বাজার, দোকান, পাড়া-মহল্লা সবখানেই এখন চলছে স্বপ্নার বন্দনা। যা শুরু হয়েছে সোমবার রাত থেকেই।
স্থানীয়রা জানান, সিরাত জাহান স্বপ্না যেমন আমাদের গর্ব তেমনি গোটা দেশের একজন সম্পদ। এই গ্রামের মেয়েরা অনেক বাধা উপেক্ষা করে ফুটবল খেলা শুরু করে। আমরা স্বপ্ন দেখছিলাম বিশ্বজয়ের। সেটি পূরণ হয়েছে।
স্বপ্নারা তিন বোন। এরমধ্যে দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। স্বপ্না সবার ছোট।
ছোটবেলায় ফুটবলের প্রতি স্বপ্নার আগ্রহ দেখে রাগ করতেন মা লিপি বেগম। পরে মেয়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনে দেন উৎসাহ, দেন সাহস।
স্বপ্নার মা লিপি বেগম বলেন, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে তার ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তখন রাগ করতাম। পরে আমার ভাই আব্দুল লতিফ এসে তাকে নিয়ে যায়। সেই থেকে খেলে। মেয়েকে খুব কষ্ট করে মানুষ করছি।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
আজ গর্ববোধ হচ্ছে।
স্বপ্নার বাবা মোকছার আলী একজন কৃষক। মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দের সীমা নেই তারও।
মোকছার আলী বলেন, খুব আনন্দ লাগছে। আজকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জয়ী হয়েছে। এতে আমার মেয়ে খেলেছে। আমরা সবাই খুব খুশি। আমার মেয়ের জন্য সকলে দোয়া করবেন। সে যাতে দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারে।
পালিচড়া গ্রামের মোতালেব হোসেন বলেন, স্বপ্না আমাদের গ্রামের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে। তার কারণে গোটা দেশের মানুষ আজ এই অজপাড়াগাঁটিকে চিনছে। আমরা তার এই সাফল্যে গর্বিত।
সদ্যপুস্করিণী যুব স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ মিলন খান বলেন, এই গ্রাম নারী ফুটবলারদের গ্রাম। এর আগে কখনও সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এটাই প্রথম। এই দলে স্বপ্না দশ নস্বর জার্সি পরে খেলেছে।
তার এই সফলতায় আমরা খুশি এবং আনন্দিত। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, তাকে বড় সংবর্ধনা দেয়ার।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টে স্বপ্নার জোড়াগোলে ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এক গোল দিয়েছে স্বপ্না। ভুটানকে এক গোল দেয়ার ১২ মিনিটের মাথায় ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্বপ্না।
ফাইনালে স্বপ্নাকে মাঠে নামানো হয়েছিল। কিন্তু ইনজুরির কারণে কিছুক্ষণ পরে তাকে তুলে নেয়া হয়।
ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে মোট চারটি গোল করেছেন স্বপ্না।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দল
২ বছর আগে
সিলেটে সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর অবরোধ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করেছেন। রবিবার বেলা ২টায় বঙ্গবীর রোডের খোজারখলা এলাকায় এই কর্মসুচি পালন করা হয়। এতে ২৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে জলাবদ্ধতা যেনো এখন নিত্যসঙ্গী। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কটিতে হাটুজল হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে এই সড়ক ও তার আশপাশের মানুষরা ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কটিতে যান চলাচল হচ্ছে বাঁধাগ্রস্থ।এদিকে, বঙ্গবীর রোডের জলাবদ্ধতা থেকে খুব তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকবীর ইসলাম পিন্টু।তিনি জানান, বঙ্গবীর রোডের পানিগুলো রত্নারখাল ও জৈন্তারখাল হয়ে চান্দাইয়ের হাওরে গিয়ে নামে। এখন পানিগুলো নামতে পারছে না। তিনি বলেন, এবারে প্রথম যখন বন্যা হয়, তখন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনের সবগুলো ব্লক পরিস্কার করানো হয়। বন্যার পানি জমে থাকার কারণে ড্রেনে পলি জমে থাকতে পারে, সেগুলো সোমবার থেকে পরিস্কারের কাজ শুরু হবে।তবে ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে না বলেও জানান কাউন্সিলর পিন্টু।ড্রেনের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে আর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থাকবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতে হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
২ বছর আগে
তিস্তা-ধরলা পাড়ে ভাঙন, সরকারি ভাতার বদলে বাঁধ চায় এলাকাবাসী
তিস্তা ও ধরলার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত তিন দিনে প্রবল ভাঙনে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসতভিটা এবং আবাদি জমি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে রয়েছে বাঁধসহ নানান স্থাপনা। বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই তীব্র ভাঙনে দিশেহারা লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা পাড়ের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মোগলহাটের ফলিমারী এলাকায় ধরলা নদীর ডান তীরে গত তিন দিনে নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বসতভিটা ও ভুট্টাসহ অর্ধশত বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। গৃহহারা হয়েছেন অনেক পরিবার। অসহায় পরিবারগুলো স্থানীয় বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: যাদুকাটা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে সুনামগঞ্জের ২ গ্রাম
এদিকে তিস্তার ভায়াবহ ভাঙনে লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কুটিরপাড়, বালাপাড়া, বাদিয়ারটারী ও চৌরাহা গ্রামে গত তিন দিনে তিস্তা নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে ২০টি পরিবারের বসতভিটা। এছাড়া অর্ধশত বসতভিটা ও শতাধিক একর আবাদি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। কুটিরপাড় এলাকার এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বালুর বাঁধ হুমকিন মুখে পড়েছে। এই বাঁধটি স্থানীয়রা নিজ অর্থায়রে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন। এই বাঁধ রক্ষায় তিস্তা পাড়ের হাজারও পরিবার আশায় আছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত তিন দিনে তিস্তার প্রবল ভাঙনে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ঝুঁকিতে থাকা অর্ধশত বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী
এলাকাবাসীর দাবি, ‘আমরা চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিধবা ও বয়স্ক ভাতা চাই না আমার তিস্তার বাঁধ চাই।’
উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বয়সী কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, গত দুই দিনে ভিটেমাটি গিলেছে তিস্তা। সব হারিয়ে পরিবার নিয়ে আজ তিনি রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল হক মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক দিন আগে চোখের সামনেই বসতভিটা ধরলা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখন আশ্রায় নিয়ে আছেন অন্য জায়গায়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর বর্ষা আসার আগেই ধরলার ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষাকালে ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে। ঝুঁকিতে থাকা অনেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি বিলীন
হঠাৎ তিস্তায় পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদাম ও ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবকিছু পানিতে ডুবে গেছে, আর ভাঙতে শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের কারণে চিন্তিত তিস্তাপাড়ের মানুষরা। পানিবন্দী পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। তারা তাদের বাড়িঘর নিয়ে অনেকে ঠাঁই নিচ্ছেন অন্যের বাড়িতে।
তিস্তাপাড়ের ফাতেমা খাতুন আহাজারি করে বলেন, ‘হামাক বাঁচান ব্যাহে, হামার শোগ শ্যাষ। সব নদীত ভাঙ্গিয়া গেইছে ব্যাহে। হামাক বাঁচান। হামরা কৈ যাম কি খামো, শোগ নদী ভাঙি নিয়া যাবার লাগছে। সরকার এগুলা কি কইরবার লাগছে। হামাক বাঁচান ব্যাহে, হামা বাঁচান।’
তিস্তাপাড়ের আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা রিলিপ-টিলিপ কিছু চাই না। বালুর বাঁধ থাকি শুরু করি নদীর পাশে যদি বস্তা দিত তাহল আর নদী ভাঙত না।’
তিস্তাপাড়ের মহিষখোচা বালাপাড়ার রজব পাড়ার শোভা বলেন, ‘আমাদের ভুট্টাবাড়ী ৪ দোন মাটি আবাদ কচ্চি। খুব কষ্ট করি। বাড়ি পাকা করছি তায়ও শোগ ভাঙি যাবার নাগছে। তোমরা বোল্ডার ফেলে দেও। তা হলে ভালো হবে। ৫০০ টাকার জন্য কি ভোট দেই তোমাক। হামার শরম লজ্জা থুইয়া হামরা ভোট দেই। বয়স্ক দেন, বিদুয়া দেন, আরও বাউরা হবে। আর খ্যায় লোব বাড়ি যাইবে। ওগলা বেবাক বন্দ করি দেন। ওই টাকা দেয়া বন্দ করি দেন। ওই টাকা দিয়া তোমরা বস্তা দেও বোল্ডার ফেলান।
তিস্তা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, বালুর বাঁধটির অর্ধেকের বেশি বিলীন হয়েছে। বাকিটুকু রক্ষা করতে জিও ব্যাগ প্রয়োজন। যার চাহিদা পাঠাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাঁধ নির্মাণের জন্য বাজেটের আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যান্ত বাজেট পাইনি। ভাঙ্গন এলাকায় কিছু বস্তা ফেলা হয়েছে যাতে করে ভাঙন রোধ করা যায়।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, তিস্তার ভাঙ্গন এলাকা আদিতমারী ইউএনও পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার মজুত আছে, ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করা হবে।’
৩ বছর আগে