এখন থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বিশ্বখ্যাত আইসোটোপ-বিহীন ইলেক্ট্রনিক ব্রাকিথেরাপিতে সাশ্রয়ী খরচে ক্যান্সার চিকিৎসা করা যাবে। এতে মোট খরচ লাগবে মাত্র ১২ হাজার টাকা।
৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে শনিবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) এক সেমিনারের আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। এতে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সার চিকিৎসার নানা দিক তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের কিট অকার্যকর: বিএসএমএমইউ
সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ক্যান্সার হলে একজনের মৃত্যু ঘটে না, পুরো পরিবারের মৃত্যু ঘটে। জায়গা জমি বিক্রি করে দিতে হয়। চিকিৎসা ব্যায়ের তুলনায় সাময়িক নিরাময় হলেও পূর্ণাঙ্গ নিরাময় হয় না। আগে ক্যান্সার চিকিৎসার পদ্ধতি অনেকটা জটিল ছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রযুক্তিতে যে মেশিন আবিষ্কার হয়েছে সেটাই ক্যান্সার চিকিৎসা সহজ হয়েছে। নতুন এই মেশিনে কোন সোর্স ব্যবহার করতে হয় না। ডিস্পোজালের ঝামেলা নেই। সময় কম লাগে। এটা বাংলাদেশের প্রথম মেশিন। আমাদের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কেমোথেরাপির ব্যবস্থা আছে, সার্জিক্যাল অনকোলজির ব্যবস্থা আছে, এখন তো ব্রেকিথেরাপির ব্যবস্থাও আছে এবং আমাদের এখানে বোনমেরু রিপ্লেসমেন্টের ব্যবস্থাও নিয়েছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা রেডিএক্সেলের (Radixact-7) সব চেয়ে আধুনিক ভার্সনের অর্ডারও দিয়েছি। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডিডিআর এক্সেলেটরও স্থাপন করব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেস্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের কোওর্ডিনেটর ডা. সামিম উল মওলা, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট সাবেক পরিচালক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যান্সার বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ হাই, জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট সহযোগী অধ্যাপক হাবিবউল্লাহ তালুকদার রাসকিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, ইতালি থেকে জুমে অংশ নেন দক্ষিণ এশিয়ার জপ্টের প্রধান পিয়ারে ফ্রান্সেসকো, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্ডিওলজি বিভাগে সহযোগি অধ্যাপক সাইদ-উজ জামান অপু প্রমুখ।