জ্বালানি তেল
জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকবে
জুলাই মাসেও জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। রবিবার (২৯ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় ঘোষিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসের মতো জুলাইয়েও প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১০২ টাকা, কেরোসিনের মূল্য ১১৪ টাকা, পেট্রোলের মূল্য ১১৮ টাকা ও অকটেনের মূল্য ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর পদক্ষেপ: বিবৃতি
এর আগে, জুন মাসে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২১ টাকা থেকে কমিয়ে ১১৮ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা করা হয়। তবে কেরোসিনের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। জুলাই মাসের জন্য কেরোসিনে তেলের দামও অপরিবর্তিত থাকবে।
১৫৮ দিন আগে
ঈদে ছুটিতেও খোলা থাকবে সব ফিলিং স্টেশন
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে সড়কপথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি তেল সরবরাহের সুবিধার্থে ঈদের দিনসহ আগের ৭ দির ও ঈদের পরের ৫ দিন ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হবে।
বুধবার (৪ জুন) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঈদে যেন যাত্রীরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে সড়কপথে চলাচল করতে পারে, এজন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিবদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই দিনগুলোতে উপলক্ষ্যে সিএনজি/ফিলিং স্টেশনগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের দিনসহ পরবর্তী ১০ দিন ঢাকায় চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ এতে রাস্তায় তেলের প্রয়োজন হলে যানবাহনগুলোকে ঝামেলায় পড়তে হবেনা। পাশাপাশি ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগও লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ সম্পর্কিত অফিস আদেশে সব ফিলিং স্টেশনগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৮৪ দিন আগে
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে মার্চ মাসের জন্য পেট্রোলিয়াম জ্বালানির নতুন (স্বয়ংক্রিয়) খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকার পরিবর্তে ০.৭৫ টাকা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা এবং অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১২২ টাকা।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে এআইআইবির আরও বিনিয়োগ চায় সরকার : নসরুল হামিদ
অকটেন ও পেট্রোলের দাম সম্পর্কে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই দুটি জিনিস মূলত প্রাইভেট কার মালিকরাই ব্যবহার করেন। এই দুটি বিলাসবহুল আইটেম বলে মনে করা হয়। সুতরাং, দুটি পণ্যের দাম সবসময় ডিজেলের চেয়ে বেশি থাকে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি মাসে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলা ও গাইডলাইনের আওতায় পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হলেও বর্তমানে ভারতের কলকাতায় ডিজেল ৯২.৭৬ রুপি বা ১৩৩.৫৭ টাকায় (১ রুপি=১ টাকা ৪৪ পয়সা) এবং পেট্রোল ১০৬.০৩ রুপি বা ১৫২.৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের থেকে যথাক্রমে ২৪.৫৭ টাকা এবং ২৭.৬৮ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্দেশিকা প্রয়োগে জ্বালানির দাম কমতে পারে: নসরুল হামিদ
এর আগে গত ১ মার্চ দেশব্যাপী জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে 'ফুয়েল প্রাইসিং গাইডলাইন' জারি করে সরকার।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় মূল্য বাড়বে বা কমবে এবং প্রতি মাসে সরকার এক মাস মেয়াদে এ ধরনের দাম ঘোষণা করবে।
জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকায় অবশ্য এর কার্যকারিতার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হলে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে এক মাসের জ্বালানি তেলের দাম গড় মূল্য নির্ধারণ করে এপ্রিলের জন্য দাম নির্ধারণ করতে হবে।
কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৮ মার্চ থেকে।
আরও পড়ুন: জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা: ইউএনইপি
৬৩৭ দিন আগে
খুলনা থেকে ১৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ
বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনার ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
জানা গেছে, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধর্মঘটে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি এটিকে ফরমূলা গেজেট উল্লেখ করে বলেন, গেজেটটি ভুলে ভরা। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
৭৯৫ দিন আগে
জ্বালানি তেলে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হয়নি: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলে সরকার সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না।
বুধবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এমনকি সরকার দাম সমন্বয় করার পরেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রায় ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে বিপিসি তার আগের লাভ থেকে এই ক্ষতি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও বিপিসির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিপিসি এই অর্থ বছরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি পায়নি, এবং এটি তার আগের লাভ থেকে লোকসান বহন করছে।
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল বলেন, গ্যাস খাতের উন্নয়নে গত ১৪ বছরে সাতটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে ৩ হাজার ৪৮৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: নসরুল হামিদ
৯১৮ দিন আগে
সিলেটে জ্বালানি সংকট, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা
সিলেটে জ্বালানি সংকটের কারণে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি। এছাড়া আগামী রবিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে তেল বিক্রী বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের চণ্ডিপুলে কুশিয়ারা কনভেশন হলে কমিটির জরুরি সভা শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ।
সভায় জানানো হয়, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল সরবরাহ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে বারবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া কোন উপায় নেই সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের।
সভায় বুধবার (১৮ জানুয়ারী) থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীরা ডিপো থেকে তেল নেয়া বন্ধ ও পরবর্তী রবিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরের অনেক জেলায় জ্বালানি সংকট, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে রেলের ওয়াগনের মাধ্যমে সিলেটে তেল আসে। নানা কারণে রেলের ওয়াগন চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়া ও কোনো কোনো দিন বন্ধ থাকায় অধিকাংশ পাম্পে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে যে কনডেনসেট পাওয়া যায়, তা আগে সিলেটের বিভিন্ন প্লান্টেই জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হতো। সরকারি মালিকানাধীন এ প্লান্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এখন চট্টগ্রামের বেসরকারি মালিকানাধীন প্লান্টে কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হয়।
এতে এখানকার সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ডিপোগুলোর কর্মকর্তারা তৎপর হলে এ সংকট অনেকটাই কমে আসতো।
এবিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে আবারও জ্বালানি তেল সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। তেল সরবরাহে কর্তৃপক্ষ বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন।
তারা বিভিন্ন অযুহাতে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছি।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তথ্য সংগ্রহ করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
জ্বালানি সংকট: ঢাকায় আজ কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং
১০৫৫ দিন আগে
নভেম্বরে বাংলাদেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৮.৮৫ শতাংশ
বাংলাদেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বরে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। এতে গত তিন মাসে ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
বিগত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।
আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে গত এক দশকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত দুই মাসে এর থেকে কমেছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্বাভাবিক হওয়া, টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর সরবরাহ জোরদার করা ও শীতকালীন শাকসবজির উদ্বৃত্তের কারণে মূলতবাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) তথ্যে দেখা গেছে যে নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ও অন্যান্য মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ১৪ ও ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৫০ ও ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
তবে, নভেম্বরে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
শহরাঞ্চলে সাধারণ মুদ্রাস্ফীতি ৮ দশমিক ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমে ৮.৯১%
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি: আগস্টে ৯.৫% শতাংশ, ১২ বছরে সর্বোচ্চ
১০৯৫ দিন আগে
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায় এবং আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।’
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানের সীমান্তবর্তী হাটগুলো পুনরায় চালু হবে।
আসাম প্রতিনিধিদলকে সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় এবং তা প্রচার করে।
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন যে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পারস্পরিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বৈঠকে আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন যে বাংলাদেশে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েচে এবং আসাম বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হবে।
প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায় কারণ দেশটির এ খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১১১০ দিন আগে
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৭ টাকা
মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৯২ টাকায়, আগে এই দাম ছিল ১৮৫ টাকা। একই সাথে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ৯৪৫ টাকা।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমিতির নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
গত ১৭ আগস্ট বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অ্যাসোসিয়েশন ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল।
একইভাবে এক লিটার পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫ টাকা।
এর আগে ভোজ্যতেল বিপণন সংস্থাগুলো বিশ্ব বাজারের দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গত ১৭ জুলাই সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম কমায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৫ দশমিক ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করা হয়েছে-যা আগের বছরের তুলনায় ৭৫ হাজার টন বেশি।
পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ে শিগগিরই ট্যারিফ কমিশন বসবে: মন্ত্রী
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
১১৯৯ দিন আগে
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ১২ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২২ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৫ জেলায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ চারটি সংগঠন এই ধর্মঘট পালন করছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, ১২ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এর ফলে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি চলছে।
তিনি জানান, খুলনা বিভাগের সাথে সাথে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
পড়ুন: মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদল, চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার, মানতে নারাজ সাধারণ চা শ্রমিকেরা
১২০১ দিন আগে