পুলিশ পরিদর্শক
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
রাজধানীর আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩ এর সদস্যরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া উইং) ইমরান খান।
৩ মাস আগে
সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও ইপিজেড থানার ওসিকে বদলি করা হয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এই বদলি আদেশে সই করেন।
রদবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক।
তিনি বলেন, নিয়মিত বদলীর অংশ হিসেবে চার থানায় ওসি পদসহ ১১ জন পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। এ ছাড়াও সিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) সাতটি পদে রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
বদলি আদেশে দেখা গেছে, ডবলমুরিং থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগে, তার স্থলে পদায়ন করা হয়েছে সিটিএসবির পরিদর্শক ফজলুল কাদের পাটোয়ারীকে। পাহাড়তলীর ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে সিটিএসবিতে বদলি করে পাহাড়তলী থানায় আনা হয়েছে হালিশহরের ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দীনকে, হালিশহরে পদায়ন করা হয়েছে বাকলিয়ার ওসি তদন্ত মো. কায়সার হামিদকে।
এ ছাড়া ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিমকে সিটিএসবিতে, তাঁর স্থলে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হোসাইনকে ওই থানার ওসি, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অভিযান) আরমান হোসেনকে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত), তার স্থলে সিটিএসবির পরিদর্শক নুরুল বাশারকে, অপরাধ শাখার পরিদর্শক আল মামুনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শহিদুর রহমানেক বাকলিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত পদে রদবদল করা হয়।
একই আদেশে কোতোয়ালির ওসি (অপারেশন্স) মো. আরমান হোসেনকে একই থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, সিটিএসবির মো. নুরুল বাশারকে বদলি করে কোতোয়ালীর ওসি (অপারেশন্স), অপরাধ শাখার পরিদর্শক মো. আল মামুনকে বায়েজিদের ওসি (তদন্ত) এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. শহিদুর রহমানকে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(গ) ধারায় অপরাধের অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা আদালত উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরি করার কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করি।
তিনি আরও জানান, `ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা।'
পাবলিক প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর ফারজানার কাছে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু তিনি তাতে খুশি হননি। এরপর আরও নির্যাতন বাড়তে থাকেন। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতেন। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ দেখেননি তিনি।
অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ সাজা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে পুলিশ পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ চট্টগ্রাম রিজিয়নের পরিদর্শক ও জেলার লোহাগাড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান (৫৪) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তারের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম।এর আগেও দুদক তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক লাখ ৭১ হাজার ৭৩৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান, এক কোটি ৪৮ লাখ চার হাজার ৪১৩ টাকার সম্পদ স্থানান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।দুদক জানায়, ১৯৯০ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন শাহজাহান। ২০১৭ সালে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে সত্যতা পাওয়া যায়। সম্পদবিবরণীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬৪ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ টাকা। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৬ টাকা। ব্যয় দেখিয়েছেন ২৬ লাখ টাকা ১২ হাজার ৪৭৩ টাকা। তার বিরুদ্ধে এক কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
এছাড়া, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ শাহজাহান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এরপর ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ফেরদৌস আক্তার দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। যা যাচাইয়ের জন্য দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম হাসপাতালে বিল জালিয়াতির চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগটিমের দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি ফেরদৌসী আক্তারের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ২১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছেন। তবে তার স্বামীর কাছ থেকে দান হিসেবে প্রাপ্ত ৪৩ লাখ ১০ হাজার ৮৬৭ টাকার সম্পদ বাদ দিয়ে ঘোষিত স্থাবর সম্পদ মোট দুই কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৩ টাকা। এছাড়া দুদক যাচাইকালে তার নামে মোট দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৭ টাকার স্থাবর সম্পদ পেয়েছে। এছাড়া তিনি তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে মোট ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, দান বাদে তিনি তার নামে সর্বমোট তিন কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৬৪ টাকা সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। যাচাই কালে তার নামে সর্বমোট তিন কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ৭৯৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়।ফেরদৌস তার স্বামী ওসি মো. শাহজাহানের সহযোগিতায়, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অপরাধ লব্ধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরপূর্বক ভোগ দখলে রাখার খারাপ উদ্দেশ্যে পোল্ট্রি ও মৎস্য ব্যবসার আয় দেখিয়ে দুই কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৫ টাকা ভুয়া আয় প্রদর্শন করেছেন।আরও জানা গেছে, ফেরদৌসী আক্তারের পারিবারিক ব্যয়, কর পরিশোধ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মোট খরচ ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৪ টাকা। এছাড়া তাদের যৌথনামে উত্তরা ব্যাংক লালখান বাজার শাখার বাড়ি নির্মাণের জন্য গ্রহণকরা ১২ লাখ টাকা ঋণের সুদ হিসেবে মোট সাত লাখ ৩৪ হাজার ২৭০ টাকা পরিশোধ করেছেন। তার অংশের পরিমাণ তিন লাখ ৬৭ হাজার ১৩৫ টাকা, যা তার খরচ হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া তিনি মাইক্রোবাস কেনার জন্য ঢাকা ব্যাংক সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে ছয় লাখ টাকা ঋণের সুদ হিসেবে মোট দুই লাখ ৯৯ হাজার ৭৯৫ টাকা পরিশোধ করেছেন। ওই তিন খাতে তার সর্বমোট খরচ ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৪ টাকা।
আরও পড়ুন: নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে: হাইকোর্ট
চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
২ বছর আগে
রাজধানীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর দক্ষিণখাঁন কাওলা এলাকায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রাহাত আহমেদ বাঁধন (১৯) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বামভুইয়া পাড়ার মো. নুরুন্নবীর ছেলে।
বাঁধনের ভাই রাকিব জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কাওলা ট্রান্সমিটার মাঠে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে অচেতন হয়ে পড়ে বাঁধন। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে তাকে প্রথমে স্হানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রাত ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৩
২ বছর আগে
জিআরপি থানায় ধর্ষণ: সেই পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে
খুলনার আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামি ও সাবেক রেলওয়ে পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি পাঠানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রবিবার উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার যশোরে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরের দিন যশোর থেকে ট্রেনে করে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনে ওঠার পর টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর একজন নারী পুলিশসহ আরও দুজন পুলিশ তাকে কোন কিছু না বলে আটক করে। ওই সময় উপস্থিত নারী পুলিশ তাকে চড় মারে। এতে তার বাম চোখ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুপুরের দিকে ট্রেন খুলনায় পৌঁছালে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে কন্যা সন্তান ছিল। রাতে পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি থানায় আসলে আটক হওয়া নারী বলেন, আমার কাছে পুলিশ কোন কিছু পায়নি তবে কেন আমাকে আটক রাখা হয়েছে। হাজত থেকে বের করে তাকে অফিস রুমে নেয়া হয়। তখন পুলিশ কর্মকর্তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে দিতে বলে।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে এবং এক সময়ে তাকে ফ্লোরে ফেলে দেয়। পরে চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রাত ১টার দিকে আবারও থানায় আসেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। রেলওয়ে থানার এক ডিউটি অফিসার রাতে চোখ বেধে তাকে ওসির রুমে দিয়ে আসেন। চোখের বাধন খোলার পর ওই নারীকে ধর্ষণ করেন খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি পাঠান। পরে মামলা না করার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খুলনা রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নামে রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি উছমান গনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল ককরে পুলিশ। তবে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের সঙ্গে পুলিশভ্যানের ধাক্কা, ১৩ শিল্প পুলিশ আহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
২ বছর আগে
ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহার জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (৭ মার্চ) বিকালে ফরিদপুরের জেলা দায়রা জর্জ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
ফরিদপুর জর্জ কোর্টের আইনজীবী শাহ মো. আবু জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এর আগে নিম্ন আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করলে সে আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দায়রা জর্জ আদালতে জামিন আবেদন করেন তিনি। পরে দায়রা জর্জ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পিবিআই পুলিশ সুপার মোকতার
এর আগে গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি টিম। এর পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে তাকে ফরিদপুরের ১নং আমলি আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারহওয়া শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নুরউদ্দিন আহমেদের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার ফারুক আহমেদের মেয়ে ফারজানা আক্তার তুলির সঙ্গে বিয়ে হয় শামসুদ্দোহার। ৯ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী তুলি। তুলির অভিযোগ, মাদক ও পর নারীতে আসক্ত তার স্বামী শামসুদ্দোহা। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসার কথা বলে তিনি ৪০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয়।
পড়ুন: বিচারক ও পুলিশের ওপর হামলার উদ্দেশ্যেই দেশে আসেন মনির
২ বছর আগে
কুড়িগ্রামের মারা যাওয়া পুলিশ পরিদর্শকের করোনা শনাক্ত
উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) আব্দুল জলিল সরদারের (৫৫) করোনা শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে