ন্যায়বিচার
আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এছাড়া মামলা ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা ও মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা থেকে বেরোতে চাই।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন: আইন উপদেষ্টা
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসে। তারা বিব্রত বোধ করেন। কেন বিব্রত বোধ করেন আপনি? বিব্রত বোধ করবেন যখন আপনার ভাইবোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রত বোধ করেন?’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আরজি গ্রহণ করতে বিব্রত বোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন। আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন। সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলো আর কইরেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার–বুদ্ধি আছে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েবি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য
আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, সবাই ন্যায়বিচার পাবেন। বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের ইন্তেকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার পাওয়ার যেমন সাংবিধানিক অধিকার, তেমনি দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা বিচারপতিদের নৈতিক দায়িত্ব।
এই আদালতে বিচার প্রার্থীদের বসার জন্য তেমন স্থান নেই। তাই প্রতিটি আদালতে এই রকম ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্রামাগারে বিচার প্রার্থীরা ছাড়াও অন্যরাও বসতে পারবেন।
ওই সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অর্থায়নে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন নির্মাণের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
৬ মাস আগে
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গঠনের মৌলিক ভিত্তি হলো শান্তি, স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন, যেগুলোর প্রতিটির সঙ্গে ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।
রবিবার (১৮ জুন) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৫১তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, লুকাস-এর মতে ন্যায়বিচার অনুগ্রহ, উদারতা, কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার থেকে পৃথক।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে ন্যায়বিচার চারটি নাগরিক গুণাবলির একটি; অন্যগুলো হলো প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সাহস। প্রত্যেক বিচারকের এসব গুণাবলি থাকা দরকার। কারণ তাদের কলম দিয়ে নিত্যদিন ন্যায়বিচারের হাজারও বাণী ঝড়ে।
দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারকদের প্রথম পদায়ন করার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এ ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে, যা চলমান থাকবে।
ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
এসময় আইনমন্ত্রী এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোর্সটি আয়োজন করার জন্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৭২৫ জন বিচারককে ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমিতে সশরীরে প্রশিক্ষণ প্রদান করার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের জুডিসিয়াল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ একাডেমিতে বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, ডাক্তারসহ বিচারসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একাডেমি স্থাপনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ৩৭ দশমিক ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চিহ্নিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের বাজেটে ১৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিচারক নিয়োগে জোর দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ১৩২৯ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০৩ জন এবং ১৬তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা আবশ্যক: হেগে বক্তারা
রোহিঙ্গাদের টেকসই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও রোম সংবিধির রাষ্ট্রপক্ষগুলোকে দৃঢ়তার সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে হবে। বক্তারা শুক্রবার হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) ২১তম বার্ষিক সমাবেশ চলাকালীন একটি ইভেন্টে একথা বলেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস, গাম্বিয়া সরকার ও নো পিস উইথআউট জাস্টিস যৌথভাবে ‘রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার’ শিরোনামের একটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত শামীম খান, বার্মা রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকে এর প্রেসিডেন্ট তুন খিন, রাখাইন রাজ্যের উপদেষ্টা কমিশনের সাবেক সদস্য ল্যাটিশিয়া ভ্যান ডেন অ্যাসুম ও গাম্বিয়ান সলিসিটর জেনারেল হুসেইন থমাসি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ল্যাভরভের আসন্ন সফরে জ্বালানি সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সংকটের ওপর ফোকাস দিবে ঢাকা
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বলেন, টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের নতুন ফেডারেল কাঠামোর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক গোষ্ঠী, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, আসিয়ান অঞ্চলের নেতাদের এই অঞ্চলের যৌথ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে দেশটির পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়া দরকার। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাধানে সমানভাবে নজর দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
রোহিঙ্গা নেতা থুন খিন রোহিঙ্গাদেরকে স্থান দেয়া ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আর্জেন্টিনার আদালতে চলমান মামলার ওপর আলোকপাত করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত খান রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের আইসিসি মামলার তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
গাম্বিয়ান সলিসিটর জেনারেল বলেন, গাম্বিয়া নিজেই দুই দশকের স্বৈরাচারী শাসনের শিকার হয়েছে। তাই তারা গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছে।
রাষ্ট্রদূত ল্যাটিশিয়া আসুম বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে দুই বছর ধরে মিয়ানমারের স্থল পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ আসিয়ান দেশের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থল সীমানা নেই। তাই তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর যে বোঝা তা যথাযথ বোঝে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
১ বছর আগে
হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান ও ন্যায়বিচার পেতে সহায়তার জন্য আপনাদের কাছে আসে। তাই তারা যাতে কোনো ভাবে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন ও জেলা আইনজীবী সমিতির ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে শুধু আইনের শাসন নয়, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক।
বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আদালত সংকট নিরসনের পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলায় এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনি সহায়তা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের উদ্বোধনসহ ৩১টি জেলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আমার আশা এই ভবনগুলো নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, কিশোরগঞ্জে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করা তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ এই জেলার সঙ্গে তার জীবন জড়িত।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে জেলার বিচারপ্রার্থী মানুষ দ্রুততম সময়ে বিচারিক সেবা পাবে। পাশাপাশি মানুষ সুন্দর পরিবেশ পাবে, এটা আমার জন্য আনন্দের।’
প্রয়োজনীয় স্থানের অভাবে দায়িত্ব পালনকালে বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের ফলে আপনারা সুন্দর পরিবেশে বিচার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মানুষ উপকৃত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে
মনোরঞ্জন হাজংয়ের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি
নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ নামের একটি সংগঠন সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া সাবেক বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজংয়ের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে। রবিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মনোরঞ্জন হাজং হলেন,একজন সাবেক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য, যিনি গত ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তার পা হারিয়েছেন। যে গাড়িটি তাকে আঘাত করেছিল সেটি সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারকের ছেলের গাড়ি বলে জানা যায়।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, মনোরঞ্জন হাজংয়ের মেয়ে মহুয়া হাজং একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে দেশের সেবা করছেন এবং তার বাবাও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের সেবা করেছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তিনি বলেন, কিন্তু মনোরঞ্জন হাজং যখন একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হলেন, তখন গাড়ির চালক একজন বিচারকের ছেলে হওয়ায় পুলিশ কেন মামলা নিতে নারাজ? নাকি মনোরঞ্জনের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হওয়াই অপরাধ?
মনোরঞ্জনের বিচার দাবি করে অধ্যাপক রোবায়েত আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।
এসময় মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খিশা বলেন, বেশ কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও পুলিশ মহুয়া হাজংয়ের মামলা নেয়নি। কারণ অভিযোগকারী একটি উপজাতি সম্প্রদায়ের এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিটি এলিট শ্রেণির। এখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লেখক ও প্রকাশক রবিন হোসেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ আন্দোলনের নেতা আকরামুল হক, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
২ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের স্বজনদের সাক্ষাৎ
সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের স্বজনরা ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্ব-প্রণোদিত প্রত্যাবাসন এবং কাঙ্ক্ষিত সামাজিক পুনর্মিলনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার পাবে: আশা আইসিসি’র
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরের কার্যালয় আশা করছে, শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে, যদিও তদন্ত প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।
৪ বছর আগে
সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার আশা প্রকাশ করেন, বিচারকরা দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে আইন ও ন্যায়বিচারের শাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবেন।
৪ বছর আগে