ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। হাসান তার ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এবং হাসানের স্ত্রী ও ৪ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোমস্তাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় হাসানসহ ৪/৫ বন্ধু শূন্য রেখা এলাকায় ঘুরতে যায়।
এ সময় ভারতের ওই এলাকার ৩ নম্বর গেট দিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাসানের শরীরের পেছনের দিকে আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় কয়েকজন লোক তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) জাবেদ বিন জব্বার সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি।’
এদিকে দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনাটির আনুষ্ঠিানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত