বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান লিলারকে স্বাগত জানান এবং ইউএনডিপি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে স্টেফান লিলার বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারের মোকাবিলা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্টেফান লিলার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএনডিপি'র পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং কাউকে পেছনে ফেলে না যাওয়ার চেতনায় বাংলাদেশে ইউএনডিপি'র কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন, বৈষম্য হ্রাস, যুব কর্মসংস্থান, জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা ও জ্বালানি সক্ষমতার মত বিষয়কে গুরুত্ব দেয়।
স্টেফান লিলার সুইডেনের একজন নাগরিক। তিনি একজন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তার সংঘাত, সংঘাত-পরবর্তী, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশের প্রেক্ষাপটে কাজ করার প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, লিঙ্গ, উন্নয়ন অর্থায়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ, সুশাসন ও আইনের শাসনে তাঁর নীতিগত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বাংলাদেশে তার বর্তমান দায়িত্ব গ্রহণের আগে, তিনি উরুগুয়েতে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি হিসাবে এবং এর আগে মলদোভায় ইউএনডিপি ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব লজ এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী