মিথ্যাচার
অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্রের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিল্পী সমাজ, নাগরিক সমাজ ও ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির সবাই অসত্যগুলোর প্রতিবাদ করুন। সরকার কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে, সরকারের কোনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি থাকলে অবশ্যই আপনারা তুলে ধরবেন, সমালোচনা করবেন, বিরোধিতা করবেন। কিন্তু যারা মিথ্যা কথা বলে, অর্ধসত্য বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা প্রতিবাদ করুন।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে দেশ-জনগণের স্বার্থে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে সব বিষয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঠিক তথ্য দেওয়া হবে। অপপ্রচারকারীদের তাদের বিপক্ষে আপনারা শক্ত অবস্থান নেবেন।’
চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে প্রণোদনা দিতে চান। অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আরও স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য বাছাই প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা হবে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুদানের চলচ্চিত্র নিয়ে একটি চলচ্চিত্র উৎসব করা যায় কি না সেটিও বিবেচনা করা হবে। যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, এটা সংশ্লিষ্টদের একটা সক্ষমতার স্বীকৃতি। অনুদানের চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ হয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে একটি অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেটিও সরকার বিবেচনা করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করা, তুলে ধরা এবং ব্র্যান্ডিং করার জন্য চলচ্চিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য চলচ্চিত্রকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে আরও মনোযোগ দিতে আলাদা বিভাগ বা কাউন্সিল করার বিষয়টি সরকার ভেবে দেখবে। একইসঙ্গে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি পাকিস্তানের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বাজার আমরা ধরতে চাই।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ মোট ২৬টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ২টি, প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ২টি এবং সাধারণ শাখায় ১৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ১টি এবং সাধারণ শাখায় ৩টি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অনুদান কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাল্গুনী হামিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রেল করিডোর ও ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ভারতকে রেল করিডোর এবং সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সই হওয়া ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে সরকার মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এইঅভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) কখনোই বাংলাদেশের জনগণকে সত্য কথা বলেনি। তারা সব সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সই করা সমঝোতা স্মারকের অর্থ হলো- এগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করবে।’
তিনি বলেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো- সরকার যে রেল করিডোর দিচ্ছে তা বাংলাদেশের কোনো কাজে আসবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (ভারত) তাদের রেললাইনের জন্য আমাদের জমি ব্যবহার করবে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। তারা (ভারত) আকাশ, স্থল ও নৌপথে অংশীদারিত্ব দিয়েছে। অংশীদারিত্ব ও কানেক্টিভিটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কী পেল? সেটাই মূল প্রশ্ন। আমারা কিছুই অর্জন করিনি।’
আরও পড়ুন: খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরিণতি ভোগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখনো তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা সমঝোতা স্মারক নিয়ে সত্য কথা বলছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। বরং অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে অন্যের মুখাপেক্ষী করার ষড়যন্ত্র করছে।’
এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন পদপ্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সব কাঠামো ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আইনের শাসনের অভাবে ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ‘আর্থিক অনটনের কারণে মানুষও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আজ জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শপথ নিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দল সব সময় যে কোনো ধরনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও কারাগারে আটকে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
৫ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপির 'মিথ্যাচারের' তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। বিএনপি নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী শক্তি বলে দাবি করলেও সংক্ষেপে এটি গণতন্ত্রবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি।’
আরও পড়ুন: অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
‘এ কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে তাদের প্রধান শত্রু মনে করে বিএনপি। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতির প্রধান অস্ত্র সন্ত্রাসবাদ। এখন তারা তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ছদ্মবেশে আবার সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যাচার করে রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার অর্জন ও অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। মিথ্যাচার, হত্যা-সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ পরিহার করার জন্য আমরা বরাবরের মতো বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আলেমদের উদ্দেশে বলেছেন, সমাজে ইমামদের কথা অনেক গুরুত্ব বহন করে। মানুষকে সঠিক পথে রাখা আপনাদের একটা বড় দায়িত্ব। একটি চক্র বর্তমানে বইয়ের মাধ্যমে ইসলাম ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে বলে অপপ্রচার করছে।
তিনি বলেন, যারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে তাদের বিচার আপনাদের কাছে দিলাম। যখন সমাজের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বা পথপ্রদর্শন করবেন তখন সঠিক কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের কদমতলা মন্ত্রীর নিজ বাসভবনে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার আওতাধীন মসজিদের খতীব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের ভোটের কারণে আমি এতবড় সম্মানে যেতে পেরেছি। আপনাদের মাথা ছোট হয় এমন কোন কাজ আমি কখনো করিনি। অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। মিথ্যা প্রচারে অংশ নিলে নিজের দায়িত্ব পালন করা হলো না।
দীপু মনি বলেন, বর্তমানে পরিবর্তনের গতিটা অনেক বেশি। এখন ক্ষণে ক্ষণে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। যেটা সত্য না, তা বইতে আসতে পারে না। একটি চক্র বলছে বানর থেকে মানুষ হইছে এ কথাটা ছড়াচ্ছে। আর কিছু মানুষ তার পিছনেই দৌঁড়াচ্ছে যাচাই না করে।
চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, সরকার কি ধাক্কা দিয়া ফালানোর জিনিস! আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। সকলের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায়, উপবৃত্তি পায়। শেখ হাসিনার সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
পদ্মা সেতুর ভিত্তি নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মির্জা ফখরুল: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন নিয়ে মিথ্যাচার করে বিএনপি মহাসচিব নিজের অসত্য কথনের রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকরা মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্য 'বেগম জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছেন' এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'ফেসবুকে দেখলাম যে ফখরুল সাহেব একজন ভদ্র মানুষ। কিন্তু কোনো কিছু না খেয়েও যে তিনি জলজ্যান্ত মিথ্যা কথা বলতে পারেন, সেটি প্রমাণ করে মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেই নিজের মিথ্যাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করলেন। আসলে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়াতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় তার মোবাইল থেকে ভিত্তিপ্রস্তর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মো. আনিছুল হক চৌধুরীর বাণী ও স্মরণিকার ছবিগুলো উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপিকে এ ধরনের অপপ্রচার না করে ভুল স্বীকার করার অনুরোধ জানাই। বিএনপির এখন বলা উচিত, তারা যে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, সেটি তাদের ভুল ছিলো। ভুল স্বীকার করতে কোনো বাধা নেই, লজ্জাও নেই।'
পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি
এর আগে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস আয়োজিত 'শিশু বিষয়ক উন্নয়নে সাংবাদিকতা' বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
কর্মশালাটিকে সময়োপযোগী বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। আর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন তাদের আত্মিক উন্নয়ন। কারণ, শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই হয় না। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নয়নই যদি একমাত্র উন্নয়ন হতো তাহলে ইউরোপের দেশগুলোতে মানবিকতা ও মূল্যবোধের সংকট হতো না, দুর্ঘটনা হলে শুধু জরুরি সেবার অপেক্ষায় থাকতে হতো না, বয়স্ক ব্যক্তি মানেই বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হতো না।'
মন্ত্রী বলেন, 'ইউরোপ-আমেরিকার অন্ধ অনুকরণ নয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্রও গঠন করতে চান। সেজন্য নতুন প্রজন্মের মনের গভীরে মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ-এই চারের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এবং এই কাজে সাংবাদিকদের হৃদয়গ্রাহী তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন শিশু, তাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজকে সচেতন করতে পারে।'
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য দেন। শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রায় সময় বিদেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নানা ধরণের বক্তব্য দেয়; যার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিএনপি যে বিদেশিদের সঙ্গেও মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি তাদের বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ প্রকাশ।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের আর বি কনভেনশন সেন্টারে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একজন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন-এমন ঘটনা আমাদের দেশে আগে কখনো আমরা দেখি নাই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির যে বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, বিএনপি সেটিকে বিকৃতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি যা বলেননি সেটি তারা মিডিয়ার সামনে বলেছেন। সে কারণে জার্মানির মত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি তো জনগণের সঙ্গে নয়, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে দৌড়ে যায়, বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। বিএনপির মহাসিচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজের স্বাক্ষরে আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ যুক্ত’ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন। এবং যে কোনো গণ্ডগোলকে আশ্রয় করে বিএনপি যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, নিউমার্কেটের ঘটনাটা সেটির একটি প্রমাণ। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই আসামীদের গ্রেপ্তার করছে এবং এখন নিজেদের মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে বিধায় বিএনপি নেতারা নানা ধরণের কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মিথ্যাচার হয়েছে: মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামকে ছোট করার অপচেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে একটি মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
শনিবার রাতে একটি ওয়েবিনারে বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রায় ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন। তিনি ধীরে ধীরে বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। জিয়াকে স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার অধিকার কে দিয়েছে? জনগণ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার অধিকার ও ম্যান্ডেট শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিল।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) এবং বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং তরুণ প্রজন্ম’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিবিএফ’ র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদা খান ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সমার্থক হয়ে উঠেছে - মানুষের এক অভিন্ন প্রতীক। তিনি শৈশব থেকেই মানুষের সেবা করেছেন। যেদিন পাকিস্তানিরা দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে অস্বীকার করেছিল, সেদিনই তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেলেও আমরা পাঞ্জাবী শোষক পেয়েছি।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার চিন্তা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার ম্যান্ডেট দিয়েছে। এরপর তিনি দেশকে প্রস্তুত করেন এবং অবশেষে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জনগণ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে যোগ দেয় এবং নয় মাসব্যাপী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে।’
মোজাম্মেল তরুণ প্রজন্মকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও লক্ষ্যগুলো জানতে এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত 'সোনার বাংলা' গড়ার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রজ্জ্বালিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার যোগ্য নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মকে দেশ স্বাধীন করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের গড় বয়স ছিল ২১-২২ বছর এবং তাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ ছিল কৃষকের সন্তান।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন তরুণ প্রজন্মের কল্যাণের কথা ভেবেছেন। তারুণ্যের প্রতি তার দারুণ সহানুভূতি ছিল। তিনি ছিলেন এমন নেতা যিনি তরুণদের মধ্যে শক্তি সঞ্চারিত করতে পারতেন।
ড. আতিউর বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রাণ এবং এই প্রাণটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। হত্যাকারীরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম তার হত্যার মাধ্যমে মুছে যাবে। কিন্তু তিনি আমাদের অন্তরে খুব দৃঢ়ভাবে ফিরে এসেছেন এবং সব সময় আমাদের অন্তরে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু একটি চিরন্তন নাম যা সর্বদা উজ্জ্বল থাকবে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন দেশের কর্মশক্তির দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে।’
জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের অধিকারের বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই তিনি তার নেতৃত্বের গুণ দেখিয়েছেন। তিনি দেশকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে ধীরে ধীরে দেশকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, আমি তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে বড় কাজের পরিকল্পনা ছিল সাইমনের
সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
৩ বছর আগে
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে টিআইবি মিথ্যাচার করেছে: মন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোন তথ্য কি দেখাতে পারবে। কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না, অথচ অন্য খাতের কোটি টাকা নিয়ে কানাডায় চলে গেছে। ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে এ ধরনের কোনো দুর্নীতি ঘটনা ঘটেনি ‘
শনিবার করোনাযুদ্ধে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না।
গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন স্বচ্ছতার তথ্য তুলে ধরেন । এমনকি করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরেছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকা নিবন্ধিত ব্যক্তিরা সিরিয়াল অনুযায়ী পাবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিআইবি স্বাস্থ্য খাত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সকল দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশকে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশকে প্রশংসা করেছে।
‘তবে টিআইবির ঘরে রুমে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে অথচ করোনা শনাক্তে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তারা (টিআইবি ) বলছে আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি, শুধুমাত্র করোনা রোগের চিকিৎসার জন্য সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
‘যে কারণে ভারতের মতো এমন পরিস্থিতি তৈরি তৈরি হয়নি, এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান,’ বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভারতে সাথে আমরা টিকা নিয়ে স্পষ্ট চুক্তি করে ভ্যাকসিন ক্রয় করেছি।
তিনি বলেন, করোনা মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারেনি বলে টিআইবির যে দাবি করছেন এটা সঠিক নয়, গত বছর সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ আইসিইউ ছিল সেখানে এখন এক হাজারের অধিক আইসিইউ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টিআরবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তার ব্যবহার করা হয়নি এমন তথ্যও সঠিক নয়। আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।’
টিকা ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ছিল এমন অভিযোগ মিথ্যা বল দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছতা ছিল সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করো না সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ মোটেও গ্রহণযোগ্য না।
আরও পড়ুন: সুশাসনের ঘাটতি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণকে দীর্ঘায়িত করছে: টিআইবি
বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছোনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেয়ার কারণে সবার সাথে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অধিদপ্তরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেয়ার জন্য সাবরিনা এবং সাহেদকে গ্রেপ্তারর করে আদালতে দেয়া হয়েছে। ভুয়া সনদ দেয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ কথামালার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়: রিজভী
বর্তমান সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণকে ‘মিথ্যাচারের কালো দলিল’ বলে শুক্রবার আখ্যায়িত করেছে বিএনপি।
৩ বছর আগে
জেনে শুনে ও বুঝে মিথ্যাচার করা বিএনপির স্বভাব: কাদের
জেনে শুনে ও বুঝে মিথ্যাচার করা বিএনপির স্বভাব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৪ বছর আগে