হ্যাটট্রিক
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
৩-২ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব ও নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলার প্রয়োজন ছিল দলটির, তার কিছুই দেখাতে পারেনি তারা। উল্টো দুর্দান্ত রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গার্দিওলার শিষ্যদের।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগে সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের তিনটি গোলের সবগুলোই এসেছে তার পা থেকে। অপ্রতিরোধ্য এমবাপ্পেকে ঠেকাতেই সবটুকু শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় সিটির খেলোয়াড়দের। আর ভিনিসিউস, রদ্রিগো, বেলিংহ্যাম ও ফেদেরিকো ভালভের্দেদের যৌথ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে দুস্বপ্নের মতো এক রাত পার করেছে ম্যানচেস্টারের দলটি।
আরও পড়ুন: ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভাঙল বায়ার্ন
গোল দিয়েই কার্যত ম্যাচটি শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের সামান্য উপর থেকে ডিফেন্ডার রাউল আসেন্সিওর দুর্দান্ত এক উড়ন্ত লং পাস ধরে সিটির ডিফেন্স ভেঙে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপ্পে।
আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ৩৩তম মিনিটে আরও একটি দর্শনীয় গোল করে দলকে তিন গোলের লিড এনে দেন তিনি। এবারের গোলটির মূল কারিগর ছিলেন রদ্রিগো। সিটির বক্সে ঢোকার মুখে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দেন তিনি, আর তা থেকে ব্যবধান বাড়াতে মোটেও কষ্ট হয়নি ফরাসি তারকার।
অসুস্থতার কারণে বেঞ্চে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনে ও আর্লিং হালান্ডের অুনপস্থিতিতে এদিন বলের ওপর একেবারেই নিয়ন্ত্রণ হারায় সিটি। প্রথমার্ধে গোলে শট নেওয়া তো দূরের কথা, তেমন কোনো আক্রমণই শানাতে পারেনি তারা। সেইসঙ্গে দুর্দান্ত রিয়ালের ক্রমাগত চাপে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
২৮ দিন আগে
এমবাপ্পের ‘প্রথম’ হ্যাটট্রিকে ১০ জনের ভায়াদোলিদকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল রিয়াল ভায়াদোলিদের ওপর রীতিমতো শাসন চালাল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে বিশাল ব্যবধানে জয় না পেলেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
হোসে সরিয়া স্টেডিয়ামে লা লিগার ২১ রাউন্ডের ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
এর ফলে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানের পয়েন্ট ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন আক্রমণে ঢেউ তুললেও কোনোভাবেই গোল পাচ্ছিল না লিগ টপাররা। এরপর ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ভালভের্দে-বেলিংহ্যাম-এমবাপ্পে ঝলকে গোলের খাতা খোলে রিয়াল।
মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই এমবাপ্পেকে বাড়ান ভালভের্দে। বল পেয়ে তা ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে মাঝামাঝি জায়গায় থাকা বেলিংহ্যামকে পাস দিয়েই বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। আর ফিরতি স্পর্শে ফের বল এমবাপ্পের উদ্দেশে বাড়ালে তা থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার পর ফিরে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে আরও এক গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে।
এ সময় দানি সেবায়োসের বাড়ানো বল ধরেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর প্রতিপক্ষের বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে বাঁ পাশ দিয়ে ভেতরে ঢোকা এমবাপ্পেকে পাস বাড়ান এই ব্রাজিলীয়। বল ধরে নিপুণতার সঙ্গে তা গোলে পরিণত করেন এমবাপ্পে।
এরপর ম্যাচ যখন ২-০ গোলেই শেষ হওয়ার পথে, ঠিক তখনই পেনাল্টি দিয়ে বসেন ভায়াদোলিদ মিডফিল্ডার মারিও মার্তিন। শুরুতে ফাউল না দিলেও ভিএআরের পরামর্শে চাটলাইন মনিটরে রিভিউ দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, সঙ্গে মার্তিনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেন। এর ফলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য দশজনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
এরপর স্পট কিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে।
এর ফলে সব মিলিয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে ৮ গোল করলেন এই তারকা স্ট্রাইকার। পাশাপাশি লা লিগায় তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৫টি, সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এমবাপ্পের গোল ২২টি।
আরও পড়ুন: গোল উৎসব করে শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে দুই পয়েন্ট খুইয়েছে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ফলে সমান ২১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৫, রিয়ালের চেয়ে যা চার পয়েন্ট কম।
এছাড়া ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা। রবিবার রাতে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচটি জিতে শীর্ষ দুই দলের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে।
৫৩ দিন আগে
ভাগ্যের পালাবদলের রাতে ৯ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সেলোনার
খ্যাতিমান কোনো নাট্যকার বা সিনেমার গল্পলেখককেও যেন হারিয়ে দিল বেনফিকা-বার্সেলোনা ম্যাচ। একের পর এক দৃশ্যপট পরিবর্তন, বারবার ভাগ্যদেবীর রসিকতা, ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর জানুয়ারির শীতে বৃষ্টির হানা, ব্যবধান কমিয়ে ফের ২ গোলে পিছিয়ে পড়া এবং একেবারে শেষ মুহূর্তে হারতে গিয়েও অকল্পনীয়ভাবে জিতে যাওয়া— বিশ্বের দুর্দান্ত সব থ্রিলার গল্পের চেয়ে কোনো অংশেই কম কিছু ছিল না। এসবের জেরে পুরোটা সময় আনন্দে টইটম্বুর থেকে ম্যাচশেষে গোমড়া মুখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বেনফিকার সমর্থকদের। ‘অবিচার করা হয়েছে’ ভেবে রাতের ঘুম তাদের হবে কি না, বলা মুশকিল।
পর্তুগালের দা লুস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫-৪ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
এর ফলে সাত ম্যাচে ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টেবিলের চূড়ায় থাকা লিভারপুলের সঙ্গে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ভানগেলিস পাভলিদিসের প্রথমার্ধের হ্যাটট্রিকের পর দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদ আরাউহোর আত্মঘাতী গোল, সব মিলিয়ে চার গোল করে বেনফিকা। অপরদিকে, দুই অর্ধে পেনাল্টি থেকে দুই গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি এবং এরিক গার্সিয়ার একটি ও রাফিনিয়ার জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।
এদিন খেলা শুরুর পরপরই বেনফিকার দুর্দান্ত একটি আক্রমণে গোল খেয়ে বসে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত পাস ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে ক্রস দেন আলভারো কারেরাস। অসাধারণ ভলিতে প্রথম স্পর্শেই তা থেকে সমর্থকদের উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন পাভলিদিস।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
গোল খাওয়ার পর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে বার্সেলোনা, অপরদিকে বেনফিকাও সফরকারীদের ছেড়ে কথা বলার মনোভাব দেখায় না। ফলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনার পারদ চড়ে খেলায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে সমতায় ফেরে কাতালান জায়ান্টরা। বেনফিকার বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢোকার পর আলেহান্দ্রো বালদের শট প্রতিহত করতে গিয়ে তার পায়ে পাড়া দিয়ে বসেন দলটির পর্তুগিজ ডিফেন্ডার তমাস আরাউহো।
শুরুতে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা আবেদন করেনি, রেফারিও গুরুত্ব দেনটি বিষয়টিতে। তবে কিছুক্ষণ পর ভিএআর বক্স থেকে রেফারিকে রিভিউ দেখার কথা জানানো হয়। এরপর টাচলাইন মনিটর থেকে রিভিউ দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, আর নিখুঁত স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান লেভানডোভস্কি।
৫৭ দিন আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
১৪৭ দিন আগে
হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
ক্যারিয়ারের একেবারে শেষপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। তারপরও রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় একের পর এক একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে লাতিন আমেরিকা পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আরও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৫ গোলে অবদান রেখেছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
বলিভিয়ার বিপক্ষে এটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিক, দেশের জার্সিতে যা দশম। এতেই পর্তুগিজ মহাতারকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে পর্তুগালের ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে দেশের জার্সিতে দশম হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের সভেন রিডেলের সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড (৯) ভেঙে সেদিন অনন্য উচ্চতায় ওঠেন তিনি। এর তিন বছরের মধ্যে তাকে ছুঁয়ে ফেললেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি।
অবশ্য ১০ম হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে ১৯১ ম্যাচ খেলা লাগে রোনালদোর, মেসির সেখানে লাগল ১৮৯ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
তবে আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যায় মেসির চেয়ে অনেক উপরে রয়েছেন রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে ২১৬ ম্যাচে ১৩৩ গোল করেছেন তিনি, যেখানে এই ম্যাচের পর ১৮৯ ম্যাচে ১১২ গোল হলো মেসির। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের তালিকায় এ দুজনই সবার উপরে। ১৪৮ ম্যাচে ১০৮ গোল নিয়ে তাদের পরে রয়েছেন ইরানের সাবেক ফরোয়ার্ড আলী দাইয়ি।
এদিকে, ক্যারিয়ার হ্যাটট্রিকেও মেসির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রোনালদো। মেসির ৫৮ হ্যাটট্রিকের জায়গায় রোনালদোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৬৬টি। তবে পেশাদার ফুটবলে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন আরও তিন ফুটবলার। ১৪১টির বেশি হ্যাটট্রিক নিয়ে এই তালিকায় সবার উপরে জার্মানির এরভিন হেলমশেন, ১০১টির বেশি হ্যাটট্রিক করেছেন অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে খেলা জোসেফ বাইকান এবং ১০০টির বেশি হ্যাটট্রিক রয়েছে হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ডিকের।
এছাড়া, লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। এর ২টিই বলিভিয়ার বিপক্ষে, অন্যটি ইকুয়েডরের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এদিনের ম্যাচের পর ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
দিনের অপর ম্যাচে রাফিনিয়ার জোড়া পেনাল্টির পর পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে উরুগুয়ে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে এদিন গোলশূন্য ড্র করেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
১৫৫ দিন আগে
লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে দারুণ জয় বার্সেলোনার
হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে উড়তে থাকা বার্সোনার প্রতাপ দেখল এবার আলাভেস। রবের্ট লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে ক্লাবটিকে উড়ে দিয়েছে বার্সা।
লা লিগায় রবিবার আলাভেসকে তাদের মাঠেই ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দলের হয়ে প্রথম ৩২ মিনিটের মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানডোভস্কি।
এর ফলে চলতি মৌসুমে লিগে ৯ ম্যাচে ১০ গোল ও ২ অ্যাসিস্টসহ মোট ১২ গোলে অবদান রাখলেন তিনি। এছাড়া পিচিচির দৌড়ে নিজেকে আরও উপরে তুললেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
দুই অর্ধে অবশ্য দুটি গোল পেয়েছিল আলাভেস, তবে অফসাইডের কারণে দুবারই হতাশ হতে হয় তাদের। অবশ্য বার্সেলোনার একটি গোলও অফসাউডে কাটা পড়ে।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে পরিষ্কার এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ৭২ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রেখে মোট ১৫টি শট নেয় তারা যার ৯টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে একবারও লক্ষ্যে রাখতে না পারা আলাভেসের ১১টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র দুটি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাকে খুশি করে সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে উঠতে থাকে বার্সেলোনা। এরই ধারাবাহিকতায় রাফিনিয়ার গোলে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় কাতালানরা। তবে মাঝমাঠ থেকে লং পাস ধরে রাফিনিয়াকে বাড়ানোর আগে অফসাইডে ছিলেন লামিন ইয়ামাল। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
তবে এর দুই মিনিট পর পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা উইঙ্গার ফেররান তোরসকে। তার বদলি হিসেবে এরিক গার্সিয়াকে মাঠে নামান হান্সি ফ্লিক।
এরপর সপ্তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বার্সা। ডান পাশে প্রতিপক্ষের বক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রি কিক আদায় করেন লামিন, তা থেকে গোলমুখে দারুণ একটি ক্রস দেন রাফিনিয়া। এরপর লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান লেভানডোভস্কি। বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকেই পেনাল্টি স্পটের সামনে থ্রু বল বাড়ান রাফিনিয়া, এরপর এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানান লেভানডোভস্কি।
দুই মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতেন রাফিনিয়া। তবে বাঁ পাশ থেকে কাছের পোস্টে তিনি নিচু শট নিলে গোলরক্ষক তা ঠেকিয়ে দেন।
৩২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানডোভস্কি। লেভাকে বক্সে ঢুকতে দেখে রক্ষণচেরা অসাধারণ একটি পাস দেন এরিক গার্সিয়া, তা ধরে কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে পড়ে যাওয়ার মুখে দূরের পোস্টের দিকে আচমকা বল ঠেলে দেন লেভানডোভস্কি। গোলরক্ষক বিষয়টি একেবারেই আঁচ করতে না পেরে কাছের পোস্টের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন। ফলে শটে গতি না থাকলেও বলের গড়িয়ে গড়িয়ে জালে জড়িয়ে যাওয়া দেখতে হয় তাকে।
এর ফলে প্রথম গোল করার ২৫ মিনিটের মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ।
৩৯তম মিনিটে ড্রিবল করে এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন পেদ্রি, তবে সহজেই তা লুফে নেন আলাভেস গোলরক্ষক আন্তনিও সিভেরা।
দুই মিনিট পর চতুর্থ গোল পেতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে সতীর্থের বাড়ানো পাসে গতি বেশি থাকায় এগিয়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন সিভেরা।
প্রথমার্ধের এক মিনিট বাকি থাকতে আক্রমণে ওঠে আলাভেস। এরপর দুই কর্নারের পর ৪৫তম মিনিটে একটি গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে হতাশ হয়ে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আলাভেস।
১৬৫ দিন আগে
চার গোল করে ইতিহাসের পাতায় পালমার
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে চেলসি। আর তাতে একাই চার গোল করে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন ব্লুসদের ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার।
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি।
চেলসির চারটি গোলই করেছেন ২২ বছর বয়সী ইংলিশ প্রতিভা কোল পালমার। মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করার পর ২০ মিনিটের মধ্যে ওই চার গোল করেন তিনি।
পালমারের চারটি গোলই এসেছে বিরতির আগে। আর তাতেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন এই প্রতিভাবান তরুণ।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমার্ধে চার গোল করার রেকর্ড আর কারও নেই। লিগের ৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফুটবলার এই কীর্তি গড়ল বলে জানিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের পরিসংখ্যান প্রকাশকারী সাইট অপটা।
আরও পড়ুন: পালমারের চার গোল, চেলসিতে বিধ্বস্ত ব্রাইটন
এদিন ম্যাচের ২১, ২৮, ৩১ ও ৪১তম মিনিটে গোলগুলো করেন পালমার। এর মধ্যে তার দ্বিতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে।
অবশ্য ওই চার গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পায়নি ব্রাইটনও। ফলে ৪-২ গোলে জিতে ম্যাচ শেষ করে চেলসি।
এর আগে, গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগে চার গোল করেন পালমার। এভারটনের বিপক্ষে চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি ৬-০ গোলে জেতে চেলসি।
এদিকে, আজকের হ্যাটট্রিকের ফলে লিগে তার মোট হ্যাটট্রিক সংখ্যা হলো তিনটি। এর মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগে তিন হ্যাটট্রিক করা চেলসির চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে দিদিয়ের দ্রগবা, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও জিমি ফ্লয়েডের পাশে বসলেন তিনি।
আজকের পারফরম্যান্সের পর লিগে ৬ ম্যাচে পালমারের গোলসংখ্যা হলো ৬টি। এর পাশাপাশি চারটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
দশ গোল নিয়ে লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন পালমার। আর সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের তালিকায় লেস্টার সিটির উইলফ্রেদ এনদিদি ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনি। ৬ অ্যাসিস্ট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন আর্সেনালের ইংলিশ উইঙ্গার বুকায়ো সাকা।
১৭৩ দিন আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বার্সেলোনা সমর্থকরা। আর্থিক সংকটের কারণে চাহিদামতো খেলোয়াড় কিনতে না পারা এবং চোটজর্জর দল নিয়েও লিগের প্রথম চার ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লাবটি। তবে চতুর্থ ম্যাচে বিরাট জয়ে ভক্তেদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার দল।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
এই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সার ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। এছাড়া শুরুতেই পিচিচির দৌড়ে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি, দানি অলমো, ফেররান তোরেস ও জুল কুন্দে পেয়েছেন একটি করে গোলের দেখা। তবে গোল না পেলেও এদিন দুটি অ্যাসিস্ট করে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন লামিন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-০ ব্যবধান গড়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতির পর তারা প্রতিপক্ষের জালে আরও চারবার বল পাঠায়।
ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা, কিন্তু অফসাইডের কারণে দানি অলমোর গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রাফিনিয়ার বুলেট শট প্রতিহত করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ভায়াদোলিদ গোলরক্ষক কার্ল হাইন। বল তার কাছ থেকে সামনে চলে আসলে এগিয়ে গিয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন অলমো, কিন্তু ভিএআর রিভিউতে রেফারির অফসাইডের সিন্ধান্ত বহাল থাকলে হতাশ হয় বার্সার সমর্থকরা।
চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রবের্ট লেভানডোভস্কির শট ঠেকিয়ে দেন হাইন। ষোড়শ মিনিটে তার আরও একটি হেডার পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
মাঝ মাঠ থেকে রাফিনিয়ার দৌড় দেখেই শূন্যে ভাসিয়ে লং পাস দেন পাউ কুবারসি। এরপর প্রতিপেক্ষের বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
২০১ দিন আগে
মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দৃঢ় পারফর্ম করেও ২-০ ব্যবধানে হেরে মৌসুম শুরু করে চেলসি। এর ফলে হার দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে চেলসি অধ্যায় শুরু করেন কোচ এনসো মারেসকা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডেই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষ গোল উৎসব করে জয়ে ফিরেছে ব্লুসরা।
রবিবার (২৫ আগস্ট) উলভসের মলিনো স্টেডিয়ামে ৬-২ গোলের জয় পেয়েছে চেলসি। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন চেলসির ২২ বছর বয়সী ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ননি মাদুয়েকে। বাকি গোল তিনটি করেন নিকোলাস জ্যাকসন, কোল পালমার ও সদ্যই আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে চেলসিতে ফেরা জোইয়াও ফেলিক্স।
উলভসের হয়ে দুটি গোল করেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড মাথিউস কুনিয়া ও নরওয়ের তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়োর্গেন স্ট্রান্ড লারসেন।
আরও পড়ুন: রাহিম স্টার্লিং পরিকল্পনায় নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মারেসকা
এদিন ম্যাচের ৯৮ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় চেলসি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেডারে জালে জড়ান চেলসির সেনেগাল স্ট্রাইকার নিকোলাস জ্যাকসন।
এরপর দুই পক্ষই একের পর এক আক্রমণে উঠতে থাকে। এর মধ্যে ১৯তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের বাড়ানো পাস ধরে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে নেওয়া মাদুয়েকের নিচু শট প্রতিহত করেন উলভস গোলরক্ষক হোসে সা। তবে এর কিছুক্ষণ পরই স্বাগতিকদের সমতা ফেরান কুনিয়া।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে ডানপায়ের শটে চেলসির জাল কাঁপিয়ে দেন এই ব্রাজিলীয়। তবে ৪৫তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় চেলসি।
জ্যাকসনের বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন কোল পালমার।
তবে এগিয়ে থেকে বিরতি যাওয়া হয়ে ওঠেনি চেলসির। যোগ করা ৯ মিনিটের ষষ্ঠ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের সমতায় ফেরান লারসেন।
২০৭ দিন আগে
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে শরিফুলের হ্যাটট্রিক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচে স্পটলাইটে এসেছেন দুর্দান্ত ঢাকার বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের হাত ধরে প্রথম ম্যাচেই এল হ্যাটট্রিক। এদিকে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি
কুমিল্লার ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ তিন বলে কুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফিরিয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএলের) দশম আসরের সপ্তম হ্যাটট্টিকের রেকর্ড এটি। এর আগেরটিই করেছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ: আইসিসি
বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন আন্দ্রে রাসেল, ওয়াহাব রিয়াজ, আলিস ইসলাম, আল আমিন হোসেন ও মোহাম্মদ সামি।
বিপিএল ২০২৪- এর উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা ৬ উইকেটে ১৪৩ রানে ভিক্টোরিয়ান্সকে আটকে দেয়। এছাড়া ইমরুল কায়েস ৬৬ ও তৌহিদ হৃদয় ৪৭ রান করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার জয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিপিএলের নতুন মৌসুম
ঢাকার হয়ে শরিফুল ৩টি ও তাসকিন আহমেদ ২টি উইকেট নেন।
ভিক্টোরিয়ান্স চারটি বিপিএল শিরোপা নিয়ে গর্ব করলেও দুর্দান্ত ঢাকা অভিষেক করছে এবারের আসরে।
আরও পড়ুন: বিপিএলের দিকে নজর রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তামিম
৪২৬ দিন আগে