জার্মানি
নেশন্স লিগের শেষ আটের ড্র: কে কাকে পেল, কী সমীকরণ
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই, এবার নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র এবং ফাইনালের পথ স্পষ্ট করে দিল উয়েফা।
শুক্রবার নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমের ‘রোড টু ফাইনাল’ নির্ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এছাড়া ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়ার, জার্মানি ইতালির এবং ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ মার্চ। এর তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের চার দল নিশ্চিত হবে। এরপর আগামী ৪ ও ৫ জুন সেমি ফাইনাল এবং ৮ জুন ফাইনালের পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বিজয়ী দল।
চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে নেদারল্যান্ডস
শিরোপা ধরে রাখতে এবারও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে স্পেনের। কোয়ার্টারে এবার তাদের প্রতিপক্ষ রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কুমানের অধীনে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে দলটি। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। তার আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে উঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা।
চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও জার্মানির মতো দলগুলোর সঙ্গে এক গ্রুপে পড়ে প্রথম ম্যাচেই জার্মানির কাছে হেরে বসে ডাচরা। তবে তারপর অপরাজিত থেকে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে কুমানের শিষ্যরা।
ফলে সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ডাচ বাধা পেরোনো সহজ হবে না ইউরো ও নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ-ইউরো-নেশন্স লিগ জেতা একমাত্র ফটুবলার অবসরে
এছাড়া চোটের কারণে বারবার স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হচ্ছে লুইস দেলা ফুয়েন্তের। চোট নিয়ে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহাল ও রদ্রি।
তবে তরুণ এবং ফর্মে থাকা স্পেনের যেকোনো ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাক দিয়ে বারবার ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে দেখা গেছে স্পেন বসকে। ফলে এই দুই দলের লড়াইটা দর্শকের জন্য হবে দর্শনীয়।
ফিরছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল
শেষ আটের ড্রয়ে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। এর ফলে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তা-ও একবার নয়, দুবার।
ফ্রান্সের কাছে সেবার ৪-২ গোলে হেরে ক্রোয়েশিয়ার স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্রোয়াটদের সামনে।
অবশ্য ভালো পারফর্ম করলেও ক্রোয়েশিয়ার সেই দল এখন আর নেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবসরে চলে গেছেন। তবে এখনও লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞরা দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে আন্দ্রেই ক্রামারিচ, মাতেও কোভাচিচ, ইয়োস্কো গেভারদিওলের মতো প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকায় গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে জ্লাতকো দালিচের দল।
অপরদিকে, দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় থাকলেও ফর্মহীনতা, চোট ও সমন্বয়ের অভাবে ইউরোর পর থেকেই ধুঁকতে দেখা গেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও দলের বড় তারকারা নিজেদের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকারা।
গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলের কাছে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও শেষ ম্যাচে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তাদেরই টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফ্রান্স।
শেষ চার ম্যাচেই দলের সঙ্গে ছিলেন না এমবাপে। চোটে আক্রান্ত না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে দলে ফেরাতে পারেন দেশম। ফলে কৌশল দিয়েই দুর্দান্ত এই দলটিকে মাত করতে হবে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার।
১ দিন আগে
জার্মানির আউসবিল্ডুং: যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
উদ্ভাবন এবং স্থায়িত্বের দিক থেকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রসিদ্ধ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম জার্মানি। পরিবেশবান্ধব, তথ্য-প্রযুক্তি এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে শেনজেন ভুক্ত দেশটি। ফলে বিস্তৃত পরিসরে চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে দক্ষ জনগোষ্ঠীর। এখানে যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে শাস্ত্রীয় জ্ঞান এবং হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতাকে। শুধু তাই নয়, এই কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে দেশটিতে। তেমনি একটি ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার নাম আউসবিল্ডুং। এই সুযোগ গ্রহণে আন্তর্জাতিক চাকরিপ্রার্থীদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশটি। চলুন, আউসবিল্ডুং-এ আবেদনের যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা, আবেদন ও ভিসা প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জার্মানির আউসবিল্ডুং কী
তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান সমৃদ্ধ জার্মানির ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির নাম আউসবিল্ডুং। শিক্ষা ব্যবস্থায় তরুণ শিক্ষককেরা একই সঙ্গে স্কুলের ক্লাসরুম পাঠ্যক্রম এবং কর্পোরেট পরিবেশ দুই অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হন। এর নেপথ্যে যৌথভাবে কাজ করে দেশটির সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো।
হাতে-কলমে এই প্রশিক্ষণের সময়কাল সাধারণত কমপক্ষে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত। প্রার্থীরা নিজেদের দক্ষতা ও পছন্দ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করতে পারেন। শুধুমাত্র জার্মান ভাষায় পাঠদান করা এই প্রোগ্রামে বিদেশি নাগরিকরা জার্মানদের মতো একই সুযোগ-সুবিধাসহ একটি নির্দিষ্ট জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এই চুক্তির জন্য বিদেশি প্রার্থীরা জার্মানির বাইরে থেকে ট্রেনিং কোম্পানি ঠিক করে আসতে পারেন অথবা জার্মানিতে এসেও কোম্পানির খোঁজ করতে পারেন।
আরো পড়ুন: জার্মান অপরচুনিটি কার্ড: বাংলাদেশ থেকে আবেদন পদ্ধতি ও বিস্তারিত
জার্মানির আউসবিল্ডুং কাদের জন্য
বয়স, একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং দেশ নির্বিশেষে যেকোনো ব্যক্তি আউসবিল্ডুং-এ অংশ নিতে পারেন। তবে যারা জার্মানিতে গিয়ে ট্রেনিংয়ের জন্য কোম্পানি খুঁজতে চান তাদের অবশ্যই অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি হতে হবে। জার্মানির বাইরে থেকে যারা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আসবেন, তাদের ক্ষেত্রে বয়সের এই বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে এই প্রোগ্রামে নিবন্ধিত হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে জার্মান ভাষা দক্ষতা। সিইএফআর (কমন ইউরোপীয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স) অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতা লেভেল বি১।
দ্বিতীয়ত, যারা একাডেমিক শিক্ষাক্ষেত্রে কমপক্ষে ৯ বা ১০ বছর অতিবাহিত করেছে, তারা এই প্রোগ্রামে নিবন্ধিত হতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের সনদপত্র বা মার্কশিটগুলো অবশ্যই জার্মান একাডেমিক যোগ্যতার সমতূল্য হতে হবে। এর জন্য জেডএবি (সেন্ট্রাল অফিস ফর ফরেন এডুকেশন) (https://zab.kmk.org/en/app/zeugnisbewertung) থেকে শংসাপত্রগুলোর মূল্যায়ন বা তুলনামূলক বিবৃতি নিতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
জার্মানির আউসবিল্ডুংয়ের সুবিধা
এই দ্বৈত শিক্ষাপদ্ধতিতে প্রশিক্ষণার্থীরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ভাতা পান। এর পরিমাণ সাধারণত প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ইউরো বা ১ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫ টাকার (১ ইউরো = ১৩১ দশমিক ৭৭ টাকা) মতো। এর কমবেশি হওয়াটা নির্ভর করে মূলত নিয়োগকর্তা, কোম্পানির শহর এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ের ওপর। নিয়োগকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বাসা ভাড়া বাবদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
জার্মানির বাইরে থেকে কোম্পানি ঠিক করা অথবা জার্মানিতে পৌঁছে ট্রেনিং কোম্পানি খোঁজা; উভয় ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত পৃথক খণ্ডকালীন চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। এমনকি সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ট্রায়াল জবও করা যাবে।
আর কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে আসার পর পুরো ট্রেনিং প্রোগ্রামের সময়কালের জন্য দেওয়া হবে রেসিডেন্ট পারমিট।
এর বাইরে অতিরিক্ত উপযোগিতা হিসেবে রয়েছে ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির সম্ভাবনা। প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করার পর সংশ্লিষ্ট কোর্সের ওপর ভিত্তি প্রায় ২ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ ইউরোর (৩ লাখ ১৬ হাজার ২৪৯ থেকে ৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯৭ টাকা) মাসিক বেতনের কাজ পাওয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষত নার্সিং পেশা। তথ্য ও প্রযুক্তির ক্রমশ অগ্রসর হওয়ায় উচ্চ চাহিদা রয়েছে দক্ষ আইটি (ইনফরমেশন টেকনোলজি) পেশাদারদের। সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা হচ্ছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপার। এছাড়াও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল এবং অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানির নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এর স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিকাশের জন্য শত শত দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। এই জনগোষ্ঠীর একটা বিরাট অংশের যোগান দাতা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে এই আউসবিল্ডুং।
তাছাড়া প্রোগ্রামের পরীক্ষাগুলোতে সাফল্যের সঙ্গে কৃতকার্য হওয়ায় পর প্রশিক্ষণের কোম্পানিতেই থাকছে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ। এমনকি উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীরা এই ফলাফল নিয়ে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হতে পারবেন।
সর্বসাকূল্যে, এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে একটি উচ্চ মান সম্পন্ন জীবনযাত্রার দেশে বৈধভাবে বসবাসের সম্ভাবনা।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
জার্মানির আউসবিল্ডুং-এ আবেদন পদ্ধতি
এই ভোকেশনাল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রধাণত দুই ভাবে আবেদন করতে পারেন।
এক, বাংলাদেশে থেকেই আউসবিল্ডুংয়ের জন্য জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। অতঃপর ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণের জন্য এন্ট্রি ভিসায় আবেদন করা।
দুই, জার্মানিতে পৌঁছে ভোকেশনাল ট্রেনিং কোম্পানি খোঁজার জন্য নির্ধারিত এন্ট্রি ভিসায় আবেদন করা।
বাংলাদেশ থেকে আউসবিল্ডুংয়ের জন্য জার্মান কোম্পানি খোঁজার উপায়
জার্মানিতে আন্তর্জাতিক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের জব পোর্টাল রয়েছে। এগুলোতে প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করা যায়। এই সাইটগুলোর অধিকাংশই জার্মান ভাষার।
যেমন-
• সরকারি জব প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে-
• ফেডারেল এম্প্লয়মেন্ট এজেন্সির জব সাইট (https://www.arbeitsagentur.de/jobsuche/)
• সিভিল সার্ভিসের জন্য,
• https://www.service.bund.de/Content/DE/Stellen/Suche/Formular.html
• https://karriere.bund.de/
• সাধারণ জব সাইট:
(https://www.make-it-in-germany.com/en/working-in-germany/job-listings)
• আঞ্চলিক সরকারি পোর্টাল:
(https://www.thaff-thueringen.de/thueringer-stellenboerse/stellenboerse)
বেসরকারি জব পোর্টাল
স্টেপস্টোন (https://www.stepstone.de/en/)
• মনস্টার (Monster.de)
• এছাড়াও সরাসরি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়েও আবেদন করা যেতে পারে। যেমন-
• জার্মান রেলওয়ে কোম্পানি ডয়েচে বাহ্ন:
(https://jobs.deutschebahngroup.careers/en_US/jobsGlobal/SearchJobs)
• আলডি নর্থ অ্যান্ড সাউথ:
• https://www.aldi-nord.de/karriere/
• https://karriere.aldi-sued.de/
• রিটেইল টেইন কোম্পানি লিড্ল (https://jobs.lidl.de/)
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে-
• ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন:
(https://www.awo-mittelrhein.de/en/awo/careers-portal/vacancies-and-job-offers/)
• ডায়াকোনি: (https://www.diakonie.at/jobplattform/offene-stellen)
এছাড়াও এই সাইটগুলোর নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করে রাখা যেতে পারে। এতে করে বিভিন্ন সময়ে স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর নতুন জব পোস্টগুলো সম্পর্কে জানা যাবে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আউসবিল্ডুং-এর জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• ইউরোপাস ফর্ম্যাট (https://europass.europa.eu/en/create-europass-cv) অনুযায়ী টেবিল আকারে সিভি (একাডেমিক শিক্ষাগ্রহণ বা চাকরি করার সময়গুলোতে মাঝে দীর্ঘকালীন কোনো বিরতি থাকা যাবে না। যদি এক মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি না করা হয়, তাহলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে।)
• এক পৃষ্ঠার কভার লেটার বা মোটিভেশন লেটার: যোগাযোগ ও দক্ষতার তথ্যসহ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে
• পূর্ববর্তী কর্মসংস্থান থেকে কাজের রেফারেন্স বা পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের নিকট থেকে সুপারিশের চিঠি কিংবা নিদেনপক্ষে পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের যোগাযোগের তথ্য (কোম্পানির নাম, ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ও প্রার্থীর পদবি)
• মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট: সংযুক্তিতে থাকবে জেডএবি থেকে মূল্যায়ন বা তুলনামূলক বিবৃতি (এই নথিপত্র যদি বাংলা ভাষায় থাকে তবে সেগুলোর জার্মান বা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় প্রত্যয়িত অনূদিত সংস্করণ জমা দিতে হবে)
• জার্মান ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (সিইএফআর অনুযায়ী ন্যূনতম বি১)
• সম্পূর্ণ পূরণকৃত তথ্য সুরক্ষা ঘোষণা ফর্ম
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়কাল
আবেদনসহ যাবতীয় নথি পাঠানোর পর অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানির পক্ষ থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে অনলাইন সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ জানানো হবে।
আবেদনের কাগজপত্র যাচাই এবং সাক্ষাৎকারের পর চূড়ান্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এর মাঝে ১ থেকে ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা বা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ই-মেইল ফলোআপ করা যেতে পারে।
আউসবিল্ডুং-এর জন্য ভিসার আবেদন
দীর্ঘকালীন এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য জার্মানির যে ভিসাটি পেতে হবে তা হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী টাইপ-ডি বা ন্যাশনাল ভিসা। ট্রেনিংয়ের জন্য কোম্পানি ঠিক করা হোক বা না হোক; উভয় ক্ষেত্রেই এই ভিসায় আবেদন করতে হবে। এই এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত থাকে। তাই জার্মানিতে পৌঁছে কোম্পানি খোঁজার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ মাস পাওয়া যাবে।
জার্মানির আবেদন পোর্টাল ভিআইডিইএক্সয়ের টাইপ-ডি ভিসার আবেদন ফর্মের লিঙ্ক: https://videx-national.diplo.de/videx। এটি পূরণের পর তা প্রিন্ট করে আবেদনকারী তা নিজে সই করবেন।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
আউসবিল্ডুং ভিসার আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• আবেদনকারীর সইকৃত এবং সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত আবেদন ফর্ম
• জার্মানিতে পৌঁছার দিন থেকে পরবর্তী কমপক্ষে ১২ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট: বিগত ১০ বছরের মধ্যে ইস্যুকৃত হতে হবে এবং তাতে ভিসার সীল যুক্ত করার জন্য কমপক্ষে ২টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে)
• সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (বিগত ৬ মাসের বেশি পুরাতন হওয়া যাবে না)
• প্রদানকৃত তথ্যের সুরক্ষার্থে সই করা সম্মতির ঘোষণাপত্র:
(https://dhaka.diplo.de/bd-en/service/visa-einreise/-/2669542)
• স্বাস্থ্য বিমা: (ভিসা সংগ্রহের সময় এই প্রমাণ দেখাতে হবে) প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ সময়কালের জন্য ন্যূনতম ৩০ হাজার ইউরো (৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ১১৭ টাকা)
• অথবা, একটি সরকারি জার্মান স্বাস্থ্য বিমার প্রমাণ: জার্মান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি এবং সঙ্গে প্রথম ৩ সপ্তাহের একটি স্বাস্থ্য ও ভ্রমণ বিমা
• পূর্ণ ঠিকানাসহ জার্মানিতে বাসস্থানের প্রমাণ: (কোনো পরিবারের সঙ্গে থাকা হলে তাদের পক্ষ থেকে লিখিত আমন্ত্রণপত্র, অথবা হোটেল বুকিং)
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
ভোকেশনাল ট্রেনিং-এ যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যে কাগজগুলো প্রয়োজন হবে
• জার্মানিতে একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রশিক্ষণের চুক্তিপত্র
• আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: প্রতি মাসে কমপক্ষে ৯০৩ ইউরো (১ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৯ টাকা)। অন্তত প্রথম বছরের তহবিলের (১০ হাজার ৮৩৬ ইউরো বা ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৬ টাকা) ব্লক অ্যাকাউন্ট। কোম্পানিরে পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ভাতা প্রমাণ হিসেবে দেখানো যাবে। তবে তা অপর্যাপ্ত হলে বাকি অর্থ ব্লক অ্যাকাউন্টে দেখাতে হবে।
ভোকেশনাল ট্রেনিং কোম্পানি খোঁজার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যে নথি সংযুক্ত করতে হবে
• মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট: শংসাপত্র জার্মানি মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কর্তৃক স্বীকৃত কিনা তার জন্য জেডএবি থেকে তুলনামূলক বিবৃতি
• বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
• জার্মানিতে জীবনযাত্রার খরচ ও রিটার্ন ফ্লাইটের পর্যাপ্ত তহবিল: জীবনযাত্রার খরচ বাবদ মাসে কমপক্ষে ১ হাজার ২৭ ইউরো (১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৮ টাকা) করে অন্তত প্রথম বছরের জন্য ১২ হাজার ৩২৪ ইউরো (১৬ লাখ ২৩ হাজার ৯৪১ টাকা)
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং এবং ইন্টারভিউ
জার্মান দূতাবাসের ওয়েবসাইটে (https://dhaka.diplo.de/bd-en/service/kontakt-formular) যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
এখানে প্রথম ই-মেইলের ফিরতি ই-মেইল হিসেবে সব নথি জমা দিতে বলা হবে। অতঃপর পরবর্তীতে আরও একটি ই-মেইলের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন ভিসার সবগুলো কাগজপত্রের হার্ড কপি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
জার্মান দূতাবাসের ঠিকানা: ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির দূতাবাস, ১১ মাদানী এভিনিউ, বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক ইনক্লেভ, ঢাকা-১২১২।
ভিসা ফি এবং ভিসাপ্রাপ্তির সময়
আউসবিল্ডুংয়ের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ খরচ ৭৫ ইউরো (৯ হাজার ৮৮৩ টাকা)। মূলত দেশ থেকে জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে এই ধরণের এন্ট্রি ভিসার কাজ খুব দ্রুত হয়ে যায়। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন লাগতে পারে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
জার্মানিতে পৌঁছে চূড়ান্ত রেসিডেন্ট পারমিট সংগ্রহ
এন্ট্রি ভিসা নিয়ে জার্মানি পৌঁছে প্রথম কাজ হচ্ছে রেসিডেন্স রেজিস্ট্রেশন অফিসে যেয়ে জার্মানিতে প্রার্থীর বাড়ির ঠিকানা নিবন্ধন করা। তারপর স্থানীয় ভিসা অফিসে রেসিডেন্ট পারমিটের আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এটিই সেই পারমিট, যার মাধ্যমে আউসবিল্ডুংয়ের পুরো সময়টাতে জার্মানিতে থাকার অনুমতি পাওয়া যাবে।
ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের সঙ্গে আগে থেকে চুক্তি না করে জার্মানি এলে বাড়ির ঠিকানা নিবন্ধনের পরপরই শুরু করে দিতে হবে কোম্পানি খোঁজা। কেননা রেসিডেন্ট পারমিট আবেদনের প্রথম শর্তই হচ্ছে আউসবিল্ডুংয়ের চুক্তিপত্র।
এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রেসিডেন্ট পারমিট নেওয়া অপরিহার্য। এই পারমিট সংগ্রহের জন্য খরচ হতে পারে ১০০ ইউরো (১৩ হাজার ১৭৭ টাকা)।
শেষাংশ
জার্মানির আউসবিল্ডুং বা ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা তত্ত্বীয় জ্ঞান ও হাতে-কলমে শিক্ষার এক কার্যকর সমন্বয়। বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের মানোন্নয়নের জন্য তো বটেই, অদক্ষ নাগরিকদের জন্যও এটি এক যুগান্তকারি সম্ভাবনা। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পারিশ্রমিক লাভের এই সুযোগ অর্জন করার প্রথম শর্ত হলো জার্মান ভাষা শিক্ষা। বাকি থাকে জার্মান কোম্পানির কাছ থেকে প্রশিক্ষণের চুক্তিপত্র গ্রহণ। বাংলাদেশে থাকা অবস্থাতেই এটি সম্ভব হলে ভিসাসহ পুরো প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে জার্মানিতে পৌঁছে কোম্পানি খোঁজার বিড়ম্বনা থাকে না।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ মাস আগে
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড: বাংলাদেশ থেকে আবেদন পদ্ধতি ও বিস্তারিত
ইউরোপের যে রাষ্ট্রগুলো কর্মজীবন ও অবকাশ যাপনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলেছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথম সারির দেশ জার্মানি। দেশটির কর্মজীবীদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক হার যে কোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। শেনজেনভুক্ত দেশটির কর্মচারীদের সাপ্তাহিক গড় কর্মঘণ্টার সংখ্যা গোটা ইউরোপের গড় কর্মঘণ্টার থেকে কম। সঙ্গত কারণেই ইইউ (ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন) সদস্য রাষ্ট্রটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সম্প্রতি তাদের অপরচুনিটি কার্ডের প্রণয়ন এই সুযোগকে একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপ দিয়েছে। চলুন, জার্মান অপরচুনিটি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কি
ইইউ, ইইএ (ইউরোপীয়ান ইকোনমিক এরিয়া) কিংবা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের জন্য চাকরির উদ্দেশ্যে জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি হলো অপরচুনিটি কার্ড। এটি মূলত একটি রেসিডেন্ট পার্মিট, যার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর এবং এই সময়ের মধ্যেই কার্ডধারীকে চাকরির ব্যবস্থা করতে হয়। স্বভাবতই কার্ডটি সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানের যোগ্যতা স্বরূপ যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হয়।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কাদের জন্য
ইইউ, ইইএ বা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর প্রধানত দুই ধরনের নাগরিকদের এই কার্ড সরবরাহ করা হয়।
১/ সম্পূর্ণ জার্মানি স্বীকৃত পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী:
যাদের পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ করতে পারে এমন জার্মানি স্বীকৃত কোনো শিক্ষাগত বা পেশাগত সনদ রয়েছে। এই যোগ্যতা অর্জন নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা জার্মানিতে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হতে পারে
২/ যারা এখনও নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত কর্মী নন, তবে নিম্নোক্ত শর্তগুলো পূরণ করেছেন-
· জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন
· জার্মানির কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ২ বছরের ভোকেশনাল ট্রেনিং নেওয়া
· কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজেস বা সিইএফআর অনুসারে কমপক্ষে লেভেল-এ১ জার্মান ভাষা দক্ষতা বা কমপক্ষে লেভেল-বি২ ইংরেজি ভাষা দক্ষতা। আইইএলটিএস স্কোর ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৫, আর টোফেল আইবিটি-তে ৭২ থেকে ৯৪ সিইএফআর লেভেল বি২ এর সমতুল্য।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের পয়েন্ট সিস্টেম
২য় ক্যাটাগরির শর্তগুলো সুক্ষ্মভাবে যাচাইয়ের জন্য সেগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট আরোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে যারা ন্যূনতম ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে পারে তাদের কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মানদণ্ডগুলোতে পয়েন্ট বণ্টন পদ্ধতি নিম্নরূপ-
যোগ্যতার সমতা: (৪ পয়েন্ট)
সম্পন্নকৃত ডিগ্রি বা ট্রেনিং আংশিকভাবে সমতুল্য প্রমাণিত হলে ৪ পয়েন্ট যুক্ত হবে। যে দক্ষতাগুলো চূড়ান্তভাবে অনুশীলনের জন্য লাইসেন্স নিতে হয়, সেগুলোর লাইসেন্স হওয়ার আগেও ৪ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। তবে রেসিডেন্ট পার্মিটের আগে অবশ্যই লাইসেন্স পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে।
সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশার যোগ্যতা: (১ পয়েন্ট)
জার্মানির চাকরির বাজারে যে ডিগ্রি বা ভোকেশনাল ট্রেনিংগুলোর সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর জন্য নির্ধারিত ১ পয়েন্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইনিং ম্যানেজার, হেল্থ সার্ভিস ম্যানেজার, কেমিস্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক এবং মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপার।
জার্মানিতে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশাগুলোর পূর্ণ তালিকা এই লিংকে পাওয়া যাবে-
https://www.make-it-in-germany.com/fileadmin/1_Rebrush_2022/a_Fachkraefte/PDF-Dateien/3_Visum_u_Aufenthalt/2024_Mangelberufe_EN.pdf
পেশাগত অভিজ্ঞতা: (২ থেকে ৩ পয়েন্ট)
স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তার প্রাসঙ্গিক পেশায় বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রার্থী ২ পয়েন্ট পাবেন। আর বিগত সর্বোচ্চ ৭ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া হবে ৩ পয়েন্ট পাবেন।
ভাষা দক্ষতা: (১ থেকে ৪ পয়েন্ট)
জার্মান ভাষা পারদর্শিতার জন্য সিইএফআর অনুযায়ী এ২ লেভেলের জন্য রয়েছে ১ পয়েন্ট। লেভেল বি১-এ ২ এবং লেভেল বি২ বা তার উপরের স্তরের জন্য নির্ধারিত ৩ পয়েন্ট। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ১ পয়েন্ট যোগ হবে যদি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা লেভেল সি১ বা তার উপরে থাকে, অথবা প্রার্থী যদি নেটিভ স্পিকার হন।
বয়স: (১ থেকে ২ পয়েন্ট)
অনুর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি প্রার্থীদের জন্য থাকবে ২ পয়েন্ট। ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা পাবেন ১ পয়েন্ট।
জার্মানিতে বসবাসের রেকর্ড: (১ পয়েন্ট)
বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৬ মাস ধরে জার্মানিতে বৈধভাবে বসবাস করলে তার জন্য ১ পয়েন্ট যুক্ত হবে। এই বসবাস বেড়ানো, অধ্যয়ন, কিংবা কাজ যে কোনো উদ্দেশ্যে হতে পারে।
স্বামী বা স্ত্রীর দক্ষ কর্মী হওয়া: (১ পয়েন্ট)
আবেদনকারী দম্পতির যে কোনো একজন অপরচুনিটি কার্ডের শর্ত পূরণ করলে অন্যজন ১ পয়েন্ট পাবেন।
চূড়ান্ত ভাবে আবেদন প্রস্তুতি শুরুর পূর্বে আবেদনের যোগ্যতা নিচের লিংকে যেয়ে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে-
https://www.make-it-in-germany.com/en/visa-residence/self-check-opportunity-card#c52628
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের সুবিধাগুলো
এই কার্ডের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য জার্মানিতে কাজ খোঁজার অনুমতি দেওয়া হয়। ১ বছর পর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় কার্ডের মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করা যায়। এখানে কার্ডধারীরা চাকরি বা স্ব-নিযুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
এই পার্মিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বমোট ২০ ঘণ্টা এক বা একাধিক খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। চাকরি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কার্ডধারীরা প্রতি কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহের জন্য জব ট্রায়াল করতে পারবেন।
১ মাস আগে
বেকেনবাওয়ারের সম্মানে বায়ার্নের স্টেডিয়ামের ঠিকানা পরিবর্তন
ব্রাজিলের পেলে, আর্জেন্টিনার দিয়েগো মারাদোনার মতোই জার্মানির গর্ব ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার। বিশ্ব ফুটবলে জার্মানিকে তুলে ধরতে তার অবদানের কথা অনস্বীকার্য। এবার এই কিংবদন্তির সম্মানে দারুণ এক পদক্ষেপ নিয়েছে মিউনিখের স্থানীয় সরকার।
বেকেনবাউয়ারের সম্মানে বায়ার্ন মিউনিখের হোম স্টেডিয়াম আলিয়ান্স আরেনার ঠিকানা পরিবর্তন করে ‘বেকেনবাওয়ার স্কয়ার’ নামকরণ করা হয়েছে।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে মিউনিখ প্রশাসন।
এ বিষয়ে মিউনিখের মেয়র ডিটার রাইটার বলেছেন, ‘সড়কের নাম পরিবর্তন করে বেকেনবাওয়ারের প্রতি মরণোত্তর সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হচ্ছে। তার প্রতি আমাদের যে গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ এই নামকরণ।’
আরও পড়ড়ুন: ৯-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একগাদা রেকর্ডে বায়ার্ন মিউনিখ
তিনি বলেন, ‘এই শহরের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের একজন বেকেনবাওয়ার। ফুটবলের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও সাফল্যের মাধ্যমে জার্মানির ক্রীড়া ক্ষেত্রকে তিনি একটি দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিয়ে গেছেন।’
১৯৭৪ সালে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন বেকেনবাওয়ার। এরপর ১৯৯০ সালে তার কোচিংয়ে আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।
কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তিন ফুটবলারের একজন বেকেনবাওয়ার। বাকি দুজন হলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম।
ক্লাব ফুটবলেও অসামান্য সাফল্যের দেখা পান এই ফুটবলার। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে টানা তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) উঁচিয়ে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরমেট: যা জানা প্রয়োজন
মিডফিল্ডার হিসেবে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করলেও ডিফেন্ডার হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় ওঠেন বেকেনবাওয়ার। তবে বিভিন্ন ভূমিকায় খেলার সামর্থ্য ছিল এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও তাকে অবদান রাখতে দেখা গেছে অনেক সময়। এর মাধ্যমে আধুনিক ফুটবলে ‘অ্যাটাকিং সুইপার’ পজিশন সৃষ্টি করেন এই কিংবদন্তি।
৭৮ বছর বয়সে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ব্যালন দ’র জেতা এই ফুটবল মহারথী।
২ মাস আগে
নতি স্বীকার করল না উড়তে থাকা দুই দলের কেউ
উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের তৃতীয় গ্রুপে উড়ন্ত শুরু করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস। জার্মানি হাঙ্গেরিকে ৫-০ ব্যবধানে এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে ৫-২ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের নিজেদের যাত্রা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় রাউন্ডে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ায় এদের মধ্যে কে সেরা, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব। তবে কেউ কারো কাছে নতি স্বীকার না করায় দর্শকদের অপেক্ষা আরও বেড়েছে।
অ্যামস্টারডামের ইয়োহান ক্রইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ম্যাচের শুরুতেই তিজানি রেইন্ডার্সের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৮তম মিনিট ও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে যথাক্রমে ডেসিন উনডাভ ও ইয়োশুয়া কিমিখের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। তবে বিরতি থেকে ফিরেই দলকে সমতায় ফেরান ডাচ উইংব্যাক ডেনসেল ডুমফ্রিস। এরপর আর কোনো গোল না হলে সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময় ডাচরা কোণঠাসা হয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের মেলে ধরে রোনাল্ড কুমানের দল। বল দখলেরও লড়াইয়েও দুই দল একে অপরের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে-পিছিয়ে ছিল না; জার্মানির ৫৭ শতাংশ সময়ে বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের পায়ে বল ছিল ৪৩ শতাংশ সময়।
এছাড়া ম্যাচজুড়ে জার্মানির ১৯ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল, যেখানে নেদারল্যান্ডনের ১১ শটের লক্ষ্যে ছিল চারটি।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে ডাচদের নেশন্স লিগ অভিযান শুরু
এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় মিনিটে রায়ান গ্রাভেনবার্খের বাড়ানো পাস ধরে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিজানি রেইন্ডার্স।
অষ্টম মিনিটে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের লং পাস দেখে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। তবে এগিয়ে এসে কোনোরকমে বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন ডাচ গোলরক্ষক বার্ট ভেরব্রুখেন।
এরপর বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক গোলের সুযোগ খুঁজতে থাকে জার্মানি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ মিনিটে ভিয়ার্টসের পাস ধরে প্রতিপক্ষের বক্সের ঢুকেই ডান পাশ থেকে জোরালো শট নেন কাই হাভার্টস, তবে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে শটটি প্রতিহত করেন ভেরব্রুখেন।
পঞ্চদশ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আসা ক্রসে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলেছিলেন ডেনসেল ডুমফ্রিস। তবে তার জোরালো হেডারটি পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেলে হতাশ হন তিনি।
২ মাস আগে
রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জনে জল ঢাললেন মুসিয়ালা
শিরোপাহীন গত মৌসুম কাটনোর পর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে গড়িমসি করায় জামাল মুসিয়ালার রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়। তবে সব গুঞ্জনে জল ঢেলে তিনি জানিয়েছেন, এখনই বায়ার্ন ছাড়ার পরিকল্পনা নেই তার।
অসাধারণ খেলায় বয়সভিত্তিক ফুটবল থেকেই মুসিয়ালাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়ে যায়। শুরুতে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেললেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির হয়ে নাম লেখান ২১ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান উইঙ্গার।
পেশাদার ফুটবলে মাত্র ১৭ বছর ১১৫ দিন বয়সে অভিষিক্ত হয়ে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তারপর থেকে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমেই উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ। তাই দলবদলের মৌসুম এলেই তাকে ঘিরে গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ রয়েছে মুসিয়ালার। তাকে আলিয়ান্স আরেনায় থিতু করতে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে জামালের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ক্লাবটির কর্তারা। তবে আলোচনায় বসতে দেরি করছেন এই অ্যাটাকার।
আসলে নতুন মৌসুমে ক্লাবের প্রজেক্ট, বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের পারফরম্যান্স- এসব বিবেচনায় নিয়েই মূলত ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, তার ওপর নজর পড়েছে নতুন দিনের গ্যালাক্টিকো তৈরির চেষ্টায় থাকা রিয়াল মাদ্রিদের। আর এই কাজে সহায়তা করছে ইংলিশ ফুটবল খেলার সময় জামালের তৎকালীন সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম।
তবে সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন আসতেই ডালপালাসহ গুঞ্জনটি উপড়ে ফেলেছেন মুসিয়ালা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
জার্মান দৈনিক ভেল্ট আম জনটাগকে তিনি বলেছেন, ‘বায়ার্নে আমি খুবই সুখে আছি। এখানে আমার পরবর্তী লক্ষ্যগুলো পূরণেই আপাতত কাজ করছি। বেলিংহ্যামের মতো বিদেশের ক্লাবে খেলব কি না, তা নিয়ে এখন ভাবছি না।’
‘আগামী পাঁচ বছরে আমি কোথায় থাকব, তা নিয়ে ভাবার সময় এখন নয়। ফুটবলে যে কোনোকিছুই দ্রুত বদলে যেতে পারে।’
উয়েফা নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মুসিয়ালা। শনিবার রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়ের ম্যাচে একটি গোল ও অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করে আরও একবার নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্যের সাক্ষর রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধের ম্যাচে হাঙ্গেরির জালে জার্মানির গোল উৎসব
২ মাস আগে
প্রতিশোধের ম্যাচে হাঙ্গেরির জালে জার্মানির গোল উৎসব
নেশন্স লিগের গত আসরে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে হাঙ্গেরির বিপক্ষে হেরে নকআউট পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয় জার্মানি। এবারের আসরেও সেই দলটিকে পেয়ে বড় ব্যবধানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।
ডুসেলডর্ফের মেরকুর-শ্পিল আরেনায় শনিবার রাতে নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের তৃতীয় গ্রুপের ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মানি।
এদিন পাঁচটি গোলের প্রত্যেকটি পেয়েছে নতুন দিনের জার্মান দলের প্রতিভাবান পাঁচ খেলোয়াড়। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে জার্মানির গোলের খাতা খোলেন নিকলাস ফুলক্রুগ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮, ৬৬, ৭৭ ও ৮১তম মিনিটে আরও চারটি গোল করেন যথাক্রমে জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস, আলেক্সান্ডার পাবলোভিচ ও কাই হাভার্টস।
এদিন একটি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচসেরা হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ ২১ বছর বয়সী প্রতিভাবান অ্যাটাকার মুসিয়ালা। পেনাল্টিতে একটি গোল ছাড়া ওপেন প্লে থেকে হওয়া চার গোলেই অবদান রাখেন এই তরুণ।
ইউরোর পর অবসরে যাওয়ায় থমাস মুলার, টনি ক্রুস, মানুয়েল নয়ার ও অধিনায়ক ইলকাই গুনডোগানকে ছাড়া এদিন কার্যত তরুণ এক দল নিয়ে নবযাত্রা শুরু হয় জার্মানির।
এছাড়া নয়ারের অবসরে অভিষেকের ১২ বছর পর ১ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামার সুযোগ পান বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। তবে মাঠের খেলায় গোলের সামনে আস্থার পরিচয়ই দিয়েছেন তিনি। হাঙ্গেরির অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন: জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু
ম্যাচের শুরুতে থেকেই স্বাগতিক জার্মানিকে সমানে টক্কর দিতে থাকে ইউরোপের ‘ব্ল্যাক হর্স’ খ্যাত হাঙ্গেরি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগটিও তৈরি করে তারা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অষ্টম মিনিটে প্রথম প্রচেষ্টাতেই গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে জার্মানি। ডান পাশ থেকে আসা কর্নার হেডারে দূরের পোস্টের দিকে পাঠান জার্মান ডিফেন্ডার ইয়োনাথন টাহ, হাঙ্গেরির গোলরক্ষক পিটার গুলাশি তখন অন্যপ্রান্ত থেকে চেয়ে চেয়ে দেখছেন, কিন্তু গোললাইন থেকে আরেক হেডারে বল ক্লিয়ার করে দলকে বিপদমুক্ত করেন হাঙ্গেরির লিভারপুল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবসলাই।
ত্রয়োদশ মিনিটে হাঙ্গেরি মিডফিল্ডার মিলোস কারকেসের দূর থেকে নেওয়া বুলেট শট পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে জার্মানি আক্রমণে উঠলেও শেষ মুহূর্তে সঠিক সময়ে এগিয়ে এসে বল তালুবন্দি করেন গুলাশি।
এরপর ২০তম মিনিটে গুলাশির একক নৈপুণ্যে গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় হাঙ্গেরি। হঠাৎ ক্ষিপ্র গতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে হাঙ্গেরির ডিফেন্ডারদের হকচকিয়ে দেয় জার্মানি। প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে তাদের দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জের সামনে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করে জার্মানির তিন ফুটবলার। তবে ডান পাশে বক্সের ভেতরে ঢুকে নিকলাস ফুলক্রুগের নেওয়া জোরালো শট প্রতিহত করেন গুলাশি।
তবে ম্যাচের ২৭তম ম্যাচে জার্মানির সম্মিলিত প্রচেষ্টার কাছে হার মানতে বাধ্য হন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক।
প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বল নড়াচড়া করতে করতে হঠাৎ ডানপাশে বক্সের ভেতরে ঢুকে বিপরীত পাশে ফাঁকায় থাকা ডেভিড রাউমকে উড়িয়ে পাস দেন ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। রাউম গোলমুখে মাটি কামড়ানো জোরালো ক্রস দিলে তা ধরে শট না নিয়ে ডান পাশে থাকা ফুলক্রুগকে বাড়ান জামাল মুসিয়ালা। আর প্রথম টোকাতেই বল জালে জড়িয়ে দেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
৩২তম মিনিটে হাঙ্গেরির একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সতীর্থের ক্রস পেয়ে বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই ভলি করেন রোনাল্ড সালাই, কিন্তু শটটি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
পরের অন্তত ১৫ মিনিট আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালালেও তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউ। এরপর বিরতির আগে নির্ধারিত সময়ের কয়েক মুহূর্ত আগে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ডান পাশ থেকে দূরের পোস্টে জোরালো শট দিলেও কাই হাভার্টসের শটটি পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ফুলক্রুগের গড়ে দেওয়া ব্যবধানেই বিরতিতে যায় জার্মানি।
২ মাস আগে
জার্মানিতে উৎসবে ছুরি হামলায় নিহত ৩, গুরুতর আহত ৫
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় সোলিনজেন শহরে একটি উৎসবে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত আরও পাঁচজন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে এক ব্যক্তির ছুরি হামলায় এসব হতাহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রাত সাড়ে ৯টার কিছু পরে একজন অজ্ঞাত হামলাকারীর বিষয়ে পুলিশকে জানায়। তারা বলেছে, কেন্দ্রীয় স্কয়ার ফ্রনহফে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী পলাতক রয়েছেন। এখন পর্যন্ত হামলাকারী সম্পর্কে তাদের কাছে খুব বেশি তথ্য নেই।
তারা জানিয়েছে, হামলাকারী একাই আহত ও নিহতদেরকে ছুরিকাঘাত করেছে।
উৎসবের আয়োজকদের একজন ফিলিপ মুলার মঞ্চে উঠে উৎসবে আগতদের উদ্দেশে বলেন,দয়া করে চোখ কান খোলা রেখে 'শান্তভাবে যান।’কারণ, দুর্ভাগ্যবশত অপরাধী ধরা পড়েনি।’
তিনি বলেন, 'ছুরিকাঘাতে' অনেকে আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর আকাশে অন্তত একটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক পুলিশ ও জরুরি যানবাহন রাস্তায় অবস্থান নেয়। বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানে ছুরি হামলায় নিহত ৩
পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে অঞ্চলটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা হারবার্ট রেউল শনিবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুতর আহত হওয়ার সংখ্যা ছয়জন বলে জানান।
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেউল বলেন, 'আমরা কেউই জানি না কেন হামলাটি চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, “হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। হামলাকারী কে ছিল তা স্পষ্ট নয়, তবে হামলাকারী ‘খুব দ্রুতই’ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।”
এদিকে জার্মানির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফাইজার অস্ত্র আইন কঠোর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মাধ্যমে কেবল ৬ সেন্টিমিটার (প্রায় ২ দশমিক ৪ ইঞ্চি) মাপের ব্লেডযুক্ত ছুরি জনসম্মুখে বহনের অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১২ সেন্টিমিটার (৪ দশমিক ৭ ইঞ্চি) ছুরি জনসম্মুখে আনার অনুমতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে ছুরি হামলায় ৩ শিশু নিহত
৩ মাস আগে
এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
বয়স বেড়ে চললেও বিশ্রাম নেওয়ার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন জার্মান ফুটবল দলের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে ১৫টি বসন্ত পার করে এবার আন্তার্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি।
২০০৯ সালে জার্মানির জাতীয় দলে অভিষেক হয় ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের। এরপর থেকে দলটির গোলপোস্টের নিচে এতদিন একক আধিপত্য বিস্তার করে ছিলেন তিনি। মাঝে আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপও জেতেন তিনি।
গত ১৫ বছরে জাতীয় দলের জার্সিতে ১২৪ ম্যাচ খেলেছেন নয়ার, যার মধ্যে ৪৯ ম্যাচেই গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দিয়ে নয়ার লেখেন, ‘জার্মান জাতীয় দলে আমার শেষ দিন আজ। আমাকে যারা চেনেন, তারা নিশ্চয় জানেন যে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘শারীরিকভাবে আমি এখনও পুরোপুরি ফিট, তাই আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সবাই আমাকে (দলে) থেকে যেতে বলেছিলেন। তবে আমার কাছে জাতীয় দলের অধ্যায় শেষ করার এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
নয়ারের অবসরের ঘোষণার পর জার্মান ফুটবল ফেডারেশন থেকে তাকে ‘সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের একজন’ খেতাব দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফেডারেশন লিখেছে, ‘তোমার জন্য লেখা সব শব্দই ছোট হয়ে যাবে। তবে তার সবই হৃদয় থেকে লিখছি: ধন্যবাদ মানু (মানুয়েল)।’
‘তোমার অনন্য, অসামান্য সাফল্যের জন্য অভিনন্দন। বিশেষ করে দল ও সতীর্থদের জন্য তোমার উৎসর্গ, বন্ধুত্ব এবং কোটি কোটি ভক্ত ও ফুটবলারদের জন্য তুমি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গোলকিপিংয়ের ধরনই বদলে দিয়েছ তুমি, যেমনটি করেছ দলের খেলায়। একজন অধিনায়ক হিসেবে, রোল মডেল হিসেবে, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও একজন বন্ধু হিসেবে আমরা তোমাকে মিস করব।’
মাঠে নেমে শুধু গোলপোস্ট রক্ষা করাই নয়, একজন ডিফেন্ডারের কাজও করে গোলকিপিংয়ে নতুন যুগের সূচনাকারীদের একজন হয়ে ওঠেন নয়ার। তিনি মাঠে থাকলে বাড়তি সুবিধা পায় তার সতীর্থরা।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
তার জার্মান সতীর্থ ইলকাই গুন্ডোগান অবসরের ঘোষণা দেওয়ার দুদিন পর তিনিও বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিয়ে দিলেন।
এর আগে, ইউরো আসর শেষে অবসরের ঘোষণা দেন টমাস মুলার ও টনি ক্রুস। তারপর থেকে জার্মান জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ফুটবলাররা একে একে অবসরের ঘোষণা দিতে শুরু করেছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন নয়ার।
তবে জাতীয় দল ছাড়লেও ক্লাবে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
৩ মাস আগে
বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই বার্সেলোনা ছাড়তে হচ্ছে- এমন গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন জার্মানির অধিনায়ক ইলকাই গুনডোগান।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নিজের বিদায়বার্তা লেখেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডার।
৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার লেখেন, ‘কয়েক সপ্তাহ চিন্তাভাবনার পর আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, জাতীয় দল থেকে আমার অবসর নেওয়ার সময় এসেছে।’
‘২০১১ সালে যখন জাতীয় দলে আমার অভিষেক হয় তখন স্বপ্নেও ভাবিনি যে, দেশের হয়ে আমি ৮২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। এখন ফিরে তাকালে এ নিয়ে শুধুই গর্ব হয়।’
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে নেমে ১৯টি গোল করেছেন গুনডোগান। সর্বশেষ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করে স্পেনের কাছে হেরে গেলেও নিজ দেশের সমর্থকদের পাশাপাশি ফুটবলবোদ্ধা, সমালোচক, এমনকি প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়ায় গুনডোগানের দল।
আরও পড়ুন: স্বর্গীয় ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মানতে হলো জার্মানির
ওই ম্যাচটিই জাতীয় দলে তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। সেমিফাইনালে হারের পর জাতীয় দলকে বিদায় জানান ফরোয়ার্ড টমাস মুলার ও মিডফিল্ডার টনি ক্রুসও।
অধিনায়ক হয় জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতে পারাটা যে তার কাছে কতটা সম্মানের, বিদায়বেলায় সে কথাই ঝরল তার কণ্ঠে।
‘ইউরোয় দলকে নেতৃত্ব দিতে পারাই ছিল জাতীয় দলে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সম্মানের বিষয়।’
তবে ইউরো শুরুর আগেই অবসরে যাওয়ার কথা তারা মাথায় আসে বলে জানান এ মিডফিল্ডার।
‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শরীর ও মনে এক ধরনের ক্লান্তি অনুভব করছিলাম আমি। বিষয়টি আমাকে (অবসর নিয়ে) ভাবনার শুরুটা এনে দেয়। তাছাড়া ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে (বর্তমানে) কম ম্যাচও খেলা হচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েকটি বড় আসরে একেবারেই ভালো কাটেনি জার্মানির। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় চারবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। এর মাঝে ২০২০ সালের ইউরোতেও শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
এছাড়া, উয়েফা নেশন্স লিগেও গত কয়েক মৌসুম ধরে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে গ্রুপপর্বে টেবিলের তিনে থেকে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন হয় জার্মানির। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে মূলপর্বে উঠে সেমিফাইনাল খেললেও সেখানে স্পেনের কাছে ৬-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় তারা। সবশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে ইতালি ও হাঙ্গেরির বিপক্ষে খেলে ফের একবার গ্রুপপর্ব পার করতে ব্যর্থ হয় তারা, এমনকি তৃতীয় ও শেষ দল হিসেবে আবারও দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন হয় দলটির।
সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া নেশন্স লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমে ফের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। গ্রুপ-৩ এ এবার তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা।
৩ মাস আগে