মুক্তিপণ
মুক্তিপণ আদায়, ডিবির ৫ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে আরএমপি
বগুড়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এ সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘তারা কোনো অভিযানে যায়নি বা কাউকে জানিয়েও যায়নি। নিজেদের ইচ্ছায় গিয়েছে এবং সেখানে আটক হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকালে আমি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এখন তদন্ত হবে, এরপর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- আরএমপির গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম ও বাশির আলী। এছাড়া, তাদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসানকেও আটক করা হয়েছে।
নগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য আরএমপির ডিবিতে কর্মরত। গতরাতে আমি রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে কিছু না জানিয়েই বগুড়া গেছে। কেন গিয়েছে, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ২ কিশোর অপহরণ, মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৬
জানা যায়, বগুড়ার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও তাদের মাইক্রোবাসচালককে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও পুলিশের একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা জানান, অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য রবিবার ধুনট উপজেলায় গিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী ও জাহাঙ্গীর নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর নগদ ২ লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে বগুড়া জেলা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানার সহযোগিতায় মাইক্রোবাসটি আটক করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তদের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত আবদুল ওয়াহাব নামে এক পুলিশ সদস্য। তিনি ছুটি নিয়ে দুই দিন আগে বগুড়ার ধুনটে নিজ গ্রামে যান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই পাঁচজন সেখানে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
৩৯ দিন আগে
বগুড়ায় ২ কিশোর অপহরণ, মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৬
ডিবি পরিচয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে একদল লোক অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিচয়ে তারা অপহরণ করেছিল ওই যুবকদের।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে রাবার বাগান থেকে ২৬ শ্রমিককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
গ্রেপ্তাররা হলেন— শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মো. মাহবুর আলম, মো. বাশির আলী ও মেহেদী হাসান।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নগদ, ১টি ওয়াকিটকি, ১টি হ্যান্ডকাফ ও ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া অপহরণের শিকার দুই ফ্রিল্যান্সার হলেন— ধুনট উপজেলার দিগলকান্দি গ্রামের রাব্বি (১৯) ও জাহাঙ্গীর (২৪)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম।
অপহরণের শিকারদের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি তাদের বাড়িতে আসে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। রাতেই জাহাঙ্গীরের পরিবার ২ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাব্বির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠালে তিনিও ছাড়া পান। রাব্বি মুক্তি পাওয়ার পর তার পরিবার মোটরসাইকেল নিয়ে অভিযুক্তদের গাড়ির পিছু নেয়। পরে নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের কাছে তারা ঘটনা জানান। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘রাতের টহলের সময় খবর পাই যে, একদল ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
৪০ দিন আগে
শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে ৫০ লাখ রুপি মুক্তিপণ দাবি করে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ) মুম্বাই পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে যে ব্যক্তি ফোন করেছেন তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে 'হিন্দুস্তানি' বলে পরিচয় দেন।
বান্দ্রা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে।
কল করা ঐ ব্যক্তি ফৈজান খান বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবে তিনি দাবি করেন, ২ নভেম্বর তাঁর ফোন চুরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
৫ নভেম্বর দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ফোনটি আসে, যেখানে মুক্তিপণ না দিলে 'জওয়ান' তারকার ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
শাহরুখ খানকে এই প্রথম হুমকি দেওয়া হলো বিষয়টি এমন নয়। গত বছরের অক্টোবরে তাকে একইভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে কর্তৃপক্ষকে তার সুরক্ষা ওয়াই + স্তরে উন্নীত করেছিল। এই স্তরের সুরক্ষার আওতায় তাকে ২৪ ঘণ্টা ছয়জন সশস্ত্র কর্মী সরবরাহ করে। এই সুরক্ষা সুবিধা পাওয়ার আগে তার দু'জন সশস্ত্র সুরক্ষা প্রহরীর ছিল।
সম্প্রতি বলিউডের আরেক তারকা সালমান খানের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে শাহরুখ খানকে এই হুমকি দেওয়া হয়।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে অথবা কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভিখারাম জালারাম বিষ্ণোই নামে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের নেতা কর্ণাটকে এখনো আটক রয়েছেন।
৩০ অক্টোবর আরেকটি ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সালমান খানের কাছ থেকে ২ কোটি রুপি মুক্তিপণ দাবি করে সতর্ক করেছিল। বারবার এরূপ হুমকির প্রেক্ষিতে সালমান খানের সুরক্ষাও জোরদার করা হয়। বিশেষ করে ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক হত্যার পরে এই ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
মুম্বাই পুলিশ উভয় বলিউড তারকার সর্বশেষ হুমকির তদন্ত করার সময় উচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অভিনেতাদের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে রক্ষায় এমন সুরক্ষা ব্যবস্থা যে রয়েছে তাএসব পদক্ষেপ নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: পাঠান মুভি রিভিউ: বলিউড কিং শাহরুখ খানের অভিজাত প্রত্যাবর্তন
১৭৭ দিন আগে
১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নাটোরের নলডাঙ্গায় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হিমেল নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে নিখোঁজ হন হিমেল। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনের একটি ভুট্টাখেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
হিমেল নলডাঙ্গার পাটুল হাপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই বন্ধু পার্থ, মেহেদী হাসান, সুজন ও শিমুল (বয়সে তাদের বড়) মিলে অপহরণ করে হিমেলকে হত্যা করে লুকিয়ে রেখেছিল লাশ।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় হিমেলের বাবা স্থানীয় টিসিবি ডিলার ফারুক সরদার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযানে নেমে আটক করে পার্থ, মেহেদী হাসান, সুজন ও শিমুলকে। উদ্ধার করে হিমেলের সাইকেল, লাশ ও হত্যাকাণ্ডের আলামত।
এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনের একটি ভুট্টাখেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪০০ দিন আগে
মুক্তিপণ দিয়ে দুইদিন পর ফিরল অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফের আলীখালী পাহাড় থেকে অপহৃতের দুইদিন পর ৪ রোহিঙ্গা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।
সোমবার (০৫জুন) সন্ধ্যায় মুক্তিপণ দেয়ার পর তাদের ক্যাম্পের পাশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন,হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ক্যাম্প-২৫ ব্লক ডি/২২ এর বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৩২) একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ সুলতান (২৪),আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ(১৬) ও মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (১৮)।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয় রোহিঙ্গারা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা (মাঝি)জানান,সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ নিয়ে ৪ রোহিঙ্গাকে ছেড়ে দেয়। তাদের এনজিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে এপিবিএন পুলিশ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
এরআগে রবিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের পাশে অপহৃত জাহাঙ্গীর আলমকে হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ক্যাম্পের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সন্ত্রাসীরা তাদের ছেড়ে দেয়ার পর ফিরে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)পুলিশ সুপার মো.জামাল পাশা। তবে তিনি মুক্তিপণের টাকা দেয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) উপ অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো.জামাল পাশা বলেন,আলীখালী ক্যাম্প এলাকা থেকে তারা অপহরণের শিকার হয়। তবে মুক্তিপণ দাবির বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাদের কিছুই জানায়নি। এরমধ্যে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশ দিন-রাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। হয়তো অভিযানের কারণে সন্ত্রাসীরা তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অপহৃতদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
৬৯৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ের পশ্চিম মোহরা এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার প্রতিবেশি দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী গোলাপের দোকান মাজার গেইটে নির্মাধীন ভবনের রুমের মাটি খুঁড়ে শিশুটির লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. শফিউল ইসলাম রহিম (১১) ওই এলাকার সেলিম উদ্দীনের ছেলে। সে পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই সড়কর চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) এবং পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে মুজিবুর দৌলা হৃদয় (২৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। আজম খানকে নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে এবং তার সহযোগী মুজিবুর দৌলা হৃদয়কে বাকলিয়ার বলীরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির প্রতিবেশি আজম খান ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে এবং ওইদিনই শিশুটিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। আজম খান আমাদের কাছে স্বীকার করেছে সে এক মাস আগে থেকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছে। শুধু কি টাকার জন্য শিশুটিকে হত্যা করেছে নাকি অন্য কোনো মোটিভ আছে তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল বিকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। নিখোঁজের পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওইদিনই ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত প্রতিবেশি আজমকে শনাক্ত করা হয়। ওই দিনই নিখোঁজ শিশু ও আজমকে একসঙ্গে দেখা যায়। বুধবার আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আজম খান শিশু শফিউলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তার দেখানো তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আজমের বন্ধু মুজিবুর দৌলা হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
৭৩০ দিন আগে
টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকা থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা পাঁচ শিশুর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে জাদিমুড়ার ন্যাচার পার্ক থেকে মুখোশধারী ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ শিশুকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। এরপর অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহৃত পাঁচ শিশুর মধ্যে তার বাড়ির কাছে একই ব্লকের তিনজন রয়েছে।
অপহৃতরা হলো- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল (১২), উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত (১২), বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান (১৪) এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নূর কামাল (১৫)।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ওই শিশুরা ঈদ উপলক্ষে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ছিল। এ সময় ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তারা অপহৃত হয়। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের এখনও পরিবারগুলো কিছুই জানায়নি। তবে, তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের কথা তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপরও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিড়ালের ছানা দেয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
৭৩৯ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে অপহরণের ২ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে দু’দিন পর রিয়াজ হোসেন নামে এক ফার্নিচার কারিগরকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সদর উপজেলার মান্দারী এলাকার একটি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ।
নিহত রিয়াজ দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের মোহাম্মদ উল্যা মিকারের বাড়ির তোফায়েল আহমেদ দুলালের ছেলে ও মান্দারী বাজারের দ্বীন ইসলাম ফার্নিচার দোকানের নকশার কারিগর।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান থেকে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিয়াজের মোবাইলফোন থেকেই অপহরণকারীরা কল দিয়ে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
একইদিন রাতে নিহতের মা খুরশিদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতেই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মান্দারী বাজারের একটি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে রিয়াজের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, নিহতের মায়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন গেলে তার (রিয়াজ) লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা, কূপ থেকে লাশ উদ্ধার
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
৮০৬ দিন আগে
মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
৩০ লাথ টাকার জন্য ভারতের অপরাধ বিষয়ক টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রোল’ এর কায়দায় স্কুলছাত্র নীরব মণ্ডলকে (১৩) অপহরণ করে তারা। অজ্ঞান করার লক্ষ্যে গলায় রশি পেঁচালে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়।
এরপর তার লাশ স্কুলের একটি কক্ষে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় আটক পাঁচ কিশোর এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
খুলনায় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে স্কুলের একটি কক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একই স্কুলের ওই পাঁচ ছাত্রকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আওয়ামী লীগ কর্মীকে অপহরণের পর হত্যা
পুলিশ জানায়, আটকরা স্বীকার করেছে যে তারা মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা পেতে ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে এই অপহরণের পরিকল্পনা করে।
নিহত নীরব খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মণ্ডলের ছেলে।
আটকরা হচ্ছে- গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোহেল মোল্লা (১৫), হীরক রায় (১৫) ও পিতু মণ্ডল (১৪), দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় (১৫) ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ মণ্ডল (১৩)।
এর মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, নীরব মণ্ডল গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্কুল ছুটির পর পিয়াল নামে একটি ছেলে নীরবকে ডেকে নিয়ে যায়। স্কুলের পেছনে পরিত্যক্ত একটি ভবনের মধ্যে অবস্থান করছিল পিতু, সোহেল এবং দ্বীপ। নীরবকে সেখানে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা তার পা ধরে মুখ বন্ধ করতে চায়।
এছাড়া রশি ঝুলিয়ে রেখেছিল দ্বীপ। আটকদের ভাষ্য অনুযায়ী-তাদের পরিকল্পনা ছিল অজ্ঞান করে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার। কিন্তু তারা প্রথমেই তাকে ঝুলিয়ে মেরে ফেলে।
দুই থেকে তিনজন রশি টেনে ধরে রাখে, নীরব সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে নীরবের লাশ রেখে তারা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। হীরকের দায়িত্ব ছিল নীরবের বাবার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা। ওই নম্বরে ফোন দিয়ে নীরবের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ওসি বলেন, বিষয়টি জানার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে আটক করি। লাশ উদ্ধারের আগে প্রথমে সোহেলকে আটক করি। পরে দ্বীপ, পিয়াল ও পিতুকে আটক করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর হীরককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন জামার টাকার জন্য শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ২ স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার
প্রভাষক মামুন হত্যা: ৮ বছর পর জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
৮২০ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে মুক্তিপণের টাকাসহ ‘অপহরণকারী’ গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকাসহ ‘অপহরণকারী’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভুক্তভোগী দিপু মোল্লা (৩২) একজন মুদী ব্যবসায়ী।
গ্রেপ্তার মো. সজিব মিয়া (৪০) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার পাঁচরুখী এলাকার মো. বাবু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাচরুখী এলাকায় টহল দেয়ার সময় ওই এলাকা থেকে ভুক্তভোগী দিপু মোল্লা ও মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এসময় তারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সজিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এতে আরও বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১০/১২ দিন গ্রেপ্তার আসামি নিজেকে চাল ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে তার গোডাউনে থাকা চাল স্বল্পমূল্যে ভুক্তভোগীর কাছে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে একটি প্রাইভেটকারে করে আড়াইহাজার থানার পাচরুখী সাকিনস্থ কালীবাড়ী রোডের একটি বাড়িতে এনে আটক করে রাখে। এসময় ভুক্তভোগীকে মারপিট করে ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভুক্তভোগীর মোবাইল থেকে তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন ভুক্তভোগীর মা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পাচরুখী ভূইয়া পাড়া কালীবাড়ী রোডের বালুর মাঠে উপস্থিত হলে অপহরণকারী টাকা নিতে আসলে র্যাব মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকাসহ অপহরণকারী সজিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া তার অপর সহযোগী পালিয়ে যাওয়ায় র্যাব-১১ কর্তৃক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করার কার্যক্রম চলমান আছে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
গাজীপুরে মাদরাসাছাত্রকে যৌন নিযার্তনের অভিযোগে ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার
৯৬০ দিন আগে