এজেন্ট
নোয়াখালীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শাহিদুজ্জামান পলাশ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মাথায় ভারী কোনো বস্তুর আঘাতে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাটেশ্বর গ্রাম থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
শাহিদুজ্জামান পলাশ সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন এবং ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
নীয়রা জানায়, পলাশ নাটেশ্বর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। পাঁচ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি। এরই মধ্যে ইতালি যাওয়ার জন্য টাকাও জমা দিয়েছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুইঁয়া মানিকের পক্ষে একটি কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পলাশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পলাশের ফেসবুক আইডি দেখে নির্বাচনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও তিনি ‘অল মানিক ভাই’ লিখে একটি পোস্ট করেছিলেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথা ভারী কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও জানান, পলাশ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়িতে একটি মুরগির খামার ছিল। শনিবার বিকালে কয়েকটি মুরগি বিক্রি করার পর খামারে কর্মরত দুই কর্মচারী সন্ধ্যায় চলে যায়। এরপর থেকে পলাশ একা খামারে ছিলেন। রাত ৮টার দিকে স্ত্রীকে ফোন করে তিনি জানান, খামার থেকে একটি হাঁস পার্টিতে যাবেন। তারপর বাড়ি ফিরবেন। এরপর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার ঘরের পাশে পলাশের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং হত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১০ মাস আগে
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার তারা এক ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের একজন এজেন্ট।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে একজন বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য রাখেন। মিয়ান আরাফি নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার তারা একজন ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে দিয়েছে, কথা বলেছেন। পাশে আবার তাদের বড় বড় নেতারা বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিনি সরকারের কেউ নন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু এখানে স্পষ্টতো বিএনপি একটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে- আমাদের কাছে যে খবর আছে সেই ব্যক্তি হচ্ছেন ইসরাইলের একজন এজেন্ট। এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে। ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কিছু বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য ইসরায়েল বিএনপির ওপর সন্তুষ্ট। তো অনেকে বলছে একজন ইসরায়েলি এজেন্টকে তারা পাঠিয়েছে, যাকে নিয়ে কালকে তারা সভা করেছে, এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে।
গতকালের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতিটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবার ভিসানীতি আরোপ হতে পারে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।
একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, শনিবার বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তার মানে এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছিল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে তারা সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের প্রধান। তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে সরকারি দল, বিরোধী দল। কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠানকে তোয়াক্কা করে না। সেটি প্রমাণ হচ্ছে গতকালের ঘটনা। সবচেয়ে নেককারজনক হচ্ছে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গা দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পেছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে শনিবার আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, যারা করেছে শুধু তাদের নয়, এটির দায় এটির নির্দেশ দাতাদের। কারণ তারা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। তারা বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের সংঘর্ষে শামীম মিয়া নামের যে যুবদল নেতা মারা গেছে বলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বলেছেন, তাদের রাজনীতি তো মিথ্যাচারের উপর। তার পরিবার বলছে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
হাসপাতাল বলছে- তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ কী রকম মিথ্যাচার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার দায় এড়ানোর জন্য একজন সাধারণ মানুষ তাদের এই অপকর্মের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে, সেটিকে যুবদল বলে পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশ, জনগণ, সরকার বরদাশত করতে পারে না এবং আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না। যারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের স্বস্তি স্থাপন করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব: হিরো আলম
হিরো আলম নামে পরিচিত ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম অভিযোগ করেছেন, তার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মী ও নেতাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্রে আজ (সোমবার) সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিতে ভীতিজনক কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা নারীসহ আমাদের কয়েকজন এজেন্টকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন বর্জন করলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল
কোন কোন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশে সমস্যা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ভাষানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও জামিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘যাইহোক, আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকব।’
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
১ বছর আগে
সিলেট সিটি নির্বাচন: কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ মেয়র প্রার্থী বাবুলের
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে বার বার ফোন আসছে যে নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।’
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আনন্দ নিকেতন স্কুলে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলাম যে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে। আমি আনন্দ নিকেতন স্কুলে ভোট দিতে এসেছি। এখানে পেশীশক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘এইমাত্র খবর পেলাম সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে আমার লাঙ্গলের সকল এজেন্টকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী গুন্ডারা। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এখনই যাচ্ছি পাইলট স্কুলে। আমি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে ঘন্টাখানেক কাজ করেনি ইভিএম। এটাও চক্রান্তের অংশ হতে পারে। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, রিটার্নিং কর্মকর্তা সকলেই নৌকার প্রার্থীর পকেটে। আমি ফলাফল ঘোষণার পর সবকিছু বলব ইনশাআল্লাহ। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাঙ্গলে ভোট দিচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু ভোট হলে ও পেশীশক্তির প্রভাব না পড়লে লাঙ্গলই জিতবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
১ বছর আগে
কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন চলছে বলে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, তার এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির বরিশাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটের প্রক্রিয়া ধীরগতির ছিল এবং পরিবেশ উৎসবমুখর ছিল না।
তার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আরও কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করার পর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) আমার অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করব।
কেসিসি নির্বাচনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের জন্য সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
মেয়র পদে পাঁচজন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নগরীর দক্ষিণ মধ্য সড়কের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ তাকে ভোট দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভোটারদের কাছ থেকে যা ফল আসবে আমি তা মেনে নেব।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা কেসিসি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার ও র্যাব-এর আট হাজার ৮০ জন সদস্য নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%
১ বছর আগে
বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে ভোটগ্রহণে ধীরগতি, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা এবং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন লাঙ্গলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
সোমবার সকালে গোরস্থান রোড মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেয়া শেষে তাপস অভিযোগ করেন যে মহিলা ভোটারদের কেন্দ্রে আসায় বাধা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
নৌকার সমর্থক ছাত্রলীগ যুবলীগের লোকজনের এই বাধা দিচ্ছে দাবি করে তাপস বলেন, ‘সরকারি দলের প্রার্থীর টার্গেট হচ্ছে কম ভোট কাস্ট করানো। সে লক্ষ্যে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদেরকে নানাভাবে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একই কারণে কেন্দ্রগুলোতে ধীরগতিতে ভোট নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নগরের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রুপন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটের পরিবেশ নিরপেক্ষ নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
১ বছর আগে
ইউপি নির্বাচন: এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগে নৌকা প্রার্থীর ভোট বর্জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহা. জাকারিয়া নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি নৌকা প্রতীকের এজেন্টদের জোর বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
জাকারিয়া বলেন, ভোট শুরুর পর থেকে আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে কোথাও বের হতে পারিনি। ১ ও ৯ নং ওয়ার্ড ছাড়া বাকি সব ওয়ার্ডে আমার নৌকা প্রতীকের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই এজেন্ট বের করে দেয়ার বিষয়ে পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পরে দুপুর ১২টায় নির্বাচন কর্মকর্তা আমাকে ফোন দিয়ে এজেন্ট পাঠানোর কথা বলেন। এই সময়ে এজেন্ট পাঠিয়ে কি করব? তাই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাকারিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরে তাকে এজেন্ট পাঠানোর কথা বললেও এজেন্ট আসেনি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা: শৈলকুপায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলেও দাবি করেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, পঞ্চম ধাপে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে ৬৬ জন, ইউপি সদস্য পদে ৫৪৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পদে ১৭৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসব ইউপিতে মোট ভোটার দুই লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৫ হাজার ২৪১ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন। ১৪ ইউনিয়নের মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৪ টি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আ.লীগ নেতা নিহত
২ বছর আগে
মানিকগঞ্জে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের সহায়তা
মানিকগঞ্জে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
৪ বছর আগে