এরআগে, মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি-পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মেনহাজুল আলম জানিয়েছেন, গত ৩১ মে কুড়িগ্রামে দেয়া নমুনা এবং মৃত্যুর পর বগুড়ায় দেয়া নমুনার দুটিতেই পজিটিভ এসেছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল জলিল সরদার জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ৩১ মে নমুনা সংগ্রহ করে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এরপর তিনি কিছুটা সুস্থ হলে সোমবার পুলিশ বিভাগের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে তার পরিবারের কাছে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তিনি অসুস্থ অনুভব করলে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। তার হার্টের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল বলে জানায় পুলিশের কর্মকর্তারা।
মৃত্যুর পর হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে বুধবার তার করোনা শনাক্ত হয়। আব্দুল জলিলের দাফন বুধবার নওগাঁয় তার গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা পুলিশ ফ্রন্টলাইনে থেকে নানা উদ্যোগ চলমান রাখলেও করোনায় কুড়িগ্রামে এ প্রথম কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো।
এরআগে জেলার ফুলবাড়ী থানার ওসি এবং ডিএমপি থেকে কুড়িগ্রামে বদলি হয়ে আসা দুই নারী পুলিশ কনস্টেবলের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে, বর্তমানে তারা করোনাজয়ী হয়ে ফিরেছেন বলে পুলিশ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।