উপস্থাপন
ঢাবি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে।
গবেষণার জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা বা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য খাতে মাত্র ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৬৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার জন্য রাখা হয়েছে ২০৮ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এ বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, সিনেট সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, দীপঙ্কর তালুকদার (সংসদ সদস্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের অধ্যক্ষরা সেশনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৫ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, ২০২০-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি হবে ৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমানের ছাত্র ডরমেটরির গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা বাদ দেওয়ায় বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকরা আলোচনাসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক সমিতির সাদা প্যানেলের আহ্বায়ক।
ওয়াকআউটের পর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঢাবি ভিসি প্রধান অভিভাবক হলেও তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। তিনি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তিনি তার সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করেন না।’
আরও পড়ুন: ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন ইউএনডিপির নতুন আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান লিলারকে স্বাগত জানান এবং ইউএনডিপি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে স্টেফান লিলার বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারের মোকাবিলা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্টেফান লিলার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএনডিপি'র পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং কাউকে পেছনে ফেলে না যাওয়ার চেতনায় বাংলাদেশে ইউএনডিপি'র কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন, বৈষম্য হ্রাস, যুব কর্মসংস্থান, জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা ও জ্বালানি সক্ষমতার মত বিষয়কে গুরুত্ব দেয়।
স্টেফান লিলার সুইডেনের একজন নাগরিক। তিনি একজন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তার সংঘাত, সংঘাত-পরবর্তী, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশের প্রেক্ষাপটে কাজ করার প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, লিঙ্গ, উন্নয়ন অর্থায়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ, সুশাসন ও আইনের শাসনে তাঁর নীতিগত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বাংলাদেশে তার বর্তমান দায়িত্ব গ্রহণের আগে, তিনি উরুগুয়েতে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি হিসাবে এবং এর আগে মলদোভায় ইউএনডিপি ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব লজ এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে মন্তব্যহীন দিল্লি
২ বছর আগে
জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরপর দুই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, কর বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে সর্বনিম্ন আয়কর নির্ধারণ করা হবে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় বিবেচনা করে আমরা ন্যূনতম কর নির্ধারণের চেষ্টা করব।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, আমদানি-রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। তবে সব সময়ই রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়। আমাদের দেশে রপ্তানি আমদানিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘কিছু আমদানি সরাসরি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত যা আমাদের অনুমতি দিতে হবে। কিছু আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ সেগুলো সব সময় খোলা থাকে না।’
মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা বিদ্যমান থাকায় এসব বিলাসবহুল সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
পড়ুন: বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে: অর্থমন্ত্রী
বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল
জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
৪ বছর আগে