বন্যহাতি
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির লাথির আঘাতে আহত এক গারো কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত বিজয় সাংমা (৫২) নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের স্টীপেন মারাকের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এসময় নিহত কৃষক বিজয় সাংমার বাড়িতে হাজির হয়ে নালিতাবাড়ীর ইউএনও খ্রস্টফার হিমেল রিছিল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এসময় গারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কৃষকেরা ফসল রক্ষা করতে রাত জেগে ধানখেত পাহারা দিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে বন্যহাতির দলটি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক বিজয় সাংমার আবাদকৃত বোরো ধানখেতে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
এসময় বিজয় সাংমা ফসল রক্ষা করতে হাতির দলটিকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে বন্যহাতির দলটি উন্মত্ত হয়ে বিজয় সাংমার ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় হাতির দলের একটি হাতি বিজয় সাংমার বুকে ও পেটে পা দিয়ে লাথি মারে এবং তলপেটে চাপা দেয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন কালাপানি এলাকার সীমান্ত সড়কের পাশে নিজ আবাদি বোরো ধানখেত পাহারা দেওয়ার সময় বিজয় সাংমা বন্যহাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন।
ওসি আরও বলেন, স্বজনেরা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয় সাংমাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা বিজয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক বিজয় সাংমার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
শেরপুর শ্রীবরদী সীশান্তে বন্যহাতির কবল থেকে খেতের ধান রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে এক কৃষক নিহত ও এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে উপজেলার জুলগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আব্দুল করিম (৩৫) ওই এলাকার রবিজল মিয়ার ছেলে।
আহত খবির উদ্দিনকে শ্রীবরদী উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে নিহত আব্দুল করিমের লাশ তার বাড়িতে রাখা হয়েছে এবং থানায় নিয়মিত অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ বন্দুকযুদ্ধে নিহত
পুলিশ, বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের সীমান্তবর্তী জনপদের ফসলি জমিতে খাবারের সন্ধানে পাহাড় থেকে বেশ কিছুদিন ধরে বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে।
শুক্রবার ভোরেও তেমনি একটি বন্যহাতির দল শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি বনবীটের আওতাধীন জুলগাঁও এলাকায় ধানখেতে হানা দেয়। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা খেতের ধান রক্ষায় হাতি তাড়াতে গেলে দলের একটি বন্যহাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই কৃষক আব্দুল করিম নিহত হয়। সেইসঙ্গে খবির নামে আরও এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছে। পরে হাতির দল পাহাড়ের দিকে চলে গেলে স্থানীয়রা নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় খবির মিয়াকে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব চালিয়েছে। শনিবার একদল বন্যহাতির তাণ্ডবে উপজেলায় আব্দুল মোতালেব নামে এক দিনমজুরের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব ওই এলাকার মৃত জানলি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
সংবাদ পেয়ে শনিবার (৫ নবেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
ইউএনও তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর আব্দুল মোতালেব জানান, শনিবার ভোর আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্নাঘর ভেঙে তছনছ করে। বসতঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে।
এসময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়েছেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। শুধু তাই নয়, ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি।
এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ে প্রায় বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়।
বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১
শেরপুরে আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে গজনী অবকাশের পশ্চিম পাশের বেরী এলাকা থেকে ওই হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত ৭ মাসের মধ্যে শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদে চারটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন যাবত ৩০ থেকে ৪০টি বন্যহাতির একটি দল ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি এলাকায় বিচরণ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গজনী অবকাশের বেরী এলাকায় অসুস্থ্য হয়ে একটি পুরুষ হাতি খাদে পড়ে যায়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন বন্যহাতিটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে হাতিটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মৃত হাতিটিকে ঘটনাস্থলের পাশেই মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
শেরপুর জেলা জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার জানান, প্রাণিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে।
পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে আরও একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
জেলার বাঁশখালী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় মাটিচাপা অবস্থায় একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাঁশখালী বনবিভাগ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ দল বুধবার দুপুরে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের লটমনী পাহাড় বন্য হাতির মরদেহটি উদ্ধার করে।
এর আগে সকালে স্থানীয়রা পাহাড়ের পাদদেশে মাটিচাপা অবস্থায় বন্যহাতির মরদেহ দেখতে পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হাতি হত্যায় অভিযুক্ত মারা গেলেন হাতির আক্রমণে
বনবিভাগের কর্মকর্তারা বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ ও সাফারি পার্কের কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চার জন ডাক্তারের একটি টিম ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে আমাদের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কে বা কারা হাতিটি মাটিচাপা দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী কারণে হাতিটি মারা গেছে।’
আরও পড়ুন: হাতির বিরুদ্ধে থানায় জিডি!
এর আগে গত ১২ নভেম্বর একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের জঙ্গল চাম্বল পাহাড়ি এলাকায় একটি ধানখেত থেকে বন্যহাতির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নালিতাবাড়ীতে মানুষ-বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক কর্মশালা
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে এক সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে বনবিভাগ। শনিবার বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বন্যহাতি হত্যা না করতে এবং জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়।
সেইসাথে গহীন অরণ্যে যেখানে হাতির আবাসস্থল, সেখানে বনবিভাগের জায়গা দখল করে সবজির আবাদসহ অন্যান্য চাষাবাদ করতেও নিষেধ করা হয়।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ভারত সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দুইটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বনবিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৫ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত: সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ধান ক্ষেতে এক কৃষকের দেয়া বিদ্যুৎফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে একটি বন্যহাতি। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের একটি ধানক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সের বিশালাকৃতির একটি বন্যহাতি ধান ক্ষেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে এলাকার লোকজন সেখানে ভিড় করে।সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজল করিম এ বিষয়ে বলেন,‘আমি মৃত হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা গেছে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদেরবন বিভাগের সাতকানিয়া মার্দাশা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন,‘হাতির আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারিদিকে বিদ্যুতায়ন করে রাখেন। আর খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা যায়।’সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআ ই)রমজান আলী বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোনাকানিয়া ইউনিয়নে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। সকাল আটটার দিকে থানায় খবর আসে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির আক্রমণে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্য
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন ২নং রাইখালী ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমণে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিহারের পাশে এ ঘটনা ঘটে
নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু ভদন্ত আজ্ঞাধাম্মা থের (৫৮) ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কারিগর পাড়ার তম্বঘোনা বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ।
পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
কারিগর পাড়ার কার্বারি উথোয়াইপ্রু মারমা জানান, নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু বিহারের দেশনা শেষ করে বিহার হতে বের হলে বন্য হাতি তাকে আক্রমণ করে। এসময় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। আশেপাশে বাড়ি ঘর দূরে থাকায় সেই মূহূর্তে ভিক্ষুকে বাঁচাতে কেউ আসতে পারে নাই।
রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা জানান, রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া এলাকার বন্য হাতির আক্রমণে তম্বঘোনা বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পড়ুন: শ্রীবরদীর পাহাড়ী জনপদ থেকে মৃত বন্যহাতি উদ্ধার
চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
শেরপুরে নালিতাবাড়ীর পানিহাতা মিশন এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে অপু মারাক (৪৮) এক গারো অধিবাসী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার প্রথম প্রহরে মধ্যরাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বৈদুতিক ফাঁদে পড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসা ২০/২৫টির একদল বন্যহাতি নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকার লোকালয়ে হানা দিচ্ছিলো। কৃষকরা সীমান্ত সংলগ্ন ক্ষেতের আবাদ করা ধান কেটে ঘরে তোলায় বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করেছে। হানা দিয়েছে বাড়ী ঘরে, কৃষকের গোলায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে পর্যটকের মৃত্যু
স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতি তাড়াতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও লোকালয়ে নেমে আসা বন্যহাতির দল তাড়াতে গিয়ে গারো অধিবাসী অপু মারাক হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার জঙ্গল জলদী এলাকায় মনরোমা জিরি নামক স্থানে বাগান থেকে লেবু আনতে গিয়ে হাতির আক্রমণের শিকার হন নিহত ওই নারী।
নিহত নূর আয়শা (৭০) উপজেলার উত্তর জলদী দীঘির পাড় ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মুহাম্মদ ফেরদৌস আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: লকডাউনেও হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি
বাঁশখালী থানার সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনবি প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বাজারে বিক্রির জন্য বাগান থেকে লেবু আনতে যান নূর আয়শা। যাওয়ার পথে মনোরমা জিরি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানান, মনরোমা জিরি এলাকাটি বন বিভাগের নির্ধারিত হাতি চলাচলের জায়গা। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় নূর আয়শা হাতির কবলে পড়েন।