খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন চলছে বলে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, তার এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির বরিশাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটের প্রক্রিয়া ধীরগতির ছিল এবং পরিবেশ উৎসবমুখর ছিল না।
তার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আরও কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করার পর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) আমার অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করব।
কেসিসি নির্বাচনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের জন্য সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
মেয়র পদে পাঁচজন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নগরীর দক্ষিণ মধ্য সড়কের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ তাকে ভোট দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভোটারদের কাছ থেকে যা ফল আসবে আমি তা মেনে নেব।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা কেসিসি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার ও র্যাব-এর আট হাজার ৮০ জন সদস্য নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%