মিছিল
কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
সোমবার বিকেলে কারফিউ উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন।
তাদের অনেকে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বনানী পার হয়েছেন শাহবাগে জমায়েত হতে।
মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, উত্তরা, ধানমন্ডি, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ অভিমুখে রওনা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেছে ঢাকার রাস্তা।
অনেক সড়কে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে পুলিশকে।
তবে হাজিোড়া, মিরবাগ ও ওয়াপদা সড়ক থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
২ মাস আগে
সোমবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-গণঅবস্থান, মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের এক দফা দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি নিহতদের স্মরণে সোমবার সারাদেশে শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করবে তারা।
শাহবাগ মোড়ে বেলা ১১টায় শ্রমিক সমাবেশ এবং বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (৬ জুলাই) 'লং মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির ডাক দেন এবং তাদের কর্মসূচি সফল করতে শিক্ষার্থী, নাগরিক ও শ্রমিকদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া 'ছাড়তে হবে ক্ষমতা, ঢাকাই আস জনতা' স্লোগানে এ দিন দুপুর ২টায় শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
একই সঙ্গে সব এলাকা, গ্রাম, উপজেলা ও জেলায় শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি করে 'সংগ্রাম কমিটি' গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইন্টারনেট বন্ধ হলে আমাদের অপহরণ, গ্রেপ্তার, হত্যা করা হয়। যদি ঘোষণা দেওয়ার মতো কেউ না থাকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এক দফা দাবি নিয়ে রাজপথ দখল করে শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ফের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের
পুরানা পল্টন থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ
২ মাস আগে
বগুড়ায় কোটা সংস্কারপন্থীদের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০
বগুড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আজিজুল হক কলেজের নতুন ভবনের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
আহতদের মধ্যে চারজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শাজমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন- সরকারি আজিজুল হক কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাফসির, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন এবং অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন ও মিলন।
আহত তাফসির বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা কলেজের সামনে তিনমাথা টু সাতমাথা সড়ক অবরোধ করি। প্রায় ২০ মিনিট পর আমরা অবরোধ কর্মসূচি শেষ করে কলেজের দিকে ফিরছিলাম। সুমনও মেইন গেটের পাশে বসেছিল। এমন সময় ককটেল হামলা হলে আমরা আহত হই।’
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০
কোটা আন্দোলন: ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
৩ মাস আগে
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
৮ মাস আগে
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ। অনুমতি ছাড়া রাজপথে ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি সরকার মেনে নেবে না।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অনুমতি ছাড়া ফ্রি স্টাইল কর্মসূচির সুযোগ নেই। অনুমতি নিবে না, রাস্তায় ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি করবে আর আমরা মেনে নিব তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনেও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করি। এর মানে কি দাঁড়ায়? আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু কথা নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজও শুরু করে দিয়েছে। তবে রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেবে আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদেরের সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পার্লামেন্ট ফাংশনাল না হলে তিনি কেন এলেন?
স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি যা বলেছেন মনে হয় তুলকালাম কাণ্ড ঘটাবেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনি কথা বলেছেন। উনার কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ ছিল সামনে।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
৯ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
‘অবৈধ ডামি’ সংসদ বাতিলের দাবিতে সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভাতেও কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৬-২৭ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপির সব ইউনিট একযোগে কর্মসূচি পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি সর্বস্তরের মানুষকে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজার, যাত্রাবাড়ীর কদমতলী বাস স্টেশন, নিউমার্কেট ও দয়াগঞ্জ মোড়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করবে।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং মলের সামনে, উত্তরা ১২ নম্বর সেকশনের কবরস্থানের সামনে এবং মিরপুর-৬ নম্বর মসজিদের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল শুরু করবে দলটি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
এসব শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, পিপলস পার্টি ও এবি পার্টি পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বিএনপির দ্বিতীয় রাজপথ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
৯ মাস আগে
সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার আগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি সব মহানগর, জেলা, উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল বের করবে আমাদের দলের সব শাখা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকার ও সংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করতে ঢাকার দুই মহানগরীর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকাল ৩টার দিকে কালো পতাকা মিছিল বের করে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড় হয়ে আরামবাগ মোড়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে ও একই দাবিতে বিএনপির সব জেলা শাখায় কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম রাজপথের কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
৯ মাস আগে
২৬-২৭ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দুই দিনের কালো পতাকা শোভাযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ২৬ জানুয়ারি সব জেলা সদরে এবং ২৭ জানুয়ারি সব মেট্রোপলিটন শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই রাস্তায় বিএনপির প্রথম কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
তিনি বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করব। পাশাপাশি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অবৈধ সংসদ বাতিলের দাবিতেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি করে সাজানো নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী -ডামি সরকার বিএনপিকে দমন করে বাংলাদেশকে পরাজিত করেছে। এখন জনগণের দেখভাল করার কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না: বিএনপি
দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অসততার কারণে দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সংসার চালাতে হিমশিম খেতে খেতে চরম কষ্টে দিন পার করছে মানুষ। ঋণ নিয়েও সংসার চালাতে পারছেন না তারা। কাঁচা মরিচ থেকে সোনা, সবকিছুর বাজার মূল্য আকাশছোঁয়া।
রিজভী বলেন, গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করায় জনগণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এবং একের পর এক কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকরা। ‘চট্টগ্রামের অবস্থা আরও খারাপ।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহিন, মীর নেওয়াজ আলী, তরিকুল ইসলাম তেনজিন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
৯ মাস আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি
আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
তিনি বলেন, অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোও নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে শুক্রবার একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, 'বিএনপি ও সমমনা দলগুলো শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে।’
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান রিজভী।
এর আগে গত সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করেছিল দলটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর দলটি ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে এ কর্মসূচির সময় তিনবার বাড়ানো হয়।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধাক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আটক
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার হন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে অন্যান্য নেতাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন এবং চার দফায় পাঁচ দিন দেশব্যাপী হরতাল পালন করে।
সবশেষে ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
৯ মাস আগে
বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বরিশালে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বের) সকালে নগরীর নবগ্রাম রোডের খান সড়কের কাছ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজুল ইসলাম, সোবহান হাওলাদার, আব্দুল কাইয়ুম, মেহেদী হাসান, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর ফেসবুক পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে আগেই বিস্ফোরক আইনে মামলা ছিল। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমীর, আলেম-ওলামাসহ সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে এই মিছিল বের হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল জামায়াতে ইসলামী: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে