ভারী বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-তে পরিণত হয়ে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হতে পারে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
৩ সপ্তাহ আগে
ভারী বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী
শনিবার সকালে বজ্রপাত ও দমকা হাওয়াসহ ভারী বর্ষণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঢাকার বাসিন্দাদের।
বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নিচু এলাকা ও বেশ কিছু গলি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সকালে বের হওয়া মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাভাবিক হতে থাকে।
দুর্গাপূজার ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে মন্দিরমুখী হিন্দু ভক্তরা সমস্যায় পড়েন।
কিছু বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় পরিবহন সংকটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অফিসগামীদের।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি' পর্যায়ে
বৃষ্টি সকাল ৬টার দিকে শুরু হয়ে তা সকাল ৭ টা পর্যন্ত চলে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাত কমেতে পারে। তারপর আবার বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ মাস আগে
বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিপাত হয় ও প্রচন্ড ঝড় আঘাত হানে দেশটিতে।
বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে উদ্ধারকর্মীরা। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় স্বেচ্ছাসেবক ও সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাবলানিকার স্থানীয় প্রশাসনের মুখপাত্র ডার্কো জুকান জানিয়েছেন, অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জুকান হেলেজ এন১ আঞ্চলিক টেলিভিশনকে বলেছেন, সৈন্যদের সহায়তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে এবং হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
হেলেজ বলেন, 'ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা নতুন আক্রান্তের খবর পাচ্ছি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সবাইকে পাঠিয়েছি। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে ভূমিধসের কারণে যেসব মানুষ জীবিত আছেন ও মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে তাদের উদ্ধার করা।’
জাবলানিকা ও কিসেলজাক শহরের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সারারাত বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল এবং সেলফোন সেবা বন্ধ ছিল। মোবাইল ফোন সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জাবলানিকা ফায়ার স্টেশন জানিয়েছে, রাস্তা ও ট্রেনলাইন বন্ধ থাকায় শহরটি পুরোপুরি দুর্গম হয়ে পড়েছে।
প্রদেশের উদ্ধারকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পুলিশ আমাদের জানিয়েছে রেলপথও অবরুদ্ধ করে হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে আপনি জাবলানিকার ভেতরে বা বের হতে পারবেন না। ল্যান্ডলাইন ফোন কাজ করছে, কিন্তু মোবাইল ফোনের কোনও নেটওয়ার্ক নেই।’
আরও পড়ুন: সিসিলি উপকূল থেকে ৬ ‘অভিবাসনপ্রত্যাশীর’ লাশ উদ্ধার
এই এলাকার জনগণকে প্লাবিত রাস্তায় বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বসনিয়ার গণমাধ্যমে প্রচারিত ড্রোনের সাহায্যে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে গ্রাম ও শহরগুলো পুরোপুরি পানির নিচে ডুবেছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কাদা ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা দেখা গেছে।
দেশটির নাগরিক সুরক্ষা পরিষেবা বলছে, ‘ব্যাপক পানি ও ভূমিধসের কারণে বহু মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভুক্তভোগী এবং অনেক আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।’
কর্তৃপক্ষ লোকজনকে উপরের তলায় থাকার আহ্বান জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ভবনগুলোর নিচতলায় পানি দ্রুত ভরে যাওয়ায় গৃহপালিত পশু ও গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
তুমুল বাতাসের কারণে অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের দক্ষিণ উপকূলে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ক্রোয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম হুমকিতে পড়েছে।
বসনিয়ার দক্ষিণে মন্টেনিগ্রোতেও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে কিছু গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পেন যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৯, নিখোঁজ ৪৮
১ মাস আগে
ভারী বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
ভারী বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী শহরের বাতাস এখন ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৬৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩১।
অন্যদিকে পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা যথাক্রমে ২২০, ১৭৯ ও ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
১ মাস আগে
একাধিক মাস্টারপ্ল্যান, ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে ঢাকা
দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হলেই ঢাকার সড়কগুলো যেন পরিণত হয় জলাশয়ে। দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। কোথাও হাঁটুপানি-কোথাও বা কোমর পানি মাড়িয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়। রাজধানীর বাসিন্দা হলেও অনেকের ঘর-বাড়িতে ঢুকে যায় বৃষ্টির পানি।
প্রায় চারদিকেই নদীবেষ্টিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন গত ৪-৫ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতে নিয়েছে একাধিক মহাপরিকল্পনা। খাল ও ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কারে ব্যয় করেছে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু যার কোনো ইতিবাচক ফল দেখা যায়নি। বরং জলাবদ্ধতার মাত্রা বাড়ছে দিনকে দিন।
টানা কিছু সময় বৃষ্টি হলে শহরের বুকে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুক্ত হয় অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থার বিপর্যয়। যানবাহনের অভাব, জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া, বৃষ্টি ও পানির অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা দুর্ভোগে নাজেহাল হতে হয় ঢাকাবাসীকে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা। বিশেষ করে যথাযথভাবে ড্রেনেজ, খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার না করায় এসব আটকে নালা ও ড্রেনেজ সিস্টেমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলোও সুপরিকল্পিতভাবে হয়নি। আর বিভিন্ন কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন ও সরকারের অন্য সংস্থার মধ্যে তেমন সমন্বয়ও থাকে না। ফলে জলাবদ্ধতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করেই বছরের পর বছর পার করছে সংস্থাগুলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করার পর তা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন কাজ শেষ হওয়ার পর তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে খাল ও ড্রেনের মুখ আবার ভরাট হয়ে যায়। তাই কাজ বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণ ও জবাবদিহি থাকা দরকার।’
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আমরা নিজেরা নদী ও খালগুলো গলা টিপে হত্যা করেছি। প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল খালগুলো। তা আমরা ভরাট করেছি বক্স কালভার্ট বানিয়ে। এখন আবার খাল উদ্ধার নামে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার অংক বাড়ালেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানায়, বিভিন্ন সময় খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বাজেটে ড্রেনেজ সংস্কার ও ময়লা পরিস্কারে আরও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সমাধান হয়নি জলাবদ্ধতার। সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা দ্রুত সময়ে নিষ্কাশন করার সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু এর বেশি বৃষ্টি হলে নিরুপায় সিটি করপোরেশন।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
পানি নিরসনে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তারপরও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে। খরচের মধ্যে খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন ১৩৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১০৪টি পয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির খালগুলো সংস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষা মৌসুমের আগেই ড্রেনেজ পরিষ্কার করা হয়। তারপরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হলে জলাববদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে অনেক স্থানে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করেই জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক পয়েন্টের কাজ শেষ হলে আবার নতুন পয়েন্ট যুক্ত হয়। তাই ঢাকার খালগুলো সচল না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প নেই। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু খরচ হয়েছে আরও কিছু বাকি আছে।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চারটি খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন পায়। ৮৯৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুনে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণের জলাবদ্ধতা অনেকটাই নিরসন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: স্পঞ্জ সিটি: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বন্যা-জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান
১ মাস আগে
মৌসুমের প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘আলবার্তো’র আঘাতে টেক্সাস-মেক্সিকোতে ভারী বৃষ্টি, নিহত ৩
মৌসুমের প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আলবার্তো উত্তর-পূর্ব মেক্সিকোতে আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এই ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির ফলে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র খরায় ভুগছে থাকা অঞ্চলে আশাও জাগিয়েছে ঝড় আলবার্তো।
মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ আলবার্তোর প্রভাবে সৃষ্ট ঝুঁকিকে খুব সামান্য গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বরং এর পরিবর্তে তীব্র খড়ায় ভুগতে থাকা অঞ্চলের পানির চাহিদা সহজ করায় তাদের আশা জাগিয়েছে।
ঝড়টি স্থলভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারণা হচ্ছে। তবে মেক্সিকোর তামাউলিপাস, নুয়েভো লিওন ও কোয়াহুইলা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ টেক্সাসে কয়েক মিলিমিটার অতি প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত বয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি
বুধবার (১৯ জুন) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তামাউলিপাস রাজ্যের হাইড্রোলজিকাল রিসোর্সেস সেক্রেটারি রাউল কুইরোগা আলভারেজ বলেন, ‘(বাতাসের) গতিবেগ এমন নয় যে এটিকে ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। পরিবর্তে, তিনি জনগণকে আলবার্তোকে আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। ‘আমরা তামাউলিপাসে দীর্ঘ আট বছর ধরে এটির জন্যই অপেক্ষা করেছি।’
মেক্সিকোর বেশিরভাগ অংশ মারাত্মক খরার কবলে পড়েছে। বিশেষত উত্তর মেক্সিকো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুইরোগা উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের জলাধারগুলো কম ছিল এবং মেক্সিকো রিও গ্র্যান্ডে তাদের পানি ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশাল পানির ঋণ পাওনা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি তামাউলিপাসের জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত।’
তবে নিকটবর্তী নুয়েভো লিওন রাজ্যে বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ আলবার্তোর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন ক্লাউদিয়া শাইনবাউম
তারা জানিয়েছে, রাজ্যের রাজধানী মন্টেরি শহরের লা সিলা নদীতে এক ব্যক্তি মারা গেছে এবং আলেন্দে পৌরসভায় বৈদ্যুতিক শকে দুই শিশু মারা গেছে। বৃষ্টির মধ্যে ওই শিশুরা সাইকেল চালাচ্ছিল বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
নুয়েভো লিওনের গভর্নর স্যামুয়েল গার্সিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, আলবার্তোর আঘাতে লোক মারা যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্ন পর্যন্ত মন্টেরিতে মেট্রো ও গণপরিবহন পরিষেবা স্থগিত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, বুধবার রাতে আলবার্তো মেক্সিকোর টাম্পিকো থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬৪ কিলোমিটার) পূর্বে এবং টেক্সাসের ব্রাউনসভিল থেকে প্রায় ২৫০ মাইল (৪০২ কিলোমিটার) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১৩ মাইল বেগে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
স্থানীয়ভাবে বন্যার আশঙ্কায় তামাউলিপাসে সপ্তাহের বাকি সময়ের জন্য স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার আলবার্তো স্থলভাগে দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে এবং থেমে যাবে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় ঝড়ের কবলে নির্বাচনি সমাবেশ, ৯ জন নিহত
৪ মাস আগে
টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা দাবি করছে খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস
মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়া ও হারাংখালী এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি আটকে গেছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
৪ মাস আগে
ভারী বৃষ্টির কারণে ২৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে চীন
সর্বশেষ দফায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ফুজিয়ানের নানপিং, সানমিং ও অন্যান্য শহরের প্রায় সাড়ে ৫১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে প্রায় ২৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
প্রাদেশিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারী বর্ষণের এই সময়ের মধ্যে ফুজিয়ানে ৩ হাজার ১৩৩ হেক্টরেরও বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
গত ৯ জুন সকাল ৮টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত ফুজিয়ানের ৫৫টি কাউন্টির ৩৮৬টি শহরতলিতে ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নানপিং শহরের হুয়াংকেং টাউনশিপে সবচেয়ে বেশি ৫৮১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
প্রদেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরঞ্জাম ও জেনারেটরের সাহায্যে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে স্থানীয় জরুরি মেরামত কর্মীরা নানপিংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
৫ মাস আগে
ভারী বৃষ্টির সময় ও পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ভয়াবহ দাবদাহে প্রাণ যখন প্রায় ওষ্ঠাগত, এক পশলা বৃষ্টি সেখানে যেন আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু বজ্রবৃষ্টি বা ভারী বর্ষণে এই বৃষ্টিই আবার হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। নিরাপদ আশ্রয়ে লুকানোর পরেও বজ্রপাতের দানবীয় গর্জনে হৃদস্পন্দন যেন প্রায় থেমে যাবার জোগার হয়। সেই সঙ্গে বন্যা ও ভূমিধ্বসের মতো তাণ্ডব লীলা ইট-পাথরে মজবুত কাঠামোকেও পরিণত করে ধ্বংসযজ্ঞে। ঝড় থামলেও হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই, কেননা এ সময় শুরু হয় মশা ও নানা কীট-পতঙ্গ জনিত রোগের ভয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সরাসরি মোকাবিলা করা অসম্ভব। কিন্তু আগে থেকে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো জানা থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে। চলুন, ভারী বৃষ্টিকালীন ও এর পরবর্তী সময়ে নিরাপদ থাকার উপায়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
ভারী বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সময় নিরাপদ থাকার উপায়
- গাড়ি চালানো অবস্থায় হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হলে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে দিন। অতিবৃষ্টিতে দিনের বেলায়ও চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এছাড়া পানি লেগে গাড়ির সামনের গ্লাস ঝাপসা হয়ে যায়, যা গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ সময় হেডলাইট জ্বালানো থাকলে অন্তত অন্য ড্রাইভাররা আপনার গাড়ি দেখতে পাবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
- গাড়ি চলমান থাকার সময় পানিতে প্লাবিত রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে। আপাত দৃষ্টে পানি যতটা দেখা যায় তার চেয়েও গভীর হতে পারে। তার নিচে ধারালো বস্তু, গর্ত এমনকি বৈদ্যুতিক তার থাকতে পারে। গর্তে বা অতিরিক্ত পানিতে আটকা পড়া যানবাহন প্রায় সময়ই অকেজো হয়ে যায়।
- বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্দেশ্য থাকবে একটা নিরাপদ স্থান দেখে গাড়ি পার্ক করা। কিন্তু তাই বলে তাড়াহুড়া করে জোরে ব্রেক চেপে ধরা যাবে না। যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে গতি একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় বৃষ্টির কারণে স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তার উপর টায়ার পিছলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে।
- গাড়ি পার্ক করার সময় বিদ্যুতের লাইনের নিচে, ইউটিলিটি খুঁটি বা সাবস্টেশনের পাশের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন। কেননা ভেজা থাকা বা দুর্যোগ জনিত কোনো ত্রুটির কারণে এগুলো বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকতে পারে। তাই এগুলোর সংস্পর্শে আসাটা বিপজ্জনক। এমনকি গাছের নিচের জায়গাগুলোও এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ডালপালা ও ধ্বংসাবশেষ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
১ বছর আগে
বন্যার কারণে ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের প্রাইমোরি অঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় রবিবার (১৪ আগস্ট) দেশেটির জরুরি কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, ক্রান্তীয় ঝড় খানুন এর প্রভাবে এ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পর এই লোকদের সরিয়ে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, এই অঞ্চলে সপ্তাহজুড়ে হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ৪ হাজার ৩০০ টিরও বেশি বাড়ি ও ২৮টি জনবসতি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া এ অঞ্চলের ১৬টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা এই অঞ্চলে ১৩টি অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে সাতটি জেলায় বন্যা হয়েছে এবং কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন নারী এবং ১০ ও ১২ বছরের ২টি শিশু।
এর আগে টাইফুন খানুন কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: তাপ, দাবানল ও বন্যা গ্রীষ্মকে ‘তীব্র গরম’ করে তুলেছে
বন্যাকবলিত এলাকায় অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিল চীন
১ বছর আগে