বিএসএফের গুলি
পরশুরামে বিএসএফের গুলিতে নিহত সেই যুবকের লাশ হস্তান্তর
ফেনীর পরশুরামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মো. ইয়াছিন লিটনের (৩২) লাশ হস্তান্তর করেছে ভারত।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বিলোনিয়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের বিলোনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবরঞ্জন দে লাশটি বাংলাদেশের পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পৃথক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন এবং বিএসএফের ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এএস বিরেন্দ্র শীল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বৈঠক শেষে রাত ৯টার দিকে বিলোনিয়া সীমান্তে ২১৬৬ নম্বর পিলার দিয়ে পরশুরাম থানার পুলিশের কাছে লিটনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হাকিম জানান, নিহত লিটনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে শনিবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, পরশুরামের বাসপদুয়া সীমান্তে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে বিএসএফ। এতে মিল্লাত হোসেন (২১) ও মো. লিটন (৩২) দুইজন নিহত হন। আবছার (৩১) নামের আরেকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
১৩২ দিন আগে
সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ মে) ভোরে জেলার রাজাপাড়া সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ সামছু মিয়া (২৫) বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাজাপাড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বম্ভরপুরের রাজাপাড়া সীমান্ত পিলার ১২১১ নম্বর দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চোরাইপণ্য আনতে যান ৪-৫ জন চোরাকারবারী। এ সময় চিনাকান্দি বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে ১৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রাজাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে শামসুল গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত
পরে সহকর্মীরা উদ্ধার তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত যুবক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পণ্য আনতে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
১৯৯ দিন আগে
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে ওবাইদুর রহমান (৩৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার মধুপুর নামক স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ।
নিহত ওবাইদুর মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানেফ মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গতরাতে মহেশপুর উপজেলার গোপালপর গ্রামে ৭ থেকে ৮ জন লোক অবৈধভাবে ভারতে যায়। রাত দেড়টার দিকে তারা বিএসএসএফের সামনে পড়ে। সেসময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন তারা পালিয়ে আবারো বাংলাদেশের ভিতরে চলে আসে। কিন্তু ওবাইদুর রহমানসহ দু’জন আসতে পারেনি। ওবাইদুর রহমানকে বিএসএফ ধরে ফেলে। বিএসএফ তাকে বস্তায় জড়িয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে গুলি করে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
সকালে ভারতের অভ্যন্তরে মধুপুর নামক স্থানে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। ওই লাশটি ওবাইদুর রহমানের হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। লাশটি ভারতের বাগদা থানার পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। আরেকজনের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ওমর আলী জানান, খবর পেয়ে তিনি ওবাইদুরের বাড়িতে যান। বাড়িতে সবাই কান্নাকাটি করছেন। তিনি জানান, রাত ১টার দিকে ওপারে গোলগুলির শব্দ শুনেছে গ্রামবাসী। এতে ধারণা করা হচ্ছে ওবাইদুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
যাদবপুর ইউনিয়নের মেম্বর বাবুল হোসেন জানান, তিনিও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির সংবাদ শুনেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুর নিখোঁজ রয়েছেন। ওপারে পড়ে থাকা লাশটি ওবাইদুরের হতে পারে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা জানান, ভারতের অভ্যন্তরে একজনের লাশ পড়ে আছে বলে আমি বিজিবির মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
বিজিবির যাদবপুর বিওপির কমান্ডার হাবিলদার মফিজুল ইসলাম জানান, লোকমুখে তিনি এমন খবর পেয়ে সীমান্তে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে এখনো কোনো পরিবার তাদের দপ্তরে অভিযোগ করেনি।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, রবিবার সাকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ভারতের মধুপর বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ফোন করে তাকে জানিয়েছে, ভারতের সীমানার মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে। সেটা বাংলাদেশি না ভারতীয় বোঝা যাচ্ছে না। ভারতের বাগদা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করে ইছামিত নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। ১৯ দিন পার হলেও তার লাশ এখনো বিএসএফ ফেরৎ দেয়নি। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
ওয়াসিমের ভাই মেহেদী হাসান দাবি করেন, গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায়। ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধাওয়া করলে মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ ফিরে আসলেও তার ভাই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। তাকে নির্যাতনে হত্যার পর লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়। বিজিবি লাশ ফেরৎ চাইলেও ভিসা ও আইনি জটিলতার কারণে ১৯ দিনেও লাশ ফেরৎ পায়নি পরিবার।
আরও পড়ুন: বিজয়নগর সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
ভারতীয় পুলিশ বিজিবিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে লাশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারতে গিয়ে লাশ শনাক্ত করার সক্ষমতা ওয়াসিমের পরিবারের নেই বলে জানা গেছে।
২২১ দিন আগে
আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছররা গুলিতে আসাদুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা সীমান্তের ভারত অংশে এ ঘটনা ঘটে।
আসাদুল ইসলাম ইটনা গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি এম রাশেদুল ইসলাম জানান, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে ঢুকে পড়েছিলেন ওই যুবক। পরে টহলরত বিএসএফ সসদস্যরা তাকে লক্ষ করে ছররা গুলি নিক্ষেপ করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আসাদুল।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ওই যুবক কেনো সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন সেটি জানা যায়নি। তার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বিএসএফের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
২২৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে চা শ্রমিকের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে গোপাল বাগতি নামে এক চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে বিজিবি।
রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মধ্যবর্তী স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে পাহাড় থেকে বাঁশ আনতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নিহত গোপাল বাগতি বড়লেখার নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাগতির ছেলে।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
স্বজনদের অভিযোগ, সীমান্তের জিরো লাইনে বিএসএফ গুলি করে তাকে হত্যা করেছে। তার সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা পালিয়ে আসায় রক্ষা পায়।
জানা গেছে, গোপাল বাগতি শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে বাঁশ আনতে পাহাড়ের গেলে, রাত পর্যন্ত না ফেরায় স্বজনরা খোজাখুজি শুরু করেন।
রবিবার খবর মিলে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের টিলা বিওপির সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মধ্যবর্তী স্থানে লাশ পড়ে রয়েছে।
পরে বিজিবি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, রবিবার সকালে চা বাগান শ্রমিকরা বিজিবি বিওসিটিলা বিওপির টহল দলকে জানায়, সীমান্ত পিলার ১৩৯১/২-এস এর নিকটবর্তী এলাকায় একটি লাশ পড়ে আছে। পরে বিওসিটিলা বিওপির টহল দল তল্লাশি চালিয়ে সীমান্ত পিলার ১৩৯১/২-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
৩৪৬ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে নাইমুর রহমান নাইম নামে এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কোটাপাড়া বিজিবি সিমান্তের ৩৮৩/২ এস মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গুলিবিদ্ধ নাইমুর রহমান নাইম (২২) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
নাইমের চাচা আলমগীর বলেন, ‘আমরা চাচা-ভাতিজা নো ম্যানস ল্যান্ডের থেকে দূরে আমাদের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলাম। এসময় সীমান্তের ওপারের ভারতীয় বিএসএফের ভেলাগাছি ক্যাম্পের সদস্যরা নাইমকে লক্ষ্য গুলি ছোড়েন। তাকে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। পরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেই।’
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘গুলিতে তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
সিলেট সীমান্তে খাসিয়ার গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু
৪৮১ দিন আগে
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুল ইসলাম (৬০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোরে লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৯ নম্বর সীমানা পিলার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল ইসলাম উপজেলার লোহাকুচি এলাকার মৃত মঈনউদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে নুরুলসহ আরও কয়েকজন লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৯ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে ছিলেন। ভারতের সিতাই থানার ৭৮বিএসএফের ওয়েস্ট চামটা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নুরুল ইসলাম। পরে সঙ্গীরা রাতের অন্ধকারে তার লাশ নিয়ে আসে। খবর পেয়ে উপজেলার গোড়ল একালার তদন্ত কেন্দ্রের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।লালমনিরহাট ১৫বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, এ বিষয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুটখালী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
৫২৭ দিন আগে
কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জামতলা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আনোয়ার হোসেন বাকশীমুল ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মরহুম চারু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: পুটখালী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল করিম বলেন, জামতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মো. আনোয়ার হোসেন নিহত হয়েছেন। তার লাশ কাটাতার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে।
আনোয়ার হোসেন ভারতীয় সীমান্তে অবৈধভাবে চিনি আনতে গিয়েছিলেন বলেও চেয়ারম্যান আবদুল করিম জানান।
এদিকে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যম লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর
৫৪৪ দিন আগে
কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বিল্লাল হোসেন (২৬) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়নল সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিল্লাল হোসেন রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আহত বিল্লাল হোসেন ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা চিনি ও অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় বিল্লাল।
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে শুনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারব না।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
৫৯১ দিন আগে
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। হাসান তার ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এবং হাসানের স্ত্রী ও ৪ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোমস্তাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় হাসানসহ ৪/৫ বন্ধু শূন্য রেখা এলাকায় ঘুরতে যায়।
এ সময় ভারতের ওই এলাকার ৩ নম্বর গেট দিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাসানের শরীরের পেছনের দিকে আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় কয়েকজন লোক তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) জাবেদ বিন জব্বার সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি।’
এদিকে দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনাটির আনুষ্ঠিানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
৫৯১ দিন আগে