সিলেট বিভাগ
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কান্তি সরকার বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরীক্ষা ৮-১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট থেকে প্রায় ১ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
রুটিন অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এর আগে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরে সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে টানা কয়েকদিন ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও ভোটের মাত্র চারদিন আগে সিলেট বিভাগের একে একে ৪জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমন প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায়, বিভিন্ন চাপ, হুমকি, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়া, টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটছে ইত্যাদি।
তবে নির্বাচন কমিশন সবসময় আশ্বস্ত করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই লক্ষে ভোটগ্রহণের আগে ও পরের কয়েকিদন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে বিজিবি। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদেরকে শাস্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনী বিধিমালায় তারা প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। তাছাড়া প্রার্থীরা লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগও দিচ্ছেন না; তাই প্রার্থীদের এ ধরনের ঘোষণা ব্যক্তিগত।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বলছেন, যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ ভিত্তিহীন। জনপ্রিয়তা না থাকায় তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানান অজুহাত খুঁজছেন ও অভিযোগ দিচ্ছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্ন্ত সিলেট বিভাগের ৪ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে নিজের বাসায় প্রেস ব্রিফিং করে ভোট থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এর মাত্র একদিন আগে হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ও হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পালও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
বর্জনের কারণ হিসেবে প্রার্থীরা যা বলছেন-
নির্বাচনকে পাতানো ফাঁদ উল্লেখ করে শেষ মুহূর্তে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণার কারণ হিসেবে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী শামছুল আবেদীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার রক্ষার্থে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।’
‘সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে কাজ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। কেউই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। এটি একটি পাতানো ফাঁদ। তাই এই ফাঁদ থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম।’
হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মুনিব বাবুকে সমর্থন করায় তার সমর্থনে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির আবদুল মান্নান তালুকদার বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এটা আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন।’
হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশীশক্তির প্রভাব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোছাম্মাৎ জিলুফা সুলতানাকে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন যেসব অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ওই প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন এসব বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তিনি যা বলছেন ওই প্রার্থীর উচিত ছিল একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া। তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখতাম কিংবা অ্যাকশন নিতাম। ওই প্রার্থী মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করে নাই। ওনি যা বলেছেন ওনার ব্যক্তিগত মতামত। আমি ওনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই।’
১০ মাস আগে
সিলেট বিভাগে করোনায় আরও ৯ মৃত্যু
করোনায় সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আট জনই সিলেট জেলার। অপরজন মৌলভীবাজারের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বরিবার সকাল ৮টার মধ্যে সিলেট বিভাগে করোনায় নয় ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে ১ হাজার ৫২ জনের মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাক্রান্ত প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৭৩ জন। ৯৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। গেল কয়েকদিনের তুলনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। সবমিলিয়ে সিলেটে করোনাক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫২ হাজার ৫২৪ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা নিম্নমুখী, ১ মৃত্যুসহ শনাক্ত ১২
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭০ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩ বছর আগে
সিলেটে একদিনে সর্বোচ্চ ৭০৮ শনাক্ত
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৭০৮ জন শনাক্ত হয়েছে। বিভাগে এই প্রথম ৭ শতাধিক ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লো। এর আগে ১৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৬৮১ জন শনাক্ত হয়েছিল।
একই সময়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের ৬ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা, অপরজন হবিগঞ্জের। এনিয়ে সিলেটে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৫০৮ জন, সুনামগঞ্জে ৪৭ জন, মৌলভীবাজারে ৫৩ জন ও হবিগঞ্জে ৩০ জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পড়ুন: সিলেট বিভাগে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৪ মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে শনাক্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১৬ জন সিলেট জেলার। এছাড়া সুনামগঞ্জে ১২০ জন, মৌলভীবাজারে ১০৬ জন ও হবিগঞ্জে ৬৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।
মোট ১৭৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ৭০৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯.৫৩ শতাংশ।
এনিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৯১৮ জনে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২০ হাজার ৫১২ জন, সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ২০৬ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ৮৮২ জন ও হবিগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ২৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৫ জন, যাদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে জেলা উল্লেখ করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে
খুলনা বিভাগে আজও ৪৬ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৩৫
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৩৭৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। এনিয়ে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ২২০ জনে।
তিনি জানান, বর্তমানে সিলেটজুড়ে ৩৮০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৩ বছর আগে
সিলেট বিভাগে আরও ৮৫ করোনা রোগী শনাক্ত
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে
সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ৭ হাজার ছাড়াল
সিলেট বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৪৬ জনে।
৪ বছর আগে
সিলেটে করোনায় আক্রান্ত ৩২৬৫ জন, মৃত্যু ৫৮
সিলেট বিভাগের চার জেলায়ই এখন করোনার রাজত্ব। আক্রান্ত আর মৃত্যুর তালিকায় প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম।
৪ বছর আগে
সিলেট ও হবিগঞ্জে একদিনে ২২ করোনা রোগী শনাক্ত
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার পর নতুন করে আরও দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
৪ বছর আগে