মানি লন্ডারিং
মানি লন্ডারিং মামলায় সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
১৩৩ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
সিআইডির জসিম উদ্দিন খান (এসএস) জসিম উদ্দিন খান জানান, সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানী থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বছরের ১ জুলাই সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকার সাদিক এগ্রোর খামারে সাতটি নিষিদ্ধ ব্রাহ্মণ বাছুর ও পাঁচটি গরু পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে দুদকের ৯ সদস্যের একটি দল খামারে অভিযান চালিয়ে সাতটি নিষিদ্ধ ব্রাহ্মণ বাছুর ও পাঁচটি গাভী, প্রায় ২৫০টি অন্যান্য গরু, ১২টি উট ও দুটি ঘোড়া উদ্ধার করে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, ২০২১ সালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সাদিক এগ্রোর আমদানি করা নিষিদ্ধ ব্রাহ্মণ গরু জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। এরপর সেসব গরু সাভারের রাষ্ট্রায়ত্ত কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও ডেইরি ফার্মে পাঠানো হয়। গত কোরবানির ঈদে এসব গরু জবাই করে মাংস নিলামে বিক্রি করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্রাহ্মণ জাতের গরু নিষিদ্ধ। কিন্তু ২০২১ সালে সাদিক অ্যাগ্রো তারকিশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮টি ব্রাহ্মণ গরু আমদানি করে। এর মধ্যে একটি গরু বিমানেই মারা গেছে। সে সময় সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন আমদানির কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হন।
পরে সাদিক এগ্রো ব্রাহ্মণ গাভী আমদানির বিষয়ে তিনটি ভুয়া দলিল দাখিল করে। এগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানির বিষয়ে অনাপত্তিপত্র (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ারেন্টাইন ইউনিটের চিঠি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে গরু আমদানির অনুমতিপত্র।
আরও পড়ুন: সাদিক এগ্রো খামারের একাংশ উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
১৭ দিন আগে
চলতি অর্থবছর ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে
ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে; যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৮ মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সর্বোচ্চ।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলে ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগের মাস জানুয়ারি মাসে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বৈধ চ্যানেলে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, সরকার ও ব্যাংকগুলো প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে। মোট প্রণোদনা পাচ্ছে ৫ শতাংশ। ফলে বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রেমিট্যান্সের ওপর ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে সহায়তা করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।
ড. রায়হান বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যেকোনো উপায়ে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
৩৮২ দিন আগে
লুটপাট, মানি লন্ডারিংয়ের কারণে ব্যবসায় বিপর্যয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মূলত ব্যাপক লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে ব্যবসায়ীরা খুব কঠিন সময় পার করছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বড় ব্যবসায়ী এখন একটি কথা বলছে যে তারা খুব খারাপ সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের ব্যবসা এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারাও এখন এমন পরিস্থিতিতে যে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার মতো টাকাও নেই।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে। ‘হয়তো এর পেছনে কিছু কারণ আছে। কিন্তু গত ১০ বছরে ৮৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরমধ্যে গত এক বছরে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ব্যাপক লুণ্ঠন ও অর্থপাচারে লিপ্ত হয় এমন দেশের অর্থনীতিতে কি থাকতে পারে?’
আরও পড়ুন: বিরোধী নেতাকর্মীদের গুলি করা বন্ধ করুন: পুলিশকে ফখরুল
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এখন ব্যবসায়ীদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো ডলারের ঘাটতির কারণে নতুন এলসি খুলতে পারছে না এবং এর আগে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ লুট করা হয়েছে। রিকশাচালক, হকারসহ সাধারণ মানুষ এখন বলছে এই সরকার চোর।’
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণ জেগে উঠেছে। ‘মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় ইতোমধ্যে একটি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই বৃদ্ধ বয়সে বর্তমান শাসনকে পরাজিত করার জন্য আমাদের প্রতিটি সমাবেশ থেকে আমি আরও একটি মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’
৭ জনকে হত্যা করার মূল্য দিতে হবে সরকারকে:
ফখরুলের অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ শাখার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে বিনা উসকানি ও কারণ ছাড়াই পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এটা কেমন একটা দেশ। তাদেরকে জনগণের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য চলমান আন্দোলনে নয়ন মিয়াসহ দলের সাত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। ‘আমরা আমাদের সাত যোদ্ধাকে হারিয়েছি এবং সরকারকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।’
ফখরুল সরকারকে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়তে বলেন। ‘অন্যথায়, ইতোমধ্যে তৈরি হওয়া উত্তাল গণতরঙ্গ আপনাকে সুনামির মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।’
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ তুলে তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধিতাকারীরা ‘জনশত্রু’: ফখরুল
ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
৮৫০ দিন আগে
মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
অস্ত্র-মানি লন্ডারিং এবং দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীম মাদক মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সোমবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতেয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার এ আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
অস্ত্র মামলায় দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগিরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।
২০২০ সালের ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে করা মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত
১০৭৪ দিন আগে
মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার ৭ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার একটি অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পান সম্রাট।
তবে সম্রাটের আইনজীবী বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় সম্রাট জেল থেকে বের হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সম্রাট।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।
আরও পড়ুন: সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!
১০৭৫ দিন আগে
ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
মানি লন্ডারিং মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিচারিক আদালতে জামিন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন দিদারুল আলম।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের এমডির ৩ বছরের জেল
রবিবার শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি তাকে জামিন দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি তার আবেদন খারিজ করেছেন। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবরে পাঠানে হবে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অর্থবছর ২০০৯-২০১০ থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্থ স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তোলে দুদক। পরে ২২ জনকে আসামি করে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর দিদারুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।
আরও পড়ুন: ঋণখেলাপির আইনি অধিকার থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
১২৩০ দিন আগে
ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের গৃহীত পদক্ষেপসহ তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তা-ও জানতে চেয়েছেন।
ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগীদের পৃথক তিনটি রিটের শুনানিকালে মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত রিট আবেদনগুলোর শুনানি মূলতবি করে এ সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে এসব বিষয়ে জানাতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিশির মনির ও হুমায়ন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির একটি রিট দায়ের করেন। এই রিটে কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে।তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার এই তিনটি রিটের ওপর এসব রিটে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলিশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত অনলাইন বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তিনটি রিট একই ধরণের হওয়ায় আদালত একসাথে শুনানি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
১২৬৯ দিন আগে
গোল্ডেন মনিরসহ ৩ জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া অপর দুজন হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের এসব হিসাব জব্দের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ মে বিকালে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অভিযোগ প্রমাণিত হলে গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিকানা বাতিল: রাজউক
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড শেষে গোল্ডেন মনিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
১৩৮১ দিন আগে
অর্থপাচারকারী দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
বিদেশে অর্থপাচার ও দুর্নীতি করে বিদেশে বাড়ি ক্রয় করেছে অথবা নির্মাণ করেছেন এমনসব দ্বৈত পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি যারা বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছে তাদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।
১৫৫১ দিন আগে
মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর শহর আ’লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় রুবেল-বরকতের পর এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী।
১৬৯৪ দিন আগে