ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্মাণাধীন এই সড়ক উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের খুটিয়াটলি বাজার হয়ে বনগাঁও মোড় থেকে বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্বের পাকা সড়কে যুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি খননের পর সড়ক রোলার না করা, বালুর বদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু দিয়ে বালু ফিলিং করা এবং সড়কের সাব-ব্যাচে রাবিশ বালু ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৫৭০ মিটার নতুন সড়ক নির্মাণে ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খনন করা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে খোয়া ও রাবিশ বালু। তা ছাড়া দুই পাশের এজিং এর ইট বসানো হচ্ছে।
দেখা যায়, সড়কের সাব-ব্যাচের জন্য আনা বালুর আদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু ও খোয়া সড়কে বিছানো হচ্ছে। তবে বালু ও খোয়া নিয়ে বেশ আপত্তি স্থানীয়দের। এ নিয়ে তাদের মাঝে বেশ ক্ষোভ রয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ফিরোজ আলী, আনিসুর রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করেন, খোয়া ও এজিং এ নিন্ম মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর বদলে মাটি বালু দেওয়া হচ্ছে। নামমাত্রে একবার রোলার করা হয়েছে।
সড়কে বালু ফিলিংয়ের পর পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাছাড়া সড়কটির নির্মাণের বিস্তারিত বণনা দিয়ে সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা সাটানো হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান মুঠোফানে বলেন, কিছু ইট খারাপ থাকতে পারে। কারণ ইটগুলো বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। ইটের ভেতরে কিছু ইট খারাপ থাকলে সেগুলো কাজে না লাগানোর জন্য মিস্ত্রিদের বলা রয়েছে।
মাটি যুক্ত বালু বিছানো বিষয়ে বলেন, মাটি বালু দিয়ে বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করলে সড়কের কমপ্রেসার ভালো হয়। তাই এভাবে কাজ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, চিকন বালু দিয়েই বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই রাবিশ বালু ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ