কঙ্গো
কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলে বন্যায় একই পরিবারের ১০ জনসহ নিহত ২২
কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় একই পরিবারের ১০ জনসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রদেশের গভর্নর জন কাবেয়া বলেন, কাসাই মধ্য প্রদেশের কানাঙ্গা জেলায় ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টিতে অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাবেয়া বলেন, ‘বিকুকুতে দেয়াল ধসে একই পরিবারের ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বেসরকারি সংস্থা দ্য হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফর ইন্টিগ্রাল ডেভেলপমেন্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর নাথালি কাম্বালা জানান, বন্যার কারণে উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা কঙ্গোর কিছু অংশে, বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘন ঘন ঘটে থাকে। মে মাসে পূর্ব কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
কাবেয়া বলেন, সর্বশেষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কাঠামোগুলির মধ্যে রয়েছে কানাঙ্গার হায়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, পাশাপাশি একটি গির্জা এবং একটি প্রধান সড়ক, যা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জাতীয় সরকারের কাছ থেকে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হবে।
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে অন্তত ৪ জন নিহত ও অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪
১১ মাস আগে
কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বন্দুকধারী ও অস্ত্র সজ্জিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সহিংসতার ঘটনাটি একটি গভীরতর সঙ্কটের সর্বশেষ চিত্র। যা বিরাট মধ্য আফ্রিকান দেশটির অপর প্রান্তে সংঘাতে ছেয়ে গেছে।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র অ্যাডেলার্ড এনকিসির জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী কিনশাসা থেকে ২৩০ মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) দক্ষিণে ইপঙ্গি গ্রামে মোবন্ডো নামে পরিচিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী বেসামরিক লোকদের উপর হামলা করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
এনকিসি বলেন, মিলিশিয়া সদস্যরা বেশ কিছু লোককে বেঁধে অপহরণ করেছিল, বিশেষ করে যারা ঝোপের মধ্যে পালিয়েছিল। প্রাদেশিক সরকার ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল: ইরাকের নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর ডেনিস মুকওয়েজ
২০২২ সালের জুন মাসে কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জমির অধিকার এবং প্রথাগত ট্যাক্স নিয়ে এই অঞ্চলের প্রাচীনতম বাসিন্দা টেক এবং এবং সম্প্রতি কঙ্গো নদীর কাছে বসতি স্থাপনকারী ইয়াকা সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মুখপাত্র এনকিসি জানায়, ইয়াকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মোবন্ডো মিলিশিয়ার একজন নেতাকে কাছের একটি শহরে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়ার পরে শুক্রবারের এই সহিংসতা শুরু হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, টেকে এবং ইয়াকা সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং চাষের জমিতে অধিকার নিয়ে মতবিরোধের মধ্যে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে সহিংসতার একটি চক্রের মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা এটি। এই সহিংসতা গুলোতে কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
একটি আঞ্চলিক নাগরিক সমাজ সংস্থার ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিম্ফোরিয়েন কোয়েঙ্গো, দক্ষিণ-পশ্চিম কঙ্গোতে মারাত্মক উত্তেজনা কমানোর জন্য মোবন্ডো মিলিশিয়া ও সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, সারা দেশে একটি পুরনো বৃহত্তর পরিসরের সংঘাতে ২০২২ সালেই কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে (রুয়ান্ডা এবং উগান্ডার সীমান্তের কাছাকাছি ) ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী মূল্যবান খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এবং তাদের কিছু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঘন ঘন গণহত্যার কারণে বেসামরিক লোকজন দেশত্যাগ শুরু করে। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, যৌন সহিংসতা এবং রোগের বিস্তার ঘটে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
১ বছর আগে
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘবিরোধী দুই দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিক্ষোভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত মরক্কোর একজন, ভারতের দুই পুলিশ সদস্য এবং উত্তর কিভু প্রদেশের বুটেম্বোতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে মিশরের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলাকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
হক বলেন, মঙ্গলবার ‘শতশত হামলাকারী’গোমা এবং উত্তর কিভুর অন্যান্য অংশে জাতিসংঘ বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, ঘাঁটি ভাঙছে, লুটপাট ও ভাঙচুর করছে এবং স্থাপনাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
২ বছর আগে
কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের একটি সামরিক আদালত জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ মাইকেল শার্প ও জাইদা কাতালানের হত্যা মামলায় ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
কাসাই অক্সিডেন্টাল মিলিটারি কোর্টের প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল জিন-পলিন এনটাশায়োকোলো এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, রায়ে ৫৪ আসামির বাকি তিনজনের একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য দুইজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে। কারণ ২০০৩ সালে কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
মার্কিন নাগরিক শার্প এবং সুইডিশ নাগরিক কাতালানকে ২০১৭ সালের ১২ মার্চ মধ্য কঙ্গোর কাসাই অঞ্চল থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। তারা দুজন দেশটির সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর গণকবরের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কঙ্গোর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল কামুইনা নাসাপু জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ কঙ্গো সরকারের।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন
সামরিক আদালত অবশ্য সাংবাদিক ট্রুডন রাফায়েল কাপুকু এবং পুলিশ অফিসার অনারে শিম্বাম্বাকে মুক্তি দিয়েছে। এরা দুজনেই ২০১৮ সালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হন।
কঙ্গোতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক টমাস ফেসি বলেছেন, রায় দেয়া হলেও এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছর পরেও উত্তরের চেয়ে আরও বেশি প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি এক টুইটে বলেন, শেষ পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাই হোক, তদন্তে সম্পূর্ণ সত্য উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের সহায়তায় কঙ্গোলিজ কর্তৃপক্ষের উচিত এই হত্যাকাণ্ডে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত করা।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান লিন্ডেও বলেছেন, তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি এক টুইটে লিখেছেন, গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। এতে আরও সত্য উন্মোচন হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা দেশটির কর্তৃপক্ষকে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০
২ বছর আগে
কঙ্গো বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালিত ডিআর কঙ্গো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা।
৪ বছর আগে
কঙ্গোতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৬
আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে অন্তত ১৬ জন যাত্রী ও দুজন ক্রু নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
৫ বছর আগে
কঙ্গোয় নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ ৩৬
কঙ্গো, ১৭ সেপ্টেম্বর (এপি/ইউএনবি)- আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় নৌকা ডুবিতে ৩৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
৫ বছর আগে