পুরস্কার
মন্ত্রিত্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানের পুরস্কার নয়: ফারুকী
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, 'আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের' পুরস্কার হিসেবে তিনি মন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেননি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রথম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুকী বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলটি দারুণ। আমরা মিটিং করব। সেখানে আমরা চিন্তাভাবনা করব- আমরা কী করতে পারি? আমরা চলে যাওয়ার পরে, আমাদের বলতে পারা উচিত যে আমরা দৃশ্যমান কিছু করেছি। এটি প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করব।’
আরও পড়ুন: ‘তোদের অসভ্যতার শেষ হোক’: ফারুকী
তিনি বলেন, ‘অনুমোদনের পর আমরা তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আপনিও জানতে পারবেন। আমরা রোডম্যাপ শেয়ার করব, আমরা কী করতে চাই। আমরা যেদিন চলে যাব সেদিনই আপনারা বিচার করবেন আমরা কতটুকু সফল হয়েছি আর কোথায় ব্যর্থ হয়েছি। ব্যর্থতার জন্য আমরা ক্ষমা চাইব।’
ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার অবস্থান, আমি কী করব, কী করেছি- গত ১৫ বছরে আমার ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। শুধু কয়েকটা পোস্ট না দেখে সবগুলো দেখুন। আপনারাও আমার সিনেমা দেখে আমার অবস্থান বুঝতে পারবেন।’
তিনি বলেন, 'আমি ফ্যাসিস্টদের সমর্থন করি, এটা বলা অবিশ্বাস্য। এর জবাব দেওয়ার দরকার নেই। আমার লেখাগুলো পড়ুন। 'এই চেতনা নিয়ে আমরা কী করব?' – ২০১৪ সালে যেদিন শাহবাগে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছিল, সেদিন লিখেছিলাম, সেটিও পড়ুন। এছাড়া ২০১৫ সালে 'ইন সার্চ অব বাটস অ্যান্ড ইফস' শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম কিনা- তার পুরস্কার হিসেবে আমি এই মন্ত্রিত্ব নিতে আসিনি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি এই কাজটি করতে পারি কিনা। যারা আমাকে বিশ্বাস করেন, তারা মনে করেন, আমি পারব। তারপর ভাবলাম, হ্যাঁ, হয়তো পারব।’
ফারুকী বলেন, ‘তাই আমার কাজ দিয়েই আমাকে বিচার করুন। ফ্যাসিবাদবিরোধী হওয়ার পুরস্কার হিসেবে আমার মন্ত্রিত্ব পদের দরকার নেই।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'
১ মাস আগে
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কারের জন্য দুই মার্কিন বিজ্ঞানী চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পাওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার(৮ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
তিনজন বিজ্ঞানী গত বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ইলেকট্রনের অতিদ্রুত ঘূর্ণনের জগতে প্রথম সেকেন্ডের ভগ্নাংশের ঝলক দেখানোর জন্য। এমন একটি ক্ষেত্র যা একদিন আরও ভালো ইলেকট্রনিক্স বা রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২০২৩ সালের পুরস্কারটি ফরাসি-সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান এল'হুইলিয়ার, ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি এবং হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফেরেঙ্ক ক্রাউসকে প্রতিটি পরমাণুর ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে তাদের কাজের জন্য দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন তাদের জেনেটিক উপাদানের ক্ষুদ্র বিট আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় পুরস্কার জিতে নেন। সোমবার তাদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে ছয় দিনের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। তাদের আবিষ্কার হলো কোষের অভ্যন্তরে সুইচগুলো চালু এবং বন্ধ করা, কোষগুলো কী করে এবং কখন এটি করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন
বিজ্ঞানীরা যদি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন যে, তারা কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে তাদের কাজে লাগানো যায়, তবে এটি একদিন ক্যান্সারের মতো রোগের শক্তিশালী চিকিৎসার পথ সুগম করতে পারে।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া উইল থেকে নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এই পুরস্কার ১১৭ বার দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ ডিসেম্বর নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার গ্রহণের জন্য বিজয়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বুধবার রসায়ন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। আর আগামী শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ২ মার্কিন বিজ্ঞানী
২ মাস আগে
ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ২১ শিল্প প্রতিষ্ঠান
‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ ও একটি ট্রেডবডি বা বাণিজ্য সংগঠনকে ‘ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেয়েছে ২১টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠান।
জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা, বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। ছয়টি ক্যাটাগরির খাত ও উপখাত অনুযায়ী এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
আরও পড়ুন: পর্যটনখাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ টোয়াবের ‘টিটা অ্যাওয়ার্ড’
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিল্পায়ন আর শিল্পায়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে উৎপাদনশীলতা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদনশীলতার প্রসার ঘটিয়ে জনগণের জীবন মানের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এনপিও বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন খাত, উপখাত এবং শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠান খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী কলাকৌশল সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ, সেমিনার, কর্মশালা, পরামর্শ সেবা ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদনশীলতার সুফল শুধু উৎপাদনকারী এককভাবে ভোগ করে না। তার সুফল উৎপাদনকারী থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সমানভাবে ভোগ করতে পারে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্পখাতকে বিশ্ব পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তুলতে প্রযুক্তিভিত্তিক, উচ্চ অগ্রাধিকার শিল্প সৃষ্টি, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন প্রক্রিয়া, সুসংহত ব্যক্তিখাত গড়ে তোলাসহ পণ্যের গুণগতমান উন্নয়ন, এসএমই খাতের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পসহ অন্যান্য উদ্যোক্তাদের আর্থিক সুবিধা ও স্বল্পসুদে ঋণপ্রদান, পণ্য বহুমুখীকরণ, মূল্য সংযোজনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিল্প কারখানার সংস্কার, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও শিল্পপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই শিল্পায়নের প্রসারের মাধ্যমে জিডিপিতে শিল্পখাতের অংশ বৃদ্ধিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সদা সচেষ্ট।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর এজন্য নতুন বাজেটে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মূল্যেস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে এ বছরের শেষে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে মর্মে আমি আশাবাদী।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন সময়মতো জ্বালানি ও সারের জোগান নিশ্চিতকরণ। আমরা এক্ষেত্রে আমদানির পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করেছি।
এনপিও’র মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।
পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করবেন বায়োফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লকিয়ত উল্লাহ্।
‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেয়েছে ছয়টি ক্যাটাগরির খাত ও উপখাতভিত্তিক ২১টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠান।
এরই অংশ হিসেবে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে তৈরি পোশাক উপখাতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ইকোটেক্স লিমিটেড, ফকির ফ্যাশন লিমিটেড ও স্কয়ার ফ্যাশন্স লিমিটেড।
টেক্সটাইল উপখাতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড, ফোর এ ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড এবং মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
খাদ্য ও পানীয় উপখাতে ইস্পাহানি টি লিমিটেড এবং ওষুধ ও রসায়ন উপখাতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
ইস্পাত, প্রকৌশল ও সেবা শিল্প উপখাতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে যথাক্রমে বঙ্গ বিল্ডিং মেটেরিয়াল লিমিটেড এবং মাল্টিলাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে তৈরি পোশাক উপখাতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে যথাক্রমে এফ জি এস ডেনিম ওয়্যার লিমিটেড এবং শান্তা এক্সপ্রেশন্স লিমিটেড লিমিটেড।
ওষুধ উপখাতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে যথাক্রমে বায়োফার্মা লিমিটেড এবং গেট ওয়েল লিমিটেড।
এছাড়া ইস্পাত ও প্রকৌশল উপখাতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে শেলটেক হোল্ডিংস লিমিটেড, রংপুর ফাউন্ডি লিমিটেড এবং আদজি ট্রিমস লিমিটেড।
মাইক্রো শিল্প, কুটির শিল্প ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে যথাক্রমে মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ, রুপকথা ফ্যাশন এবং কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
অন্যদিকে 'ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২' পেয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ও ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা, ২০২০ অনুযায়ী ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ এবং ‘ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটন খাতে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড পেল ইউএস-বাংলা
ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড পেল ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
৬ মাস আগে
ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম পুরস্কার পেলেন ১১ সাংবাদিক
সাংবাদিকতায় অসাধারণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ সাংবাদিককে 'ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪' দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ)।
এছাড়া দেশের গণমাধ্যম, ডিজিটাল ও ব্যবসা খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও ৬ জনকে ডিএমএফ স্পেশাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
শনিবার (১ জুন) রাজধানীতে পুরষ্কার বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জুরি বোর্ডের সদস্য ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর ও দৈনিক সবুজের বার্তা প্রধান নিশান মোহাম্মদ মোকসেদুর রহমান ওয়ালী পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচ সাংবাদিক হলেন- বিজনেস ক্যাটাগরিতে বণিক বার্তার ইয়াহিয়া নকিব, আরটিভির বিনোদন বিভাগের এস এম মারজান ইভান, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক কালবিলের জাফর ইকবাল, সমকালের (আইসিটি) সাব্বিন হাসান ও রাইজিং বিডির ক্রীড়া সাংবাদিক ইয়াসিন হাসান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে: ওবায়দুল কাদের
৬ মাস আগে
দেশের ৬ জেলার ১৪৪ কৃষক-কৃষি কর্মকর্তাকে পুরস্কার দিল ডিএই
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে দেশের ৬ জেলার ১৪৪ জন কৃষক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পুরষ্কার দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রতিটিতে ৩টি ক্যাটাগরিতে ১ জন প্রথম, ২ জন দ্বিতীয় ও ৫ জন করে যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে কৃষক পুরস্কার বিতরণ ২০২৪ ও ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। তার নির্দেশেই কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের যথেষ্ট প্রভাব থাকলেও ডিএই মাঠ পর্যায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে। আমাদের দেশের কৃষকরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হচ্ছেন। এর ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ফলনও ভালো হচ্ছে।
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, কৃষি জমির পরিমাণ ও মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি উৎপাদন ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে।
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উদ্দেশ্যে ড. জাহাঙ্গীর বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে সেচ দেওয়া, বছরের পর বছর একই চাষ না করা, জমিতে চাষ কম দেওয়া ও ফসলের উচ্ছিষ্ট জমিতে ফেলে রাখার মাধ্যমে জমির উর্বরতা ও ফলন বাড়ানো সম্ভব।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা বিষয় আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬টি জেলার কৃষি উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাছাড়া বস্তায় আদা চাষ ও পলিনেট হাউজের ব্যবহার ও উপকারিতা কৃষকদের মাঝে তুলে ধরা হয়।
ডিএই'র ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
বাকৃবিতে তিন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ
৬ মাস আগে
অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অর্জন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেয় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
পদক প্রাপ্তির প্রেক্ষাপটে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকে ক্রমাগতভাবে সাফল্যের সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টুর্নামেন্ট দুইটি আয়োজন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এ টুর্নামেন্ট ফুটবলার তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। ২০২২ সালে সাফ উইমেনস ফুটবল চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাঁচজন খেলোয়াড় উঠে এসেছে এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।
সচিব বলেন, ২০২৩ সালে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ২২ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী টুর্নামেন্ট দুটিতে অংশ নেয়। অংশগ্রহণের দিক থেকে এখন বিশ্বের বৃহত্তম টুর্নামেন্ট এ দুইটি। এ অনন্য অর্জন ‘গিনেসবুকে’ স্থান করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তিনি এ ব্যাপার গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়াও ‘সানজিদা’বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের প্রফেশনাল ফুটবল লিগে কোলকাতা ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
৭ মাস আগে
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে 'আইসিসি উইমেন্স প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' পুরস্কার জিতলেন নাহিদা আক্তার
প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে 'আইসিসি উইমেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' পুরস্কার জিতেছেন স্পিনার নাহিদা আক্তার।
নাহিদা তার সতীর্থ ফারজানা হক ও পাকিস্তানি স্পিনার সাদিয়া ইকবালকে পরাজিত করে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২০০ দৌড়বিদ নিয়ে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নাহিদা সাত উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নাহিদা ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জেতাতে সহায়তা করেন। পরে তিনি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
২৩ বছর বয়সী নাহিদা নারী টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এবং ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
গত আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ নারী দলের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী পারফরম্যান্সেও এমন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের প্রতিফলন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ‘মিথ্যা প্রতিবেদন’: একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে মুশফিকের আইনি ব্যবস্থা
ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘের কপাট’ পেল ৩ পুরস্কার
ভারতের গ্লোবাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০২৩ এ তিনটি পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘মেঘের কপাট’।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতায় এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ‘মেঘের কপাট’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ওয়ালিদ আহমেদ ও প্রযোজক আফরোজা মোমেনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার তিনটি হলো- শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক (বিদেশি চলচ্চিত্র) ও রাজকাপুর পুরস্কার।
তৃতীয়বারের মতো ড্রিমজ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই চলচ্চিত্র উৎসবে সারাবিশ্ব থেকে ৪০০টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অঞ্জন বোস (চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের সত্ত্বাধিকারী), অভিজিৎ ব্যানার্জী (চলচ্চিত্র পরিচালক), সি এস কারনান (বিচারপতি, কলকাতা ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট), জয়দীপ মুখার্জিসহ (অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট অব ইন্ডিয়া এবং সম্পাদক, অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরাম) আরও অনেকে।
উৎসবে সারাবিশ্ব থেকে ৭০ জনেরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশ নেন।
কলকাতার মৌলালি যুব কেন্দ্রের স্বামী বিবেকানন্দ অডিটোরিয়ামে ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারতের গ্লোবাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন প্রথম পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত ৪০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকাল ৪টা থেকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ১০ জন পুরস্কারপ্রাপ্ত পেশাদার বিচারক এই ফেস্টিভ্যালে বিচারের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: এল গার্লস স্কোয়াড সিজন-৩
১ বছর আগে
বিজয়ীদের হাতে উঠল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২
জমকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ । ২৭টি বিভাগে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।
আজ (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পুরষ্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতি বছরের এবারও এই পুরস্কারের ঘোষণা হয় ৩১ অক্টোবর। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এবারের বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্যসচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
এবার ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান চঞ্চল চৌধুরী। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ‘বিউটি সার্কাস’র জন্য জয়া আহসান ও ‘শিমু’র জন্য রিকিতা নন্দিনী শিমু।
আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
অন্যদিকে, যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও মো. তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘পরাণ’।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনা (রওশন আরা রোজিনা)।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার পেয়েছে এস এম কামরুল আহসান প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘ঘরে ফেরা’। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া প্রযোজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান (পরাণ), পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী আফসানা করিম (আফসানা মিমি) (পাপ-পূণ্য), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সুভাশিষ ভৌমিক (দেশান্তর), কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মো. সাইফুল ইমাম (দীপু ইমাম) (অপারেশন সুন্দরবন) পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
এছাড়া শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী যৌথভাবে বৃষ্টি আক্তার (রোহিঙ্গা) ও মুনতাহা এমিলিয়া (বীরক্ব), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মোছা. ফারজিনা আক্তার (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম খান (রিপন খান) (পায়ের ছাপ) পুরষ্কার পেয়েছেন।
যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ গায়ক শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার) (অপারেশন সুন্দরবন, গান- এ মন ভিজে যায়...) ও চন্দন সিনহা (হৃদিতা, গান- ঠিকানা বিহীন তোমাকে)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা আতিয়া আক্তার আনিসা (পায়ের ছাপ, গান- এ শহরের পথে পথে...), শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরষ্কার পেয়েছেন রবিউল ইসলাম জীবন (পরাণ, গান-ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে...)।
এবার শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন (পায়ের ছাপ, গান- এ শহরের পথে পথে...), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার ফরিদুর রেজা সাগর (দামাল), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ এস এ হক অলিক (গলুই), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ (শিমু), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক হিমাদ্রি বড়ুয়া (রোহিঙ্গা), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক আসাদুজ্জামান (মজনু) (রোহিঙ্গা), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ (হাওয়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জায় তানসিনা শাওন (শিমু), শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান মো. খোকন মোল্লা (অপারেশন সুন্দরবন) এ পুরষ্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহ কপাট বিতর্ক: অবশেষে ক্ষমা চাইলো টিম ‘পিপ্পা’
১ বছর আগে
শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৫ জন
কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন গণকর্মচারী ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা সনদ ও স্মারক তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম, উপসচিব ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শাহজামাল, অফিস সহায়ক মো. আব্দুল বাছেদ এবং অফিস সহায়ক হাবিবা আক্তার নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেন।
এ সময় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিন, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান সহ অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভের মধ্যে ‘স্মার্ট সরকার’ অন্যতম।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা স্মার্ট সরকার স্থাপনে অপরিহার্য। আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এমনভাবে কাজ করতে হবে যা কর্মক্ষেত্রে আমাদের অনুজদের অনুপ্রাণিত করে।
ভূমি মন্ত্রণালয় একটি সেবামুখী মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত সবাইকে আইনের মধ্যে থেকে ভূমিসেবা গ্রহীতার সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট সরকার স্তম্ভের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পাদিত উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ১২টির অধিক দপ্তর-সংস্থার সাথে ডাটার আন্তঃসংযোগ, ল্যামস-এর আন্তঃসিস্টেমসমূহের মাধ্যমে আন্তঃযোগাযোগ, কিউআর কোড ভিত্তিক খতিয়ান, দাখিলা ও ডিসিআর, দ্বিতীয় প্রজন্মের স্মার্ট মিউটেশন, স্মার্ট এলডি ট্যাক্স, স্মার্ট খতিয়ান, এলএসজির মাধ্যমে সকল ধরণের ডেটার আন্তঃসংযোগ, ২০টির অধিক এসওপি ও গাইডলাইনের খসড়া প্রণয়ন।
আরও পড়ুন: ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে মালিক পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
১ বছর আগে