নৌকা
নৌকার সমর্থককে পিটিয়ে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে দুটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া-৪ আসনের খোকসা উপজেলা সদরের মাইক্রোস্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ১
আহত কলেজ ছাত্র অনিক বি-মির্জাপুর গ্রামের প্রবাসী তোফাজ্জেল শেখের ছেলে। খোকসা সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন অনিক।
ওই ছাত্র ও তার বন্ধুরা সুবর্ণা সিনেমা হল মার্কেটের একটি গ্যারেজে মোরসাইকেল মেরামতের কাজ করাতে এসেছিল। এ সময় তাদের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র ও নৌকার সমর্থক অনিক জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নিজ এলাকা বি-মির্জাপুরে নির্বাচন করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
তিনি জানান, প্রথম থেকে পৌর এলাকার ট্রাক প্রতীকের কয়েকজন নেতা তাকে ট্রাক প্রতীকের হয়ে কাজ করার জন্য বলেন। কিন্তু তিনি নৌকা প্রতীকের কর্মী হয়ে কাজ করেন।
মোটরসাইকেল গ্যারেজের মিস্ত্রী রমজান আলী জানান, যাদের উপর হামলা হয়েছে তারা তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে গ্যারেজে আসেন। হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেল মালিকের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
আহত কলেজ ছাত্র অনিকের মা লিপি খাতুন জানান, তার ছেলের উপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ২ জন নিহত
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন তিনি।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর জায়েদ জানান, ইতোমধ্যেই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় কেউ এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নাটোর-১ আসন: নৌকা ও ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরীপুরে নাটোর-১ আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের দু’টি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা।
সোমবার দিবাগত ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, ভোররাতে কে বা কারা গৌরীপুর মোড় এলাকায় অবস্থিত নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ধড়িয়ে দেয়ে।
এত ক্যাম্প দু’টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
মোড়েলগঞ্জে নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগ
মোড়েলগঞ্জে নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগবাগেরহাট-৪ আসনে (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের একটি নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার(৩১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের এই ঘটনা ঘটে।
দুষ্কৃতকারীরা ওই আগুন দিয়েছে বলে মনে করছেন প্রার্থী ও স্থানীয় প্রশাসন। তবে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ৭ জানুয়ারি ভোট দিন: শেখ হাসিনা
নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা তার নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগুনে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ খালিদ হোসেন জানান, ওই এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনে নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগর প্রতীকের প্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৫টি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নৌকা প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজিব দাবি করেন, ফরিদপুর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের শোভারামপুর ও সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দয়ারামপুর এলাকায় গভীররাতে অগ্নিসংযোগ করে ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল ও পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-১ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
এদিকে শুক্রবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ১নং কেন্দ্রের সদস্য সচিব এবং বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মী সিদ্দিক শেখ, আব্দুল আজিজকে মারধর করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সম্বনয়কারি সোয়েবুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান, কোনো উস্কানি ছাড়াই নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোফাজ্জল হোসেন সকালের দিকে লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় ।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উভয় ঘটনাই পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
ফরিদপুর-১ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফরিদপুর-১ আসনের (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমানের প্রতিনিধিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বোয়ালমারী উপজেলায় নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুজ্জামান এ জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
মো. খায়রুজ্জামান বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে বা প্রতীকে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পৌরসভার শিবপুর রেলগেটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ক্যাম্পে আলোকসজ্জা করা হয়েছে- এ কারণে প্রার্থীর প্রতিনিধিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামান, সুপ্রিম পার্টির নূর ইসলাম সিকদার।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন: তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনের দিন সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে 'নৌকায়' ভোট দেওয়ার জন্য সকল ভোটারদের অনুরোধ করেছেন, যাতে তার দল আবারও তাদের সেবা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে একেবারে সকালবেলা যারা ভোটার তাদের সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দেবেন।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নৌকা হচ্ছে হযরত নূহ (আ.) এর মহাপ্লাবনের সময় মানবজাতিকে রক্ষা করা নৌকার প্রতীক।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘এই নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছে এবং আপনাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।’
শ্রোতারা হাত তুলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের জন্য স্লোগান দেওয়ার সময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নৌকায় ভোট দেবেন? ওয়াদা করেন, আপনাদের হাত উপরে তোলেন।’
তিনি রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরীকে (ডিউক) পরিচয় করিয়ে দেন এবং সবাইকে তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।
গত ১৫ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩টি নির্বাচনে জনগণ তার দলকে ভোট দিয়েছে বলেই সরকারের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কিছু উন্নয়ন কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এগুলো হচ্ছে দেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ মুক্ত করা এবং দারিদ্র্য পুরোপুরি নির্মূল করা।
তিনি বলেন, ‘সব মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর দেশে কাউকে অবহেলা করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই। নৌকা প্রতীক ক্ষমতায় থাকলেই এ দেশের উন্নয়ন হবে।’
তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক)।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যকালে কাজী জাফর উল্যাহ এ ঘটনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকেরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কালামৃধা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মান্দার বেপারি ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
কালামৃধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জায়েম বেপারি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল হোসেনের নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের সমর্থকেরা তাদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় চেয়ার ও ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকিও দেয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর সমর্থক ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন এটি তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করে বলেন, সেখানে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের কোনো ঘটনা হয়নি।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদ্যুৎ সরকার বলেন, কালামৃধা এলাকায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে সকালে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
সিলেটের সবকটি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করবে বলে মন্তব্য করেছেন, সিলেট ১ আসনে নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
কোনো প্রার্থীকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনই সহজ নয়, সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে যাবে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারে জনসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো চাপ নেই, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কাজ করছে।
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নগরীর সুবহানিঘাট কাঁচা বাজার, ছালিম ম্যানশনের ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নৌকার পক্ষে ভোট চান।
তিনি আবার নির্বাচিত হলে উন্নয়নের মাধ্যমে সিলেটকে একটি আলোকিত, সম্প্রীতিপূর্ণ ও উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, স্পেশাল পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, জাতীয় পার্টি মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, অ্যাডভোকেট আফসার আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
সিলেটে প্রচারণার শুরুতে আরও শিক্ষিত মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি
নৌকার প্রচারের মধ্যে বেজে উঠল হিন্দি গান, সংঘর্ষে আহত ৭
পটুয়াখালী-৪ আসনের কলাপাড়ায় সাউন্ড বক্সে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী মহিববুর রহমান ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকার কর্মী মহিপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সোয়াইব খানসহ দুপক্ষের সাত কর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের বরকতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
রাজশাহী-১ আসন: ওমর ফারুক-মাহির মধ্যে চলছে কথার লড়াই
যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আপনারা কেউ, কিছু লোকের কিছু কথায় ভয় পাবেন না। ৭ তারিখ সাজুগুজু করে উৎসবের মতো করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নিজের ভোটটা নিজে দেবেন। কারণ, কিছু মানুষ জানেন তার জনপ্রিয়তা কতটুকু। এখানে যদি একটা কাকপক্ষীকেও জিজ্ঞেস করা হয় যে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, তার জনপ্রিয়তা কতটুকু? আমার মনে হয়, উনার থেকে অজনপ্রিয় মানুষ এই এলাকায় নেই। আশ্চর্য একটা বিষয়, একটা সিংহও যদি রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়, তাকে দেখে কেউ ভয় পাবে না যতটা না এই মানুষকে দেখে মানুষ ভয় পায়।
মাহি আরও বলেন, “আমার মনে হয়েছে তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষকে এই ভয়ভীতি থেকে তাদের বাঁচানো আমার দায়িত্ব। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কে কী বলছেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ যদি কাজ করতে চায়, কাজ করতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা।’ কেন্দ্রীয় নেতারা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তারা অনেক মানবিক। তারা এই শাসকের মতো না। তাদের কথা হচ্ছে—নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। তারা একবারও বলেননি, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহ, এ রকম কোনো তথ্য তো কেন্দ্র দেয়নি। আপনি কে যে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছেন?’
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
এমপি ফারুক চৌধুরীর উদ্দেশে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘যে সমস্ত নেতা-কর্মী আমার পক্ষে কাজ করছেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কাজ করছেন, তাদের নিয়ে আপনি মন্তব্য করেছেন ভিডিও করে রাখতে হবে, ছবি তুলে রাখতে হবে। কেন? আপনি কতদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন সেটা কিন্তু জানি। আপনি আগে কী ছিলেন, কোন দল করতেন সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। ওগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করেন। নির্বাচনটা উৎসবমুখর হতে দেন। আপনি যে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এলাকায় একটা ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, সেটা কিন্তু এবার হবে না।’
ফারুক চৌধুরীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে বাধা দেবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তাই আপনি কিন্তু বেশি তিড়িংবিড়িং কইরেন না। ঠিক আছে? এতদিন অনেক কিছু মানুষ সহ্য করেছে। এইবার আর করবে না। কারণ, সবকিছুর তো একটা শেষ আছে। অহংকার পতনের মূল। আপনার অহংকার, আপনার এই জমিদারি স্টাইল আপনাকে পতন করাবে। আপনার মতো শাসক এই এলাকার মানুষ আর চায় না। তারা একটা সাধারণ জনপ্রতিনিধি চায়। আপনার মতো না। তাই এই সমস্ত ভুলভাল তথ্য দেওয়া বন্ধ করেন।’
আরও পড়ুন: টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
রাজনীতির মাঠে এসে ফারুক চৌধুরীর নানা বাঁধার কথা তুলে ধরে মাহি বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। কারণ, আমি নিজে প্রমাণ। যদি ভালোবাসতেন বঙ্গবঙ্গুর শতবর্ষ উপলক্ষে আমার আয়োজন করা টুর্নামেন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারতেন না। আপনার অত্যাচার আমি জানি। আপনি কীভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। আপনি পারেননি, পারবেন না। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছিলাম, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, আপনি ভয় পান। আপনার জনপ্রিয়তা নেই। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে, তারা আপনার চেয়ে বহুগুণে জনপ্রিয়, আপনারই এলাকায়।’
ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্প্রতি তারই এক অনুসারীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘যেভাবে নিজের নেতা-কর্মীদেরই মোবাইল-টোবাইল ভাঙা শুরু করেছেন, এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে সব নেতা-কর্মী আপনার কাছ থেকে চলে যাবে। কারণ, জনগণও আপনার সঙ্গে নেই, আপনার নেতা-কর্মীও আপনার সঙ্গে নেই। নির্বাচনটা একটা উৎসবমুখর হতে দেন। জনগণ যাকে বেছে নেবে আমরা সেটা মেনে নেব। ১০ হুন্ডা, ২০ গুণ্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা-এই টাইপের নির্বাচন এবার হবে না। জনগণ এবার সোচ্চার। বিষয়টা মাথায় রাখবেন।’
এর আগে বুধবার রাতে এক নির্বাচনী সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা নৌকার বিরোধিতা করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরে কাজে লাগবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা নেতা-কর্মীদের কৌশলে ‘রাজাকার’ বলেও মন্তব্য করেন আসনের টানা তিনবারের এই এমপি।
দলের কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন-যারা নৌকার বিপক্ষে যাবে তাদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতে হবে। দল তাদের ব্যাপারে কিছু করবে এবং সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। না পেয়ে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওমর ফারুক চৌধুরী ও মাহিয়া মাহি ছাড়াও আরও আটজন প্রার্থী রয়েছেন এ আসনে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ