লিবিয়ায় মানবপাচারকারীরা ২৮ মে ২৬ বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে হত্যা করে। লিবিয়ার ত্রিপোলি শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘড়িয়ান অঞ্চলের মরুভূমি শহর মিজদাহে মানবপাচারের কাজে ব্যবহৃত এক গুদামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আরও ১১ জন আহত হন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ লিবিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের হত্যার জন্য দায়ী মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত প্রত্যেক সদস্যকে খুঁজে বের করার জন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানদের নির্দেশ দেন। আইজিপি গত ১ জুন পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এ আদেশ দেন।
মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত প্রতিটি সদস্যকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে পুলিশের আইজিপি বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে যারা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশে পাঠিয়েছেন, যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, আইজিপির দেয়া কঠোর নির্দেশের পরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (পিবিআই) পুলিশের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ দ্রুত অভিযান চালায়।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় ঢাকা, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আইজিপির নির্দেশে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এআইজি (মিডিয়া) জানান, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ইতোমধ্যে দায়ের করা মামলায় ৭ জুন পর্যন্ত সন্দেহভাজন ২০ মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জড়িত অন্য মানবপাচারকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।