পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলা-বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা ও এর আনুষঙ্গিক স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরিবেশের ক্ষতি ও দূষণ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নাজিবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড। তারপরও অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলায় ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য রিট করেছিলাম।
আরও পড়ুন: ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, হাইকোর্ট আজ পার্বত্য তিন জেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ১৩০টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এসব ইটভাটার মালিকদের রিুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে হাইকোর্টে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাঙামাটিতে ২৫টি, খাগড়াছড়িতে ৩৫টি ও বান্দরবানে ৭০টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন তিন জেলায় মোট ৬৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে জানান, এই তিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা আছে।