অগ্রগতি
‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত ও চীন কেন প্রত্যাশিত উপায়ে এগিয়ে আসছে না তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও একটি সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে।
তিনি বলেন,'আলোচনার প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই এবং আমি মনে করি না যে এটি (রোহিঙ্গা ইস্যু) খুব দ্রুত এবং সহজে সমাধান হতে যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হোসেন বলেন, তিনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না, কারণ সবাই নিজের স্বার্থ দেখে।
উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং যার কারণে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি বাকি বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় সমর্থন পায়নি।
তিনি বলেন, 'গত আট বছরে আমরা প্রতিবেশী ও বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সহায়তা আশা করেছিলাম তা পাইনি।’
হোসেন বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে এগিয়ে আসছে না?
কারণ, বঙ্গোপসাগরে চীনের প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা বলেন, একইভাবে ভারত মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রসঙ্গে হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্ম, যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে বসে অন্যরা কী করছে তা দেখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, 'একটা সময় আসবে যখন এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও দূরের মানুষের জন্যও মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে এবং এর সম্পদের জন্য সুবিধা দেয়।
বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪-এর তৃতীয় সংস্করণ আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান ও সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
জিল্লুর বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণটি সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন 'এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড' বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২০০ জন বক্তা, ৩০০ প্রতিনিধি এবং ৮০০ অংশগ্রহণকারী শ্রোতাকে একত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
৫ দিন আগে
তিতাস স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে অগ্রগতি সামান্য
এক বছর আগে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পৃথক দুটি চুক্তি করলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘তিতাস গ্যাস পিএলসির পক্ষ থেকে মাত্র কয়েকজন স্বতন্ত্র পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শক (পিএমসি) নিয়োগ দেওয়া হয়নি।’
পিএমসির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে পিএমসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কারণ এটি প্রকল্প পরিকল্পনা ও নকশা করার দায়িত্বে থাকে।
তিনি ইউএনবি বলেন, ‘মূল প্রযুক্তিগত দিকগুলো পিএমসির হাতে রয়েছে। সাধারণত একটি বা দুটি বিদেশি কোম্পানিকে পিএমসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।’
তিতাস পিএলসির নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজও স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ধীর অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছেন।
পিএমসির নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিতাস শিগগিরই পরামর্শক নিয়োগ দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, দুটি প্রকল্পের আওতায় মোট সাড়ে ১৭ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে পৃথক দুটি ঋণ চুক্তি সই করে তিতাস গ্যাস।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কার্বন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় ১১ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে তিতাস।
স্মার্ট মিটারিং এনার্জি ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় সাড়ে ৬ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি সই করে গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
আরও পড়ুন: তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পুরানো কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু
সরকার অতিরিক্ত সিস্টেম লস যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে তিতাস গ্যাস পিএলসির জন্য স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্প হাতে নেয়।
ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির পরিমাণ এবং পরিমাণের দিক থেকে পুরোনো ও বৃহত্তম গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা হিসেবে তিতাস গ্যাস ৭ শতাংশ সিস্টেম লসের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম লস হওয়ায় প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ১৮০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়। তারা বলছেন, এত বড় সিস্টেম লস রোধ করা গেলে বছরে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার আর্থিক সহায়তায় তিতাস গ্যাস এ পর্যন্ত প্রধানত ঢাকা শহরের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করেছে।
মূলত গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুর, পল্টন, রমনা, নিউমার্কেট, খিলগাঁও ও সেগুনবাগিচা এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস বর্তমানে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক, ১২ হাজার ৭৮ জন বাণিজ্যিক গ্রাহক, ৫ হাজার ৪২৯ জন শিল্প গ্রাহক, ১ হাজার ৭৫৫টি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ৩৯৬টি সিএনজি স্টেশনসহ ২৮ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্যাস বাজারের ৫৫ শতাংশ এককভাবে তিতাস গ্যাসের দখলে, বাকি পাঁচ কোম্পানির ৪৫ শতাংশ।
ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও ময়মনসিংহের বিশাল এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে তিতাস।
প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ১৪ হাজার ৪৫৯ দশমিক ৪১ এমএমসিএম (মিলিয়ন ঘনমিটার) গ্যাস বিক্রি করে ২৬ হাজার ৩৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
১ মাস আগে
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না, তারা সমাজের আরও ১০ জনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে’র ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টেসলারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
মন্ত্রী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ-তরুণী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
তাজুল ইসলাম নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে এ সময় উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে, তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোনো বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মনোবৃত্তি।
মন্ত্রী বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার অন্যতম পুঁজি যা তাকে কখনোই পরাজিত হতে দেবে না।
এ সময় মন্ত্রী তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা এবং জীবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এমপি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, জারা মাহবুব, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
৬ মাস আগে
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির সরদার প্যাটেল ভবনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চলমান এই সফরে সেই বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পরে বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এই সফরে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথাও রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
৯ মাস আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সব দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব কালচার মিলনায়তনে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং বিএনপি-জামায়তের সব কিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি যদি না থাকত, তাদের জ্বালাও-পোড়াও যদি না থাকত, দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।
এ সময় রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রবাসীদের সব সময় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রবাসী বক্তারা তাদের বক্তৃতায় বেলজিয়ামে দীর্ঘ সময় অধ্যয়নকারী ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তারা বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সংবর্ধনা স্মারক দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
৯ মাস আগে
আইডিয়া প্রকল্পের স্টার্টআপদের অগ্রগতি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের (আইডিয়া) আওতায় বিসিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গঠনে ও দেশীয় স্টার্টআপদের অগ্রগতি চলমান রাখতে আইডিয়া প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ ও করণীয়বিষয়ক সেমিনারটি আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া প্রকল্পের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনে প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, স্টার্টআপের যাত্রা একটি কঠিন যাত্রা। শুধু আইডিয়া থাকলেই হবে না এর পাশাপাশি বিজনেস মডেল, কমার্সিয়ালাইজেশন সম্পর্কেও স্টার্টআপদের ধারণা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যে সফলতার জন্যে পরিশ্রম করতে হবে। ব্যর্থ হলেও নতুন উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বিদেশি স্টার্টআপ কালচার এর বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন বাংলাদেশে বড় সুবিধা হলো একেবারে শুরু থেকেই সরকার সহযোগিতা করছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে স্টার্টআপদের চাহিদা রয়েছে। আগে সুযোগ কম থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার অনেক সুযোগ সৃষ্টি করছে।
রিসার্চ ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে ডকুমেন্টশন করা প্রয়োজন। উদ্যোক্তাদের জন্য এই ডকুমেন্টশন অত্যন্ত জরুরি।
আইডিয়া প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে স্টার্টআপদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের জন্য রয়েছে মেন্টরিং সাপোর্ট, অনুদান সাপোর্ট, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সাপোর্টসহ নানা সুযোগ যার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে একটি সুন্দর ইকোসিস্টেম। এই সুযোগগুলো তরুণদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের আরও ১২টি উপশাখা উদ্বোধন
তিনি আরও বলেন, স্টার্টআপদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে স্টার্টআপদের কল্যাণে এ ধরনের সহযোগিতা চলমান থাকবে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগের আওতায় ২০১৬ সাল থেকে উদ্ভাবন সহায়ক ইকোসিস্টেম ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরিতে কাজ করছে আইডিয়া প্রকল্প। তরুণ উদ্ভাবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তরুণদের মাঝে ব্যাপকভাবে উদ্ভাবনী ধারণাকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে আইডিয়া। আইডিয়া প্রকল্পের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করতে হবে idea.gov.bd।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এখন থেকে কেউ দেশের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতিকে আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো যখন নির্বাচনে যোগ দেয় তখন একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরও এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'কেউ বলতে পারবে না যে, এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি, বরং সহায়তা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শক্তি একটি বড় শক্তি, যা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা যখন ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা নীরব ছিল। ‘কিন্তু এখন যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখন তারা আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
'আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি;’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার দলকে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সরকার তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং শত প্রতিবন্ধকতা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে...... গ্রামাঞ্চলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা তার ভাষণে ভবিষ্যতে স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
১০ মাস আগে
বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার কাছে দৃশ্যমান: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বলেছেন, গত ১৫ বছরে অর্জিত অগ্রগতি সবার কাছে দৃশ্যমান হওয়ায় এখন সবাই বাংলাদেশকে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ১৫ বছর আগে যা ছিল তার থেকে বদলে গেছে। এখন সবাই একে সম্মান করে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের অগ্রগতি সবার কাছে দৃশ্যমান।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে অনুদান গ্রহণকালে একথা বলেন।
আসন্ন শীত মৌসুমে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও অন্যান্য গরম কাপড় বিতরণের জন্য এ অনুদান গ্রহণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে কাজ করতে বলেন, যাতে ভবিষ্যতে দেশের অগ্রগতির ধারা বজায় থাকে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশ ও জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে শেখ হাসিনা যে সাফল্য দেখিয়ে আসছেন তা অনেক মহল ভালোভাবে নেয় না।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন নারী হয়েও টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশ পরিচালনা করছি… আমি সফলতার সঙ্গে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমি দেশকে বদলে দিয়েছি (আমূল)। সবাই এটিকে (এই সাফল্য) ভালোভাবে নেবে না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সম্প্রতি অগ্নিসংযোগ ও অবরোধের নামে আন্দোলন আবার শুরু হয়েছে। ‘আমি জানি না কে কতটা লাভবান হয়। কিন্তু কিছু মানুষ; বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ঘুমন্ত কর্মীদের গাড়ির ভেতরে রেখেও বাসে আগুন দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না কেন এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী অতীতের মতো আসন্ন শীত মৌসুমের আগে তার ত্রাণ তহবিলের জন্য অনুদান দেওয়ার উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসকে (বিএবি) আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মজুদ ধরে রাখতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি রোধ করতে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মতো পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনীতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে বিএবির সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান মোমেনের
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ যাতে আর পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এর মধ্যে আমরা দেশে ১৫ লাখ চাকরি দিতে পারি। বাকি ৫ লাখ বিদেশে কাজ করতে যায়। আমরা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের ঐক্য বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট ও দেশের কল্যাণে যথাসাধ্য অবদান রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেডের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বসবাসরত বৃহত্তর সিলেটের জনগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
১ বছর আগে
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের ধারার স্বার্থে দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কেবল গণতান্ত্রিক ধারার মাধ্যমেই সম্ভব। এটা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।’
বুধবার জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে’ উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে উন্নয়ন চলছে কারণ দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে, স্থিতিশীল সরকার রয়েছে। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করতে পেরেছি। সে কারণেই আমরা এই সফলাতা পেয়েছি।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর ২১ বছর ধরে বাংলাদেশ কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে (২১ বছর পর) সাফল্যের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এখন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার জন্য (ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে) সবকিছুর দাম বেড়েছে যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আফ্রিকার দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের আগামী দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
তিনি তাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার ও গন্তব্যে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে বলেন।
তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য কাজ করতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের বলেন, কারণ তারা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হাইকমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান, মরক্কোতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মিশরে রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম, মরিশাসে হাইকমিশন রেজিনা আহমেদ, নাইজেরিয়ায় হাইকমিশন মাসুদুর রহমান, আলজিয়ার্সে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন, কেনিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার তারেক আহমেদ, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার এবং সুদানে রাষ্ট্রদূত তারেক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যোগ দিন: দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে