সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকায় ৫০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
শুক্রবার (২১ জুন) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী।
এদিন সকালে নয়া ঠাকুরের মাটি গ্রামে আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।
এরপর কানাইঘাট খেয়াঘাটে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ১৩৫ জেরিকেন বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং মেছা গ্রামে ২৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই বিতরণ করেন রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান।
বিকালে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ডা. কবীর চৌধুরী। সেখানেও ২৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই বিতরণ করা হয়।
দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট সবসময় নিবেদিত মন্তব্য করে অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, ‘বন্যাকবলিত দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ক্রিসেন্ট সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে নিরাপদ খাবার পানি বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তামূলক কাজে নিয়োজিত আছে।’
এদিকে বন্যায় খাবার পানির সংকট দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৩টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০০ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা এই প্ল্যান্টে পানি বিশুদ্ধ করে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে পানি বিতরণ করছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এছাড়াও, সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
সফরকালে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে রেড ক্রিসেন্টের বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন আলবার্তো বোকানেগ্রা, সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তা ও যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।