উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের তৃতীয় গ্রুপে উড়ন্ত শুরু করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস। জার্মানি হাঙ্গেরিকে ৫-০ ব্যবধানে এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে ৫-২ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের নিজেদের যাত্রা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় রাউন্ডে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ায় এদের মধ্যে কে সেরা, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব। তবে কেউ কারো কাছে নতি স্বীকার না করায় দর্শকদের অপেক্ষা আরও বেড়েছে।
অ্যামস্টারডামের ইয়োহান ক্রইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ম্যাচের শুরুতেই তিজানি রেইন্ডার্সের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৮তম মিনিট ও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে যথাক্রমে ডেসিন উনডাভ ও ইয়োশুয়া কিমিখের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। তবে বিরতি থেকে ফিরেই দলকে সমতায় ফেরান ডাচ উইংব্যাক ডেনসেল ডুমফ্রিস। এরপর আর কোনো গোল না হলে সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময় ডাচরা কোণঠাসা হয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের মেলে ধরে রোনাল্ড কুমানের দল। বল দখলেরও লড়াইয়েও দুই দল একে অপরের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে-পিছিয়ে ছিল না; জার্মানির ৫৭ শতাংশ সময়ে বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের পায়ে বল ছিল ৪৩ শতাংশ সময়।
এছাড়া ম্যাচজুড়ে জার্মানির ১৯ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল, যেখানে নেদারল্যান্ডনের ১১ শটের লক্ষ্যে ছিল চারটি।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে ডাচদের নেশন্স লিগ অভিযান শুরু
এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় মিনিটে রায়ান গ্রাভেনবার্খের বাড়ানো পাস ধরে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিজানি রেইন্ডার্স।
অষ্টম মিনিটে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের লং পাস দেখে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। তবে এগিয়ে এসে কোনোরকমে বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন ডাচ গোলরক্ষক বার্ট ভেরব্রুখেন।
এরপর বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক গোলের সুযোগ খুঁজতে থাকে জার্মানি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ মিনিটে ভিয়ার্টসের পাস ধরে প্রতিপক্ষের বক্সের ঢুকেই ডান পাশ থেকে জোরালো শট নেন কাই হাভার্টস, তবে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে শটটি প্রতিহত করেন ভেরব্রুখেন।
পঞ্চদশ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আসা ক্রসে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলেছিলেন ডেনসেল ডুমফ্রিস। তবে তার জোরালো হেডারটি পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেলে হতাশ হন তিনি।