ক্ষয়ক্ষতি
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: ত্রাণ উপদেষ্টা
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার ত্রাণ কার্যক্রমের পর্যায়টা শেষ করে পুনর্বাসনের দিকে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের যে বিষয়টি, সেটির কাজ খুব দ্রুত চলছে।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজে ভলান্টিয়ারদের যা জানা জরুরি
উপদেষ্টা বলেন, আজ ইউএন (জাতিসংঘ) বডির ৮টি নানা রকমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভা করেছি। তারা এই পুনর্বাসন কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, তারা বাংলাদেশের মানুষের অপার স্বেচ্ছাসেবা, অভূতপূর্ব সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করেছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী ও জনগণের যে উদ্দীপনা তারা দেখেছেন। তারা যে ত্যাগ দেখেছেন- এটার প্রশংসা করেছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর কোন কোন বিষয়ে তারা সহযোগিতা দিতে পারেন সেটা আমরা নির্ণয় করে দিলে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত আশাবাদী, আমরা দুর্যোগ যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় অতিক্রম করতে পেরেছি, ভবিষ্যতে পুনর্বাসন কর্মসূচিও সম্পন্ন করতে পারব। এদিকে ডি-ফরমের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেওয়ার একটি সময় রয়েছে। সেটি তিন সপ্তাহের মধ্যে দিতে হয়। আমরা সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলেছি, যত দ্রুত করা যায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনে আমি যখন কথা বলেছি, তাদের দৃঢ়তা দেখেছি। তারা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমার সার্বিক পর্যবেক্ষণ হলো একটি পরিবর্তিত সময় যেন আমাদের সামনে আসছে, আমরা আশাবাদী।
ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে বড় চিন্তার দিকে যাওয়ার মতো দুঃসাহস আমাদের জেগেছে। মানুষের মধ্যে প্রত্যয় এসেছে বলে জানান উপদেষ্টা।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে ত্রাণ দিতে বুড়িগঙ্গা থেকে নৌকা নিয়ে গেছে। কিন্তু যখন পানি নেমে গেছে তখন তো আর নৌকা চলছে না। তাদের প্রাথমিক যে উচ্ছ্বাস ছিল, সেটা যখন ক্রমে স্থিমিত হয়েছে। তাদের পক্ষে আর সেখানে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের চট্টগ্রাম থেকে ক্রেইন এনে এগুলোয় (নৌকা) তুলে ট্রাকে করে ঢাকা পাঠাতে হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, অব্যবস্থাপনা যে একেবারে হয়নি সেটা তো নয়, আমরাও শিখছি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ
তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সমন্বয়ক, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, আইওএম চিফ অব মিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনিসেফ’র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএনআরসিও হিউম্যানেটিরিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
২ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর বৃহস্পতিবার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি কথা জানান।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গতকাল একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। এই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি ঘূর্ণিঝড়ের সব ক্ষতি হিসাব করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব। আমি আজকের মধ্যে সারাদেশের সমস্ত মন্ত্রণালয়ের যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ রেডি করে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৯০ ভাগ হিসাব পেয়ে গেছি। আজকে বাকিটা পেয়ে যাব। ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেব, যাতে তিনি এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। যাতে সব কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে করতে পারেন।
৯০ শতাংশ ক্ষতি টাকার অংকে কত- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত আমি দেখলাম যে আমার কাছে ৭ হাজার কোটি টাকার হিসাব আমার কাছে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। উপকূলীয় মৎস্য সম্পদেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘেরগুলো নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
ঢাকায় সর্বাচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে বলেও এসময় আশঙ্কা প্রকাশ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে ভয়ের কারণ নেই। কারণ এমন পরিস্থিতি বহুদেশে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো রকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সময় আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা (৮ মাত্রার ভূমিকম্প) বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
নরসিংদীতে সুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়েছে মূল্যবান মালামাল
নরসিংদীর পাঁচদোনা উপজেলার বসন্তপুরে একটি সুতার কোণ তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দিবাগত ভোর রাত ৪টার দিকে কারখানায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাতের খবর পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর ৫টা ১২ মিনিটের দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে দাবি করেন কারখানার মালিক।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
১১ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করে একটি তালিকা তৈরির করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো- আসন্ন কপ-২৮ সম্মেলনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা। এর ফলে একটি বহুক্ষেত্রে ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতি তৈরি হবে, যা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমাধান দেবে।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে হর্ন বাজানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (১৫ নভেম্বর) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘দ্য রোড টু দুবাই: এক্সপার্ট কনসালটেশন অন থিমেটিক প্রোগ্রামস অভ কপ-২৮’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কপ-২৮ এর থিমেটিক বিষয়গুলো অর্থাৎ জলবায়ু, অভিজোযন, অর্থায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, পানি, প্রাকৃতিক সম্পদ, এনার্জি, শিল্পায়ন, নগরায়ন, স্বাস্থ্য, নারী ও যুবসম্প্রদায়, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসা, যানবাহন, বহুমাত্রিক দায়িত্ববোধ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। এর ফলে আসন্ন কপ-২৮ এর বৈশ্বিক আলোচনায় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন সম্ভব হবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, কপ-২৮ এ অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশসমূহে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড অপারেশনালাইজ করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা; ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন’ এর কাঠামো তৈরি করা।
এ ছাড়াও, উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত এবং অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে হবে।
ড. কাজি খলিকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড এস এম মনজুরুল হান্নান খান।
এছাড়া কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, তরুণ জলবায়ু যোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
১১ মাস আগে
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহায়তা করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহায়তা করবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে আশ্বাস দিয়েছি যে আমরা তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করব। কার কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আমরা মূল্যায়ন করব।’
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের দেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা গ্রহণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় স্বল্প সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
অগ্নিকাণ্ডকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এত ব্যবসায়ীর দুর্ভোগ ও কান্না সহ্য করা অসম্ভব।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আরোপ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৫ ও ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকার সেখানে পরিকল্পিত মার্কেট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু বেশ কিছু লোক এতে বাধা দিয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এবং পরে হাইকোর্ট প্রকল্পটি স্থগিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় যদি প্রকল্পটি স্থগিত না থাকত, তাহলে আমরা একটি ভালো মার্কেট তৈরি করতে পারতাম এবং তখন এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
তবে প্রধানমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের আশপাশে হামলাকারী বেশ কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষের তীব্র নিন্দা জানান। তাদের আচরণ তাকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানান তিনি।
আগুন লাগার পরপরই দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে লেগে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য বা যানবাহন অথবা অন্যান্য সরকারি সম্পত্তিতে হামলা করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মতিঝিলে গ্যারেজের আগুন এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর মতিঝিলে একটি গ্যারেজে বুধবার রাতে লাগা আগুন প্রায় এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে মধুমিতা সিনেমা হলের পেছনে আগুনের সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উদ্ধারকারীরা রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে এই কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
নারায়ণগঞ্জে রাসায়নিক কারখানায় আগুন
১ বছর আগে
অগ্নিকাণ্ডে ২০২২ সালে ৯৮ জনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদর দপ্তরের সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর সারা দেশে কমপক্ষে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৩ জন দমকলকর্মীসহ মোট ৯৮ জন নিহত এবং ৩০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ আরও ৪০৭ জন আহত হয়েছেন, এতে বলা হয়েছে।
২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়কালের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে (অগ্নিনির্বাপক বাদে) ৭২ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
আহতদের মধ্যে এফএসসিডির কর্মচারী ও কর্মকর্তা বাদে ৩০৩ জন পুরুষ, ৭৪ জন নারী।
অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৪২ কোটি টাকার বেশি।
সামগ্রিকভাবে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে, যা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ ছিল, যেখানে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সিগারেট ফেলার কারণে।
গ্যাস বার্নার্স, তৃতীয় সর্বোচ্চ, ১৪ শতাংশ ঘটনার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: বনানীর আগুনে আহত ফায়ারকর্মী সোহেল সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন
চকবাজারে রাসায়নিকের গুদামে আগুনে নিহত ৬৭: ফায়ার সার্ভিস
১ বছর আগে
দেশে পালন করা হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস
বাংলাদেশে ষষ্ঠ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস (২০২২) পালন করা হচ্ছে আজ (শনিবার)।
ক্রমবর্ধমান যানবাহন, বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও নিয়ম না মেনে সড়কে হাঁটা, পুলিশসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় জনবলের ঘাটতির কারণে দুর্ঘটনার উচ্চ হারের মধ্য দিয়েই ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হবে আজ।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি আজ দাবি করেছে যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর অধীনে জরুরি ভিত্তিতে একটি বিধান প্রণয়ন করে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সময়মতো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হোক।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাব বলছে, গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এক দশমিক ০৯ লাখ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে এআরআই বলেছে, গত এক দশকে দেশে সড়ক-মহাসড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৫৪ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছর। আর দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশই ১৫ বছরের কম বয়সী।’
মোজাম্মেল বলেন, যদিও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও আহতদের তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রয়েছে। আইন কার্যকর হওয়ার তিন বছর পরও এই ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার দাবি জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় করারও আহ্বান জানান মোজাম্মেল।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
২ বছর আগে
গাজীপুরে ঝুটের গুদামে আগুন
গাজীপুরের কোণাবাড়ি থানার মিতালী ক্লাব এলাকায় ঝুট মালামালের গুদামে আগুন লেগেছে। আগুনে তিনটি গুদামের মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বিঘা জমির পান বরজ
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক হামিদ মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর ষ্টেশনের ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড
তিনি আরও জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর টেক্সটাইল কারখানায় আগুন
তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে
আইলার ক্ষত না সারতেই আম্পানে সব লণ্ডভণ্ড
খুলনার বটিয়াঘাটা সড়ক দিয়ে শোলমারী নদী পার হলেই বটিয়াঘাটা বাজার। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে উড়ে গেছে বাজারের কয়েকটি দোকানের টিনের চাল। বাজারের কাছে পৌঁছাতেই কানে ভেসে আসল কান্নার শব্দ। নদীর দিকে যেতেই দেখা গেল সামান্য কিছু আসবাব ধরে বিলাপ করছেন এক নারী।
৪ বছর আগে