সুযোগ
দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই: ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নগর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে হামজা চৌধুরী সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি ফুটবলে সৃষ্ট চলমান সঙ্কট নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আধুনিক ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়াসকে প্রশংসিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান হামজা।
বাংলাদেশ ফুটবলকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে হামজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।’
হামজার অন্তর্ভুক্তি দেশের ফুটবলের জন্য আশা জাগানিয়া উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘হামজার মতো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হবে।’
সাক্ষাতে আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ কোয়ালিফিকেশনে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণের আগে সৃষ্ট সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বাফুফে সভাপতি।
অভিযোগের বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনে সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে, এমন কোনো কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন।’
তাবিথ আউয়াল আরও বলেন, ‘সৃষ্ট সঙ্কট কোনো সঙ্কট নয়, ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দেইনি, ও প্রতিভাবান তবে, ওকে আমরা আরও সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে, খুব শিগগিরই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের দেশে আসতে কোনো আইনি বাধা নেই: ক্রীড়া উপদেষ্টা
আলোচনায় সিন্ডিকেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অভিযোগ ও ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। খেলোয়ার নির্বাচনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’
যেকোনো সঙ্কট মোকাবিলায় বাফুফেকে আরও সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে এবং ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
২ দিন আগে
পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই: অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশের রূপান্তর সফলভাবে কার্যকর করতে সকল শক্তি নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, ‘পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা। এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খামার বাড়ি কৃষি ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘ঐক্য সংস্কার নির্বাচন, জাতীয় সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না। ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরাবার লক্ষ্যে কাজ করছি। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের পক্ষ থেকে আপনাদের এই জাতীয় সংলাপ আমাদেরকে আমাদের নতুন কক্ষপথ রচনা এবং তার যথাযথ স্থাপনে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, “আমি ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা এই সংলাপে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন: ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’। সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্রজনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যার বিচারের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি আপনারা আপনাদের সংলাপের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এতে আমি আশ্বস্ত হয়েছি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্তই করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কন্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কন্ঠ আবার ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে। গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যেকোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন। অথবা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন।
এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়- আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার দিতে বাধ্য। রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার অন্য কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হবার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বাধীনতার পর অর্ধশতাব্দী অতিক্রম করে আমরা এক ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের বিনিময়ে এক অপূর্ব সুযোগের মুহূর্ত সৃষ্টি করেছি। এই সুযোগ যদি আমরা গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক হই, কিংবা অপারগ হই, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কোনো প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, আজকের ‘সংলাপের’ মূল লক্ষ্য হলো সবার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ কন্ঠে ঘোষণা দেওয়া যে, আমরা এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া হতে দেব না। আমরা একতাবদ্ধভাবে এই সুযোগের প্রতিটি মুহুর্ত সর্বোত্তম কাজে লাগাবো।
ড. ইউনূস বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে, প্রতিটি নাগরিককে, রাজনৈতিক দলকে, প্রতিটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আজকে আপনাদের সংলাপে ঘোষণা দিন- কে কীভাবে এই মহা গৌরবের দায়িত্ব পালন করবেন।
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। নাগরিকদের নির্বাচনের তারিখ না-পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় সময় দিতে হয় না। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। ভোটারদের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যারা ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।
তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছিলাম। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব।
প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কীভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া, নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা সহজ করে দেয়া।
তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এজন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেবার জন্য আমি মনে করি ভোটার হবার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।
তিনি বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত করে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই।
সংলাপ জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে তার দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বক্তব্যের শুরুতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্দে লড়াইয়ে সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সংলাপের এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
৮৫ দিন আগে
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও পাবেন বদলির সুযোগ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকই বদলির সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
খুব শিগগির বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষকরা সুখবর পাবেন বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ওপর পুলিশি অভিযানের নিন্দা জেএমবিএফ’র
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে সর্বজনীন বদলি নিয়ে কাজ করছি। আজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব শিক্ষককেই বদলি করা সম্ভব।’
শূন্যপদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারিতে দেরির কারণ প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব হয়নি। প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে বদলির আওতায় আনা খুব সহজ ব্যাপার নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেছে।’
১০৭ দিন আগে
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যারা জড়িত জনস্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা মানুষকে পুড়িয়ে মারে, জনগণের ও জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করে তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
রবিবার এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে, ততক্ষণ তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি। বরং তাদের ভাবমূর্তি আরও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর পর তারা জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যারা অগ্নিসংযোগে জড়িত বা যারা অগ্নিসংযোগের জন্য নির্দেশ দেয় বা অর্থ জোগায় তাদের নিয়ে সরকারের কী করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা কি তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব, নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে? আমরা যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিই, তাহলে তারা অগ্নিসংযোগের সহিংসতা চালিয়ে যাবে।’
এ বছর ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
৪৮২ দিন আগে
দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
দল না করে এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবশ্যই তার দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে। দীর্ঘ ধারাবাহিকতা ও জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। এর বাইরে কারো মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দল নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জরিপ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় বহু নেতা এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় অনেক নেতার নমিনেশন পেপার নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, এটি অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়, সবসময় এটি হয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো হাইব্রিডের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, দল সবাই করতে পারে। দল অনেক সময় এটিও বিবেচনা করে যে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই।
নিজের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমার ইলেকশন শুধু ইলেকশন আসলে না, আমি সারা বছর ইলেকশন করি, প্রতি সপ্তাহেই নির্বাচনী এলাকায় যাই, চট্টগ্রামে যাই, সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি।
তিনি বলেন, ইলেকশন উপলক্ষে যে ঝাঁপিয়ে পড়া সেটি আমার ক্ষেত্রে নয়। আমি সারা বছর দলমত নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে থাকি। কারণ আমি ভাবি যে- আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলাম, যখন এমপি হয়ে গেছি তখন সব মানুষের।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এবারও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আশা করি যে, আমি যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষও দল-মত নির্বিশেষে ভোটের সময় আমার পাশে থাকবে।
নির্বাচনী কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্লোগানই হচ্ছে- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণদের উপর নির্ভর করেই দেশ এগিয়ে যাবে। সুতরাং তরুণরা আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো বলুন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বলুন, সব কিছুতেই তরুণদের প্রাধান্য থাকবে।
নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ইলেকশনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে। এখন ট্রেনে যদি কেউ উঠতে না পারে তাহলে তো করার কিছু নেই। গতবার বিএনপি ইলেকশনের ট্রেনের পাদানিতে উঠেছিল, তার আগেরবার ইলেকশনের ট্রেন মিস করেছিল।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে সারাদেশে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এতেই প্রমাণিত হয় কেউ নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দুস্কৃতিকারী ও দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৪৮৮ দিন আগে
‘প্রতিবন্ধী-বয়স্কদের সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ দরকার’
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী মাহবুব উল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের নিরাপদ পানি, পয়নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) বিষয়ক সুযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এছাড়া কেবলমাত্র অবকাঠামোগত পরিবর্তনই নয়, বরং বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন প্রয়োজন এবং বাধা মোকাবিলা করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
‘দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের নিরাপদ পানি, পয়নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) বিষয়ক সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) ও আইসিডিডিআরবি।
জনসংখ্যাভিত্তিক সমীক্ষা কার্যক্রমটি ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৩২টি জেলায় পরিচালিত হয়েছে।
এই গবেষণায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে, শহর ও গ্রামের ৬ হাজার ৪৫৭টি পরিবারের মোট ১৭ হাজার ৫৭৭ জন ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সর্বজন গৃহীত ‘ওয়াশিংটন গ্রুপের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলীর’ মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শনাক্তকরণের কাজটি করা হয়। সেসব প্রশ্নের মধ্যে ছয়টি বিভাগের যেকোনো একটিতে কেউ ‘অনেক অসুবিধা’ বা ‘কিছুই করতে পারে না’ বলে উল্লেখ করলে অথবা ‘প্রতিদিন’ এবং ‘অনেক বেশি’ বিষণ্ণ বা উদ্বিগ্ন থাকলে তাদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতার হার ৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭ শতাংশ এবং নারী ৯ শতাংশ। তবে ৫৯ কিংবা এর চেয়ে কম বয়সীদের প্রতিবন্ধিতার হারের (৫ দশমিক ২ শতাংশ) তুলনায়, ৭০ বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রতিবন্ধিতার হার (৪৭ শতাংশ) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ওয়াশ বিষয়ক সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান সার্বিকভাবে চিহ্নিত করতে ২ হাজার ৩৭৮ জন প্রতিবন্ধী ও স্বাভাবিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ সম্পন্ন করা হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধী পানি সংগ্রহে অসুবিধার (৪৮ শতাংশ) সম্মুখীন হন। ১৪ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রয়োজনের সময় বাড়িতে খাবার পানি নিজে নিয়ে খেতে পারেন না। এর কারণ হিসেবে বেশিরভাগই (৯০ শতাংশেরও অধিক) শারীরিক সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন এবং ১৬ শতাংশ অন্যের উপর নির্ভশীলতার কথা জানান।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ (৭৭ শতাংশ) পরিবারে মৌলিক পয়নিষ্কাশন সুবিধা থাকলেও অধিকাংশের প্রবেশপথ এবং অবকাঠামোতে প্রতিবন্ধীবান্ধব বৈশিষ্ট্য যেমন- হুইলচেয়ারবান্ধব প্রবেশ পথ (৯৭ শতাংশ), উচ্চতা-সামঞ্জস্যযোগ্য প্যান/কমোড (৯৭ শতাংশ), পানি ও হাত ধোয়ার সামগ্রীর সহজ প্রাপ্যতার (৭৪ শতাংশ) অভাব রয়েছে।
ফলস্বরূপ, প্রায় ২৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা শৌচাগার ব্যবহার করার সময় মল-মূত্রের সংস্পর্শে আসেন। এ ব্যতীত, বাড়ি থেকে ওয়াশ ফ্যাসিলিটির দীর্ঘ দূরত্বের কারণে বেশিরভাগ গ্রামে বা শহুরে বস্তিগুলোতে, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা অধিকতর সমস্যার সম্মুখীন হয়।
আরও পড়ুন:টেকসই ওয়াশ সেবাদানে ওয়াটারএইডের ভূমিকা প্রশংসনীয়: সুইডেনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়াও, বিশেষত যাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা (উদ্বিগ্নতা, বিষণ্নতা) বা কমিউনিকেশন সীমাবদ্ধতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে, ওয়াশ সুবিধাসমূহ ব্যবহার করার সময় বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার ভয়, মৌখিক বা শারীরিক নির্যাতনের ভয়, আক্রমণাত্মক প্রাণীদের ভয় এবং রাতে নিরাপত্তাহীনতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এই গবেষণার ফলাফল অনুসারে, ১২ শতাংশ প্রতিবন্ধী নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবকালীন পণ্য পরিবর্তন এবং ব্যবহার পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য অন্য কারো সহায়তার প্রয়োজন হয় এবং এই সহায়তার অপ্রতুলতা প্রতিবন্ধী নারীদের মধ্যে ইনকন্টিনেন্স সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত যাদের যোগাযোগের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য, এই ইনকন্টিনেন্স সমস্যাটি একটি গুরুতর এবং জরুরি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।
এই সমীক্ষা মূলত বাংলাদেশ, কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং জাম্বিয়াতে বাস্তবায়িত একটি বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ যা লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইচটিএম) প্রোগ্রাম ফর এভিডেন্স টু ইনফরমেশন ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যাকশন (পিইএনডিএ), এফসিডিও এর ও আইসিডিডিআরবির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বি-স্ক্যান বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ প্রতিবেদন প্রকাশ
৪৮৯ দিন আগে
শিশুদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে সুযোগ তৈরির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
শিশুরা যাতে খেলাধুলায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারে, সেই সুযোগ তৈরি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
খেলা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও দলগতভাবে গল্প বলা এবং অন্যান্য রাইড উপভোগের মাধ্যমে সারাদেশের শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ এই ইভেন্টের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, এই আয়োজন শিশুদের একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি খেলাধুলা, নতুন প্রযুক্তিসহ আরও অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেবে।
তিনি বলেন, ‘যদিও এখন খেলাধুলার সুযোগ সীমিত তবুও আমাদের যতটা সম্ভব সেই সুযোগ তৈরি করা উচিত।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: রাষ্ট্রপতি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভালের বিভিন্ন প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিক গুণাবলী ও দেশপ্রেমে সজ্জিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল’ নামে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মানের শিশু উৎসব শুরু হয়েছে।
শিশুরা যাতে গেম খেলার মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নীতি, নৈতিকতা ও সংস্কৃতি শিখতে পারে সেজন্য www.sheikhhasina.gov.bd নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: তথ্য কমিশনকে আরটিআই আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
৫৪১ দিন আগে
ইলিশের ডিম ছাড়তে সুযোগ করে দিতে হবে: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ইলিশ মাছের দাম বেশি হলে বুঝতে হবে তার চাহিদা প্রচুর পরিমাণ। আর এ চাহিদা পূরণ করতে হলে মা ইলিশকে ডিম ছাড়তে সুযোগ করে দিতে হবে এবং মাছকে বড় হওয়ার সময় দিতে হবে। তাহলে আমরা মাছ খেতে পারব।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের সমাপনী দিনে গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি মৌলিক পণ্যসহ ইলিশের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেশন সম্ভব নয়। এর সিন্ডিকেট হলে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। আমরা কিছু হলেই সিন্ডিকেট বলি। ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বাজারে সিন্ডিকেট কীভাবে সম্ভব হবে!
ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষকদের সহায়তা করা আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি। ইলিশের দাম ওভাবে বাড়েনি। আসলে সরবরাহ চাহিদার সঙ্গে মিলছে না। আর এজন্যে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আসুন ইলিশ মাছকে সংরক্ষণ করে দেশকে আরও উন্নত করি।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার মান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন শামসুল আলম, রবিবার শপথ
৫৪৬ দিন আগে
কুয়েতের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার আহ্বান
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আল আদওয়ানিকে বাংলাদেশের আইটি পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন এবং বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদে পোল্যান্ড, রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন ২০০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
এরপর তিনি পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ আর্থ-সামাজিক খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রদূতকে জ্বালানি ও স্বাস্থ্যখাতসহ সহযোগিতার নতুন ও উদীয়মান ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূতের করা প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তাকে সমস্যার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কুয়েত সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে উন্নয়ন ও শান্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এর আগে, রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
৯২৯ দিন আগে
আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
‘আদালত প্রাঙ্গণে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া কখনোই বরদাস্ত করা হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমি প্রত্যেক বিচারক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি, সবার সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে। আদালত প্রাঙ্গণে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া কখনোই বরদাস্ত করা হবে না।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২তলা ভবন ‘বিজয় ৭১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি জানেন, বার (আইনজীবী সমিতি) এবং বেঞ্চ (আদালত) জুডিসিয়ারি নামক একটি পাখির দুটি ডানা। একটি শক্তিশালী বার, শক্তিশালী জুডিসিয়ারির জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বর্তমান সংখ্যা ৯ হাজার ৩০২ জন। তাদের বসবার জায়গার সংকুলান বর্তমান বার বিল্ডিংগুলোতে একদমই অসম্ভব। তাদের বসবার এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। এজন্যও বারের নতুন ভবন তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আপনার গৃহীত পদক্ষেপ ও সুদৃঢ় অঙ্গীকার নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মের পথচলায় পাথেয় হয়ে থাকবে। ’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
দেশের মুক্তি সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘অত্যাচারী শাসকশ্রেণির নিপীড়নে জর্জরিত জনতার সাম্য, গণতন্ত্র তথা ন্যায়বিচারের স্পৃহায় জেগে ওঠা উত্তাল আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের। মহান সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখার সুদৃঢ় প্রত্যয়ে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মানসে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ। আজ বলতে গর্ব হয়, যে সকল বিচারপতি, আইনজীবী ও গুণীজনের নিষ্ঠা, প্রয়াস ও পদস্পর্শে ঋদ্ধ হয়েছে এই আদালত প্রাঙ্গণ। তাদের অনেকে আইন অঙ্গনেই শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশের ইতিহাসজুড়ে তাৎপর্যময় অবদানের মাধ্যমে সমুজ্জ্বল হয়ে আছেন। তাদের গড়ে যাওয়া দৃষ্টান্তের ওপর ভর করে আজ প্রাণ পেয়েছে সুবিচারের এই সৌধ। ’
প্রধান বিচারপতি বলেন,‘সম্মানিত বিচারকগণ নিয়েছেন সততা, সাহসিকতা ও সমবেদনার দীক্ষা। সেই সঙ্গে সমর্থ হয়েছেন অগণন আলোচিত জনগুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদানে। বিচারকগণ সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তাদের সততা, মেধা ও শ্রম দিয়ে মামলার জট ছাড়িয়ে দুর্দশাগ্রস্ত বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণ হতে যতদ্রুত সম্ভব বাড়ি ফেরাতে।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
চার বছর আগে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ একনেকে এই ভবনটি নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। ১৫৮ দশমিক ৫১৯ কোটি টাকা মূল্যের ভবনে থাকছে ৩২টি এজলাস তথা বিচার কক্ষ। বিচারপতিদের জন্য রয়েছে ৫৬টি চেম্বার। বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে ৫৬টি অফিস। থাকছে একটি করে ডে-কেয়ার সেন্টার, নামাজের স্থান ও গভীর নলকূপ। রয়েছে চারটি লিফট। ১২তলা এ ভবনে রয়েছে ১৬০০ কেভিএ সাবস্টেশন ও ৫০০ কেভিএ জেনারেটের। ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৪টি বিআরটিসি দোতলা বাস পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও দুটি স্টোররুম রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে: প্রধান বিচারপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
১০৮৬ দিন আগে