স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
ছুটির দিনের সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু মানের শহরের তালিকায় ৪৪তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুর গুণমান সূচকে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ৩৭।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একিউআই স্কোর শুন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
পাকিস্তানের করাচি, ইতালির মিলানো এবং সার্বিয়ার বেলগ্রেড যথাক্রমে ১৫৯, ১৫৭ এবং ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়েতালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘গ্রহণযোগ্য’ বা ‘মধ্যম’ বলে বিবেচিত হয়। তবে, বায়ু দূষণের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল মানুষের জন্য এ বায়ু মাঝারি স্বাস্থ্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া ১০১-২০০ এর মধ্যে থাকলে ওই বায়ুকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
এছাড়া এ মান ২০১-৩০০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৩০১-৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
দৈনিক বায়ুর গুণমান রিপোর্ট করার জন্য একটি সূচক হলো একিউআই। একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা নিরাপদ বা দূষিত এবং এ বায়ু তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কিরকম প্রভাব ফেলবে সরকারি সংস্থাগুলো জনগণকে তা জানাতে একিউআই ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ এবংপিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তাঘাট, ইটভাটা এবং অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণা ব্যাপকভাবে নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে মানুষের হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন-স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা
২ বছর আগে
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের করোনা জটিলতার ঝুঁকি কম: ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের করোনা জটিলতার ঝুঁকি অনেক কম বলে জানিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় এক ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
সোমবার ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির পরামর্শক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শামেজ লাধানি বলেছেন, অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) প্রকাশিত নতুন তথ্য অনুযায়ী শিশুদের করোনা ঝুঁকি নিয়ে মা-বাবা,চিকিৎসক ও নীতিনির্ধারকদের আশ্বস্ত হওয়া উচিত।
ওএনএস গবেষণার প্রধান তদন্তকারী লাধানি বলেছেন, এটি আশ্বস্ত করার মতো যে,২০২০ সালের মার্চ থেকে করা জরিপে দেখা গেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের বেশিরভাগই দীর্ঘস্থায়ী করোনা উপসর্গ অনুভব করেনি।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি জানান,গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের করোনা জটিলতার ঝুঁকি অনেকটাই কম।সেহেতু শিশুরা স্কুলে যেতে পারে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এলএসএইচটিএম) এর গবেষণার সহ-প্রধান তদন্তকারী প্যাট্রিক এনগুইপডপ জোমো বলেছেন, এই গবেষণায় শিশু ও তরুণদের উপর করোনার সম্ভাব্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
ওএনএস, এলএসএইচটিএম ও ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়াল
২ বছর আগে
ভারতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২ লাখ
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে করোনা শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে।
রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক ডজনেরও বেশি হোটেল এবং বিয়ের হলগুলিকে কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তর করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লির সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এস কে সারিন বলেছেন, ‘এই উত্থান উদ্বেগজনক।’
ভারতের বৃহত্তম শহর ও অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে লকডাউন দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই মহারাষ্ট্র রাজ্যের বেশিরভাগ শিল্প, ব্যবসা ও জনসমাগম বন্ধ করা হয়েছে এবং ১৫ দিনের জন্য মানুষের অবাধ চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসী শ্রমিকরা মুম্বাই ছেড়ে যাওয়ার কারণে ট্রেন স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৮ জনের। গত বছর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১২৩ জন মারা গিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনা শনাক্তে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত এবং মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। করোনা শনাক্তে ব্রাজিলের অবস্থান তৃতীয় এবং মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তবে ভারতের ১.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে করোনা শনাক্তের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে কারণ দেশটির করোনা শনাক্ত পরীক্ষার কার্যক্রম সীমিত।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
ভাইরোলজিস্ট শহীদ জামিল বলেছেন, সাম্প্রতিক স্থানীয় ও রাজ্য নির্বাচনের বিশাল রাজনৈতিক সমাবেশ এবং হিন্দুদের বড় উৎসব উত্তরের শহর হরিদ্বারের গঙ্গা নদীতে স্নান করা ছিল করোনা সংক্রমণ বিস্তারের বড় কারণ।
ভারত তার টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার ৩ মিলিয়নের বেশি ডোজ দিয়ে মোট টিকা ১১৪ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট এবং আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলের শ্মশান এবং সমাধিস্থলগুলোতে শেষকৃত্যের জন্য আগত লাশের সংখ্যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
৩ বছর আগে
দেশব্যাপী চলমান লকডাউনকে 'অবৈজ্ঞানিক ও আংশিক' মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের আশায় দেশব্যাপী জারি করা ৭ দিনের লকডাউনকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা 'অবৈজ্ঞানিক ও আংশিক' মনে করছেন যেখান থেকে কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তারা বলছেন, লকডাউনের প্রথম দিনে কাঁচাবাজার এবং অন্যান্য স্থানে জনগণের ব্যাপক সমাগম, চলাচল ও জনসমাবেশ দ্বারাই বোঝা যায় জনগণ এই 'আংশিক' শাটডাউনটিকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি যেহেতু একই সাথে অফিস, কারখানা এবং অমর একুশে গ্রন্থমেলা খোলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেই আলোচিত ইউএনও এবারও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে
বিশেষজ্ঞরা জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সকল অফিস, কল-কারখানা, বইমেলা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ১৪ দিনের একটি সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করার এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে এটিকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উভয়েরই ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সোমবার সকাল থেকে এক সপ্তাহব্যাপী দেশব্যাপী লকডাউন চলছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এটিই বাংলাদেশের প্রথম আনুষ্ঠানিক লকডাউন। গত বছরের ২৬ মার্চ সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন কার্যকর করার পরিবর্তে পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল।
আংশিক লকডাউন নিরর্থক
ইউএনবির সাথে আলাপকালে ডব্লিউএইচও-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রাক্তন উপদেষ্টা প্রফেসর মুজাহেরুল হক বলেন, 'সরকার কল-কারখানা, অফিস এবং এমনকি বইমেলা খোলা রাখায় আমরা এটিকে লকডাউন বলতে পারি না। এটি জনসাধারণের চলাচলকে সীমাবদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায় নয়।'
আরও পড়ুন: দেশে ৭ দিনের লকডাউনে যানজট কম রাস্তাঘাটে
তিনি বলেন, লকডাউন মানে পুরোপুরি মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা। "লকডাউন মানে সবকিছু বন্ধ হয়ে থাকবে। কেবল কয়েকটি জরুরি পরিষেবা, ওষুধের দোকান এবং নির্দিষ্ট কিছু বাজার যেখান থেকে জনগণ খাবার কিনতে পারবে তা খোলা থাকতে পারে।"
মুজাহেরুল বলেন, সরকারের জারি করা ৭ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা লকডাউনের নীতি ও সংজ্ঞার সাথে মেলে না। "এটি একটি অবৈজ্ঞানিক, অপরিকল্পিত এবং আংশিক লকডাউন। এটি ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জাতিকে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করবে না।"
জাতীয় প্রযুক্তি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, লকডাউন হলো জরুরি সেবা ব্যতীত সবকিছু বন্ধ করে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সর্বজনস্বীকৃত ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে সরকার অনেক কিছুই খোলা রেখে আংশিক লকডাউন কার্যকর করেছে। সারাদেশে নয়, কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে একটি আংশিক লকডাউন কার্যকর করা যেতে পারে। এটি কেবল শক্তি অপচয়, অর্থের অপচয়। এর মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না।'
আরও পড়ুন: লকডাউন মানা হচ্ছে না কেরানীগঞ্জে, গণপরিবহনসহ সকল যান চলছে
অধ্যাপক নজরুল আরও বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য কোনো আইন ও এর কার্যকর প্রয়োগ না থাকায় জনগণ লকডাউনটিকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি।
লকডাউন ১৪ দিনের হওয়া উচিত
হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এম এইচ চৌধুরী (লেনিন) বলেছেন, ভাইরাসের সংক্রমণকে কমিয়ে আনতে কমপক্ষে ১৪ দিনের সম্পূর্ণ একটি লকডাউন কার্যকর করা উচিত।
তিনি জানান, মানবদেহে করোনাভাইরাসের ইনকিউবেশনের সময়সীমা ২ সপ্তাহ। তাই ভাইরাসের সংক্রমণ চক্রটি ৭ দিনের লকডাউন দিয়ে ভেঙে ফেলা যায় না।
লেনিন বলেন, জনগণ প্রথম দিনেই সরকারের জারি করা ৭ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন করেছে। কেননা তাদের মধ্যে এই শাটডাউন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।
আরও পড়ুন: করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: আরও ৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত, মৃত্যু ৫২
'আমি মনে করি সরকারের অবিলম্বে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। আইন প্রয়োগকারীদের তদারকি বাড়াতে হবে যাতে কোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে আসতে না পারে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত যাতে মানুষ অকারণে বাইরে ঘোরার সাহস না করতে পারে। নতুবা, আমরা এই শিথিল লকডাউন থেকে কোন ফলই পাবো না।'
জনপ্রতিনিধিদের জড়িত করা
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি স্তরের মানুষের বিশেষত জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা ব্যতীত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পক্ষে এককভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। 'তবে লকডাউন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের জড়িত করার জন্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।'
তিনি বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে এবং জনসাধারণের অপ্রয়োজনীয় চলাচল বন্ধ করতে প্রতিটি এলাকায় একটি মনিটরিং টিম গঠন করা উচিত।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: প্রধানমন্ত্রী
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, এই লকডাউনে কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া দরিদ্রদের পাশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কীভাবে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়ে সরকারকে নির্দেশনা দেয়া উচিত। "বাড়িতে খাবার না থাকলে লোকেরা বেরিয়ে আসবেই।"
এছাড়াও এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে জনগণ কীভাবে খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করবে সে সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত।
'বড় ভুল'
আটটি বিভাগের জন্য গঠিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেছেন, লকডাউনের আগে জনগণকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে সরকার ভুল করেছে। 'লকডাউনের আগে ভাইরাস বহনকারী অনেক লোক বিভিন্ন স্থানে গিয়েছিল যা সারা দেশে কেবল ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়বে।'
তিনি বলেন, লোকদের তাদের গ্রামের বাড়িতে যেতে না দেয়ার জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। 'যে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে থাকার জন্যই এটি প্রয়োগ করা হয়েছে যাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে না পড়ে।'
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, 'লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই সরকারের উচিত ছিল পরিবহন পরিষেবা বন্ধ করা। ফলে লোকেরা ঢাকা ছাড়তে পারত না।'
লকডাউন বাস্তবায়ন
ডা. ফয়সাল বলেন, 'লকডাউন কার্যকর করার আগে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। ১০টি মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
তিনি বলেন, সরকার লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা না করেই কার্যকর করেছে। "কিছু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে লকডাউনটিকে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ এখনও রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, 'দোকান ও শপিংমল এবং পরিবহন ছাড়া সবকিছুর খোলা রেখে এই লকডাউনের যৌক্তিকতা কী? বইমেলা অকারণে খোলা। এই মেলা এখনই বন্ধ করা উচিত। প্রয়োজনে এটি ভার্চুয়ালি চালানো যেতে পারে। মেলা ও অফিস খোলা রেখে জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।'
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গণপরিবহনে কথা না বলার পরামর্শ
বিশ্বব্যাপী মহমারি সৃষ্টিকারি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার হ্রাসে গণপরিবহনে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন ফ্রান্সের চিকিৎসকরা।
৩ বছর আগে
করোনায় এখনও বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম, বিস্ময়ে বিশেষজ্ঞরা
দুর্বল স্বাস্থ্য অবকাঠামোর পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক কম।
৪ বছর আগে
লকডাউন তুলে নেয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার পরও সরকার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে অফিস ও পরিবহন খাত পুনরায় চালুর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এর ফলে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
৪ বছর আগে