বর্ষা
বর্ষা-বন্যায় বসতবাড়িতে সাপের উপদ্রব মোকাবিলা করবেন যেভাবে
ভারী বৃষ্টিপাতের মৌসুমে বিশেষ করে বন্যার সময় প্লাবিত এলাকায় জনসাধারণের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক সাপের উপদ্রব। দেশের উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে গ্রামাঞ্চলগুলোর ঘন গাছপালা ও জলাবদ্ধ এলাকাগুলো রীতিমতো সাপের আবাসস্থলে পরিণত হয়। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই সমস্যার পুনরাবৃত্তির কারণে এখন বিভাগীয় শহরগুলোও এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত নয়। অতিবৃষ্টির ফলে ক্রমশ বাড়তে থাকা পানির স্তর এই বিষাক্ত সরিসৃপগুলোকে অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। এতে করে প্রায় সময় এরা ঢুকে পড়ে মানুষের বসতবাড়িতে। এই সমসাময়িক বিড়ম্বনা মোকাবিলায় অবিলম্বে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। চলুন, কীভাবে সাপকে ঘরবাড়ি থেকে দূরে রাখা যায় তা জেনে নেওয়া যাক।
বর্ষা ও বন্যার সময় সাপের উপদ্রব থেকে ঘরবাড়ি মুক্ত রাখতে করণীয়
গর্ত ও ফাটল বন্ধ করা
প্রথমেই বাড়ির ভেতরে ও চারপাশে ছোট-বড় যত ফাটল ও গর্ত আছে সব খুঁজে বের করে ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। বাড়ির কলাম, দেয়াল, দরজা ও জানালার চারপাশের ফাঁক বা ছিদ্রগুলোতে অনায়াসেই যে কোনো সাপের জায়গা সঙ্কুলনা হয়ে যায়। এই উন্মুক্ত জায়গাগুলো বন্ধের জন্য প্রয়োজনে পেশাদার সেবা নেয়া যেতে পারে। এতে করে গর্ত বন্ধের জন্য সঠিক উপকরণ ব্যবহারের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। বাড়ির আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা এই গর্তগুলো বন্ধের মাধ্যমে একই সঙ্গে বাড়ির কাঠামোগত অখণ্ডতাও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ট্রেকিং, হাইকিং, ক্যাম্পিং ও ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে নিরাপদে থাকার উপায়
আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখা
কেবল সাপের অনুপ্রবেশ থেকে মুক্তি পেতেই নয়, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করা বৃহৎ পরিসরে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্যও জরুরি। বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে সাপের আবাসস্থল এবং খাদ্য যোগানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নষ্ট হয়। ভাঙা গাছের গুড়ি ও আসবাব, কাঠ এবং লম্বা ঘাসের স্তূপ পরিষ্কারের সময় সাবধান থাকতে হবে। ঝোপ-ঝাড় ছেঁটে দেওয়া এবং আঙ্গিনা ঝাড়ু দেওয়া সহ বাড়ির চারপাশের যাবতীয় বিশৃঙ্খলা দূর করার কাজগুলো অভ্যাসে পরিণত করা উচিৎ। ঘরগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকলে ঘরগুলোর আবর্জনা এক করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়মিত অপসারণ করা হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ঘরবাড়িকে শুধু সাপ থেকে নয়, আরও নানা ধরণের ক্ষতিকর প্রাণী থেকে বাঁচাবে।
সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
বসতবাড়ির ভেতরে ও বাইরে ভালো করে পরিষ্কার করার পর খেয়াল রাখতে হবে যে, উদ্বৃত ময়লা-আবর্জনা সঠিক ভাবে অপসারণ হচ্ছে কিনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই বর্জ্যগুলোও বিভিন্ন ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ ও ইদুরের আবাসস্থল হয়ে ওঠে। আর এভাবেই বসতবাড়ির আঙ্গিনায় তৈরি হয় বিষাক্ত সাপের খাবারের উৎস। গ্রামাঞ্চলে ময়লা-আবর্জনা পুড়িয়ে দিতে হয় বা মাটিতে রেখে পুঁতে ফেলতে হয়। আর শহরে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ময়লা নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিদিষ্ট ড্রামে রেখে মুখ ঢাকনা দিয়ে বন্ধ রাখতে হয়।
এই ডাস্টবিনগুলো থেকে কুকুর, বিড়াল বা কাক খাবার খাওয়ার সময় তা আশেপাশে এলোমেলো ভাবে ফেলে রাখছে কিনা সেদিকেও কড়া নজর রাখা উচিৎ। এছাড়া বাড়িতে বিভিন্ন পোষা প্রাণী প্রায় ক্ষেত্রে খাবার খেয়ে উচ্ছিষ্টগুলো বাইরে বিশৃৎখল ভাবে ফেলে রাখে। এগুলোর ব্যাপারে উদাসীন থাকলে দীর্ঘ পরিসরে ময়লার স্তূপ বাড়তে থাকে,যার ফলশ্রুতিতে পরিবেশ নষ্ট হয়। অতিরিক্ত ময়লা জমে তা থেকে নির্গত হওয়া খারাপ গন্ধ ইদুরকে আকৃষ্ট করে। আর এই ইদুর ধরতে বাড়িতে হানা দিতে পারে বিষাক্ত সাপ। তাই চূড়ান্ত নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা ময়লা সঠিক ভাবে অপসারিত হচ্ছে কিনা সেদিকে যথাযথ খেয়াল রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
আগামী বর্ষা মৌসুমে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে নৌকাবাইচ আয়োজন করার আশাবাদ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তাপস বলেন, আমরা যে জায়গার উপর এখন দাঁড়িয়ে আছি সেটা ভরাট অবস্থায় ছিল। ভরাট অবস্থায় এই জমির উপরে (স্থানীয় সরকার) মন্ত্রীসহ আমরা এখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। তখন মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ফুটের সংকীর্ণ একটি খালের মতো অবস্থা ছিল। কিন্তু আজকে আদি বুড়িগঙ্গা তার পূর্বের রূপ ফিরে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তাপস এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তাপস বলেন, বর্তমানে ৬০০ ফিটের (প্রশস্ততা) ঊর্ধ্বে পুনঃখনন করে আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করেছি। যেহেতু এখন শুষ্ক মৌসুম সেজন্য পানি কম। ইনশাল্লাহ আগামী বর্ষা মৌসুমে এখানে পানি টলমল করবে, ভরা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাকি যেটুকুও দখল অবস্থায় আছে সেগুলো দখল মুক্ত হয়ে আদি বুড়িগঙ্গা তার পূর্ণ রূপ ফিরে পাবে। আমরা আশা করছি, আগামী বর্ষা মৌসুমী এখানে নৌকা বাইচসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম আয়োজন করতে পারব। যেটা ঢাকাবাসী উপভোগ করবে, অংশগ্রহণ করবে।
তাপস বলেন, আমাদের পরামর্শকরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা সাত কিলোমিটার করে দুই পাশের ১৪ কিলোমিটারে নান্দনিক পরিবেশ, গণপরিসর, হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ সৃষ্টি করব।
তিনি বলেন, এখন পরামর্শকরা নকশা প্রণয়ন করছে। আমরা আশা করছি, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে নকশা প্রণয়ন শেষ হবে। তারপর নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরে আমরা একনেকে এটার প্রকল্প পেশ করতে পারব। সে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদি বুড়িগঙ্গা একটি নান্দনিক নদীতে রূপান্তরিত হবে।
মেয়র আরও বলেন, ‘এটা অনেকটা দুঃস্বপ্ন ছিল, আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করে আগের রূপে ফিরে আসবে। কিন্তু সেই দুঃস্বপ্নকে স্বপ্নে রূপান্তরিত করে আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করতে আমরা আমাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি। আদি বুড়িগঙ্গার পুনরুজ্জীবন মানে ঢাকা শহরেরও পুনরুজ্জীবিত হওয়া।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই বেড়িবাঁধের যে ঢাল সেটা আগে দেখা যেত না। পুরোটা দখল অবস্থায় ছিল। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। এখানে ছোট্ট একটি দ্বীপের মতো (জায়গা দখল অবস্থায়) রয়েছে। আমরা তাদেরকে সুযোগ দিয়েছিলাম, তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে কিনা। কিন্তু তারা দেখাতে পারেনি। সুতরাং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা সেটা পরিষ্কার করে ফেলব। এটি পুরোটাই দখলমুক্ত হবে। নদীর মধ্যে আমরা কোনো কিছুই থাকতে দিবো না।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
১ বছর আগে
অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প 'জাওয়ান' থেকে নেওয়া: বর্ষা
বাংলাদেশে 'জাওয়ান' মুক্তি নিয়ে শুধু দর্শকরা নয়, এ দেশের তারকারাও বেশ উচ্ছ্বসিত। অনেকে হলে সিনেমাটি দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বললেন চিত্রনায়িকা বর্ষা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশেও আজ মুক্তি পাচ্ছে 'জাওয়ান'
ব্লকবাস্টার সিনেমা 'জাওয়ান' দেখার পর গণমাধ্যমে এই তারকা বলেন, ‘আমাদের সামনে ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে। মজার বিষয় হচ্ছে- আপনারা অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প ‘জাওয়ান’ থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমনটা একবারেই নয়। এর শুটিং প্রায় দেড় বছর আগে হায়াদ্রাবাদে করেছি।’
বর্ষা আরও বলেন, ভালো একটি সিনেমা নির্মাণ করতে দরকার ভালো গল্প, বাজেট। আমরা হয়তো ‘জাওয়ান’ বানাতে পারব না। তবে বাংলাদেশের জায়গা থেকে সেরা কাজটা করার চেষ্টা সব সময় থাকবে।
‘দিন দ্য ডে’ সিনেমা দিয়ে সবশেষ আলোচনায় ছিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। আর অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘নেত্রী: দ্য লিডার’।
আরও পড়ুন: জাওয়ান: বাদশাহ তার ‘মুকুট’ নিয়ে ফিরল
'সুজন মাঝি' নিজ গুণে দর্শক পাবে: নিপুণ
১ বছর আগে
বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। বর্ষা মৌসুম এলেই প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। টানা ২/১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট।
রাজধানীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। এতে বেশ বিপাকে পড়তে হয় কর্মজীবী নগরবাসীকে।
অন্যদিকে, সেসময় পরিবহন সংকট তীব্র হয়ে যায়। কোনোমতে রিকশা বা সিনজি পাওয়া গেলেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে চালকেরা।
এভাবে প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে।
বৃষ্টি হলেই নগরীর অলিগলি ও ছোট পরিসরের রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রাজধানীর পানি নিষ্কাশনের পথগুলো আবর্জনায় ভরাট থাকায় দ্রুত পানি নামতে পারে না। ফলে প্রতিবারই এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সামান্য বৃষ্টিতে বিশেষ করে মতিঝিল, বাড্ডা, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর, মৌচাক, বেইলি রোড, কাকরাইল, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ভাটারা- বসুন্ধরা, খিলক্ষেতসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বলছে, অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কম হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এবার রাজধানীতে আর আগের মতো জলাবদ্ধতা থাকবে না।
কিন্তু গত ৯ আগস্টে টানা প্রায় এক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। ওইদিন প্রবল বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গিয়েছিল শাহবাগ, বাংলামোটর, ধানমন্ডি, মগবাজার, মতিঝিল, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বেইলি রোড, কাকরাইল, রামপুরা, শাহবাগ, ধানমন্ডি, পল্টন, প্রেস ক্লাব, মিরপুর, বসুন্ধরা ও ভাটারাসহ বিভিন্ন এলাকা।
তবে জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হচ্ছে পুরান ঢাকাবাসীকে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
রামপুরার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই রামপুরাসহ আমাদের এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের বক্তব্যে আমরা প্রায় শুনি রাজধানীতে আগের মতো আর জলাবদ্ধতা হবে না। গত কিছুদিন আগে এক ঘণ্টার বৃষ্টির পর আমাদের এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, বারবার শুনি এবার আর জলাবদ্ধতা হবে না, কিন্তু বর্ষা শুরুর আগেই অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে সড়ক।
রাজধানীর জুরাইন, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, বনশ্রী ও ভূঁইয়া পাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা।
ভূঁইয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন ইউএনবিকে জানান, প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। অনেক বছর ধরে রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আর বেশি বৃষ্টি হলে পানি নেমে যেতে সময় লাগে আরও বেশি।
বৃষ্টির ফলে প্রগতি সরণির কুড়িল-রামপুরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
এই এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদ বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই প্রতি বছর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে কর্মজীবী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ ছাড়া অতিবৃষ্টি হলে এই সড়কে যানবাহনও ধীরগতিতে চলাচল করে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে পানি জমে থাকায় যানবাহনও কম পাওয়া যায়।
জলাবদ্ধতার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- খালগুলো অবৈধ দখলে থাকা, পানিপ্রবাহ ঠিক না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পরিকল্পনা না থাকা।
তবে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কী করছে জানতে চাইলে মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, আমাদের ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের পাশাপাশি সেখানে পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আশা করা যায় এবার জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমবে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া আমাদের কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা আছে। জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি জনদুর্ভোগে পড়েন কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার বাসিন্দারা। ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় এসব জটিলতার অবসান হয়েছে। এছাড়া ২৯টি খাল নিয়ে কাজ করছি। উদ্ধারের পর কিছু খনন, পরিষ্কার, খালপাড় সবুজায়ন, ওয়াক ওয়ে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি জিআইএস পদ্ধতিতে খালের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রেখেছে তার। সেখানে তারা এখন পর্যন্ত ৫২৪টি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ করেছে। খালগুলোর নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান আছে। খাল দখলমুক্তের কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইব্রাহিমপুর, লাউতলা, কল্যাণপুর, রূপনগর, আব্দুল্লাহপুর, সিভিল এভিয়েশন, বাইশটেক ও বাউনিয়া খাল দখলমুক্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের মোট ১০৩টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরিবেশ আছে। সেখানে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক কোথাও জলাবদ্ধতা হলে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম এবার কাজ করবে। এ ছাড়াও গত এক বছরে প্রায় ২ লাখ টন বর্জ্য অপসরণ করেছে।
অন্যদিকে, কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড-কে একটি অত্যাধুনিক হাইড্রো ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে বেদখল হওয়া ৫৩ একর জায়গা উদ্ধারের পর এখন খনন কাজ চলছে। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড থেকে অপসারণ করা হয়েছে ৩০ লাখ ঘনফুট স্ল্যাজ। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে মগবাজার, মধুবাগ, কারওয়ান বাজার, উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরসহ এয়ারপোর্ট রোড ও বনানী রেলগেট থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কী করছে জানতে চাইলে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খালসহ করপোরেশনের আওতাভুক্ত নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করছি। আপনারা জানেন ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটা নিয়মিত বিষয়। এ ছাড়া কিছু জায়গাতে রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সেখানে কিছু জলাবদ্ধতা হচ্ছে, যা কয়েক দিনে ঠিক হয়ে যাবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ইউএনবিকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এর সুফল নগরবাসী পাওয়া শুরু করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, খাল, নর্দমা ও বক্স-কালভার্ট হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়ন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার এবং খাল সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির মতো কার্যক্রমের সুফল নগরবাসী ইতোমধ্যে পাওয়া আরম্ভ করেছে। আশা করা যায় জলাবদ্ধতাবিষয়ক সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। গত তিন বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে কাজ হয়েছে। যার সুফল গত বছর থেকেই নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। আগে বৃষ্টির সময় নগরীর ৭০ শতাংশ ডুবে যেত। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতা আগের মতো হচ্ছে না।
মেয়র তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত তিন বছরে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করেছে।
ধানমন্ডি- ২৭, পলাশী মোড়, আজিমপুর মোড়, শান্তিনগর, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এলাকার নটরডেম কলেজের সামনের অংশ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনের রাস্তা, সূত্রাপুর শিল্পাঞ্চল এখন আগে থেকে কম পানি জমে বলে ডিএসসিসি দাবি করেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন শ্যামপুর, মান্ডা, জিরানী ও কালুনগর- এ চার খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ এবং খাল সংস্কার করে নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া এ চার খালের নকশা, অঙ্কন ও জরিপ কাজ চলছে। একই সঙ্গে এসব খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ ও ভূমি উন্নয়নের লক্ষ্যে দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ থেকে রায়েরবাজার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চ্যানেলের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান বলে জানায় ডিএসসিসি।
উল্লেখ্য, ঢাকা ওয়াসা দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শাখা-প্রশাখাসহ ১১টি অচল খাল, বর্জ্যে জমাটবদ্ধ পাঁচটি বক্স কালভার্ট ও প্রায় ২০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নর্দমার মালিকানা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। দায়িত্বভার গ্রহণের পর এসব খাল, বক্স-কালভার্ট ও নর্দমা থেকে বর্জ্য অপসারণ, সীমানা নির্ধারণ ও দখলমুক্ত কার্যক্রম শুরু করে তারা।
এসব খাল, বক্স-কালভার্ট ও নর্দমা থেকে ২০২১ সালে ৮ লাখ ২২ হাজার টন, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৪৪ হাজার টন এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার টন বর্জ্য ও পলি অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
১ বছর আগে
বর্ষার শেষ সময়ের বৃষ্টিতে রাজধানীর জনজীবন বিপর্যস্ত
টানা বৃষ্টিতে সোমবার বিকালে রাজধানীর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রাজধানীর মৌচাক, বিজয় সরণি, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল মারাত্মভাবে ব্যাহত হয়।
আকস্মিক বৃষ্টিতে আটকা পড়ে যানবাহনের অভাবে অনেককে পানির মধ্যদিয়েই হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেককে আবার ফ্লাইওভারের নিচে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
এসময় মৌচাক ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকার অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীতে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।
এদিকে, উত্তর-পূর্ব সিলেটে ভারী বর্ষণ হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস: আবহাওয়া অফিস
আগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ডিমলায় সর্বোচ্চ ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের যশোরে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন:তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
২ বছর আগে
তাপপ্রবাহ আরও দুদিন থাকতে পারে: আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ
বর্ষা মানেই একসঙ্গে কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণের মৌসুম। তবে এবারের বর্ষা অনেকটাই শুষ্ক এবং সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ।
সাধারণত বাংলাদেশে বর্ষা জুনের শুরু থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিরাজ করলেও চলতি বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড গরমে নাকাল জনজীবন।
বর্ষাকালে এই অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ আরও দুদিন বিরাজ করবে এবং এরপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয় যার কারণে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত হয়। তবে এ বছর এটি কম সক্রিয়।’
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি মিলছে না
১৫ জুলাই নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে চলতি মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই বাংলাদেশে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ দেখা যায় এবং এবার ২০২২ সালে তাপপ্রবাহ এসেছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে লঘুচাপটি অবস্থান করছে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও উত্তরপূর্ব দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি ধরনের সক্রিয় রয়েছে।
সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক ছিল।
এছাড়া জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস সূত্র।
৩ জুলাই ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি বা দুটি লঘুচাপ থাকবে এবং এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
২ বছর আগে
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: ছায়ানটে সুফিয়া কামাল স্মরণে বর্ষা উৎসব স্থগিত
দেশে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুফিয়া কামালকে স্মরণ করে বর্ষা উৎসব স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠানটি এবং ছায়ানটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার হওয়ার কথা ছিল।
কিংবদন্তি কবির ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সুফিয়া কামাল স্মারক বর্ষা অনুষ্ঠান’(সুফিয়া কামাল স্মৃতি বর্ষা উদযাপন) শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘বই পড়ি জীবন গড়ি’
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লায়সা আহমেদ লিসা বলেন, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ১০ আষাঢ় ১৪২৯ শুক্রবার সুফিয়া কামাল স্মৃতি বর্ষা উদযাপন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন,পরিস্থিতির উন্নতি হলে শ্রাবণ মাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
সুফিয়া কামাল ১৯৬১ সালের শেষ দিকে ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করেন।
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু দীর্ঘ করতে নতুন করে ডিজাইন করতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু দীর্ঘ করতে নতুন করে ডিজাইন করতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মার বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে দৈর্ঘ্য বাড়াতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নকশা নতুন করে করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্যতা প্রতিবেদনে সেতু প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে নদীর গভীরতার পার্থক্য পাওয়ায় তিনি সেতুটি নতুন করে করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ফাঁক রাখতে দেইনি। যদিও এটি সময় নিয়েছে, আমি নকশা পরিবর্তন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে যমুনা ও পদ্মাসহ নদীর প্রবাহ ও তলদেশের মাটির পরিবর্তন হয়। যেহেতু বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের মতো নয়, তাই এই পার্থক্য মাথায় রেখে সঠিকভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি পদ্মা সেতুকে ছোট করতে দেইনি। আমরা নদীর সঙ্গে বাফার জোন রেখে সেতু নির্মাণ করেছি। যার কারেণে সেতুটি দেশের দীর্ঘতম সেতু হয়ে উঠেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু সেতুর (যমুনা সেতু) বর্তমান দৈর্ঘ্যের নকশা করেছেন তাদের ভুল ছিল। যেহেতু এর নকশা ও পরিকল্পনা আগে করা হয়েছিল, তাই সেখানে আমাদের আর কিছু করার ছিল না। আমি এতে শুধুমাত্র রেললাইন অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি।’
এসময় কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি বেগম জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’র শামিল: ফখরুল
২ বছর আগে
আগামী বর্ষার আগেই সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এই দুই নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারেও আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের চালিবন্দর এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, সিলেটে এই মৌসুমে সবসময়ই ঢল নামে। আমাদের ছেলেবেলায়ই এমনটি দেখেছি। কিন্তু পানি আটকে থাকতো না, চলে যেতো। কারণ আমাদের শহরেও অনেক পুকুর ও দিঘী ছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। আর সিলেটকে বলা হতো দিঘীর শহর। কিন্তু এখন আমরা নগরের ভেতরের সব পুকুর- দিঘী ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করেছি। হাওরগুলো ভরাট করে ফেলেছি। এছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলো ভরাট হয়ে গেছে। একারণে পানি নামতে পারছে না। যে কোনো দুর্যোগেই সিলেটের জন্য এটা একটা ভয়ের কারণ।মন্ত্রী নগরের ভেতরের পুকুর-দিঘীসহ জলাশয়গুলো রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ড্রেনগুলো খনন করা ও আরও বড় করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সিস্টেমটাকে নষ্ট করা যাবে না।
বন্যার্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পানি বেশি দিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। ফলে কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। এই সময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুল হক।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরএসময় তিনি বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে। আমরা আজকে সিলেটের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখবো। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবো। সবার সাথে আলাপ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানবো। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক বছরই এই অঞ্চলে ঢল নামে। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে ঢল নামছে। সিলেটের উজানে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।বন্যা মোকাবিলায় আগামীতে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর নব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান এই প্রতিমন্ত্রীও।
তিনি বলেন, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। এই নদীগুলো ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।চালিবন্দরে ত্রাণ বিতরণ শেষে দুই মন্ত্রী মিরাবাজার এলাকার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা থেকে ভিসা দেয়ায় রোমানিয়াকে ধন্যবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২ বছর আগে
ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া নিয়ে রোগী ভর্তি অব্যাহত রয়েছে।
আইসিডিডিআ,বির জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম তারিফুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেছেন, সাধারণত প্রাক-বর্ষা বা শীতের আগে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ে, তবে এ বছর গ্রীষ্মকালে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
গত ১৫ দিনে মোট ১৬ হাজার ১৭৭ জন ডায়রিয়া রোগী আইসিডিডিআর,বিতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭৬৯ জন রোগী পানিবাহিত এই রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ২৮ মার্চ (সোমবার) এক হাজার ৩৩৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, যা গত ১৫ দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবে হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ প্রায় এক হাজার ২৩০ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ইউএনবি বাগেরহাট প্রতিনিধির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলার ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমদ্দার জানান, বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মোট ১৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
মোট রোগীদের মধ্যে দশজন শিশু এবং আটজন প্রাপ্তবয়স্ক।
তবে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডায়রিয়ার জন্য আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন। তারা খাবার গ্রহণের আগে সঠিকভাবে হাত ধুতে ও বিশুদ্ধ পানি পান করার আহ্বান জানান।
ইউএনবির চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, গত তিন দিনে মোট ৯৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিদিন ২৫-৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য।
স্থানের অভাবে লোকজনকে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
২ বছর আগে