বাংলাদেশি নাগরিক
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের স্থল সীমান্ত সবচেয়ে বেশি। কিন্তু প্রায় সময়েই নানা কারণে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা প্রশ্নও উঠছে। সীমান্তে অব্যাহত ভয়াবহ সহিংসতায় বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
গত দুই বছরে হতাহতের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় সীমান্ত এলাকায় চলমান উত্তেজনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উঠে এসেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের ২০২৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ওই বছর সীমান্তে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন বাংলাদেশি।
এর মধ্যে ১৯ জন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এবং বাকি ছয়জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনাগুলো বিএসএফ সদস্যদের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার এবং স্থানীয় ভারতীয় বাসিন্দাদের জড়িত বিক্ষিপ্ত সহিংসতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে অর্থাৎ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য বিএসএফের মহাপরিচালকের কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, প্রাণঘাতি অস্ত্রের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে বিএসএফ, যার ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটছে।
২০২৪ সালে এই প্রবণতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিজিবি সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেল বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসএফের হাতে আরও ১৯ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর এসব নিহত আগের বছরের একই ধরনের সহিংসতার ধারাবাহিকতা।
এ ছাড়া বছরটিতে ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের হাতে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব হতাহতের কারণে উভয় সরকারের ক্ষোভ ও জবাবদিহিতার দাবিকে আরও বাড়িয়েছে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো দেশ দুটির সরকার পর্যায় ও বাহিনী পর্যার্য়ে ধারাবাহিক আলোচনা চললেও ২০২৫ সালেও হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। প্রথম দুই মাসে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, আরও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আরও এসব নিহতদের মধ্যে– একজন বিএসএফ সদস্যদের হাতে এবং দুজন ভারতীয় নাগরিকের হাতে প্রাণ হারান।
সর্বশেষ এই প্রাণহানিগুলো অর্থনৈতিক সুযোগ, অভিবাসন বা বাণিজ্যের সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রমকারী ব্যক্তিদের চলমান ঝুঁকির কথা তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: দহগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা, বিজিবির বাধা
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার উদ্বেগের জন্য একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অঞ্চলে বসবাসকারীদের জীবনকে প্রভাবিত করছে ঘন ঘন সহিংসতা। এসব অঞ্চলে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম এবং আঞ্চলিক বিরোধের খবরও পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো উভয় দেশকে উত্তেজনা কমাতে, সীমান্ত সুরক্ষা প্রোটোকল জোরদার করা এবং সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বিস্ময়ের ব্যাপপার হলো সাম্প্রতিক প্রাণহানির বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে এর আগের ঘটনাগুলোর ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্তে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ ও চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো।
নিহতদের পরিবারের জন্য, সহিংসতা একটি স্থায়ী দুঃখের কারণ এবং যার কোনো সমাধান নেই। মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং আরও নিরাপদ ও মানবিক সীমান্ত নীতির বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের ওপরই চাপ বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম শফিকুর রহমান বলেন, গত ১০ বছরে ২২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতের বিএসএফ। এছাড়া একই সময়ে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে নিহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন বাংলাদেশি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রহমান জোর দিয়ে বলেন, বিজিবি সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার নীতমালা কঠোরভাবে মেনে কাজ করে। ‘যদি কোনো ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে আমরা তাদের আটক করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি অথবা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করি। আমরা কখনও গুলি চালাই না, যে কারণে আমাদের সীমান্তে বিজিবির হাতে কোনো ভারতীয় নাগরিকের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখনই বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করি, কমান্ডার স্তরে হোক বা অন্য কোনো স্তরে, আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করি যে, যদি কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে তাহলে তাদেরদের উপর গুলি না চালাতে। বরং তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
সীমান্তে বিএসএফের প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে কঠোর অবস্থান নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বিজিবির নজরদারির পরও বাংলাদেশি নাগরিকরা কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সীমান্তে ৯৯ শতাংশ ঘটনা চোরাচালান সংক্রান্ত। সীমান্তের দুই পাশেই রয়েছে চোরাচালান সিন্ডিকেট। যারা চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা প্রায়ই ভারতীয় অংশের সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন তারা ফিরে আসতে থাকে তখন তারা বিএসএফের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। এসময় সহিংস সংঘর্ষ হয় যেখানে বিএসএফ সদস্যরা বেশিরভাগ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে ভারতীয় নাগরিকরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে আমরা মানবাধিকার আইন মেনে চলি। গুলি চালানোর পরিবর্তে আমরা তাদের আটক করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।’
শফিকুর রহমান আরও উল্লেখ করেন, সীমান্ত ফাঁড়িগুলোর (বিওপি) মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি। প্রতিটি বিওপি ২০ থেকে ৩৫ জন সদস্য নিয়ে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, 'সারা দেশে বিজিবির প্রায় ৭০০টি দল রয়েছে। যারা সবসময় সীমান্তে টহল দিয়ে থাকে। তবে তা যথেষ্ট নয়। ফলে বিজিবির প্রতিরোধের শতচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু বাংলাদেশি নাগরিক অজান্তেই সীমান্ত অতিক্রম করে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনী: প্রেস উইং
ভারতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিজিবি সীমান্ত অতিক্রম নিরুৎসাহিত করতে এবং এর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্নভাবে সীমান্ত এলাকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকয় সীমান্ত সম্পর্কিত হতাহত রোধের বিষয়টি অগ্রাধিকারে রয়েছে। উভয় দেশকে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং সীমান্তে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
২৭ দিন আগে
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে কারাগার থেকে বুধবার ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরবেন।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমার নৌবাহিনীর চিন ডুইন জাহাজে করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবারের মধ্যে জাহাজটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পৌঁছাবে এবং ওই সময় বাংলাদেশি নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে প্রকৃত রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করুন: জাতিসংঘে মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশে সম্ভাব্য সফরের তথ্য পাওয়ার পর মিয়ানমারে কারাগারে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর হয় ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস। এরপরই তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে।
দূতাবাস মিয়ানমারে বিভিন্ন কারাগারে থাকার পর মেয়াদ শেষ হওয়া বা ক্ষমাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ১৪৪ জনকে নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।
এছাড়াও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক যারা এখনো কারাদণ্ড পাচ্ছে বা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মিশনের প্রচেষ্টায় এই ২৯ জনকেও ক্ষমা করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসে ২৯ বাংলাদেশি। সর্বশেষ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট বাকিদের ফিরিয়ে আনতে ‘অবিচলভাবে’ কাজ করছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও সিতওয়ের প্রতিনিধিরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৫৯ দিন আগে
বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান
মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের নতুন ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান।
মঙ্গলবার এক ঘোষণায় জানানো হয়, রয়্যাল ওমান পুলিশ কিছু ধরনের ভিসা প্রাপ্তির নীতিমালা পর্যালোচনার মধ্যে ওমান সালতানাতে আগত সমস্ত জাতীয়তার জন্য সমস্ত ধরনের পর্যটন এবং ভ্রমণ ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
ওয়ার্ক ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক্স বাধ্যতামূলক করল সৌদি দূতাবাস, বুধবার চট্টগ্রামে সেন্টার চালু
৫৩৪ দিন আগে
২ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্মানসূচক ব্রিটিশ পুরস্কার লাভ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন তানাজ্জীনা কোরেশিকে সম্মানসূচক মেম্বার অব মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্যা ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) এবং লিনুচ প্রদীপ গোমসকে ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডেল (বিইএম) পুরস্কার প্রদান করেছেন।
সোমবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তানাজ্জীনা কোরেশি বাংলাদেশেস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন বিভাগে তার অসামান্য অবদানের জন্য এই সম্মানে ভূষিত হন। বাংলাদেশে অবস্থানরত যে সকল ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের সেবায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
লিনুচ প্রদীপ গোমেস বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘বাটলার’ হিসেবে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং উচ্চ পর্যায়ের সেবা প্রদান করার মাধ্যমে বাসভবনে আগত বহু অতিথির স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করেছেন ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, আমি যুক্তরাজ্যের মহামান্য রানীর পক্ষ থেকে তানাজ্জীনা কোরেশি এবং লিনুচ প্রদীপ গোমেসকে এই পুরস্কার প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক দৃঢ় করতে এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যকে তুলে ধরতে তারা আমাদের উল্লেখযোগ্য দুইজন সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। আমি তাদের কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং মঙ্গল কামনা করি।
পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বেইজিং
৯৮২ দিন আগে
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ব্যাংকগুলোকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ
বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ মাত্র সাত শতাংশ কর দিয়ে দেশে পাঠাতে তাদের উৎসাহিত করতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশি নাগরিকদের অপ্রদর্শিত আয় ও পাচার করা অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রণীত ‘আয়কর অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী এই প্রচারণা চালানো হবে।
সাত শতাংশ কর পরিশোধ করে বিদেশে যে কোনো উপায়ে অর্জিত আয় আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে পারবেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এই ধরনের আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ করা হবে এবং কেউ (ব্যাংক বা অন্য কোনো সংস্থা) এই আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টির বাস্তবায়ন ও প্রচারের কথা বলা হয়েছে।
‘অর্থ আইন, ২০২২ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৯এফ অনুসারে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে সাত শতাংশ কর প্রদান করে বাংলাদেশের বাহিরে যে কোনো রূপে গচ্ছিত অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধভাবে দেশে এনে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে’, সার্কুলারে যোগ করা হয়েছে।
তবে এই সাধারণ ক্ষমার সমালোচনা করে অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে বাংলাদেশ থেকে অর্থ ও মূলধন পাচার বাড়বে।
৯৮৩ দিন আগে
ইউক্রেন থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করল ভারত
ভারত তার নিজেদের নাগরিক ছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘আমরা একজন বাংলাদেশি নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছি এবং একজন নেপালি নাগরিকের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, প্রতিবেশি দেশগুলো ভারতের কাছ থেকে তাদের নাগরিক সরিয়ে নেয়ার জন্য সহায়তা চেয়েছে।
বাগচি বলেন, ভারত পরামর্শ জারি করার পর থেকে ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ইউক্রেন সীমান্ত ছেড়েছে এবং আগামী দিনে আরও বেশি লোক ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় উপকূলে বিস্ফোরণে ডুবল কার্গো জাহাজ
১১৪০ দিন আগে
লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা: দেশের ২০ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক নিহত হওয়ার পরপরই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ২২ মানবপাচার সম্পর্কিত মামলায় ২০ সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীকে রবিবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৭৭৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় আটকা পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরছেন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিমান ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার জেরে অস্ট্রেলিয়ায় আটকা থাকা মোট ১৫৭ বাংলাদেশি নাগরিক শুক্রবার বিকালে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে মেলবোর্ন ত্যাগ করেছেন।
১৮০৫ দিন আগে