পরিবেশ দূষণ
পরিবেশ দূষণ নিয়ে অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ দূষণ নিয়ে জনগণ কোনো অভিযোগ দিলে দ্রুততম সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডে চ্যালেঞ্জের মাত্রা অনেক বেশি হলেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জনগণ কোনো অভিযোগ দিলে দ্রুততম সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মসূচিগুলো যাতে পরিবেশবান্ধব হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অতীতের ভুলভ্রান্তি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ এবং পরিবেশসম্মত উপাদানে ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করতে হবে। পরিবেশবান্ধব পৌরসভা, শূন্য বর্জ্য গ্রাম বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর ২০২৫-এ পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনে সাফল্য তুলে ধরতে ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
৩৩৮ দিন আগে
কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানি ও কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যত্রতত্র পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকতে এবং সুনির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে গর্তের মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ রেখে মাটি চাপা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ/পাত্র ব্যবহার এবং জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ডাস্টবিন অথবা নির্ধারিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানানো হয়।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা ও অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব(পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়
সভায় কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চার লাখ কপি প্রচারপত্র সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগ ও জেলা কার্যালয়, জেলা প্রশাসন এবং জেলা তথ্য অফিস-সহ অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে দেশব্যাপী বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা দেশের মসজিদগুলো সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মসজিদের ইমামদেরকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে করণীয় সম্পর্কে জুম্মার নামাজে বক্তব্য রাখার আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি চ্যানেলে ও প্রচার মাধ্যমে কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণ সংক্রান্ত বার্তা প্রচারের অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু ২ জুলাই
১০০২ দিন আগে
পরিবেশ দূষণকারীদের নাম ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ
এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম (তালিকা) পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে দূষণকারীদের নাম প্রকাশে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং নাম প্রকাশে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও তথ্য সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করবে না-এমন সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশের পর হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী বাদী হয়ে এই রিট করেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, তথ্য অধিকার আইনের ৬ (১) এবং পরিবেশ আইনের ৪(২) (চ) বিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষ দূষণকারীদের সকল তথ্য প্রকাশ করতে আইনগতভাবে বাধ্য। কিন্তু অধিদপ্তর আইনকে অমান্য করে দূষণকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
পড়ুন: হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
১০১০ দিন আগে
পরিবেশ দূষণে শাস্তির বিধান রেখে ‘মোংলা বন্দর বিল’ পাস
পরিবেশ দূষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে ‘মংলা বন্দর বিল, ২০২২’ পাস হয়েছে।
সোমবার নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলটি চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ বাতিলের কারণ এটি সামরিক শাসনামলে জারি করা হয়েছিল।
বিলে বলা হয়, পানি, ভূমি ও উপকূল দূষণ করে পরিবেশের ক্ষতি করার শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। বিদ্যমান অধ্যাদেশে শাস্তি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস
বিলে সংযোজিত নতুন বিধান অনুযায়ী, বন্দরের টোল, ফি ও অন্যান্য চার্জ ফাঁকি দেয়ার শাস্তি এক বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
কেউ আইন অমান্য করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিদ্যমান অধ্যাদেশে শাস্তি মাত্র ছয় মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
এছাড়া ‘অভ্যন্তরীণ জলযান’, ‘টার্মিনাল’, ‘বার্থ’, কন্টেইনার মালবাহী স্টেশন ও ‘লিজ’-এর মতো কিছু নতুন পরষেবা বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন আজ শুরু
বিল অনুযায়ী, বন্দর পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের একটি বোর্ড থাকবে। বিদ্যমান অধ্যাদেশে বোর্ডের সদস্য সংখ্যা চার জন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ আদেশের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ বন্দর এলাকা ঘোষণা করতে পারে।
১০৮০ দিন আগে
৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলার ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলা-বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা ও এর আনুষঙ্গিক স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরিবেশের ক্ষতি ও দূষণ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নাজিবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড। তারপরও অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলায় ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য রিট করেছিলাম।
আরও পড়ুন: ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, হাইকোর্ট আজ পার্বত্য তিন জেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ১৩০টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এসব ইটভাটার মালিকদের রিুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে হাইকোর্টে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাঙামাটিতে ২৫টি, খাগড়াছড়িতে ৩৫টি ও বান্দরবানে ৭০টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন তিন জেলায় মোট ৬৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে জানান, এই তিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা আছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৫ জেলায় অবৈধ ইটভাটা ৩১৯, একেবারে বন্ধ ৯৫টি
১১০১ দিন আগে
সাভারে পরিবেশ দূষণের দায়ে ৭ ট্যানারির বিদ্যুৎ-পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে অভিযান চালিয়ে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে সাতটি ট্যানারির পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় সাথী লেদার লিমিটেড, গেইট ইস্টার্ণ ট্যানারি (প্রাইভেট) লিমিটেড, সিটি লেদার, ফেনী লেদার, ইউসুফ বার্দাস ট্যানারি লিমিটেড, বাংলা ট্যান লেদার প্রডাক্টস লিমিটেড ও মেসার্স পূবালী ট্যানারি লিমিটেডের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী রাজিব মাহমুদের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এমন অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হায়াত মাহামুদ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে যেসকল ট্যানারি তরল বর্জ্য ও পানি নির্গত করে পরিবেশ দূষণ করছে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সেই নির্দেশনা মোতাবেক সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে তরল বর্জ্য দিয়ে পরিবেশ দূষণের সত্যতা পাওয়ায় ওই সাতটি ট্যানারির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় নতুন চামড়া কেনায় আগ্রহ নেই ট্যানারি ব্যবসায়ীদের
ট্যানারি মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়া বিক্রির ঘোষণা আড়তদারদের
১১১৪ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
পরিবেশ দূষণরোধে প্লাষ্টিকের যথাযথ ব্যবহারে উদ্দেশ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইডেন অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সহযোগিতায় সারাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শাবিপ্রবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইভেন্ট রিপ্রেজেন্টটেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিউল হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারিকর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো.শফিকুল ইসলাম, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার, প্রভাষক মিজানুর রহমান, প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিংশ শতাব্দীকে বলা হয় প্লাস্টিকের যুগ। এই প্লাস্টিক একটি অপচনশীল উপাদান। বর্তমানে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের সামগ্রী শেষ গন্তব্য হয় জলাধারে, নদী আর মহাসাগরে যা জলজ প্রাণীর ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতির জন্য, জীববৈচিত্র্যের জন্য, সর্বোপরি মানুষের শরীরের জন্য প্লাস্টিক কতটা ক্ষতিকর নিত্যনতুন গবেষণায় তা বেরিয়ে আসছে। পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয় এইজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
১২১০ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সোমবার ২৪তম খারাপ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী।
১৫৯১ দিন আগে
পরিবেশ দূষণের দায়ে ঢাকায় ব্যাটারি কারখানাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
পরিবেশ দূষণের দায়ে ঢাকায় একটি অবৈধ ব্যাটারি কারখানাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি সেটির উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
১৬৫৮ দিন আগে
আইনের তোয়াক্কা না করেই গাজীপুরে চলছে অবৈধ ইটভাটা
সরকারি নিয়ম-নীতি বা আইনের তোয়াক্কা না করেই গাজীপুরে চলছে অবৈধ ইটভাটা। সম্প্রতি এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পরও রাজধানীর পাশের এ জেলায় অবৈধ ভাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
১৮৬০ দিন আগে