গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের একটি সামরিক আদালত জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ মাইকেল শার্প ও জাইদা কাতালানের হত্যা মামলায় ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
কাসাই অক্সিডেন্টাল মিলিটারি কোর্টের প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল জিন-পলিন এনটাশায়োকোলো এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, রায়ে ৫৪ আসামির বাকি তিনজনের একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য দুইজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে। কারণ ২০০৩ সালে কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
মার্কিন নাগরিক শার্প এবং সুইডিশ নাগরিক কাতালানকে ২০১৭ সালের ১২ মার্চ মধ্য কঙ্গোর কাসাই অঞ্চল থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। তারা দুজন দেশটির সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর গণকবরের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কঙ্গোর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল কামুইনা নাসাপু জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ কঙ্গো সরকারের।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন
সামরিক আদালত অবশ্য সাংবাদিক ট্রুডন রাফায়েল কাপুকু এবং পুলিশ অফিসার অনারে শিম্বাম্বাকে মুক্তি দিয়েছে। এরা দুজনেই ২০১৮ সালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হন।
কঙ্গোতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক টমাস ফেসি বলেছেন, রায় দেয়া হলেও এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছর পরেও উত্তরের চেয়ে আরও বেশি প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি এক টুইটে বলেন, শেষ পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাই হোক, তদন্তে সম্পূর্ণ সত্য উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের সহায়তায় কঙ্গোলিজ কর্তৃপক্ষের উচিত এই হত্যাকাণ্ডে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত করা।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান লিন্ডেও বলেছেন, তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি এক টুইটে লিখেছেন, গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। এতে আরও সত্য উন্মোচন হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা দেশটির কর্তৃপক্ষকে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।