মঙ্গলবার বিকালে এক ব্রিফিংয়ে কার্যালয়ের জুরিসডিকশন, কোঅপারেশন ও কমপ্লিমেন্টারি’র পরিচালক ফাখিসো মচোচোকো সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার পেতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অপরাধী প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আইসিসির বিচারকরা মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের জন্য আইসিসি প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসৌদার অনুরোধ অনুমোদন করেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রোমের বিধিমালার অধীনে আইসিসি প্রসিকিউটর কার্যালয়ের (ওটিপি) চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী নির্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। বর্তমানে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে, যাদের বেশিরভাগ, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা রোধে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে গত ২৩ জানুয়ারি নির্দেশ দেয় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
আইসিজে সভাপতি বিচারপতি আবদুলকাউই আহমেদ ইউসুফ বলেন, আইসিজির অভিমত হচ্ছে যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে এখনও অতিশয় অরক্ষিত অবস্থায় আছে।