শ্বাসরোধে হত্যা
দেবহাটায় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়ায় হাফেজা সাইমা খাতুন নামের এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী তানজিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হাফেজা সাইমা খাতুন (১৮) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌখালী গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, গত ৫ মাস আগে তার মেয়েকে ওই মাদরাসার পরিচালক মুফতি আব্দুস সবুর তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পরে ছেলের বাবা ফোন করে তাদের মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডায়রিয়া রোগে মারা গেছে বলে তারা জানায়। তখন তারা রাতেই ছেলের বাড়িতে চলে আসে এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
তার আগে স্থানীয় একজন জাতীয় সেবা ৯৯৯- এ কল দেওয়ায় দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী তানজিমকে গ্রেপ্তার করে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সিলেটে ২০২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
৯ মাস আগে
তাড়াশে গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে আটক ২, স্বামী পলাতক
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার চক ঝুরঝুরি গ্রামে এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী পলাতক আছে।
নিহত নাসিমা খাতুনের (২৩) ওই এলাকার সুমনের স্ত্রী এবং তাড়াশ উপজেলার কস্তা বেত্রাশীন গ্রামের কহের সরকারের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নাসিমার সঙ্গে সুমনের সাত-আট বছর আগে বিয়ে হয়। এরমধ্যে তাদের সংসারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
বেশ কিছুদিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে নাসিমার পারিবারিক দ্বন্দ শুরু হয়। এ অবস্থায় সুমন কিছুদিন আগে নাসিমাকে চাকরির জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তারা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসে এবং দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাসিমাকে সুমন ও তার তিন সহযোগী বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রথমে জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ায় এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ সময় প্রতিবেশি সমেজ আলী শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সুমন ও তার সহযোগীরা নাসিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে গেলেও তার শ্বশুর-শাশুড়ি গেট খোলেনি।
এ সময় নাসিমা গ্রামবাসীর কাছে তার স্বামী সুমন ও অপরিচিত তিনজন লোক তাকে খুন করার চেষ্টা করেছে বলে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নাসিমার এমন করুণ মৃত্যুর পর গ্রামবাসী শ্বশুর-শাশুড়িকে অবরুদ্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভির রাতে শ্বশুর সরোয়ার হোসেন (৫৫) এবং শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে (৫০) পুলিশ আটক করলেও স্বামী সুমন পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক আটক
গাজীপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৩
২ বছর আগে
সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চালককে হত্যা, অটোরিকশা ছিনতাই
গাজীপুরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের মৃত হারেছ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চালককে হত্যা পর অটোরিকশা ছিনতাই
স্থানীয় ও পুলিশ জনায়, উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘর থেকে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে স্বজনরা খালি ঘরে চালকের লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে দেখে ফেলায় আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের এম এম জুট মিলসের জাছাই কলোনিতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নারীর নাম আমেনা বেগম (২৫)। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মো. রাসেল পলাতক আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে রাসেল ও আমেনা সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া কট্টাবাজার এম এম জুট মিলস এলাকায় নুর উদ্দিনের ভাড়া বাসায় উঠেন। তাদের ঘরে দুই বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। রাত দুইটার দিকে তাদের শিশু সন্তানের কান্নার আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বের হয়ে দেখেন ঘর বাইরে থেকে তালা দেয়া। প্রতিবেশীরা ঘরের তালা ভেঙ্গে আমেনার লাশ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে এএসপি আশরাফুল করিম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে বাড়ীর ছাদ থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
২ বছর আগে
দুই কন্যাশিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
গাজীপুরে দুই কন্যাশিশুকে হত্যা করে এক মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় মহানগরের মোক্তার টেক এলাকায় একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো- তাসফিয়া জাহান তাবিহা (৪) ও তাসনিম জাহান বুশরা (৯ মাস)। তারা ওই এলাকার শামসুল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেনের কন্যা সন্তান। বিল্লাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিল্লাল হোসেন সন্তানদের জন্য নাস্তা কিনতে বাসার নিচে যান। কিছুক্ষণ পর মুড়ি, কলা এবং কেক নিয়ে বাসায় উঠে দেখতে পান শ্বাসরোধ করে দুই কন্যাসন্তানকে হত্যার পর তার স্ত্রী লিজা আক্তার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন। তখন বিল্লাল হোসেনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে লিজাকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
বিল্লাল হোসেন জানান, তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২৩) কয়েক মাস ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্ত করাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর তাদের মা লিজা আক্তার পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
সাতক্ষীরার ২ শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় পল্লী চিকিৎসক দম্পতিকে শ্বাসরোধে হত্যা: পুত্রবধূসহ গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লা সদর উপজেলার সুবর্ণপুরে পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পুত্রবধূ শিউলিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নাজমুন নাহার চৌধুরী ওরফে শিউলি এবং তার দুই সহযোগী জহিরুল ইসলাম সানি এবং মেহেদী হাসান তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কাজী মো. আবদুর রহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল পুত্রবধূ শিউলির। তার স্বামী সৈয়দ আমান উল্লাহ ওমান প্রবাসী। কিন্তু পারিবারিক এসব বিরোধে স্বামীকে পাশে পাচ্ছিলেন না শিউলি। এর জের ধরে রাগে-ক্ষোভে খালাতো ভাই সানি ও তার বন্ধু তুহিনকে সাথে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা সাজায় শিউলি। খুন করা হয় শ্বশুর সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুনকে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন, রাজন কুমার দাস, ডিআইও ওয়ান মনির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
কুমিল্লার সদর উপজেলায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর এলাকায় মীর বাড়িতে রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুবর্ণপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা বেগম।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
জানা গেছে, রবিবার রাতে বৃষ্টি চলাকালীন সময় সাত থেকে আটজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাত পা বেঁধে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের খোঁজ করে। কাগজপত্র না দেয়ায় তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের পরিচয় জানতে পারেনি তাদের পরিবার।
এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
৩ বছর আগে
স্ত্রী-মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার মুকুন্দ চন্দ্রের
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মুকুন্দ চন্দ্র দাস।
সোমবার (২৬ জুলাই) চিকিৎসা শেষে আসামি মুকুন্দ্র চন্দ্র দাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন তিনি।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
পড়ুন: কামরাঙ্গীরচরে আগুন: আহত দম্পতির মৃত্যু
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুকুন্দ্র চন্দ্রের বড় মেয়ে ঝুমা রাণীকে আদালতে হাজির করেন। এরপর সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই দিন আদালত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।
পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার
মেহেরপুরে সমাজসেবা কর্মচারী হত্যা: গ্রেপ্তার ফারুকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গত ১০ বছর ধরে এই পরিবার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করছে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। মোহন্দ্র চন্দ্র ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। আসামি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং ঋণেরকারনে হতাশায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি আর্থিক টানাপোড়েনের জেরে স্ত্রীকে মারধর করেছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মুকুন্দ্র চন্দ্র দাস। মুকুন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
৩ বছর আগে
কালীগঞ্জে লেদ মিস্ত্রিকে শ্বাসরোধে ‘হত্যা’
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক লেদ মিস্ত্রিকে গলায় ফাঁস দিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা পালপাড়া এলাকায় একটি কলা বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাহিন (২৮) একই এলাকার বটতলা পাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত শাহিন হোসেন সম্প্রতি বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় একটি লেদ মেশিন বসিয়ে কাজ করতো। সকালে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন সংবাদ পাওয়ার পর সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর তাদের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর তার ব্যবহৃত একটি জুতা পাওয়া যায়। এরপর রনজিৎ কুমার নামে এক ব্যক্তির কলা বাগানে তার মরহেদ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর মিয়া জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কি কারণে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ৮ দিনের শিশুকে হত্যার অভিযোগ মা আটক
৩ বছর আগে
সোনারগাঁয়ে ভাড়াটিয়ার হাতে বাড়িওয়ালা খুন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হোসনে আরা (৫০) নামের এক বাড়িওয়ালাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে উপজেলার ঝাউচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসনে আরার ছেলে আল আমিন বলেন, রংপুর এলাকার হারুন অর রশিদ ও তার স্ত্রী সুলতানা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। গত পাঁচ মাস ধরে তারা আমাদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। হারুন অর রশিদের সাথে আমার বাবার সুসম্পর্ক ছিল এবং বিশ্বস্ত হওয়ায় আমাদের বাসায় হারুন অর রশিদ ও তার স্ত্রী সব সময়ই যাওয়া আসা করতো। আমার মা কোথায় টাকা ও স্বর্ণালংকার রাখতো সব কিছুই জানতো ভাড়াটিয়ার স্ত্রী সুলতানা।
আরও পড়ুন: ভাড়াটিয়াকে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু
তিনি বলেন, সেই সুযোগে গত শনিবার রাতে হারুন অর রশিদ আমার বাবা ও মায়ের সাথে গল্প করে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। পরে আমার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে থাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করায় মালিক কারাগারে
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: গাজীপুরে স্কুলছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা, ভাড়াটিয়া দম্পতি আটক
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে